April 2022

৫ই মার্চ দধীচি দিবসে পাপশক্তি বিনাশের শপথ গ্রহণ

পুরুলিয়া জেলার আনন্দনগরে, যেখানে ১৯৬৭ সালের ৫ই মার্চ স্থানীয় কায়েমী স্বার্থবাদী পুঁজিবাদী গোষ্ঠী ও জড়বাদী গোষ্ঠী সংঘটিত হয়ে আনন্দমার্গের এই আশ্রমের ওপর বর্বরভাবে আক্রমণ ক’রে ৫ জন সর্বত্যাগী সন্ন্যাসীকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল৷ কম্যুনিষ্ট ঘাতকদের হাতে সেদিন আনন্দনগরে নিহত হয়েছিলেন আচার্য অভেদানন্দ অবধূত, আচার্য সচ্চিদানন্দ অবধূত, আচার্য অবোধ কুমার ব্রহ্মচারী, আচার্য প্রবোধ কুমার ব্রহ্মচারী, আচার্য ভরত কুমার ব্রহ্মচারী৷

পাঁচরাজ্যের নির্বাচন---লোকসভার সেমিফাইনালে স্বস্থানে বিজেপি, আপের উত্থান, কংগ্রেসের বিপর্যয়

সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে উত্তরপ্রদেশে দ্বিতীয়বারের জন্যে মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসছেন যোগী আদিত্যনাথ৷ একক গরিষ্ঠতা পেলেও গতবারের তুলনায় আসন অনেক কমেছে৷ বিজেপির লক্ষ্যমাত্রা তিন’শোর ঘরে পৌঁছোতে পারেনি৷ উত্তরাখণ্ডেও বিজেপি গরিষ্ঠতা পেয়েছে৷ এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত গোয়া মনিপুরে বিজেপি একক গরিষ্ঠ দল৷ সম্পূর্ণ ফল প্রকাশের পর এই দুই রাজ্যের চিত্র পরিষ্কার হবে৷ এবারে নির্বাচনে উল্লেখ্যযোগ্য ফল হ’ল এই প্রথম দিল্লীর বাইরে একটি রাজ্যে ক্ষমতা দখল করল আম আদমি পার্টি৷ পঞ্জাবে কংগ্রেসের কাছ থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিল আম আদমি পার্টি৷ বিজেপি যথারীতি পঞ্জাবে মুখ থুবড়ে পড়েছে৷

আন্তর্জাতিক নারী দিবস ও সমাজ

জ্যোতিবিকাশ সিন্‌হা

বিশ্ববিধাতার মানস কল্পনা সঞ্জাত এই বিশ্ব সৃষ্টির সংরচনায় সৃষ্টিচক্রের ঘূর্ণনকে সচল ও সুসমঞ্জস রাখার জন্যে সৃষ্টি হয়েছে নারী ও পুরুষ৷ আর পরমপিতার সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান মানুষের ক্ষেত্রেও এই নিয়মের ব্যতিক্রম হয়নি৷ নারী ও পুরুষ যেন একটি কাগজের এপিঠ-ওপিঠ৷ দুইয়ের মধ্যে একচ্ছেদ্য সম্পর্ক বর্তমান৷ একপক্ষকে বাদ দিলে অপরপক্ষের অস্তিত্ব সংকট দেখা দেয়৷ মানুষ্য সৃষ্টির প্রথম ভাগে মানুষ যখন অরণ্যচারী ও পর্বত গুহাবাসীর জীবন যাপন করত, সে সময় মানুষের সমাজে কোনও বন্ধন ছিল না--- তাদের জীবনযাত্রা ছিল অনেকটাই বন্য প্রাণী সুলভ, ছন্নছাড়া৷ পরবর্তীকালে যখন মানুষ একটু সঙ্ঘবদ্ধ হতে শিখল ও এক-একটা পাহাড় বা গোত্রকে কেন্দ্

জিদ্ চাই

আগে বলেছিলুম, ভালো কাজের জন্যে জিদ্ চাই৷ তাই সাধকের মনে জিদ্ থাকা দরকার৷ শাস্ত্রে আছে, পার্বতী শিবকে জিজ্ঞাসা করলেন, কে এই সংসারে উন্নতি করে, কী তার রহস্য? দেখতে পাচ্ছি, কেউ বড় বড় কাজ করে জীবনে মহান হয়, কেউ বা শুয়ে বসেই থাকে চিরকাল৷ কেউ কেউ তো কলুর বলদ হয়েই থেকে যায়, আবার কারো কারো উন্নতি হয়৷ কেউ অনেক পড়েও খারাপ ফল করে, কেউ বা অল্প পড়েও ভাল ফল করে৷ এই সমস্ত কিছুর পিছনে রহস্য  কী?

