April 2022

রামরাজাতলায় পদার্পণ দিবস

গত ১৫ই মার্চ হাওড়া জেলার রামরাজাতলায় পদার্পন দিবস পালন করা হয়৷ ১৯৭৯ সালে ১৫ই মার্চ মার্গগুরুদেব পরমশ্রদ্ধেয় শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী রামরাজাতলায় শংকর মঠে পদার্পন করেছিলেন৷ সেই উপলক্ষ্যে ঐ দিন পদার্পন দিবস পালিত হয়৷ জেলার মার্গী ভাই বোনেরা উপস্থিত ছিলেন৷ এছাড়া আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষে আচার্য সুতীর্থানন্দ অবধূত, আচার্য তন্ময়ানন্দ অবধূত ও আচার্য সর্বেশ্বরানন্দ অবধূত উপস্থিত ছিলেন৷ সেইদিন মার্গগুরুদেব প্রবচন দিয়েছিলেন---‘‘প্রকৃত গুরু কে’’৷ আচার্য সর্বেশ্বরানন্দ অবধূত মার্গগুরুদেবের প্রবচনের উপর মনোজ্ঞ আলোচনা করেন৷ এরপর জেলার রাওয়া শিল্পীরা প্রভাত

বীরভূমে অখণ্ড কীর্ত্তন

গত ১২ই মার্চ বীরভূম জেলার মহম্মদ বাজার ব্লকের গণপুরে তিনঘন্টা মহানাম মন্ত্র ‘াা নাম কেবলম্‌ ‘অখণ্ড কীর্ত্তন’ অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তন শেষে মিলিত ঈশ্বর প্রণিধানের পর আনন্দমার্গ দর্শন ও কীর্ত্তন মাহাত্মের ওপর বক্তব্য রাখেন আচার্য মিতাক্ষরানন্দ অবধূত ও আচার্য দেবোপমানন্দ অবধূত৷ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন ইয়ূনিট সেক্রেটারী অনন্ত চৌধুরী ও ডাঃ হরিকীঙ্কর চৌধুরী৷

বীরভূমে মেডিকেল ক্যাম্প

গত ১৩ই মার্চ বীরভূম জেলার গণপুরে আনন্দমার্গ রিলিফ টিমের উদ্যোগে একটি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়৷ এই ক্যাম্পে শতাধিক মানুষের চিকিৎসা করা হয় অভিজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে৷ ডাক্তারদের মধ্যে ছিলেন ডাঃ হরিকিংকর চৌধুরী, ডাঃ অপূর্ব ব্যানার্জী, ডাঃ সুরজিৎ চৌধুরী ও ডাঃ সন্তোষ ঘোষ, নিত্যানন্দ কোনাই প্রমুখ৷

 

বীরভূমে সেমিনার

গত ৫,৬ ও ৭ই মার্চ শিউড়ি ডিট লেবেল সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় ইমাদপুর আনন্দমার্গ স্কুলে৷ প্রশিক্ষক ছিলেন আচার্য প্রসুনানন্দ অবধূত৷ ৬ই মার্চ স্থানীয় বাজারে একটি প্রচার সভা অনুষ্ঠিত হয় শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী শততম জন্মবর্ষ উপলক্ষ্যে৷ সভায় বক্তব্য রাখেন বংশীধর দাস, মানবেন্দ্র ঘোষাল, আচার্য দেবোপমানন্দ অবধূত ও আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত৷

আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত বর্তমান সামাজিক বিশৃঙ্খলা ও আর্থিক দেউলিয়া অবস্থায় আনন্দমার্গের আধ্যাত্মিক দর্শন ও সামাজিক অর্থনৈতিক তত্ত্বের বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন৷ 

 

জামালপুর ভ্রমণ

আচার্য নারায়ণানন্দ অবধূত

কয়েক বছর আগে আনন্দনগরের রেলসংক্রান্ত বিশেষ কাজে আদ্রারেল ডিভিশন অফিসে যাওয়া হয় ও কাজের বিষয়টি নিয়ে এ.ডি.আর.এমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করি। আমার সংঘটন ও গুরুদেবের কথা বলাতে শুনলাম উনি বাবাকে অর্থাৎ গুরুদেব ও আনন্দমার্গের প্রবক্তা শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারকে  ভালো করেই জানেন। কথা প্রসঙ্গে জানালেন জামালপুর রেলওয়ে ওয়ার্কশপ অফিসে কর্মজীবনে গুরুদেব যে চেয়ারে বসে  কাজ করতেন সেটি তাঁর "স্মৃতিচিহ্ন" হিসাবে রেল ডিপার্টমেণ্টে সযত্নে রাখা আছে।

নাগরিক অধিকার সুরক্ষা সমন্বয় সমিতি, আসাম।

বিজিত কুমার সিংহ,শিলচর - আসাম সরকার এন আর সি তালিকাভুক্ত নাগরিকদের পুনরায় নথিপত্র যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানোর যে ঘোষণা করেছেন তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে নাগরিক অধিকার সুরক্ষা সমন্বয় সমিতি, আসাম এর কেন্দ্রীয় কমিটি। কমিটির পক্ষ থেকে এক প্রেস বার্তায় জানানো হয় যে রাজ্যের উগ্র-প্রাদেশিকতাবাদী শক্তির মদতে পরিচালিত আসাম সরকার ভাষিক ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার চক্রান্তকে বাস্তবায়িত করতে পুনরায় এন আর সি তালিকাভুক্ত নাগরিকদের নথিপত্র যাচাইয়ের চেষ্টা করছে। সি আর পি সি সি, আসাম এর পক্ষ থেকে এও বলা হয় যে এন আর সি তালিকা তৈরির সময়ে জনগণের নথিপত্র বারবার যাচাই করা

