June 2022

প্রাউটের দৃষ্টিকোন থেকে বাঙলায় শোষণের স্বরূপ

ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের অবসানের পর ১৯৪৭ সালে ৰাঙলা বিভাগের মধ্য দিয়ে এল ভারতীয়–সাম্রাজ্যবাদ্ শোষণের যুগ৷ স্বাধীনতা লাভের প্রথম পর্বে ক্ষুদ্র পশ্চিমবঙ্গ ছিল ভারতের অন্যান্য রাজ্য থেকে সবচেয়ে বেশী অগ্রসরমান রাজ্য৷ পশ্চিমবঙ্গের আঞ্চলিক আয় ছিল অন্যান্য রাজ্যের আঞ্চলিক আয় অপেক্ষা বেশী৷ বহু ৰাঙলার শিল্পপতি তখনও পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতিতে বিরাজ করত৷ বহিরাগত শোষকেরা তাদের পরিকল্পনা মাফিক পশ্চিম ৰাঙলার শিল্প ও বাণিজ্যের বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে থেকে ৰাঙলার শিল্পপতিদের উৎখাত করতে শুরু করে৷ স্বাধীনতাপ্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গেই ৰাঙলা–বঞ্চনার কাজ নির্দিষ্ট পরিকল্পনা মাফিক শুরু হয়ে যায়৷ স্ব

উদ্দীপনাপূর্ণ আধ্যাত্মিক পরিবেশে পালিত হ’ল শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী জন্মতিথি উৎসব আনন্দপূর্ণিমা

গত ১৬ই মে ছিল বৈশাখী পূর্ণিমা৷ বিশ্বের আনন্দমার্গীদের কাছে এই দিনটি আনন্দপূর্ণিমা হিসেবে পরিচিত৷ ১৯২১ সালের এই বৈশাখী পূর্ণিমাতে জন্ম নিয়েছিলেন শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী৷ যিনি লৌকিক জীবনে শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার নামে পরিচিত৷ বিশ্বের প্রতিটি আনন্দমার্গ ইয়ূনিটে এই দিনটি আনন্দপূর্ণিমা তিথি হিসেবে পরমভক্তি ও শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করেন আনন্দমার্গীরা৷

আত্মকেন্দ্রিক ও মুনাফালোভী মনস্তত্ত্বই আর্থিক বিপর্যয়ের কারণ

দেশ আজ চরম আর্থিক বিপর্যের সম্মুখীন৷ পাইকারী ও খুচরো পণ্যমূল্য বৃদ্ধির হার সবের্র্বচ্চ স্তরে পৌঁছে গেছে৷ বিভিন্ন আর্থিক সংস্থা, অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ ও সরকারী পরিসংখ্যানেও দেশে আর্থিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা৷

অর্থনীতিবিদদের সমীক্ষা ছাপিয়ে গেল সরকারী পরিসংখ্যানে আর্থিক বৃদ্ধির গতি স্তব্ধ হবার আশঙ্কা

অর্থনীতিবিদদের সমীক্ষায় বলা হয়েছিল এপ্রিল মাসে পণ্যের পাইকারী মূল্য ১৪.৪৮ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেতে পারে৷ কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকাশিত পরিসংখ্যানে অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাস ছাপিয়ে গেল, যা আর্থিক বৃদ্ধির গতিকে স্তব্ধ করে দিতে পারে৷ এর প্রভাব খুচরো পণ্যের উপরও পড়বে৷ এর ফলে সাধারণ মানুষের  আর্থিক দুর্দশা আরও বাড়বে৷

রবীন্দ্রনাথ, ঊনিশে মে ও বাংলাভাষা

রবীন্দ্রনাথ, ঊনিশে মে ও বাংলাভাষা

বঙ্গভঙ্গ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ভীষণভাবে পীড়া দিয়েছিল৷ তাই বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে সকল বাঙালীকে একত্রিত করতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রচলন করেছিলেন ‘রাখি বন্ধন’ উৎসবের৷ যা আজও পালিত হয়ে থাকে৷ তবে কালক্রমে বঙ্গভঙ্গ কিন্তু হয়েই গেছে৷ সেই ভাঙ্গা বাংলার গানও লিখে গেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর৷

    ‘‘মমতাবিহীন কালস্রোতে

    বাংলার রাষ্ট্রসীমা হতে

    নির্বাসিতা তুমি

    সুন্দরী শ্রীভূমি–’’

