April 2022

নোতুন পৃথিবী কার্যালয়ে পদার্পণ দিবস

 ১৯৭৯ সালের ১১ই মার্চ প্রাউট দর্শনের প্রবক্তা শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার (আধ্যাত্মিক জগতে যিনি শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তি নামে পরিচিত) নোতুন পৃথিবী কার্যালয় পরিদর্শনে এসেছিলেন৷ প্রতিবছর এই দিনটি নোতুন পৃথিবী কার্যালয়ে পদার্পণ দিবস পালন করা হয়৷

এই বছরেও এই দিন সকাল থেকেই প্রভাত সঙ্গীত, তিনঘন্টা অখণ্ড ‘বাবা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন, নগর কীর্ত্তন, নারায়ণসেবা নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল৷

অর্থনীতিতে প্রাউটের যুগান্তকারী সংযোজন গণঅর্থনীতি ও মানসঅর্থনীতি

প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্সালের কেন্দ্রীয় সংঘটন সচিব আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত এক আলোচনায় বলেন---বর্তমান সামাজিক-অর্থনৈতিক সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে হলে ও অর্থনীতিকে সর্ব-সাধারণের সার্বিক কল্যাণে প্রয়োগ করতে প্রাউটিষ্টদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে৷ কেন্দ্রিত অর্থনীতির খোলনলচে পাল্টে প্রাউটের বিকেন্দ্রীত অর্থনৈতিক পরিকল্পনা রূপায়ন করতে হবে৷ তবে প্রাউটিষ্টদের প্রথম কাজ প্রতিটি মানুষের জীবন ধারণের  ন্যূনতম প্রয়োজন পূর্তির নিশ্চিততা দিতে হবে ও মানুষকে সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক সচেতন করে তুলতে হবে৷ নতুবা ধুরন্ধর নেতারা জনসাধারণকে ভুলপথে চালিত করবে ও জনগণ শোষক পুঁজিপতিদের পালিত নেতাদের চিনতে ভুল করবে৷

গোড্ডায় ধর্মমহাসম্মেলন

গত ১২ ও ১৩ই মার্চ ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় দুই দিনের ধর্মমহা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷ এই  সম্মেলনে প্রত্যহ সকাল সন্ধ্যে মার্গগুরুদেবের প্রতিনিধি আচার্য সর্বেশ্বরানন্দ অবধূত আনন্দমার্গ দর্শনের আধ্যাত্মিক বিষয়ের ওপর মনোজ্ঞ বক্তব্য রাখেন৷ দু-দিনের এই সম্মেলন উপলক্ষ্যে ৪৮ ঘন্টা ‘অখণ্ড ‘বাবা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা গোড্ডা শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে৷ প্রত্যহ সন্ধ্যায় সাংসৃকতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল৷ এই অনুষ্ঠানে প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে নৃত্য-গীত গীতিনাট্য পরিবেশন করে রেনেসাঁ আর্টিষ্ট এ্যাণ্ড রাইটার্স এ্যাসোসিয়েশনের শিল্পীবৃন্দ৷

শ্রমমন্ত্রকের প্রতিবেদনে প্রকাশ অর্থমন্ত্রীর দাবী অসার

লাগামছাড়া মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে বিরোধীদের দাবীকে কটাক্ষ করে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেছিলেন-মূল্যবৃদ্ধির দুর্ভোগ ও চাপ বাস্তবে নেই৷ সব বিরোধীদের মনগড়া অভিযোগ৷ সংসদে বাজেট আলোচনায় অর্থমন্ত্রী বলেছেন---সাধারণ মানুষ পাইকারী মুল্যবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বিগ্ণ নয়, সাধারণ মানুষের চিন্তা খুচরো পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে৷ মোদি সরকার খুচরো পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি কঠোর নিয়ন্ত্রণে রেখেছে৷ ১৪ই মার্চ সংসদে সরকারী পরিসংখ্যান বিভাগের প্রকাশিত প্রতিবেদন অর্থমন্ত্রীর ওই দাবীকে অসার প্রমাণ করে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিরোধীদের আশঙ্কাকেই মান্যতা দিয়েছে৷ সংসদে দেওয়া অর্থমন্ত্রীর বিবৃতি নস্যাৎ করে পরিসংখ্যান বিভাগের প্রতিবেদনে প্রকা

কৃষ্ণনগরে নীলকন্ঠ দিবস পালন

প্রতি বছরের মত এ বছরও মহা সমারোহে ১২ই ফেব্রুয়ারি ২২ শনিবার নদীয়া জেলা আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘ মহিলা বিভাগ আয়োজিত জেলার সমস্ত আনন্দমার্গী দাদা-দিদি, ভাই-বোন সকলের আন্তরিক  উৎসাহ উদ্দিপনায় ‘‘নীলকন্ঠ দিবস’’ উদযাপিত হয়, কৃষ্ণনগর শহরের ঘূর্ণী শ্যাকরাপাড়া আনন্দমার্গ স্কুলে (মহিলা বিভাগ পরিচালিত) এই উপলক্ষ্যে সকাল ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ছয় ঘন্টা ব্যাপী মানবমুক্তি মহামন্ত্র অখণ্ড ‘‘বাবা নাম কেবলম্‌’’ নাম সংকীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ প্রভাত সঙ্গীত ও অখণ্ড কীর্ত্তন পরিচালনা করেন ব্রহ্মচারিনী শুদ্ধা আচার্যা, অবধূতিকা আনন্দ অভিধ্যানা আচার্যা, অনুপ্রিয়া দেব, কৌশিক সরকার, তাপসী মুখোপাধ্যায়৷ কীর্ত্তন শেষে ম

