দধীচি স্মরণে
প্রতিবছর ৫ই মার্চ সারা বিশ্বের আনন্দমার্গীরা দধীচি দিবস পালন করে৷ ১৯৬৭ সালে ৫ই মার্চ অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে আপোষহীন সংগ্রামের অনন্য দৃষ্টান্ত রেখে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন আনন্দমার্গের পাঁচজন সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী ও কর্মী৷
প্রতিবছর ৫ই মার্চ সারা বিশ্বের আনন্দমার্গীরা দধীচি দিবস পালন করে৷ ১৯৬৭ সালে ৫ই মার্চ অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে আপোষহীন সংগ্রামের অনন্য দৃষ্টান্ত রেখে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন আনন্দমার্গের পাঁচজন সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী ও কর্মী৷
আমরা বাঙালী কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্রী জয়ন্ত দাশ এক সাক্ষাৎকারে বলেন বিজেপির বহিরাগত পরিযায়ী নেতারা বাঙলায় এসে সোনার বাঙলার স্বপ্ণ দেখাচ্ছেন৷ প্রধানমন্ত্রী প্রতিদিন আত্মনির্ভরতার বুলি প্রচার করছেন৷ তবে এসব দিল্লীকা লাড্ডুতে বাঙালী বিশ্বাস করে না৷ যারা বিশ বছরে গুজরাট সোনার করতে পারল না তারা আবার সোনার বাঙলা গড়বে! তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী আত্মনির্ভরতার অর্থ কি বোঝেন৷ উনি পঙ্গুকে পায়ে হেঁটে পর্বত অতিক্রমের উপদেশ দিচ্ছেন৷ উনি দেশের রুগ্ণ অর্থনীতিকে সাত বছরে পঙ্গু করে দিয়েছেন৷ গোটা দেশটাই ধনকুবেরদের কাছে বেচে দেবার মতলব করেছেন৷ আর জনগণকে আত্মনির্ভরতার ধোঁকা দিচ্ছেন৷
গত ২রা মার্চ দিল্লীর গাজীপুর সীমান্তে কর্ষক আন্দোলনের মঞ্চে উপস্থিত হলেন ‘আমরা বাঙালী’ নেতৃবৃন্দ৷ ছিলেন কেন্দ্রীয় সচিব বকুলচন্দ্র রায়, অসম রাজ্য সচিব সাধন পুরকায়স্থ, শুভেন্দু ঘোষ ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আলি রেজা ওসমানী৷ কর্ষক আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে কেন্দ্রীয় সচিব বকুলচন্দ্র রায় বলেন কর্ষক বিরোধী কালাকানুনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে ‘আমরা বাঙালী’র পূর্ণ সমর্থন আছে৷
শ্রী রায় বলেন--- যতক্ষণ কালাকানুন থাকবে ততক্ষণ এই আন্দোলন চলবে৷ কর্ষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে৷ আর দেশকে বাঁচাতে হলে সরকারকে স্বৈরাচারী মনোভাব ত্যাগ করে কর্ষকদের কাছে মাথা নত করতে হবে৷
গত ২রা মার্চ পশ্চিমবঙ্গের মালদহে গাজলে এক জনসভায় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন উত্তর প্রদেশে গুন্ডারা গলিতেও ঘুরতে পারে না৷ গাজলের জনসভায় পশ্চিমবঙ্গের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে যখন তুলোধনা করছেন যোগী আদিত্যনাথ তখন যোগীরাজ্য উত্তাল এক নির্যাতিতার বাবাকে খুনের ঘটনায়৷ ঘটনার স্থল সেই হাথরস, যেখানে পুলিশ ধর্ষনের প্রমাণ লোপাট করতে ধর্ষিতাকে রাতের অন্ধকার পুড়িয়ে দিয়েছিল৷ বিজেপির পরিযায়ী নেতারা যে বাঙলায় এসে ঝুরি ঝুরি মিথ্যা বলে যান সম্প্রতি জাতীয় অপরাধ নথিভুক্তকরণ ব্যুরোর প্রকাশিত তথ্যেই প্রমাণ হয়৷
১৯৪৭সালে ভারত স্বাধীনতা লাভ করেতবে দেশ দু’ভাগ হয়ে’৷ স্বাধীনতা লাভের আগে থেকেই সংবিধান রচনা শুরু হয়৷ ১৯৪৬ সালে গণপরিষদ নামে সংস্থার ওপর ভারতের সংবিধান রচনার দায়িত্ব ন্যস্ত করা হয়৷ গণপরিষদে ৩৮৯ জন সদস্য ছিল যার মধ্যে ২৯২ জন নির্বাচিত হয় বিভিন্ন প্রাদেশিক আইনসভাগুলির সদস্য দ্বারা আর বাকী ৯৭ জন সদস্য মনোনয়নের ভিত্তিতে দেশীয় রাজ্যগুলি থেকে প্রেরিত হয়৷ ভারতীয় গণপরিষদ সার্বভৌম পরিষদে পরিণত হয়৷ গণপরিষদের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন পণ্ডিত জহরললাল নেহেরু, ডাঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ, মৌলানা আজাদ, ডাঃ রাধাকৃষ্ণন, আইয়ার, আয়েঙ্গার, কৃষ্ণমাচারী, ডাঃ আম্বেদর প্রভৃতি সমসাময়িক ভারতের স্বনামধন্য ব্যক্তিগণ প্রায় তিনবছর ধ
