April 2022

এ্যামাটের ত্রাণ

গত ১০ই এপ্রিল কোচবিহার জেলার সামুক তলায় স্থানীয় মার্গী ইয়ূনিটের উদ্যোগে ছয় ঘন্টা অখণ্ড বাবা কেবলম্‌’ মহামন্ত্র কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তনের ভাব ও সুরমুর্চ্ছনায়আকৃষ্ট হয়ে মার্গীভাইবোন ছাড়া বহু সাধারণ মানুষ অনুষ্ঠানে সমবেত হন৷ এই উপলক্ষ্যে আনন্দমার্গ ইয়ূনিবার্র্সল রিলিফ টিমের মহিলা শাখা একটি চিকিৎসা শিবিরের আয়োজন করেছিলেন৷ সেখানে শতাধিক অসুস্থ মানুষকে অভিজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসা করা হয় ও প্রয়োজনীয় ঔষধও দেওয়া হয়৷ এছাড়া এ্যামার্টের পক্ষ থেকে গ্রামবাসীদের হাতে ছাতা বিতরণ করা হয়৷ অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন দিদি অবধূতিকা আনন্দরসপ্রজ্ঞা আচার্যা ও স্থানীয় ইয়ূনিটের মার্গীভাইবোন ও সন্ন্যাসী দাদা দ

লবণের প্রয়োজন

‘লবণ’ শব্দের অর্থ হ’ল যে সৌন্দর্য বা লাবণ্য আনায়৷ প্রয়োজন মত লবণ শরীরে গৃহীত না হলে শরীরের সৌকুমার্য ও কমনীয়তা নষ্ট হয়ে যায়৷ এই অর্থেই লবণ শব্দটি তৈরী হয়েছে৷ ‘লবণ’ মানে লক্তপ্রাণ (রক্তপ্রাণ)৷

প্রাগৈতিহাসিক সমাজ

প্রাগৈতিহাসিক যুগের মানুষ–সমাজে নারীর স্থান ছিল অন্যান্য যে কোন জীবের স্বাধীন নারীর মতই৷ পুরুষেরা যেমন প্রকৃতির কোলে নেচে গেয়ে হেসে খেলে জীবন কাটিয়ে দিত নারীরাও তা–ই করত৷ এই অবস্থা চলেছিল যখন মানুষ সমাজ বলতে কোন কিছুই গড়েনি তখন তো বটেই, তার পরেও মাতৃশাসনের যুগেও৷ কিন্তু যখনই পিতৃশাসিত সমাজ ব্যবস্থা এল তখনই নারীর অধিকার ক্রমশঃ সঙ্কুচিত করা হতে থাকল৷ গোড়ার দিকে ঠিক করা হ’ল মেয়েরা ততটুকু স্বাধীনতা ভোগ করবে যতটুকু বিবাহের পরে তার শ্বশুরকুল তাকে ভোগ করতে দেবে বা বিবাহের পূর্বে পিতৃকুল তাকে যে সুযোগটুকু দেবে৷

নববর্ষের শপথ

প্রভাত খাঁ

নব বরষের নব প্রভাতে

মাগো! তোমারে প্রণমি

অরুণ আলোতে৷ জীর্ণ

শীর্ণ শুভ্র কেশে ক্লান্ত নয়নে

মিষ্টি হেসে, চেয়ে আছ

তুমি মোর মুখপানে৷

স্নিগ্দ মধুর তোমার

বয়ানে অশ্রু রেখা কেন

গো মা, তব ব্যথিত নয়নে!

হৃদয়ে আমার হানিছে

আঘাত, লজ্জায় মরি,

গ্লানি ভরা মন কাঁপে থরথরি৷

রক্তচোষা বাদুড়ের দল

যারা করে চলে

সদাই শোষণ, নিষ্ঠুর

আঘাতে যেন হতভাগ্য

সন্তানেরা পারে বদলা নিতে৷

তোমার রাতুল চরণে

মাগো এই বর মাগি

---ধৈর্য দাও, বল দাও যেন

জীবন ত্যজিতে পারি

নববর্ষের নোতুন আলো

আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত

নববর্ষের নোতুন আলো

নাশুক সবার মনের কালো

হিয়ার মাঝে প্রদীপ জ্বেলে

তন্দ্রা ভেঙ্গে জাগিয়ে দিলে৷

প্রাণের পরাগ ছড়িয়ে দিলে

স্বপ্ণলোকের সুর শোনালে

কে তুমি মোর মন রাঙালে?

