বিপন্ন গণতন্ত্র
মোদী জমানায় কি ভারতের গণতন্ত্র বিপন্ন!
মোদী জমানায় কি ভারতের গণতন্ত্র বিপন্ন!
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় মোট ৪১জন ‘আমরা বাঙালী’ প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন৷ আমরা বাঙালী দলের কেন্দ্রীয় সচিব শ্রী বকুলচন্দ্র রায় এই খবর দেন৷ তিনি বলেন আমরা বাঙালীর লক্ষ্য উদ্দেশ্য সম্বন্ধে মানুষকে সচেতন করতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে ‘আমরা বাঙালী’৷ অনেকেই অনেক রকম পরিবর্তনের কথা বলছে৷ কিন্তু ক্ষমতার হাত বদল হলেই পরিবর্তন নয়৷ প্রকৃত পরিবর্তন আনতে হলে সামাজিক অর্থনৈতিক সংরচনার খোলনলচে পালটাতে হবে৷
বিশিষ্ট প্রাউট তাত্ত্বিক শ্রী প্রভাত খাঁ বলেন বর্তমান সমাজ সার্বিক সংকটে দিশাহীন হয়ে পড়েছে৷ নেতৃত্বের সংকট,অর্থনীতির দেউলিয়া অবস্থা, শিক্ষা, শিল্প, সাহিত্য সংসৃকতির ক্ষেত্রে অশ্লীলতার স্রোত মানুষকে বিপথে ঠেলে দিচ্ছে৷ অপরাধের পথে যেতে বাধ্য করছে৷ পুঁজিবাদী শোষণের চরম অবস্থায় পৌঁচেছে দেশ৷ ভয়ঙ্কর করোনা সংক্রমণের মধ্যেও নির্বাচনী প্রচার চলছে অবাধে৷ আকন্ঠ দুর্নীতিতে ডুবে থাকা প্রতিটি দলের নেতারা পরস্পরের প্রতি অশালীন ভাষায় সমালোচনা ছাড়া যুব সমাজকে সৎপথে চলার প্রেরণা দেওয়ার কোন বার্র্ত নেই৷ বরং নেতা মন্ত্রীদের কথায় বিপরীত পথে চলার উস্কানি আছে৷ এই পরিস্থিতিতে আসল নকল কোন পরিবর্তনই মানুষের কল্যাণ ক
বর্তমান সামাজিক অর্থনৈতিক দুরাবস্থা ও মারণ বাইরাসের সংক্রমণ থেকে সমাজকে ও মানবজাতিকে উদ্ধার করা ও মানব জীবনের পরমলক্ষ্যের পাণে এগিয়ে চলার সুনির্দিষ্ট ও সুস্পষ্ট পথ নির্দেশনা আছে আনন্দমার্গের আদর্শ ও জীবন ধারায়৷ ২০২১ সালে বৈশাখী পূর্ণিমা শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী শতবর্ষে পদার্পণ করবেন৷ সেই উপলক্ষ্যে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের পক্ষ থেকে মানব সমাজের সার্বিক কল্যাণের দিকে লক্ষ্যরেখে মার্গের আদর্শ ও জীবন ধারার ব্যাপক প্রচার ও প্রসারের কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে৷ গত ১১ই এপ্রিল পূর্বমেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়ায় আনন্দমার্গের নারী কল্যাণ দপ্তরের পরিচালিত আনন্দমার্গের প্রাইমারী সুকলের পক্ষ থেকে শোভাযাত্রা, কীর
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে মূলসত্তা একটিই, তা হচ্ছে চিতিশক্তি৷ এই চিতিশক্তি চৈতন্যসত্তা আবার শক্তিসত্তাও বটে– এইভাবে চিতিশক্তি দুইয়েরই কাজ করে৷ এইজন্যেই একে চিতিশক্তি বলা হয়৷ বস্তু নয় কিন্তু বস্তুকে যে রূপ প্রদান করে তাই শক্তি বা প্রকৃতি৷ এই প্রকৃতিই বস্তুতে রূপ প্রদান করে প্রকারভেদ সৃষ্টি করে৷