যেসব দেশ অত্যন্ত ঠাণ্ডা সেই দেশগুলোতেই বসন্ত ঋতুর আবির্ভাব ভাল ভাবে ৰোঝা যায় ও লোকে বসন্ত ঋতুকে ভাল ভাবে খুশী মনে গ্রহণ করে৷ কিন্তু যেসব দেশে শীত প্রচণ্ড নয় সেইসব দেশে শরতেরই কদর বেশী৷ এই ৰাঙলাতেও জ্যোতিষিক মতে যাই হোক না কেন, ছ’টা ঋতুই আছে বটে কিন্তু আসলে তিনটে ঋতু–গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শরৎ৷ শীত তো নামে মাত্র৷ গরম জামা বার করতে না করতেই আবার বাক্সে ভরতে হয়৷ সেই জন্যে এখানে শরৎকালের কদর সবচেয়ে বেশী৷ প্রধান ফসলটাও কেমন হবে শরতেই তার আন্দাজ পাওয়া যায়৷ বাকী বছরটা কেমন যাবে শরতেই তার আন্দাজ পাওয়া যায়৷ আকাশে শাদা মেঘ আর ধরিত্রীর কুশ–কাশ–শেফালী নূতন এক আমেজ এনে দেয়৷ তাই কেবল যে ভারতবর্ষের সংস্কৃত গ্
প্রাচীন পৃথিবীতে রাষ্ট্রিক ও বৈবসায়িক লেনদেনে প্রচলিত ছিল স্বর্ণমান৷ পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই বিত্তমান (bullion) ছিল স্বর্ণের৷ তবে কোন কোন দেশে রৌপ্যও ছিল৷ যে সকল দেশে স্বর্ণমান ছিল তারা কেউ কেউ রৌপ্য বিত্তমানকে স্বীকৃতি দিত, কেউ বা দিত না৷ স্বর্ণমানের দেশ রৌপ্য–মানকে স্বীকৃতি না দিলে বিত্তমানগত তারতম্যের দরুণ মুদ্রাগত লেনদেন সম্ভব ছিল না৷ তাই সেই সকল দেশের মধ্যে বিনিময় বাণিজ্য (barter trade) চলত৷
‘‘কুরঙ্গ বদলে লবঙ্গ নিব, কুমকুম বদলে চুয়া,
গাছফল বদলে জাইফল পাব, বহেড়ার বদলে গুবা৷’’
যাঁরা মানবতার জন্যে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করেছেন, তাঁরা হলেন দধীচি৷ বাংলা ভাষায় যে শহীদ শব্দটি ব্যবহার করা হয় এর উৎস সন্ধান করলে আমরা দেখবো, মধ্যযুগে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে অন্য ধর্মাবলম্বীদের লড়াইয়ে যে সমস্ত মুসলিম মৃত্যু বরণ করতেন তাঁদের আরবী ভাষায় বলা হতো শহীদ৷ আর এই যুদ্ধের পরে যাঁরা জয়ী হয়ে ফিরে আসতেন তাঁদের বলা হতো গাজী৷ তেমনি খ্রীষ্ট ধর্মের হয়ে লড়াইতে যাঁরা প্রাণ বিসর্জন করতেন তাঁদের বলা হতো মার্ট্যার (Martyr)৷ শহীদ ওMartyr শব্দ দুটির সঙ্গে তাই বিশেষ বিশেষ রিলিজিয়ন বা মতবাদের স্বার্থে লড়াইয়ের সম্পর্ক জড়িত৷ যদিও বর্তমানে এই দুটি শব্দ ব্যাপক অর্থে প্রযুক্ত হয়৷
বিভিন্ন মতাদর্শ যেগুলিকে আশ্রয় করে বিভিন্ন দল তৈরী হয় সেগুলির যাঁরা প্রথম দিকে অত্যন্ত নিষ্ঠা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে ঘটন করেন তাঁরা সেগুলিকে তাঁদের জীবনে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ধরে থাকেন কিন্তু দেখা যায় তাঁদের গত হওয়ার পর যাঁরা তাতে যোগদান করেন পরবর্ত্তীকালে তাঁদের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন মত পার্থক্যের দরুণ সেই দলে ভাঙ্গন ঘটে৷ তার ফলে মূল দল ভেঙ্গে দলছুট দল ঘটন হয়৷ কিন্তু সেই দলছুট দলের যিনি প্রধান সেই ব্যষ্টির প্রাধান্যটাই সেই দলকে বাঁচিয়ে রাখে সেখানে মতাদর্শটা গৌণ হয়ে যায়৷ এটাই দলছুট দলগুলোর একটি প্রধান ত্রুটি৷ তাই দেখা যায় দলছুট দলগুলি বেশী দিন বিশেষ ব্যষ্টি কেন্দ্রীক দল হয়ে বাঁচতে পারে না৷ তাঁদের
বিজেপি সরকার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (ক্যা) নামে বাঙালী জাতিকে নিয়ে নাগরিকত্ত্ব নির্ধারণের টেষ্টটিউবে ভরে গিনিপিগের মতো ব্যবহার করছে৷ ভারত ভূমি থেকে বিতাড়িত করতে ষড়যন্ত্র করে চলেছে৷