উত্তরে শিব বললেন,

‘‘ফলিষ্যতীতি বিশ্বাসঃ সিদ্ধের্প্রথমলক্ষণ৷

দ্বিতীয়ং শ্রদ্ধয়া যুক্তং তৃতীয়ং গুরুপূজনম্৷৷

চতুর্থো সমতাভাবঃ পঞ্চমেন্দ্রিয়নিগ্রহ৷

বাংলা ভাষা ও তার উপভাষা

বাঙলা ভাষায় মুখ্যতঃ বারটি উপভাষা (dialect) রয়েছে৷ সেই উপভাষা ও তাদের ব্যবহারের ক্ষেত্রগুলি নিম্নরূপ–

(১) মধ্যরাঢ়ীয় বাংলা ঃ

(ক) নলহাটি, মুরারই বাদে বীরভূম জেলা

(খ) কান্দি মহকুমা

(গ) সাঁওতাল পরগণা জেলার দুমকা, জামতুড়া ও দেওঘর মহকুমা

(ঘ) বর্দ্ধমান জেলার দুর্গাপুর ও আসানসোল মহকুমা

(ঙ) ধানবাদ জেলা (পশ্চিমে পরেশনাথ পাহাড় পর্যন্ত)

(চ) পুরুলিয়া জেলা

(ছ) গিরিডি জেলার অংশবিশেষ

(জ) রাঁচী জেলার পূর্বাংশ–সিল্লি, সোণাহাতু, বুন্দু ও তমাড়

(ঝ) সিংভূম জেলার উত্তর–পূর্বাংশ

(ঞ) কাঁথি এলাকা বাদে মেদিনীপুর জেলা

নবপ্রভাতের প্রতিক্ষায়

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

এ বিশ্বের ধন–সম্পত্তির মালিকানা ন্যায়তঃ ব্যষ্টির না সমাজের–এ নিয়ে দার্শনিকদের মধ্যে এখন বিরাট দ্বন্দ্ব৷ ব্যষ্টি মালিকানাবাদীরা বলেন, ব্যষ্টিই যখন কলকারখানা গড়ে তুলছে–শ্রম দিয়ে বুদ্ধি দিয়ে জমি–জায়গা করেছে–তাহলে এতে তার চরম মালিকানা তো সম্পূর্ণ ন্যায়সম্মত সিদ্ধ৷ প্রাউট দর্শন এখানে স্পষ্ট ভাবে বলছে ঃ এ বিশ্বের কোন সম্পদ মানুষ সৃষ্টি করে নি যিনি সমগ্র বিশ্ব সৃষ্টি করেছেন সেই পরম ব্রহ্ম বা ভূমাসত্তাই সব সম্পদের স্রষ্টা–তিনিই প্রকৃত মালিক৷ মানুষ শুধু প্রকৃতিদত্ত সম্পদকে নিয়ে ‘ফিজিক্যাল মিক্সচার’ বা ‘কেমিক্যাল কম্পাউন্ড’ বানিয়েছে বা আকারগত পরিবর্তন করেছে মাত্র৷ তাই কোনও মানুষ এর প্রকৃত মালিক হতে প

আন্তর্জতিক নারী দিবসের প্রত্যাশা

কণিকা দেবনাথ

সমাজে নারী ও পুরুষ পাখীর  দুটি  ডানার  মতো৷ একটা ডানা  যদি  পঙ্গু হয়,  তা  হলে একটিমাত্র  ডানা  দিয়ে  পাখী  উড়তে  পারে  না৷ ঠিক তেমনি  সমাজে  নারী যদি  অবহেলিত  হয়,  শোষিত  হয়,  নির্যাতিত  হয়,  যা  আজকে  হচ্ছেও,  এ  অবস্থায় সমাজের প্রকঁত প্রগতি  হতে  পারে  না৷ নারী  পুরুষের  জননী৷  এই  সত্য  মদগর্বী  কিছু  পুরুষ  ভুলে  যায়  ও  নারীর  ওপর  নির্যাতন  চালায়৷

