November 2020

বিশ্ব বিজ্ঞানে সেরা দুই শতাংশে দুই জন বাঙালী

আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বসেরা দুই শতাংশ  বিজ্ঞানীর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে৷ ওই তালিকায় বাঙলার  দুইজন বিজ্ঞানী রয়েছেন৷ সম্পর্কে স্বামী স্ত্রী ওই দুই বিজ্ঞানী হলেন সঙ্ঘমিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায় ও উজ্জ্বল মৌলিক৷ তাঁদের  গবেষণার বিষয়বস্তু ছিল ‘‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এ্যান্ড ইমেজ প্রসেসিং’’৷ সঙ্ঘমিত্রা ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের অধিকর্ত্রী৷

উপেক্ষিত বাঙলা!

প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে শুরু করে বঙ্গীয় বিজেপি নেতারা সোনার বাঙলা গড়তে তৎপর  হয়ে উঠেছেন৷ ভোট সামনে এলেই দিল্লীর নেতামন্ত্রীদের বাঙলা প্রেম উৎলে ওঠে৷ কিন্তু বাস্তব চিত্র অন্য কথা বলে৷

নূ্যনতম আয় নয়-ক্রয়ক্ষমতা দিতে হবে - আর্থিক পরিকাঠামোয় আমূল পরিবর্তন চাই

করোনার কোপ, অর্থনীতির বেহাল দশায় দিন আনা, দিন খাওয়া মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত৷ আর্থিক দুর্দশা সাধারণ মানুষের  জীবনকে দুর্বিসহ করে তুলেছে৷ নোটবন্দি, অপরিকল্পিত জি.এস.টি ও  সরকারের পুঁজিপতি তোষণের ফলে আর্থিক দুর্দশা করোনার অনেক আগেই শুরু হয়েছে৷ গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মত করোনা এসে  লক্ডাউন ও কোটি  কোটি মানুষের  কাজ  হারানোয় সেই দুর্দশা শত গুণ বাড়িয়েছে৷ মানুষের রোজগার নেই অথচ  নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম দিন দিন  অগ্ণিমূল্য হয়ে যাচ্ছে৷

কাঞ্চন পুরে আক্রান্ত  বাঙালী

আগরতলা ঃ গত ১৭ই নভেম্বর ত্রিপুরার কাঞ্চনপুরে বহিরাগত রিয়াং উগ্রপন্থিদের হাতে আক্রান্ত হয় কয়েকটি বাঙালী পরিবার৷ ঘটনাটি ঘটেছে কাঞ্চনপুর ব্লকের লক্ষ্মীপুর গ্রামে৷ পার্শ্ববর্তী রাজ্য থেকে শরণার্থী সেজে বেশ কিছু রিয়াং উগ্রপন্থী ত্রিপুরা রাজ্যে বিশেষ করে উত্তর ত্রিপুরায় আশ্রয় নিয়েছে৷ তারা বাঙালীদের ওপর নানাভাবে নির্যাতন করছে৷ এর আগেও বহু ঘরবাড়ী লুট করেছে, বাঙালীদের উৎখাত করেছে৷ ত্রিপুরা সরকার আশ্চর্যজনকভাবে নীরব ভূমিকা নিয়েছে৷ বাঙালী ছাত্র-যুব সমাজের পক্ষ থেকে  অভিযোগ করা হয় বাঙালী বিদ্বেষী বিজেপি সরকারের এই নীরবতাই  রিয়াং উগ্রপন্থীদের প্রতি সমর্থন৷ সুবল দত্ত নামে এক যুবক রিয়াং উগ্রপন্থীদের আক্রম

বাঙালী ছাত্র-যুবসমাজের বিক্ষোভ

১৮ই নভেম্বর বাঙালী ছাত্র-যুব সমাজের পক্ষ থেকে রিয়াং উগ্রপন্থিদের হাতে আক্রান্ত সুবল দের সু-চিকিৎসার দাবীতে আগরতলা জিবি হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়৷ বাঙালী ছাত্রযুবসমাজের রাজ্যসচিব কল্যাণ পাল বলেন---কাঞ্চনপুর এলাকায় বার বার বাঙালীরা আক্রান্ত হচ্ছে৷ সরকার নীরব দর্শক৷ এমন কি আক্রান্ত সুবল দের চিকিৎসার সুব্যবস্থাও সরকার করেনি৷ সুবল দে বর্তমানে জি.বি.

