November 2020

ওগো অন্তর্যামী

সুকুমার সরকার

কত জনমের পর জনম এলো

অজানা অতীতে রেখে মন্দ ভালো৷

অনন্তকালের রাজাধিরাজ তুমি

নিত্যকালের সাথী অন্তরযামী৷

কোন পূণ্যবলে পাঠালে মোরে

অতিথিবেশে মানবের ঘরে৷

জানিনা তোমার অনন্তলীলা ভুবনে

অন্তরমম প্রীতিতে ভরা তোমার সণে৷

 

তুমি ছিলে কোন সুদূর ভুবনে

দয়াল ঠিকানা তোমার জানিনে৷

প্রভাতের তারায় এলে ধরায়

উদ্ধারীতে জীবে অমৃত ধারায়৷

অতীত আঁধারের কত মর্মবেদনা

ভুলে গেছে সে অতুষ্ট ভাবনা৷

পেয়ে আজ সত্যের জীবনধারা

আনন্দস্রোতে বিভোর এ বসুন্ধরা৷

দীপান্বিতার গান

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

দীপ জেলে নাও নীড়ে নীড়ে

দূর করে দাও অন্ধকার তামসীরে৷

জাগাও যত নিদ্রিতরে

আনো সবার হাতটি ধরে

আলোয় আলোয় সাজাও আজি ধরণীরে৷

দীপ জ্বেলে নাও, দীপ জ্বেলে দাও নীড়ে নীড়ে৷৷

 

তন্দ্রা ভুলে বিদায় করো এ রাতেরে,

বরণ করো সুপ্তিহরা প্রভাতেরে৷

ঘুচবে ব্যথা, ফুটবে আশা

ধন্য হবে হেথায় আসা---

ছায়ার জালি আপনা হতে যাবে ছিঁড়ে৷

দীপ জেলে নাও, দীপ জ্বেলে দাও নীড়ে নীড়ে৷৷

 

সারগাসো সমুদ্র তৈরী হবার কারণ

সেকালের বড় বড় জানোয়াররা অথর্ব হয়ে যেত তারা তখন একটি নির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে ভূমিশয্যা গ্রহণ করত ও কয়েকদিন পরে স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করত৷ কোন কোন পণ্ডিতের মতে ওইসকল স্থানে মৃত পশুর অস্থি ও বসা জমে যেত৷ স্থানটি সমুদ্রের নিকটবর্তী ত্রিজলা এলাকা হলে সমুদ্রগর্ভে বা হৎ হ্রদগর্ভস্থ স্থানে যে জলপাক বা কুম্ভীপাক বা দহ সৃষ্টি হত শেষ পর্যন্ত তাদের দেহাবশেষ ওই দহে ঘুরপাক খেতে খেতে ভাসা দ্বীপে  বা সারগাসো সী-তে (সরসাগর) পরিণত হত৷ এই সারগাসো সী বা সর-সাগরের উপরিস্থিত মাটি জলের বেশ গভীরেও যেত৷ অতীতে প্রাণীদেহ থেকে যেখানে সারগাসো সী তৈরী হত, বেশ কিছু পণ্ডিতের  মতে আজ আমরা সেখানেই ভূ-গর্ভ থেকে তেল  পাচ্ছি৷

শ্যামাপাখী

বাঙলা তথা পূর্ব ভারতের একটি ক্ষুদ্রাকার পাখী হচ্ছে শ্যামা৷ ছোট  এই পাখিটি দেখতে তেমন সুন্দর না হলেও এর কন্ঠস্বর আকর্ষক৷ এই পাখীটিরও নাম কালিকা৷ সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের কবিতায় আছে---

‘‘কোথায় ডাকে দোয়েল শ্যামা

ফিঙে গাছে গাছে নাচে রে,

কোথায় জলে মরাল চলে

মরালী তার পিছে পিছে৷৷’’

(শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের রচিত আমাদের প্রতিবেশী পশু ও পক্ষী গ্রন্থ থেকে সংগৃহীত)

ভাঙে তো মচকায় না

সেই যে গল্প আছে না, একজন বাঙলাভাষী জমিদারের সখ হয়েছিল ঊর্দুভাষী  সাজবার৷ থাকতেন তিনি গ্রামে৷ গ্রামের লোককে তিনি বোঝাবার চেষ্টা করতেন যে তাঁর পূর্বপুরুষেরা আসলে উর্দুভাষী ছিলেন৷ বাঙলায় আসার পরে ভাষাতে কিছুটা বাংলা প্রভাব পড়ে গেছে, আসলে তাঁরা উর্দুভাষীই৷