বিশ্বদোলায় সবে দোলালে৷

মধুর পরশে হরষে মাতালে

আলোর পথের দিশা দেখালে

বললে সবে এগিয়ে চল

নোতুন পৃথিবী গড়ে তোল৷

 

বৈশাখের পয়লা

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

বাঙালী হিন্দুর নববর্ষ পয়লা বৈশাখ৷ প্রাচীনকালে হত অগ্রহায়নে৷ হায়নের অর্থ বৎসর৷ অগ্র হচ্ছে প্রথম৷ অর্থাৎ বৎসরের প্রথম মাস৷ গীতায় অগ্রহায়নকে বলা হয়েছে মার্গশীর্ষ৷ এককালে এই মার্গশীর্ষ বা অগ্রহায়ন ছিল বছরের প্রথম মাস৷ মার্গশীর্ষ নক্ষত্রে পূর্ণ চন্দ্রের উদয় হলে সেই পূর্ণিমাকে বলে মার্গশীর্ষী পূর্ণিমা৷ এই মার্গশীর্ষী পূর্ণিমার জন্যই মাসটির নাম মার্গশীর্ষ৷ অগ্রহায়ন মাসে সূর্যাস্তের পর এই নক্ষত্রে পূর্ণচন্দ্রের উদয় হয়৷ অতএব, বছরের প্রথম মাস ছিল অগ্রহায়ণ৷

বাঙলার সাল গণনা ঃ ১লা বৈশাখ

সুকুমার সরকার

১লা বৈশাখটাকে হয়তো বা চিনি! তারপর সারা বছর বাংলা মাসের কবে কোন তারিখ বোধ করি বলতে পারব না৷ না, এতে আমার কোন দীনতা নেই! কিংবা আমার দোষও নয়! আসলে ব্যবহারিক জীবনে বাঙলা সাল তারিখের ব্যবহার বর্তমানে নেই বললেই চলে৷ কেবল বাড়ীতে মেয়েরা ব্রত-আচার, পুজো-পাঠ করে তিথি বার দেখে৷ বাঙলায় বড় বড় যে পূজা-উৎসব পালিত হয়, তা সব করে থাকেন পুরোহিতরা পাঁজি পুঁথি দেখে৷ আমরা শুধু কপালে তর্জনী ঠেকিয়ে প্রণাম করি৷ আর একটি দিন শুধু মনে রাখি তা হ’ল ১লা বৈশাখ৷

কমনওয়েলথ, এশিয়ান গেমসের ট্রায়ালে অংশ নেবেন না সাইনা

ভারতীয় দল নির্বাচনী ট্রায়ালে অংশ নেওয়ার অর্থ সাইনা থাকবেন না থমাস এবং উবের কাপের দলেও। কারণ এই সব প্রতিযোগিতার জন্য এক বারই ট্রায়াল হবে। কমনওয়েলথ গেমসের দলে থাকবেন মোট ১০ জন ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়। পাঁচ জন করে পুরুষ ও মহিলা খেলোয়াড় থাকবেন। এশিয়ান গেমস, থমাস কাপ এবং উবের কাপের ভারতীয় দলে থাকবেন ২০ জন ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়। ১০ জন করে পুরুষ এবং মহিলা খেলোয়াড় সুযোগ পাবেন।

ফের কমনওয়েলথের আসর অস্ট্রেলিয়ায়

২০২৬ সালের কমনওয়েলথ গেমস হবে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়ায়৷ মঙ্গলবার সে দেশের সরকার এ কথা ঘোষণা করেছে৷ ভিক্টোরিয়া প্রশাসনের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের কমনওয়েলথ গেমস আয়োজনের দায়িত্ব ভিক্টোরিয়াকে দেওয়ায় আমরা গর্বিত৷ গোটা বিশ্বকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি৷ আশা করছি খুব ভাল একটি প্রতিযোগিতা হবে৷

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্যের বিরুদ্ধে লড়বে বাঙালী ছাত্রযুব সমাজ

গত ৯ই এপ্রিল বা h¡P¡m£ ছাত্রযুব সমাজের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্রী পার্থ রায় জানান  --সারাদেশে হিন্দী ভাষাকে  ব্যবহার করার কথা বলে বিতর্ক সৃষ্টি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে, সরকারি ভাষা হিসেবে ইংরেজির পরিবর্তে হিন্দী ভাষাকে আরো ব্যাপকভাবে ব্যবহার করার কথা ভাবছে সরকার । কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এহেন মন্তব্য কে ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর পক্ষে ক্ষতিকর তথা পরিপন্থী বলে মন্তব্য করেন 'বাঙালী ছাত্র-যুব সমাজ' কেন্দ্রীয় সচিব তপোময় বিশ্বাস ।