April 2022

বিষাক্ত বৃত্ত

মনোজ দেব

ভারতীয় মানুষ রাজনীতির এক বিষাক্ত বৃত্তে আবর্তিত হচ্ছে৷ দেশীয় পুঁজিপতিরা এই বৃত্তের কেন্দ্রে থেকে রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে৷ ১৯৩৮ সালে সুভাষচন্দ্র বসু জাতীয় কংগ্রেসের  সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর লণ্ডনে ভারতীয়  ছাত্রদের  এক সমাবেশে ভাষণ প্রসঙ্গে বলেন---‘‘দেশীয় পুঁজিপতিদের সহযোগিতায় ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য শক্তি অর্জন করছে৷ এদের বিরুদ্ধেও জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে৷ শুধু রাজনৈতিক স্বাধীনতা নয়, মানুষকে অর্থনৈতিক  স্বাধীনতাও দিতে হবে৷’’

মহাবিজ্ঞানী প্রভাতরঞ্জন সরকারের আবিষৃকত ‘মাইক্রোবাইটাম  ও মাইক্রোবাইটাম সাধনা

পত্রিকা প্রতিনিধি

বিজ্ঞানী শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার বলেছেন--- চিত্তানু ectoplasm) ও বিদ্যুতানুর electron) মাঝামাঝি অবস্থানে  এক অতিসূক্ষ্ম সত্তা আছে৷ আবিষ্কারক এই সত্তার নাম দিয়েছেন ‘মাইক্রোবাইটাম’৷ অর্র্থৎ ভাব Abstract) জড়ের matter) মধ্যবর্তীস্থানে  মাইক্রোবাইটাম অবস্থান করছে৷ এদের প্রাণীন ও ভাবসত্তার মত অস্তিত্ব রক্ষা, মৃত্যু ও সংখ্যা বৃদ্ধি হয়৷ বিশ্বসৃষ্টির মূল কারণ হ’ল এই মাইক্রোবাইটাম৷ এরাই গ্রহ, উপগ্রহে ও বিভিন্ন  নক্ষত্রে প্রাণীনতার আদি বাহক৷ এরাই বিভিন্ন জ্যোতিষ্কে অজস্র দেহ-সংরচনা ও মানস-সংরচনা করে চলেছে৷ দেহ ও মনের মধ্যে মাইক্রোবাইটামের প্রভাব  ওতোপ্রোতভাবে জড়িত৷ দেহ ও মনের মধ্যে  পজেটিভ মাইক্রোবাইটাম

বৃদ্ধাশ্রমে রান্না করা খাদ্য ও ফল বিতরণ

গত ১৩ই মার্চ গার্লস প্রাউটিষ্টের পক্ষ থেকে  টাটানগর আদিত্যপুরে বৃদ্ধাশ্রমে রান্না করা খাদ্য ও ফল বিতরণ করা হয়৷ গার্লস প্রাউটিষ্টের পক্ষ থেকে  অবধূতিকা আনন্দরূপাতীতা আচার্যা ও স্থানীয় কর্মীরা এই কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন৷

 

আনন্দমার্গের সেমিনার

ডায়োসিস স্তরের সেমিনার শেষে এখন ডিট ও ব্লকস্তরে সেমিনার শুরু হয়েছে৷ গত ১২,১৩ই মার্চ কলিকাতা রিজিয়নে কোচবিহারে মাথাভাঙ্গায় ব্লকস্তরের,পূর্ব ভঞ্জভূম আনন্দমার্গ স্কুলে ডিটস্তরের, আন্দামান নিকবর দীপে ডিটস্তরের,ঝালদা ডিটস্তরের, বনগাঁই গাঁও ডিটস্তরের, বালুর ঘাটে ডিটস্তরের, বনগাঁ ডিট স্তরের সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়৷ ডিট ও ব্লক স্তরের কর্মীদের উপস্থিতিতে এই সব সেমিনারে মার্গের আধ্যাত্মিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিষয়ের ওপর আলোচনা করেন সংঘের তাত্ত্বিক কর্মীরা৷

বেকারত্বের জ্বালায় আত্মহত্যা---এগিয়ে ডবল ইঞ্জিন রাজ্য

গত ১৪ই মার্চ সংসদে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রকের পেশ করা তথ্যে দেখা যাচ্ছে ২০১৬ সাল থেকে ২০২০ পর্যন্ত দেশে বেকারত্বের জ্বালায় আত্মহত্যার প্রবণতা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ শ্রমমন্ত্রকের পেশকরা তথ্য অনুযায়ী---২০১৬ সালে ২২৯৮ জন,২০১৭ সালে২৪০৪ জন, ২০১৮ সালে ২৭৪১,২০১৯ সালে ২৮৫১ জন ও ২০২০ সালে ৩৫৪৮ জন আত্মহত্যা করেছে বেকারত্বের জ্বালায়৷ আত্মহত্যার এই পরিসংখ্যানে ডবল ইঞ্জিন শাসিত রাজ্যগুলিই এগিয়ে আছে৷ ২০২০ সালে অসমে২৩৪, গুজরাটে ২২৯ ও উত্তর প্রদেশে ২২৭টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে৷ তবে সবার উপরে আছে বিজেপি শাসিত কর্ণাটক রাজ্য৷ ২০২০ সালে বেকারত্বের  কারণে কর্ণাটকে আত্মহত্যা করে ৭২০ জন৷ তুলনামূলকভাবে পশ্চিবঙ্গের অবস্থা

