April 2022

তবলা আবিষ্কার

কৌশিক খাটুয়া

মৃদাঙ্গের শব্দতরঙ্গ উচ্চাঙ্গ রব

সহিতে না পেরে উত্তেজিত জনতা সব,

মনিরাম ধরে গান বাজিয়ে মৃদঙ্গ,

তবু গুনমুগ্দ শ্রোতারা ছাড়ে তার সঙ্গ!

মৃদঙ্গের শব্দতরঙ্গে ক্ষুদ্ধ নিখিলবঙ্গ,

কেহ কেহ মজা পায় দেখে নানা রঙ্গ৷

 

অসহ্য বিকট শব্দ সহিতে না পেরে,

কুড়ুল আঘাতে খোল দ্বিখণ্ডিত করে৷

প্রতিবেশী মহিলার ভয়ঙ্কর রূপ,

দেখিয়া মনিরাম ভয়ে নিশ্চুপ৷

দ্বিখণ্ডিত মৃদঙ্গের নাম ডিগি-তবলা,

মধুর সুখ শব্দে মৌন ও অবলা৷

 

প্রশংসিত তবলা ও ডিগির জন্ম ধন্য,

যমজ সন্তান হলেও রূপ তার ভিন্ন৷

একটি প্রশ্ণ

বিভাংশু মাইতি

জন্মের সময় গায়ে কোন নামাবলী ছিল না

হিন্দু-মুসলমানের বা বিজেপি-কংগ্রেসের৷

মরার পরেও নিদাগ দেহটা পড়েছিল

চিতায় ওঠার অপেক্ষায়.....

তবু, জীবনভর দুলতে থাকল

সম্প্রদায়ের দোলায়, ইচ্ছায় অনিচ্ছায়

মনের তরী ভাসতে ভাসতে ডুবে গেল

হিংসার ঘূর্ণাবর্ত্তে বিদ্বেষ সিন্ধুতে৷

সংকীর্ণ রাজনীতির যূপকাষ্ঠে

অবলীলায় বলি হবে আর কত

তরতাজা জীবন্ত যৌবন

আর কত কাল কেঁদে কাটাবে

তার অসহায় আত্মীয়স্বজন৷

গৃধ্র মানুষ! আর কতদিন

তোমার ভাইয়ের রক্ত দিয়ে

রাজনীতির তিলক কাটবে

আর কতদিন আমরা বুক বাঁধবো

আগুনের উৎসব

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

‘চাঁচর’ শব্দটি এসেছে সংসৃকত ‘চর্চরী’ শব্দ থেকে৷ চাঁচর এক ধরনের অগ্ণ্যুৎসব৷ দোলের আগের দিন অনুষ্ঠিত হয়৷ খড় বাঁশ, শরপাতা, তালপাতা, ইত্যাদি যেখানে যা সহজপ্রাপ্য তাই দিয়ে পুকুর পাড়ে বাড়ি, পশু অথবা নরমূর্ত্তি তৈরী করা হয়৷ অনেক সময় পিঠালীর ভেড়া বানিয়ে ঘরের মধ্যে রাখা হয়৷ এই ভেড়াকে বলে মেণ্ঢাসুর৷ তারপর সন্ধ্যার সময় ছেলেমেয়ের বিপুল উল্লাসধবনি সহযোগে তাতে আগুন ধরানো হয়৷ এই হর্ষধবনির জন্যই উৎসবের নাম হয়েছে চর্চরী বা চাঁচর৷ কারণ,  চর্চরী শব্দের অর্থ হর্ষধবনি৷ আর মেন্ঢাকে অসুর কল্পনা করা হয়েছে৷ কারণ কোন অসুর যেন সূর্যের উত্তরায়ণ গতিতে বিঘ্ন ঘঠাচ্ছে৷ তাকে দগ্দ করতে পারলেই পৃথিবীতে রোদ উঠবে এবং দিন বড় হব

খ্যাটনভোঁদড় ভট্টাচার্য

খেট্’ একটি প্রাচীন ধাতু৷ ধাতুটি পরস্মৈপদী’৷ এর ক্রিয়ারূপ দু’ধরণের৷ ‘লট্তি’–তে যদি বলি ‘খেটতি’ তার মানে হবে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলা বা পা’ টেনে টেনে চলা৷ যদি ক্রিয়ারূপে বলি ‘খোটয়তি’ তাহলে তার একটি মানে হবে ঔদরিকের মত অতিভোজন করা৷