রবীন্দ্র–জয়ন্তীর উচ্ছ্বাস আছে আদর্শ নেই

পথিক বর

আমরা বাঙালীরা প্রতি বছর খুব ঘটা করে রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন করি৷ রবীন্দ্রনাথের কবিতা আবৃত্তি, রবীন্দ্র–সঙ্গীত, রবীন্দ্র রচনা নিয়ে গুরুগম্ভীর বত্তৃণতা কোনোটারই খামতি নেই৷ বরং রবীন্দ্রসঙ্গীতগুলোর্ যেগুলি সুস্পষ্টভাবে ঈশ্বরপ্রেম সম্বন্ধীয় সেগুলিকে বেমালুম স্ত্রী–পুরুষের প্রেমের সঙ্গীত হিসেবে টিভি– সিরিয়্যালে ব্যাপক ভাবে ব্যবহার করে কথায় কথায় রবীন্দ্র প্রীতির নিদর্শন দেওয়া হচ্ছে৷ পাড়ায় পাড়ায় রবীন্দ্রসঙ্গীতের বন্যা বইছে৷ কিন্তু ওই সঙ্গীতগুলির অন্তর্নিহিত ভাব যে অনুভব করার চেষ্টা প্রায় কেউই করেন না এটা বলাই বাহুল্য৷ এই ভাবে রবীন্দ্র–ভাব, রবীন্দ্র–আদর্শকে ভুলেই আমরা রবীন্দ্রপ্রীতির উচ্ছ্বাস দেখাচ্ছি৷

রাজনৈতিক শক্তির জন্যে লড়াই করতে গিয়ে জাতির সাংসৃকতিক মেরুদণ্ড ভেঙ্গে গেছে

বিশিষ্ট প্রাউটতাত্ত্বিক শ্রীপ্রভাত খাঁ রামপুরহাটের অখ্যাত বগটুই গ্রামের দানবীয় গণহত্যার নিন্দা করে এই নারকীয় ঘটনার জন্যে রাজ্যের রাজনৈতিক দলের নেতাদের ও বুদ্ধিজীবীদের দায়ী করেন৷ শ্রী খাঁ বলেন বগটুই-এর নারকীয় ঘটনা রাজ্যে এই প্রথম নয়৷ আজ বিরোধীরা যেভাবে প্রতিবাদের নামে লম্ফ-ঝম্ফ করছে সব দায় রাজ্য সরকারের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে তা অতি হাস্যকর৷ ১৯৬৭ সালে যখন বর্ধমানে সাঁইবাড়ীতে, পুরুলিয়া আনন্দনগরে নৃশংস গণহত্যা করেছিল কম্যুনিষ্ট ঘাতক বাহিনী তখন প্রতিবাদের এই বিবেক কোথায় ছিল, কোথায় ছিল বিজন সেতুতে সন্ন্যাসীদের যখন পুড়িয়ে মারা হয়েছিল৷ শিল্প-সাহিত্য-সংসৃকতির পীঠস্থান কলিকাতা থেকে আজ দানবীয় বর্বরতা রামপু

পূর্ব মেদিনীপুরে অখণ্ড কীর্ত্তন

গত ৪ ও ৫ই মার্চ পূর্বমেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া ব্লকের রাজগাছতলা ইয়ূনিটে ২৪ঘন্টা অখণ্ড ‘াা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ এই কীর্ত্তন উপলক্ষ্যে বহু ভক্তমার্গী উপস্থিত হয়েছিলেন৷ ইয়ূনিট সেক্রেটারী শ্রী লক্ষ্মীকান্ত পাল ও স্থানীয় ইয়ূনিটের মার্গী ভাই বোনেদের উদ্যোগে এই কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত, আচার্য শিবপ্রেমানন্দ অবধূত  প্রমুখ এই কীর্ত্তনে উপস্থিত ছিলেন৷ কীর্ত্তন শেষে তিন শতাধিক মানুষকে প্রীতিভোজে আপ্যায়ীত করা হয়৷

 

কৃষ্ণনগর আনন্দমার্গ স্কুলে মেডিকেল ক্যাম্প

নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর স্যাঁকড়াপাড়া আনন্দমার্গ স্কুলের অধ্যক্ষা ব্রহ্মাচারিণী শুদ্ধ আচার্যা ও ডঃ প্রশান্ত দত্ত মহাশয়ের যৌথ উদ্যোগে গত ২৩শে মার্চ বুধবার বিকেল ৪টে থেকে সন্ধ্যে ৬টা ৩০মিনিট পর্যন্ত একটি হোমিওপ্যাথি মেডিকেল ক্যাম্প এর আয়োজন করা হয়৷ এই মেডিকেল ক্যাম্পে এ ডাঃ প্রশান্ত দত্ত ও ডাঃ উৎপল সন্ন্যাসী রোগীদের চিকিৎসা করেন ও বিনামূল্যে হোমিওপ্যাথি ওষুধ বিতরন করেন৷ কৃষ্ণনগর আনন্দমার্গ শিশু সদনের বোন পূর্ণতাদেব, অনুপ্রিয়া দেব সহ অন্যান্য বোনেরা এ কাজে পূর্ণ সহযোগিতা করেন৷ মেডিকেল ক্যাম্প এ সর্বমোট ত্রিশটি রোগী দেখা হয়৷