পুঁজিপতি  চুক্তির  ফাঁদে  লাল - হলুদ  শিবির

সকলের প্রিয় ও সমর্থকদের হৃদয়ের একমাত্র স্পন্দন  লাল-হলুদ শিবির আজ বড় বিপদের মুখে, জানা যাচ্ছে লাল হলুদ ক্লাবটি বিক্রির সামনে দাঁড়িয়ে আছে৷ ক্লাবকে বাঁচাতে গিয়ে একোন বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছেন ক্লাব কর্তৃপক্ষরা৷  ক্লাবকে অর্থনৈতিক ভাবে সবল করার জন্য তারা যে ক্লাবকে বিক্রির পথে ঠেলে দিয়েছেন সেটা তারা বুঝতে পারছেন না৷ ক্লাবে ইনভেসটারের অভাব দেখা দিয়েছিল তার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর তাঁদের ইনভেসটার জোগাড় করতে  সাহায্য করেছিলেন৷ কিন্তু এখন যে দিকে মোড় নিচ্ছে যদি ইষ্টবেঙ্গল শ্রী সিমেন্ট লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলে চূড়ান্ত বিপদের মুখে পড়বে৷ চুক্তির জাঁতাকলে ক্লাবটির ভবিষ্যৎ আঁধারের দিকে ধেয়ে যাব

আগামী মরসুমে বার্সেলোনা ছাড়বে মেসি

এই মরসুমে ১০টি ম্যাচে বার্সেলোনার হয়ে ছ’টি  গোল করেছেন মেসি৷ সতীর্থদের দিয়ে চারটি গোল করিয়েছেন তিনি৷  আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির  বয়স এখন ৩৩৷ ক্লাবের সঙ্গে এখনও চুক্তি নবীকরণ করেননি৷ পরের বছরের জুনে  চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে৷ নিশ্চিত ভাবে ক্যাম্প ন্যু’র পরিচালন গোষ্ঠী চাইবে মেসি  তাঁদের  ক্লাব  থেকেই অবসর নিন৷ কিন্তু তাঁর ক্লাবে থাকাটা সত্যিই অনিশ্চিত৷ ফিগো মনে করেন, মেসি যে ভাবে ক্লাব ছাড়তে চেয়েছিলেন, তাতে পরের মরসুমে কিছুতেই বার্সেলোনায় থাকছেন না মেসি৷

আগামী টেস্টসিরিজে খেলতে পারবেন ঋদ্ধিমান সাহা

এ বছরে আই.পি.এলের মরসুমে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ম্যাচে হ্যামস্ট্রিংয়ে দারুণ চোট পান ঋদ্ধিমান সাহা৷  কিন্তু এবারের আই.পি.এলে তিনি তার খেলার প্রতিভাকে সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ করে সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দিয়েছিলেন৷ মূলতঃ  তিনি এমন খেলেছেন তার জন্য কলকাতার মত দলকে ফিরে আসতে হয়েছিল৷ কিন্তু চোটের কারণে তিনি বাকী ম্যাচ আর খেলতে পারেন নি৷ এবার তাকে ডিসেম্বর মাসে আয়োজিত অস্ট্রেলিয়ার সফরে নিয়ে যাওয়া হবে কি না তা নিয়ে খুবই সংষয় ছিল বোর্ডের, কারণ ডাক্তার তাকে একমাস সময়ে দিয়েছিল সুস্থ হওয়ার জন্য৷  তাছাড়া ঋদ্ধি এখন ভারতীয় দলের টেস্ট ম্যাচের জন্য এক নম্বর কিপার৷ তাই চোট পাওয়া সত্ত্বেও ঋদ্ধিকে অস্ট্রেলিয়

আনন্দমার্গ দর্শন প্রসঙ্গে অন.লাইন আলোচনা

গত ১৭, ১৮ই নভেম্বর দুইদিন ব্যাপী এক আলোচনা চক্র অনুষ্ঠিত হয় আনন্দমার্গ দর্শনের ওপর৷ আলোচনার বিষয় বস্তু  ছিল--- দর্শন, বিজ্ঞান, নব্যমানবতাবাদ, অর্থনীতি ও নব্যমানবতাবাদ শিক্ষায় শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর অবদান৷

অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেন যৌথভাবে রেণেসাঁ ইয়ূনিবার্সল ও পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের  দর্শন বিভাগ৷ অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন ১৭ই নভেম্বর অরুণাচল প্রদেশের রাজীব গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য৷ স্বাগত ভাষণ দেন পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ডঃ শিবাণী শর্মা৷