June 2022

সম-সমাজ তত্ত্ব

চলা জগতের ধর্ম৷ চলে চলেছে বলেই এই পৃথিবীর নাম জগৎ৷ ‘গম’ ধাতুর উত্তর ক্কিপ্‌ প্রত্যয় করে ‘জগৎ’ শব্দ নিষ্পন্ন যার মানে হ’ল---চলা যার স্বভাব৷ ব্যষ্টিগত জীবনে যেমন চলতে হয় সমষ্টিগত তথা সামূহিক জীবনেও তেমনি চলতে হয়৷ কিন্তু এই যে চলা, এই চলার জন্যে তিনটে জিনিসের প্রয়োজন আছে৷ একটা হচ্ছে---চলার জন্যে একটা সম্প্রেষণ, পেছন থেকে একটা ধাক্কা৷ যখন চলাটা বন্ধ হয় তখন ধাক্কা দিয়ে বলতে হয় চল চলতে হবে৷ দ্বিতীয়তঃ নিজে যে চলবে তার চলার সামর্থ্য থাকা চাই অর্থাৎ চলার উপযুক্ত রসদ তার থাকা চাই৷ নইলে সে চলবে কী করে? আর তৃতীয় হচ্ছে ঃ চলছে একটা লক্ষ্যের দিকে৷ এই তিনটে জিনিস চাই৷

মানুষকে বিশ্বমানব হয়ে উঠতে হবে

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

সম্প্রতি এক রাজনৈতিক নেত্রীর ধর্মীয় উস্কানিমূলক মন্তব্য দেশ ও দেশের বাইরে ভারত সরকারকে যথেষ্ট বিব্রত হতে হয়েছে৷ এমন নয়, এই নেতারা বেআক্কেলের মতো এমন মন্তব্য করেছে৷ তারা জেনে বুঝে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে ও কর্মীদের চাঙ্গা করতে কখনো ও কখনোও রাজনৈতিক নেতাদের এই ধরণের মন্তব্য করতে হয়৷ আদর্শহীন ও আত্মকেন্দ্রিক রাজনীতির এটাই ধারা৷

ভারতে যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থায় গণতন্ত্রকে সঠিকভাবে পরিচালনা করুক শাসকগণ

প্রভাত খাঁ

গত শতাব্দীর পাঁচ দশকের মাঝামাঝি ভারতবর্ষ সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে ভাগ হয়৷ পাকিস্তান আর ভারতযুক্তরাষ্ট্র, হিসাবে মুসলমানদের ইসলাম ধর্মমত ভিত্তিক রাষ্ট্র হয় পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান আর ডানাকাটা পাখির মতো ভারতযুক্ত রাষ্ট্রে সৃষ্টি হয়৷ এই ভারত যুক্তরাষ্ট্র হয় ধর্মমত নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসাবে৷ যদিও সাম্রাজ্যবাদী ইংরেজ ষড়যন্ত্র করে এর নাম দেয় হিন্দুস্তান৷ যদিও হিন্দু ধর্মমত ভিত্তিক রাষ্ট্র বলে ভারতকে অর্থাৎ ভারত যুক্তরাষ্ট্রকে সংবিধান মান্যতা দেয়নি৷ মনে রাখতে হবে৷ যদিও  সমগ্র মানব সমাজের ধর্ম হলো এক অবিভাজ্য৷ আর সেই এক ঈশ্বর যাকে ঈশ্বর, আল্লা ও গড় নামেই অভিহিত করা হয়৷ কারণ একই পৃথিবী, একই চন্দ্রসূর

আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে ।

একর্ষি

আজকের যুগে দারিদ্র্যই মানবব্জাতির  বৃহত্তম সমস্যা ----  এ কথা আগেই বলা হয়েছে । আর গরিবের অবস্থার পরিবর্তনের  এক উপায় হল নিজের ন্যূনতম প্রয়োজনপূর্ত্তির দায়ে ও সুখ-সুবিধা লাভার্থে নিজের যোগ্যতায় ও ক্ষমতায় উপার্জন করে নিজের আর্থ-সামাজিক অবস্থা পালটানো   । মোটকথা উন্নয়নই হচ্ছে  দারিদ্র্য মোচনের  হাতিয়ার  । তবে উন্নয়নের  ঠিকুজি নিয়ে প্রথাগত অর্থনীতিতে মতান্তরের অন্ত নেই ।  এক সময় গড় মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিকে  উন্নয়নের  সূচক ধরা হ'ত , বর্তমানে জিডিপি ( গ্রস্‌ ডোমেস্‌টিক্‌ প্রোডাক্ট্‌ ) বৃদ্ধি তার জায়গা নিয়েছে । রাষ্ট্রীয় স্তরে  এর নাম দেয়া হয়েছে  গ্রোথ্‌ বা প্রবৃদ্ধি , এবং নাগরিকদের ক্ষেত্রে এটাকেই উন