আনন্দমার্গে যোগতন্ত্র মনুষ্যত্ব বিকাশের সাধনা

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

তন্ত্র কী? এ নিয়ে নানান্ জনের নানান্ প্রশ্ণ৷ এই সমস্ত প্রশ্ণের নিরসনের জন্যে এই  প্রবন্ধের অবতারণা৷

ইষ্টমন্ত্র

হনুমান ছিল খুব বড় ভক্ত৷ একবার হনুমানকে লোকে জিজ্ঞেস করল, দেখ হনুমান, তুমি তো শুধু ‘রাম–রাম’ করতে থাক– কিন্তু ‘রাম’ আর ‘নারায়ণ’ দু’য়ের মানেই তো বিষ্ণু– দুই–ই এক জিনিস, তা সত্ত্বেও ভুলেও তোমার মুখে ‘নারায়ণ’ নাম একবারও শোণা যায় না৷ শুধু ‘রাম’ই শোণা যায়৷ হনুমান বলল, ‘দেখ ভাই, একথা আমিও জানি যে ‘রাম’ আর ‘নারায়ণ’ দুই–ই এক৷’ যেমন ধর, তোমার নাম ‘কমলা দেবী’, কিন্তু ছোট ছোট শিশুরা তো তোমাকে ‘কমলা দেবী’ বলে ডাকবে না৷ কেউ ‘মা’ বলবে, কেউ ‘দিদি’ বলবে, আবার কেউ অন্য কিছু বলবে৷ তাই তোমারও তো অনেক নাম হয়ে গেল৷ ঠিক তেমনি একই পরমাত্মার কখনও ‘রাম’, কখনও ‘নারায়ণ’, এমন অনেক নাম হয়ে গেছে৷ তোমার নাম মনে কর নিরঞ্জন

আজকের বিভিন্ন সমস্যাসমূহ ও তাদের সমাধান

বস্তুতঃ উন্নত ধরণের বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করার অর্থই দ্রুত যান্ত্রিকীকরণ৷ প্রাচীনপন্থীরা এই যাত্রিকীকরণ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে মুখর৷ মোদ্দা কথাটা এই যে পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক কাঠামোয় যাত্রিকীকরণের অর্থ-ই জনসাধারণের অধিকতর দুঃখ---অধিকতর বেকারী৷ এজন্যেই প্রাচীনপন্থীরা এর বিরোধী৷ পুঁজিবাদকে না হটিয়ে জনকল্যাণ করতে গেলে যান্ত্রিকীকরণের বিরোধিতা করতেই হবে৷ কারণ যন্ত্রের উৎপাদিকা শক্তি দ্বিগুণ বেড়ে গেলে মনুষ্য শক্তির প্রয়োজন ঠিক অর্ধেকে নেবে যায়, আর তাই পুঁজিবাদীরা তখন াপকভাবে কারখানায় শ্রমিক ছাঁটাই করে৷ অল্পসংখ্যক আশাবাদী লতে পারেন, ‘‘অবস্থার চাপে পড়ে মানুষ এই উদ্বৃত্ত শ্রমিক দলকে ভিন্ন কাজে নিয়ো

শোষণমুক্ত সমাজ গড়তে প্রাউটের আহ্বান

প্রভাত খাঁ

মানুষ নিছক উদর সর্বস্ব জীব বিশেষ নয়৷ মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠতম প্রাণী৷ কারণ একমাত্র মানুষই পারে এই বিশ্বের সৃষ্টি রহস্য জানতে৷ তার সূক্ষ্মতম মানসিক বিকাশের মাধ্যমে৷ অন্য কোন প্রাণীর সেই সামর্থ নেই৷ তবে সঞ্চর ও প্রতিসঞ্চর ধারার মাধ্যমে যে সৃষ্টি প্রবাহ চলে তার প্রথম ও শেষ কথা হ’ল--- আমরা যথা হতে আসি তথায় ফিরিয়া যাই৷ সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্মতম সত্তা থেকে সঞ্চর ধারার স্থূল থেকে স্থূলতম সত্তায় রূপান্তরিত হয়ে সৃষ্টি চলেছে৷ সেই এক কোষি প্রাণী থেকে আরম্ভ করে এর অগ্রগতি, তাই জীবজন্তু, গাছপালা থেকে আরম্ভ করে ধীরে ধীরে এই মানুষের সৃষ্টি৷ মানুষ মন প্রধান জীব হিসেবে নিজেকে জানতে চায়৷ আর সেই জানার আকাঙ্খাতে সেই

গণতন্ত্রের করুণ দশাটা জনগণ যতো তাড়াতাড়ি উপলদ্ধি করবেন ততই মঙ্গল

মুশাফির

গণতন্ত্রে নাগরিকগণ যাতে শান্তিতে নির্বাচনকালে নিজনিজ মতামত দান করতে পারেন সেদিকে কেন্দ্র ও রাজ্য শাসকগুলির যেমন দেখা দরকার৷ আর নির্বাচন কমিশনকে  অবশ্যই  দেখতে হবে যাতে নির্বাচন শান্তিতে ও সুষ্টুভাবেই হয়৷ কিন্তু ভারতের মতো দেশে সেই প্রথম থেকেই দেখা যায় নির্বাচনটা যেন এক রাজনৈতিক দলের কে জিতবে তারই এক কদর্য লড়াই৷ এতে আবার বিশেষ বিশেষ রাজ্যে রক্তারক্তি প্রাণহাণীও ঘটে৷