বর্তমানে বিভিন্ন  স্থানে,  কিছু  পশুস্বভাবযুক্ত  পুরুষ  যেভাবে  মেয়েদের ওপর  পাশবিক  নির্যাতন  চালাচ্ছে  তা  মানব  সভ্যতার  মুখে  চরমভাবে  কালি  লেপন  করছে৷

রাজনীতি চলুক জনস্বার্থে

হরিগোপাল দেবনাথ

অতীতকালে রাজ-রাজড়া ও নবাব-বাদশাহ সুলতানদের শাসনামলে রাজনীতির সংজ্ঞা-নির্ধারণে ‘রাজ্ঞঃ নীতি রাজনীতি’  বলা হত কি না আমার জানা নেই৷ তবে যতদূর বইপত্র পড়ে কিংবা বয়োজ্যেষ্ঠদের মুখ থেকে যতদূর শুণেছি, তা  থেকেই বলতে পারি যে সুদূর অতীতকালে শূদ্র-যুগের শেষপ্রান্তে  এসে  সমাজে কিছুসংখ্যক মানুষ সমাজের দায়িত্ব পালনে নিজেরাই  এগিয়ে এসে দায়িত্বের গুরুভার কাধে নিয়ে সমাজরক্ষা ও পালকরূপে অবতীর্ণ হয়েছিলেন৷ আর সাধারণ গণমানুষ তখন জীবনের  নিরাপত্তা লাভের কথা ভেবেই অগ্রণী ভূমিকা নিয়ে সমাজ রক্ষার  কাজে ব্রতীদের সমর্থন জানিয়েছিলেন৷ আর, এভাবেই শূদ্রযুগকে বিদায় জানিয়ে সমাজব্যবস্থায় ক্ষত্রিয়যুগের সূচনা ঘটেছিল৷ তখন সর্

জাতীয় সম্পদ বিক্রি করাটা ক্ষমার অযোগ্য

প্রভাত খাঁ

ভারতবর্ষ যখন ভাগ হয় তখন হিন্দুস্থান ও পাকিস্তান, আর  ইংরেজের অখণ্ড ভারতবর্ষতে মাত্র ১৫টি রাজ্য ছিল৷ আজ হিন্দুস্থানে এতে ২৯টি বড়ো রাজ্য আর কেন্দ্রশাসিত রাজ্য এর সংখ্যা হলো ৭টি৷ তা হলো মোট ছোট বড়ো রাজ্য এর  সংখ্যা  ৩৬টি৷ ভারত যুক্তরাষ্ট্রের দু’টি ডানা কাটা পড়ে ইংরেজ আমলে৷ তাই আয়তন ছোট হয়ে যায় অনেকটা৷ কিন্তু স্বাধীন ভারতের যুক্তরাষ্ট্রে রাজ্যের সংখ্যা দু’গুণের চেয়ে বেশী৷ ইংরেজ  ডিভাইড এ্যাণ্ড রুল এই নীতিতে অখণ্ড ভারতবর্ষ দেশকে ১৫টি রাজ্যের  সংখ্যায় রেখেই সেই ডিভাইড এ্যাণ্ড রুল শাসন চালিয়ে গেছে৷ তাছাড়া রাজ্যগুলির যে সংখ্যক জেলার সংখ্যা, সেই জেলাগুলির সংখ্যা হয়েছে আজ বহুগুণ৷ যদিও লোক সংখ্যা বেড়ে

বীরভূমের ইন্দাসে শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর শুভপদার্পণ স্মরণ উৎসব

১৬ই ফেব্রুয়ারী ২০২২ বীরভূমের ইন্দাসে যোগীশ্বর শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর শুভ পদার্পণ উৎসব উপলক্ষ্যে ভোর ৪ ঘটিকায় বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র সহযোগে ‘‘বাবা  নাম কেবলম্‌’’ তারকব্রহ্ম নাম সংকীর্ত্তন শুরু হয়?