April 2022

অসম সরকারের দু-মুখো নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ডাক আমরা বাঙালীর

আমরা বাঙালীর অসম রাজ্য কমিটির সচিব সাধন পুরকায়স্থ এক বিবৃতিতে জানান---বিদেশী নোটিশ পেয়ে কাটিগড়ার আকলমনি নমশূদ্র যে বিভিষিকাময় পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছেন, এই ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন অসমে বসবাসকারী হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ  বাঙালী৷ এইসব ঘটনা নিয়ে বাদ প্রতিবাদ হচ্ছে বিভিন্ন দল-সংঘটনের  পক্ষ থেকে, কিন্তু যে আইনে অসমে বসবাসকারী বাঙালীদের বিদেশী বানানো হচ্ছে সেই কুখ্যাত আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে৷ নতুবা এই পরিস্থিতি চলতেই থাকবে৷

শ্রী পুরকায়স্থ ২০১৪ সাল প্রধানমন্ত্রীর শিলচরের বক্তব্য তুলে ধরে বলেন---

আমরা বাঙালীর কেন্দ্রীয় সম্মেলন

গত ১লা ও ২রা এপ্রিল,২০২২, শিলিগুড়ির বিকাশ ভবনে  ‘‘আমরা বাঙালী’’ সংঘটনের সমগ্র বাঙালীস্তান কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল৷ ইতোপূর্বে ২০২১ সালে ১১ই জুলাই এই সংঘটনের দ্বাদশ ত্রৈবার্ষিক সম্মেসন কলিকাতায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল৷ শিলিগুড়িতে সমগ্র বাঙালীস্তানের বিভিন্ন রাজ্য ও অঞ্চল থেকে আগত ৩০৮ জন সক্রিয় সদস্য ও ১৩৫ জন প্রাথমিক সদস্যদের উপস্থিতিতে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷ এই সম্মেলনে শ্রী নাগেশ্বর মাহাতো, শ্রী গোপাল রায়চৌধুরী, শ্রী অশ্বিনী রায়, শ্রীপার্থ রায় ও শ্রীমতি কল্পনা গিরি---এই  পাঁচজনকে আমরা বাঙালীর কেন্দ্রীয় সচিব শ্রী জ্যোতিবিকাশ সিন্‌হার নেতৃত্বে ঘটিত  কেন্দ্রীয় কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়৷ আগাম

পুঁজিবাদী শোষণের অক্টোপাশ থেকে সমাজকে মুক্তি পেতেই হে

মনোজ দেব

আজ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সমাজের অর্থনৈতিক উন্নয়নের একমাত্র পথ হিসেবে মেনে নিয়ে আপন আপন কর্মসূচী নিয়ে কাজ করে চলেছে৷ তারা দেশে ক্রমবর্ধমান দারিদ্র্য ও বেকার সমস্যা সমাধানের জন্যে দেশী-বিদেশী পুঁজিপতিদের শরণাগত৷ দেশী-বিদেশী পুঁজিপতিরা যাতে রাজ্যে তাদের মোটা পুঁজি বিনিয়োগ করে’ শিল্প গড়ে তুলতে এগিয়ে আসে, সেজন্যে ওই পুঁজিপতিদের নানান ভাবে তোষণ করে চলেছে৷ তাদের নানাভাবে প্রলোভন দিচ্ছে৷ সস্তায় জমি, বিদ্যুৎ, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে করছাড় ইত্যাদির আশ্বাস দিয়ে নানাভাবে তাদের মন ভেজানোর চেষ্টা করছে৷ কট্টর মার্কসবাদী বলে পরিচিত সিপিএম সহ অন্যান্য সঘোষিত সমাজতন্ত্রী বামপার্টিগুলিও দেশী

স্বধর্ম ও পরধর্ম

ভক্তের সম্পর্কে, সাধকের সম্পর্কে, পরমপুরুষের প্রতি যার প্রেম রয়েছে তার সম্পর্কে ভগবান কৃষ্ণের কিছু মূল্যবান উক্তি রয়েছে৷ এ সম্বন্ধে আজ আমি কিছু বলব৷

ভগবান বলছেন,

 ‘‘শ্রেয়ান্ স্বধর্মো বিগুণঃ 

                              পরধর্মাৎ স্বানুষ্ঠিতাৎ৷

স্বধর্মে নিধনং শ্রেয়ঃ

                              পরধর্মো ভয়াবহঃ৷৷’’

