June 2019

ঘাটালে মার্গগুরুদেবের জন্মোৎসব পালন

ঘাটালের হরিসিংপুরে প্রতি বছরের মত এ বছরও ১৮ ও ১৯শে মে মহা ধূমধাম সহকারে জগদ্গুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী শুভ জন্মতিথি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়৷ এই উপলক্ষ্যে এখানে ২৪ ঘণ্টা ব্যাপী অখণ্ড কীর্ত্তন হয়৷

অনুষ্ঠানে বাবা নাম কেবলম্ নাম সংকীর্ত্তনে পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলো থেকে বহু আনন্দমার্গী ও সাধারণ মানুষ সবাই অংশগ্রহণ করেন৷

এই আনন্দ পূর্ণিমা উৎসব গণ উৎসবের চেহারা নেয়৷ আশপাশের এলাকার সবাই দু’দিনের এই অনুষ্ঠানকে সাফল্যমণ্ডিত করার জন্যে নানাভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন৷ দু’দিনের জন্যে এখানে এই অনুষ্ঠান আনন্দমেলায় পরিণত হয়৷

বিভিন্ন স্থানে মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী জন্মতিথি উৎসব

মেদিনীপুর ঃ ১৮ই মে শুভ আনন্দপূর্ণিমা তিথিতে মহাসমারোহে পরমারাধ্য মার্গগুরুদেব শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী শুভ ৯৯তম জন্মতিথি উৎসব পালিত হয়৷ ভোর থেকে প্রভাত সঙ্গীত ও বাবানাম কেবলম্ কীর্ত্তনে ভক্তরা আশ্রমকে আনন্দমুখর করে তোলেন৷ সকাল ৬টা ৭ মিনিটে মার্গগুরুদেবের আবির্ভাব মুহূর্ত্তে জয়ধবনি সহ বিভিন্ন মঙ্গলধবনির পর মিলিত সাধনা অনুষ্ঠিত হয়৷ এরপর আনন্দপূর্ণিমা উপলক্ষ্যে  বিভিন্ন ভাষায় মার্গগুরুদেবের দেওয়া ‘আনন্দবাণী’ পাঠ করা হয়৷ বাঙলায় বাণী পাঠ করেন চিত্রা সাউ, ইংরেজীতে পঞ্চানন দাস, সংসৃকতে গীতিকা বসু প্রমুখ৷ বাণী পাঠের পরে বাণীর তাৎপর্য, শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী জীবনী ও আদর্শের ওপর বক্ত

পরমারাধ্য মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী জন্মদিনে চুঁচুড়া স্কুলে অনুষ্ঠান

চুঁচুড়া ঃ আনন্দমার্গ দর্শনের প্রবক্তা, নব্যমানবতাবাদী শিক্ষা ব্যবস্থার রূপকার, প্রভাত সঙ্গীতের স্রষ্টা, প্রাউট তত্ত্বের প্রবক্তা পরমারাধ্য গুরুদেব শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ৯৯তম জন্মতিথিতে  নূতনের আলো নবভাবে আস্বাদন করতে তাঁরই রচিত ও সুরারোপিত প্রভাত সঙ্গীতের ডালি নিয়ে অর্ঘ্য সাজাল চুঁচুড়া আনন্দমার্গ স্কুলের ছাত্র-ছাত্রা ও শিক্ষকবৃন্দ৷ অনুষ্ঠানে স্থানীয় আনন্দমার্গের সদস্য-সদস্যাবৃন্দ ছাড়াও ছাত্র-ছাত্রাদের অভিভাবকবৃন্দ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে কচি-কাঁচাদের পরিবেশিত প্রভাত সঙ্গীত ও প্রভাত সঙ্গীত আধারিত নৃত্যানুষ্ঠানের ভূয়সী প্রশংসা করেন৷ অনুষ্ঠানে আনন্দমার্গ

আনন্দ পূর্ণিমায় চুঁচুড়াতে বস্ত্র দান

চুঁচুড়া ঃ গত ১৮ই মে আনন্দমার্গের প্রতিষ্ঠাতা পরমারাধ্যেয় গুরুদেব শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ৯৯তম জন্মতিথি উপলক্ষ্যে চুঁচুড়া আনন্দমার্গ ইয়ূনিটের আনন্দমার্গের ত্রাণ শাখা ‘এ্যামার্ট’-এর ব্যবস্থাপনায়  ৫০ জন দুঃস্থ মহিলাকে বস্ত্র প্রদান করা হয়৷ দুঃস্থ মহিলাদের হাতে বস্ত্রগুলি তুলে দেন আনন্দমার্গ নারী কল্যাণ বিভাগ চুঁচুড়া শাখার পক্ষে মিতালী ঘানা, বিন্দু মণ্ডল, শেলী মণ্ডল৷ সহযোগিতায় ছিলেন নৃত্যশিক্ষক পরিক্ষিত চক্রবর্ত্তী৷

পুরুলিয়ার গাগীতে জলসত্র

গত ১৮ই মে ২০১৯ আনন্দমার্গের প্রতিষ্ঠাতা ধর্মগুরু শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর ৯৮ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাঘমুণ্ডি থানার  গাগী গ্রামের আনন্দমার্গ স্কুলে  আনন্দমার্গের স্থানীয় ইয়ূনিট  তথা ‘প্রাউট’ শাখার পক্ষ থেকে এক বর্র্ণঢ্য শোভাযাত্রা, বস্ত্র বিতরণ ও জলসত্রের আয়োজন করা হয়৷ জলসত্রটি একমাস ধরে চলবে৷  অনুষ্ঠানটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন  প্রাক্তন এম.এল.এ ডমন কুইরীর স্ত্রী হেমিবালা  কুইরী, অবনি কুমার প্রমুখ৷