অসমের ডিটেনশন ক্যাম্পে মানসিক ভারসাম্য হারালেন কাজল বালা

অসমে কাছাড় জেলার গিরিঘাট কলোনীর বাসিন্দা কাজলবালা দেব ভারতীয় হয়েও দীর্ঘ ৩২ মাস বিদেশী নাগরিকের তকমা নিয়ে ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি জীবন কাটাতে হয়েছে৷ গুয়াহাটি হাইকোর্টের রায় তিনি মুক্তি পেলেও দীর্ঘ বন্দি জীবনে থেকে মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন৷ অসমের নাগরিক অধিকার সুরক্ষা সমন্বয় সমিতির কো-চেয়্যারম্যান সাধনপুরকায়স্থ এই অভিযোগ করেন৷ সাধনবাবু জানান কাজলবালার মতো বহু ভারতীয় নাগরিক অসমের বর্ডার পুলিশের জুলুমবাজির শিকার হচ্ছে৷ প্রতিবছর দশজন করে বিদেশী খুঁজে বার করতে হয় বর্ডার পুলিশকে৷ পুলিশ লক্ষ্যপূরণে ভারতীয় বাঙালীদেরই হয়রানি করছে৷

মধ্যবিত্তের পকেটে হাত কোপ ই.পি.এফ.সুদে

মোদী জমানায় মধ্যবিত্তের পকেটে সাফ হয়ে যাচ্ছে৷ উত্তরপ্রদেশ সহ চার রাজ্যের নির্বাচনে ফল কেন্দ্রীয় শাসকদলের অনুকূলে গেছে৷ ব্যতিক্রম পঞ্জাব৷ ভোট শেষে মোদি জমানার অর্থনীতির ধারা বজায় রেখে আবার মধ্যবিত্তের ঘাড়ে কোপ বসালো৷

কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ডে সুদের হার ৮.৫ থেকে কমিয়ে হলো ৮.১ শতাংশ৷ গত ১২ই মার্চ গুয়াহাটিতে কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংঘটনের বৈঠক থেকে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব সরকারের এই সিদ্ধান্ত ঘোষনা করেন৷

তৃণভোজী জীব, মাংসাশী জীব, মানুষ

তোমরা জান জীবজন্তুরা মুখ্যতঃ তৃণভোজী (graminivorous) ও মাংসভোজী (carnivorous) –এই দু’টি মুখ্য শাখায় বিভক্ত৷ তৃণভোজীদের দাঁতগুলো থাকে মুক্তোর মত ধবধবে শাদা ও সাজানো৷ যারা মাংসভোজী জীব তাদের দাঁতগুলি হয় খোঁচা খোঁচা, ঈষৎ হল্দেটে অথবা লালচে মেশানো হলদেটে৷ মুখের দুই পাশে থাকে মাংস কাটবার কর্ত্তন দন্ত (canine teeth)৷

বসন্তোৎসব

বিশেষ প্রতিনিধি

বসন্তোৎসব সারা ভারতের উৎসব–উত্তর ভারতে ‘হোলি’, বিহার অঞ্চলে ‘ফাগুয়া’ ও বাংলায় ‘দোলযাত্রা’৷ আদিতে এই উৎসব ছিল মূলতঃ আর্যদের৷ প্রাচীন আর্যদের বাসভূমি ছিল মধ্য এশিয়ায়৷ এই অঞ্চলটা ছিল ভীষণ ঠাণ্ডা৷ সারা শীতকাল কেবল বরফ পড়তো, এটা ছিল আর্যদের দুঃসহ কষ্টের কাল৷ নিদারুণ ঠাণ্ডায় মানুষ জবু–থবু হয়ে মরার মত পড়ে থাকতো, কোন কাজকর্ম করতে পারতো না৷ এই শীতকালটা যখন বিদায় নিত, আর্যরা তখন আনন্দে উৎসবে মেতে উঠতো৷ ‘উৎ’ মানে আনন্দে লাফিয়ে ওঠা আর ‘সব’ মানে ‘জন্মগ্রহণ করা’৷ আক্ষরিক অর্থেই বসন্তের আগমনে আর্যরা প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠতো, হৈ–হুল্লোড় ও কর্মচাঞ্চল্যে মেতে উঠতো৷