অর্থনৈতিক মন্দা প্রসঙ্গে

শোষণ যখন চরম বিন্দুতে গিয়ে পৌঁছায়, সমাজের গতিশীলতা ও গতিবেগও তখন প্রায় শূন্যাঙ্কে পৌঁছে যায়৷ এমন পরিস্থিতিতে, শোষণের সেই চরমাবস্থায় সমাজের বুকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিস্ফোরণ সংঘটিত হয়৷ ভৌতিক জগতের ক্ষেত্রে এই বিস্ফোরণটা হয় জড়াত্মক, আর মানসিক অধিক্ষেত্রে বিস্ফোরণটা হয় মানসিক বা ভাবাত্মক৷ এ ভাবেই অবস্থাভেদে বিস্ফোরণগুলি ঘটে চলে৷ এই যে মন্দা এটা আসলে সমাজের বুকে শোষণ বা দমন–প্রদমন–ব ফলশ্রুতি৷ সমাজতান্ত্রিক দেশ বা পুঁজিবাদী দেশ উভয় রাষ্ট্রেরই অর্থনৈতিক পরিভূতে মন্দা আসতে বাধ্য–কারণ উভয় দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যেই অন্তর্নিহিত রয়েছে এক গভীর জড়তা৷

অসংস্কৃতি ও সামাজিক ব্যাধি

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

সম্প্রতি গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাংভির মন্তব্য করেছেন ধর্ষন বৃদ্ধির জন্যে মোবাইল দায়ী৷ সিংভির কথায়  মোবাইলে খুব সহজেই পর্ণ ভিডিও দেখা যায়৷ সে কারণেই দেশে ধর্ষণের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ তিনি ধর্ষনকে সামাজিক   ব্যাধি বলে উল্লেখ করে পুলিশ প্রশাসনের  নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ মানতে নারাজ৷

বিষাক্ত রাজনীতি

মনোজ দেব

 অদ্ভুত এক রাজনৈতিক বৈপরিত্যে আক্রান্ত ভারতীয় রাজনীতি৷ রাজনৈতিক দলগুলোর নীতি আদর্শ বলে কিছু নেই৷ স্বাধীনতার  শুরুতে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন-সুভাষচন্দ্রের বাঙলা কিছুটা ব্যতিক্রম ছিল৷ ক্রমে সেই বিষাক্ত রাজনীতি গ্রাস করেছে বাঙলাকেও৷ ভ্রাতৃঘাতী রাজনীতি বাঙালীর  উন্নত সংস্কৃতি কৃষ্টি ও সভ্যতাকে অতি নিম্নস্তরে নিয়ে গেছে৷ সাঁইবাড়ী, বিজনসেতু বগটুই -রাজনীতির দানবিক বর্বরতার সাক্ষর বহন করছে৷ তবে এসবের পিছনে আছে এক সুগভীর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র৷ যারশুরু ৮৪ বছর আগে স্বাধীনতা পূর্ববর্তী ভারতে৷

‘আমরা বাঙালীর আন্দোলনই ভারতের সংহতি দৃঢ় করবে

বাঙালী ছাত্রযুব সমাজের সচিব তপোময় বিশ্বাস কে আলোচনায় বলেন---‘আমরা বাঙালী’র আন্দোলনকে অনেকেই সঙ্কীর্ণ প্রাদেশিকতা বলে থাকে৷ কিন্তু আমার প্রশ্ণ--- ভারতে থেকে বাঙালী বলাটা সঙ্কীর্ণ হলে, পৃথিবীতে থেকে ভারতীয় বলাটা কি আর একটু বড় সঙ্কীর্ণতা নয়? আবার সৌরমণ্ডলের মধ্যে থেকে শুধু পৃথিবীর কথা ভাবা আর একটু বড় সঙ্কীর্ণতা৷ আবার সৌরমণ্ডল লাখ লাখ সৌরমণ্ডলের একটি৷ তাই সব সঙ্কীর্ণতা ছেড়ে আমাদের মহাবিশ্বের নাগরিক হতে হবে৷

মার্গীয়বিধিতে গৃহপ্রবেশ

গত ১১ই এপ্রিল রাঁচী নিবাসী বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রীমতি চন্দনা দেবীর৷ নবনির্মিত ভবনের গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠান আনন্দমার্গের চর্যাচর্য বিধি মতে অনুষ্ঠিত হয়৷ এই উপলক্ষ্যে তিনঘন্টা অখণ্ড বাবা নাম কেবলম্‌ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয় বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত৷ অনুষ্ঠারপরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন আচার্য সুধাময়নন্দ অবধূত ও আচার্য চিতভাসানন্দ অবধূত৷ দুজনে আনন্দমার্গে সমাজশাস্ত্র বিষয়ে বক্তব্য রাখেন৷ অনুষ্ঠানে স্থানীয় ভক্ত মার্গীভাইবোনেরা ও চন্দনা দেবীর আত্মীয় স্বজন অংশগ্রহণ করেন৷