ভক্তির সর্ব্বোচ্চ ধাপ

‘আমি পরমপুরুষের দাসানুদাস, তাঁর কাজ তিনিই করছেন, আমি তাঁর যন্ত্রমাত্র’–এই যে মানসিকতা একেই বলে ‘প্রপত্তি’৷ ‘প্রপত্তি’ শব্দের ব্যুৎপত্তি হ’ল ঃ প্র–পত্  ক্তিন্ ঞ্চ প্রপত্তি৷ প্রপত্তিভাবের সাধক দুঃখকে দুঃখ, সুখকে সুখ বলে আদৌ মনে করেন না বস্তুতঃ সুখ–দুঃখকে তিনি সমভাবে প্রসন্নচিত্তে গ্রহণ করেন৷

প্রদমন, অবদমন ও দমন

কম্যুনিষ্ট রাষ্ট্রগুলিতে তোমরা প্রদমন, অবদমন ও দমনের একটা ত্রিভুজ পুরোপুরি কার্যকরী দেখতে পাবে৷ এই তিনটি ত্রুটির ওপর কম্যুনিজম আধারিত৷ কিন্তু এই তিনটি ত্রুটির মধ্যে সব চাইতে বেশি ঘটেছে দমন, তারপর ঘটেছে অবদমন ও সব চাইতে কম ঘটেছে প্রদমন৷ এই প্রদমন, অবদমন ও দমনের ফলে সৃষ্ট শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা থেকে জনসাধারণকে অবশ্যই মুক্তি দিতে হবে৷ এই তিনটি মানসিক পীড়ন মানুষের মনকে ভেঙ্গে চুরে তছনছ করে দিয়েছে৷

পরিপূর্ণ আনন্দপ্রাপ্তির পথে

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

১৯২১সালের পূর্ণিমা শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী জন্মতিথি  আর এই কারণে, এই বৈশাখী পূর্ণিমার এই পুণ্যতিথিটি আনন্দমার্গের অনুগামীদের কাছে ‘আনন্দপূর্ণিমা’ রূপে পরিচিত৷ মানবসমাজে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী অবদান কী–তা আমাদের জানতে হবে৷ তবে আমরা এই আনন্দপূর্ণিমার তাৎপর্য উপলব্ধি করতে পারব৷

বিপন্ন গণতন্ত্র বিপন্ন দেশ---উদ্ধারে এগিয়ে আসতে হবে তরুণ তরুণীদের

প্রভাত খাঁ

দীর্ঘ ৭৪ বছর পর এই হতভাগ্য পশ্চিমবাঙলা ও সারা ভারতের রাজ্যগুলির ও খোদ দিল্লীর যে আইন শৃঙ্খলা ও আর্থিক উন্নয়নের বহর তাতেই বোঝা যায় এদেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থার কতটা অধঃপতন ঘটেছে৷ শুধু নোংরা রাজনৈতিক কাজিয়া চলছে৷ সারা রাষ্ট্রের আর্থিক দুরবস্থার সংবাদ সারা পৃথিবী জানে৷ এরা সর্বদা কেন্দ্র কি রাজ্য, সার্বিক উন্নতির ফাটা ঢাক পিটিয়ে চলেছে৷ কিন্তু বিভিন্ন আর্থিক সমস্যার  প্রতিবেদন মোটেই আশাব্যঞ্জক নয়৷ বরং চরম হতাশার৷

আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে

একর্ষি

বৈষম্য-অসাম্য আর বৈচিত্র্য পার্থক্য এক ব্যাপার নয়। বৈচিত্র্য-পার্থক্য বলতে সত্তা থেকে সত্তার  স্বরূপগত ভিন্নতা  অর্থাৎ   অস্তিত্বগত-গঠনগত-গুণগত ভিন্ন ভিন্ন স্বাতন্ত্র্য  পরিচয়। আর বৈষম্য-অসাম্য  বলতে ওই  স্বাতন্ত্র্য পরিচয়কে  প্রকৃতিদত্ত সমতা-সম্মানকে   মান্যতা না দিয়ে    বিরূপাত্মক,অবৈজ্ঞানিক, অমানবিক , বিদ্বেষমূলক বৈবহারিক দৃষ্টিভঙ্গী ও বহিঃপ্রকাশ। যেমন  বর্তমান ভারতবাসী বলতে আর্য-অনার্য, শক-হূন-মোঙ্গল-পাঠান, নিগ্রো-অষ্ট্রিক-দ্রাবিড়-মঙ্গোলীয় রক্তের মিশ্রণজাত শঙ্কর জনগোষ্ঠী। কিন্তু সকল ভারতবাসীই  ভারত সন্তান, 'অমৃতস্য পুত্রাঃ' -  এটাই হল বৈচিত্র্যের স্বীকৃতি। এখানে মানুষে মানুষে পার্থক্য আ