বস্তুতঃ উন্নত ধরণের বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করার অর্থই দ্রুত যান্ত্রিকীকরণ৷ প্রাচীনপন্থীরা এই যাত্রিকীকরণ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে মুখর৷ মোদ্দা কথাটা এই যে পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক কাঠামোয় যাত্রিকীকরণের অর্থ-ই জনসাধারণের অধিকতর দুঃখ---অধিকতর বেকারী৷ এজন্যেই প্রাচীনপন্থীরা এর বিরোধী৷ পুঁজিবাদকে না হটিয়ে জনকল্যাণ করতে গেলে যান্ত্রিকীকরণের বিরোধিতা করতেই হবে৷ কারণ যন্ত্রের উৎপাদিকা শক্তি দ্বিগুণ বেড় গেলে মনুষ্য শক্তির প্রয়োজন ঠিক অর্ধেকে নেবে যায়, আর তাই পুঁজিবাদীরা তখন বাপকভাবে কারখানায় শ্রমিক ছাঁটাই করে৷ অল্পসংখ্যক আশাবাদী লতে পারেন, ‘‘অবস্থার চাপে পড়ে মানুষ এই উদ্বৃত্ত শ্রমিক দলকে ভিন্ন কাজে নিয়ো
বর্তমানে দেশজুড়ে চুরি–ছিনতাই, সমাজের ওপরের স্তর থেকে নীচু স্তর পর্যন্ত দুর্নীতি, প্রতারণা, ব্যভিচার – সর্বত্র এই যে অপরাধ প্রবণতা তা শান্তিপ্রিয় সমাজ হিতৈষী মানুষের চরম দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ কীভাবে সমাজের মানুষের এই অপরাধ প্রবণতা রোধ করা যায় এ নিয়ে অনেকে অনেক গবেষণা করছেন – কিন্তু কোনো কিছু স্থির করতে পারছেন না৷ অনেকে জিজ্ঞেস করছেন – এ ব্যাপারে আমাদের বক্তব্য কী? সেই উত্তর দিতেই এবারের সম্পাদকীয়ের অবতারণা৷
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মোদীজী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সকল ছোট বড় নেতা মন্ত্রী সান্ত্রীরা বাঙলার নির্বাচনে বলে বেড়াচ্ছেন বাঙলা জয় করলে আগামীতে সোনার বাঙলা গড়বেন৷ বাঙলাতো বরাবর ধন ধান্যে,বিদ্যা বুদ্ধিতে, জ্ঞানে বিজ্ঞানে, বৈদগ্দে মনিষায়,শৌর্যেবীর্যে বরাবর সোনার বাঙলাই ছিলো৷ অতীতের ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের শোষণে বর্তমানে হিন্দি সাম্রাজ্যবাদের রাজনৈতিক চক্রান্তে বাঙলা ও বাঙালীর বর্তমান করুনদশা হয়েছে৷ এরা বলছে কিনা বাঙলাকে সোনার বাঙলা বানাবে৷
পশ্চিম বাঙলায় রাজ্যস্তরে ২১-এর যে নির্বাচন হচ্ছে সেটিকে প্রথম থেকেই লক্ষ্য করছি একটা অতি বিসদৃশ ঘটনা৷ সেটি হলো এই রাজ্যে যে নির্বাচন হচ্ছে সেটা যেন মমতার তৃণমূল দলের সরকার আর বিজেপি--- যে দলটা গড়ে উঠেছে প্রথম থেকে দলছুট নেতাদের নিয়ে তৃণমূলের সদস্যগণই এখানে জড়ো হয়ে সরাসরি নির্বাচনে লড়ছে যাকে সম্পূর্ণ মদৎ দিয়ে চলেছেন রাজ্যের বাহির থেকে আসা বিজেপি দলের নেতারা কেন্দ্রের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, অন্যান্য হিন্দি বলয়ের কেন্দ্রীয় নেতারা৷ তাঁরা রাজ্যের বোটে ঢাকে কাঠি পড়ার আগে থেকেই যেন কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের মতো সাজ রবে চিৎকার করছেন৷ কতবার যে প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীগণও অন্যান্য নে