হাওড়া  জেলার বিভিন্ন স্থানে আনন্দমার্গের অনুষ্ঠান

গত ১৮ই মে’ ১৯ হাওড়া জেলার বিভিন্ন ইয়ূনিটের সাথে শ্যামপুর ব্লকের সুলতানপুরে, উলুবেড়িয়া ব্লকের  তুলসীবেড়িয়ায়, উদয়নারায়ণপুর ব্লকের দক্ষিণ চাঁদচক ‘আনন্দমার্গ’ স্কুলে, আমতা  ‘আনন্দমার্গ’ স্কুলে, উদংয়ে, ডোমজুড় ব্লকের  খটির বাজার আশ্রমে, সালকিয়া, বিরাডিঙ্গি ও পাঁচলা ব্লকের  রাণীহাটী আশ্রমে ও জগৎ বল্লভপুর ব্লকের  বালিয়ায় জগদ্গুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ৯৯তম  জন্ম  তিথি উৎসব ধুমধাম সহকারে পালিত হয় ও সর্বত্র নারায়ণ সেবারও আয়োজন  করা হয়৷

জগৎবল্লভপুরের বালিয়ায় শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর জন্মতিথি  উৎসব উপলক্ষ্যে দরিদ্র জনসাধারণের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ ও জলসত্রের আয়োজন  করা হয়েছিল৷

রক্তদান শিবির

গত কাল আনন্দমার্গ প্রচারক  সংঘ রাইগঞ্জ শাখার পক্ষ থেকে  শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর ৯৯তম আবির্ভাব দিবস উপলক্ষ্যে অখণ্ড কীর্ত্তন, কীর্ত্তন পরিক্রমা, স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির, চারাগাছ বিতরণ ও নারায়ণ সেবা সহ বিভিন্ন কর্মসূচির  আয়োজন  করা হয়৷ এই অনুষ্ঠানে ১০১টি চারাগাছ বিতরণ করা হয়,২০ জন  স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন৷ এছাড়া  নারায়ণ সেবারও করা হয়৷

এই স্বেচ্ছায় রক্তদান ও চারাগাছ বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে সহযোগিতা করেন প্রগতি রায়পুর  সমাজ কল্যাণ সমিতির  সদস্যবৃন্দ৷

স্নিগ্ধতা আনা ও বুদ্ধিবৃত্তির সহায়ক তেঁতুল

নোতুন তেঁতুলের চেয়ে পুরণো তেঁতুলের গুণ অনেক বেশী৷ যে সকল গ্রীষ্মপ্রধান দেশে গ্রীষ্মকালে শরীর শুকিয়ে যায় সে সকল দেশে তেঁতুলের ব্যবহার বিশেষ মূল্যবহ৷ শুকনো দেশে বা টানের সময় তেঁতুল না খেলে শরীর দুর্বল হতে পারে৷ পোস্ত, ক্ষিরি কলায়ের ডাল ও তেঁতুল বিশুষ্ক্তা রোগের প্রতিষেধক৷ অতি গরমে নাক দিয়ে রক্ত পড়লে এই খাদ্যগুলি রোগ নিরাময় করে থাকে৷

তেঁতুল একটি সাত্ত্বিক ফল৷ মস্তিষ্ক্ রচনায় এর যথেষ্ট ভূমিকা আছে৷

নারীর প্রতি অবিচার ঃ ভাষা ব্যবহারে

এই দশ লাখ বৎসরের মানুষের ইতিহাসে মানুষের প্রতি সুবিচার করা হয়নি৷ মানুষের একটি শ্রেণী, একটি বর্গের প্রতি বেশী বাড়াবাড়ি করা হয়েছে, বেশী আদিখ্যেতা করা হয়েছে, ও তা, করতে গিয়ে অন্যকে তাচ্ছিল্য করা হয়েছে৷ একজন মানুষ লড়াই করল, মরল, আত্মদান দিল, কাগজে বড় করে তা ছেপে দেওয়া হ’ল, আর সে মরে যাওয়ার পর ছোট ছোট ছেলেমেয়েগুলিকে নিয়ে তার বিধবা স্ত্রীকে কী ধরণের অসুবিধায় পড়তে হ’ল সেকথা খবরের কাগজে বড় করে ছাপানো হ’ল না অর্থাৎ একতরফা বিচার করে আসা হয়েছে৷ যদিও ব্যাকরণগত ব্যাপার, আর হঠাৎ বদলানো যায় না, তবু ‘ম্যান’ ‘প্প্ত্রু’ এই কমন জেণ্ডারের মধ্যে ‘ম্যান’, আর ‘ওম্যান’(woman) দুই–ই এসে যায়৷ অথচ ‘ওম্যান’ এই কমন জেন

থেকো আমার মনে

বিভাংশু মাইতি

প্রভু থেকো আমার মনে

ভোরের বেলায় শিউলি তলায়

দিনে বেণুবনে৷

পড়াশুণার ধারাপাতে

তারায় ভরা নীরব রাতে

সকল কাজে সবার মাঝে

সদাই সবখানে

তুমি থেকো আমার মনে

প্রভু থেকো আমার মনে৷

 

তুমি চাইলে সবই হয়

অন্ধজনও দেখতে পায়

মূকও কথা কয়

তুমি চাইলে সবই হয়৷

 

তুমি চাইলে সবই হয়

পাথরেও ফুল ফোটে গো

উজানে নদী বয়৷

 

তুমি চাইলে সবই হয়

তোমার কৃপায় অনায়াসে

করব তোমায় জয়

তুমি চাইলে সবই হয়৷