প্রাউটের পথেই প্রতিষ্ঠিত হবে প্রগতিশীল সমাজ

প্রভাত খাঁ

বর্তমান কেন্দ্র সরকার ধনীদের মাথায় তুলে নাচে তাই পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র লোক সংখ্যার অনুপাতে সেখানে বর্তমান আর্থিক বছরে যে বাজেট হয়েছে সেখানে সাধারণ জনগণের জন্য ছিটে ফোঁটা কোন সুবিধার কথা ভাবা হয়নি৷ তাই ভারতের বাণিজ্য রাজধানী মুম্বাই এতে শিল্প মহলের কর্র্ত্তদের সঙ্গে আলোচনা কালে অর্থমন্ত্রী মাননীয়  সীতারমন ও তাঁর দলবল প্রচণ্ড ক্ষোভের মুখেই পড়েন৷ শিল্পপতিরা বর্ত্তমান বাজেটে মোটেই সন্তুষ্ট হননি৷ কারণ অতিসাধারণ যেটা জরুরী শিল্প মহলের তা হলো দেশের বৃহত্তম জন সাধারণ এর হাতে যদি অর্থ না থাকে শিল্পপতিদের শিল্পজাত ভোগ্যপন্য বাজারে কিনবে কে? দেশের গ্রামীন অর্থনীতির ?

দোল উৎসব প্রসঙ্গে

যারা অনন্যমনসা–অনন্যভাক্ হয়ে পরমপুরুষের ভজনা করে, জাগতিক অন্যান্য চিন্তা–ভাবনাকে পরিত্যাগ করে মানসচিন্তায় সুকোমল মসৃণতা নিয়ে কেবল পরমপুরুষের দিকেই এগিয়ে যায় তারা গোপী৷ এই রকম ধরণের গোপীদের ছবি আঁকা যায় না৷ কারণ গোপীর গোপীত্ব তার অন্তরের সুকোমল ভাবরাজি, তার অন্তরের অন্তঃস্থলে নিহিত৷ এটা একেবারে ভেতরের জিনিস–মনের জিনিস৷ এই ধরণের ভক্তি ভাবসমন্বিত গোপীদের ভাষাও ব্যক্ত করা যায় না৷

আজকের বিভিন্ন সমস্যাসমূহ ও তাদের সমাধান

বস্তুতঃ উন্নত ধরণের বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করার অর্থই দ্রুত যান্ত্রিকীকরণ৷ প্রাচীনপন্থীরা এই যাত্রিকীকরণ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে মুখর৷ মোদ্দা কথাটা এই যে পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক কাঠামোয় যাত্রিকীকরণের অর্থ-ই জনসাধারণের অধিকতর দুঃখ---অধিকতর বেকারী৷ এজন্যেই প্রাচীনপন্থীরা এর বিরোধী৷ পুঁজিবাদকে না হটিয়ে জনকল্যাণ করতে গেলে যান্ত্রিকীকরণের বিরোধিতা করতেই হবে৷ কারণ যন্ত্রের উৎপাদিকা শক্তি দ্বিগুণ বেড়ে গেলে মনুষ্য শক্তির প্রয়োজন ঠিক অর্ধেকে নেবে যায়, আর তাই পুঁজিবাদীরা তখন বাপকভাবে কারখানায় শ্রমিক ছাঁটাই করে৷ অল্পসংখ্যক আশাবাদী লতে পারেন, ‘‘অবস্থার চাপে পড়ে মানুষ এই উদ্বৃত্ত শ্রমিক দলকে ভিন্ন কাজে নিয়

যথার্থ উন্নয়নের চাবিকাঠি

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

সংসদে শ্রম দপ্তরের তথ্যে প্রকাশ দেশে বেকারত্বের জ্বালায় আত্মহত্যার প্রবণতা বেশী৷ বছর দুয়েক আগে কেন্দ্রীয় সরকারের ন্যাশন্যাল সাম্পেল সার্ভের রিপোর্ট থেকে জানা যায় গত ৪৫ বছরের মধ্যে দেশে গত ২০১৭-১৮ সালে বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশী৷ আর তা হলো ৬.১ শতাংশ৷ ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে ১৫ থেকে ২৯ বৎসর বয়সীদের মধ্যে বেকার সমস্যা ভয়ঙ্কর৷ মোদিজীর ক্ষমতায় আসার আগে ২০১১-১২ আর্থিক বছরে বেকারত্বের হার ছিল যুবক যুবতীদের মধ্যে যথাক্রমে ৫ শতাংশ ও ৪.৮ শতাংশ৷ আর ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে গ্রামীণ যুবক যুবতীদের মধ্যে বেকারত্বের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১৭.৪ শতাংশ ও ১৩.৬ শতাংশ৷ আর শহরের যুবক যুবতীদের মধ্যে বেকাত্বের হার হয়

উন্নয়নের স্বার্থে দলবাজী  বন্ধ হোক

নিরপেক্ষ

পশ্চিমবঙ্গের যে সম্প্রতি নির্বাচন হলো তাতে প্রায় ৪৭টি স্থানে যেভাবে ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু উদ্দেশ্য প্রণোদিত ব্যষ্টি হামলা চালিয়ে ও বোটযন্ত্র আক্রমণ করে ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে ও নির্বাচনে কর্ত্তব্যরত বোটকর্মী ও আমাদের দেশেরই সেই পুলিশের যারা  নির্বিঘ্নে বোট দানপর্ব যাতে শান্তিতে সম্পাদিত হয় তার  জন্য কর্ত্তব্যে রত তাঁদের উপর যেভাবে আক্রমন করা হয়েছে ও কিছু কিছু বোটগ্রহণকারীদের উপর শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে সেটা যে সমগ্র পশ্চিম বাংলার চরম লজ্জা সেটাকে কী অস্বীকার  করা যায়?