বিশ্বকাপে বিশ্বরেকর্ড ঝুলনের

ওয়েস্ট ইন্ডিজের আনিসা মহম্মদের উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার লিন ফুলস্টনকে পেরিয়ে গেলেন ভারতের ঝুলন গোস্বামী৷ বিশ্বকাপে লিনের ছিল ৩৯ টি উইকেটের এতকালের রেকর্ড৷ কিন্তু ঝুলন গোস্বামী এবারের বিশ্বকাপে নেওয়া ৪০ তম উইকেট সেই রেকর্ডকে ভেঙে এক নতুন বিশ্বরেকর্ডের সৃষ্টি করেছে৷  এটি ঝুলনের পঞ্চম বিশ্বকাপ ও ৩১তম ম্যাচ৷ এর মধ্যে এই বিশ্বরেকর্ড এক অসামান্য প্রাপ্তি ঝুলন গোস্বামীর৷ রেকর্ড গড়লেও কোনো উচ্ছ্বাস নেই, কারণ বিশ্বকাপ জিতলে আরও উৎসবের মরসুমের সৃষ্টি হতো ভারতীয় ক্রিকেট মহলে৷

ক্রিকেট ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল বাংলাদেশ

মেয়েদের বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ জিতল বাংলাদেশ শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৬ রান কিন্তু বাংলাদেশের স্পিনার নাহিদা আখতার মাত্র ৬ রান দেন৷ পাকিস্তানকে ৯ রানে হারায় বাংলাদেশ৷ আর সেই সঙ্গে বিশ্বকাপের মঞ্চে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল তারা৷ মেয়েদের বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ জিতল বাংলাদেশ৷ ম্যাচ জেতার পরেই দেখা গেল মাঠের মধ্যে নাচছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা৷ বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলল উল্লাস৷ প্রথম জয়ের স্বাদ পেলেন নিগার সুলতানা, ফরগনা হকরা৷

পদার্পণ দিবসের শ্রদ্ধার্ঘ্য

প্রাউটপ্রবক্তা পরম শ্রদ্ধেয় শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার  ১৯৭৯ সালে ১১ই মার্চ ‘নোতুন পৃথিবী পত্রিকা’ কার্যালয় পরিদর্শনে এসেছিলেন৷ আজ সেই শুভদিনে তাঁর প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা জানিয়ে স্মরণ করি নোতুন পৃথিবীর উদ্দেশ্যে তাঁর বার্র্ত---

‘‘নোতুন পৃথিবী’’ তারাই তৈরী করতে পারে যাদের মধ্যে কোন সংকীর্ণতা নেই৷

আশা করি, একথা জেনে বুঝেই কাজে নেমেছো৷ নোতুন পৃথিবী সমাজ কল্যাণের বাহন হোক এটাই আমি চাই৷’’        ---শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার

 

যুদ্ধবাজদের অমানবিক নিষ্ঠুরতার  শিকার ইউক্রেনের অবোধ শিশুরা

প্রায় ৮০ বছর আগে ‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন---‘পাশ্চাত্য জাতির সভ্যতা-অভিমানের প্রতি শ্রদ্ধা রাখা অসাধ্য হয়েছে৷ সে তার শক্তিরূপ আমাদের দেখিয়েছে, মুক্তিরূপ দেখাতে পারেনি’৷

রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসন যেভাবে বিভীষিকার বিস্তার করেছে তাতে মনে হয় ৮০ বছর আগে বিশ্বকবির চোখে দেখা পাশ্চাত্যের সঙ্গে আজকের পাশ্চাত্যের কোন প্রভেদ নেই৷

 

আর্থিক শোষণ প্রতিহত করতে সর্বক্ষেত্রে চাই আর্থিক বিকেন্দ্রীকরণ

সর্বক্ষেত্রে আর্থিক বিকেন্দ্রীকরণের নীতি রূপায়িত করতে হবে৷ প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্সালের কেন্দ্রীয় সংঘটন সচিব আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত বর্তমান আর্থিক দুরাবস্থা প্রসঙ্গে এক আলোচনায় বলেন--- করোনার মত রোগ, প্রাকৃতিক দুর্র্যেগ, যুদ্ধ এসব থাকবেই৷ কিন্তু এইসবকে অজুহাত করে সাধারণ মানুষের জীবন ধারণের  নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের আকাশ ছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি পুঁজিবাদী শোষকদের কৌশলমাত্র৷ দেশের সর্বস্তরে আর্থিক নীতি প্রণয়নে পুঁজিবাদীরাই মুখ্য ভূমিকা নিয়ে থাকে৷ রাজনৈতিক নেতা-মন্ত্রীরা নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রতিশ্রুতির ঝড় বইয়ে দেন, পরে সব প্রতিশ্রুতিই নিষ্ঠুর ভাঁওতাবাজীতে পরিণত হয়৷ নেতাদের প্রতি বিশ্বাস হারানো জনগণকে