অগ্ণিপথ–গ্ণিবীর নয়, ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ‘‘বাঙালী’’ রেজিমেন্ট পুনর্ঘটন চাই

তপোময় বিশ্বাস 

পাঠকবর নিশ্চয়ই অবগত আছেন গত কয়েকদিন পূর্বে কেন্দ্রীয় মোদী সরকার ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ‘অগ্ণিপথ’ নামক চুক্তি ভিত্তিক সেনা নিয়োগের এক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ দেশের বিভিন্ন রাজ্যের বাসিন্দা, মূলত যুবকবৃন্দ এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় বিক্ষোভ প্রদর্শন অবশ্যই সাংবিধানিক অধিকার স্বীকৃত৷ কিন্তু বিক্ষোভকারীরা চরম হিংসাত্মক তথা ধংসাত্মক পথে  বিক্ষোভের নামে দেশের সম্পদকে ধ্বংস করেছে তা কখনোই কাম্য নয়৷ বিহার সহ দেশের  বিভিন্ন প্রান্তে ট্রেন/গণপরিবহন জ্বালিয়ে দেওয়া, অবরোধের নামে জনসাধারণ আটকে পড়েছেন, বাড়ী ফিরতে পারছেন না৷ এসব কিছু আপনারা টেলিভিশনে দেখেছেন বা কেউ কেউ পরিস্থিতির শিকারও হয়েছেন৷ ‘অগ্ণিপথ’ নামক বিজেপ

অসমে বন্যাত্রাণে আনন্দমার্গ রিলিফ টিম

অসমে সম্প্রতি বন্যা বিপর্যস্ত গুয়াহাটি হোজাই শিলচরে আনন্দমার্গ ইয়ূনিবার্র্সল রিলিফ টিম ব্যাপক ত্রাণকার্য করছে৷ গত এক সপ্তাহ বন্যার্তদের হাতে রান্না করা খাবার, শুকনো খাবার, ত্রিপল ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস তুলে দিচ্ছে এ্যামার্ট টিম৷ এ্যামার্টের এই কাজে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে শিলিগুড়ি সূর্যসেন কলেজের ছাত্ররা৷ অবধূতিকা আনন্দ অরুন্ধুতী আচার্যা, অভিজিৎ ও প্রদীপ এই ত্রাণ কাজ পরিচালনা করছেন৷

আমরা বাঙালীর বিক্ষোভ

বাঙলা ভাঙার কেন্দ্রীয় চক্রান্তের  বিরুদ্ধে  ‘আমরা বাঙালী’র পক্ষ থেকে ২০শে জুন ২০২২ বাগবাজার বাটার মোড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়৷ বক্তব্য রাখেন-সচিব জ্যোতিবিকাশ সিনহা, নরেশ রায়, সাংঘটনিক সচিব জয়ন্ত দাশ, যুব সমাজ সচিব তপোময় বিশ্বাস, অরূপ মজুমদার কলকাতা জেলা সচিব হিতাংশু ব্যানার্জী, বাপী পাল প্রমুখ বাঙলা ভাগের চক্রান্তের বিরুদ্ধে ১৯শে জুন ২০২২ বিরাটিতে ‘আমরা বাঙালী’র বিক্ষোভ মিছিল৷ নেতৃত্বে ছিলেন, জয়ন্ত দাশ, বিকাশ বিশ্বাস, তপোময় বিশ্বাস, সাগরিকা পাল, অরূপ মজুমদার প্রমুখ নেতৃবৃন্দ৷

দুর্লভপুরে চিকিৎসা শিবির

গত ১৯শে জুন বাঁকুড়া দুর্লভপুর আনন্দমার্গ স্কুলে একটি নিঃশুল্ক চিকিৎসা শিবিরের আয়োজন করা হয়৷ বিভিন্ন রোগের অভিজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে প্রায় ৮০০ রোগীর চিকিৎসা হয় উক্ত শিবিরে৷ শিবিরের উদ্বোধন করেন আচার্য ভবেশানন্দ অবধূত৷ এছাড়াও আভা সেবাসদন নামে একটি স্থায়ী স্বাস্থ্যকেন্দ্র খোলা হয়েছে ওই আনন্দমার্গ স্কুলে৷ সেখানে প্রতিদিন বিভিন্ন অভিজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ সমস্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন স্কুলের অধ্যক্ষ আচার্য সত্যনিষ্ঠানন্দ অবধূত, সহশিক্ষক বৃন্দ ও স্থানীয় মার্গী ভাইবোনেরা৷

রামায়ণের চরিত্র

একটু আগেই বলেছি, ‘খর’ শব্দের একটি অর্থ ‘রাক্ষস’৷ যতদূর মনে হয় প্রাচীনকালের আর্যরা অষ্ট্রিক–নিগ্রোয়েড বা দ্রাবিড়গোষ্ঠীভুক্ত মানুষদের রাক্ষস বলে অভিহিত করতেন৷ কারণ, তাঁদের নিজেদের লেখাতেই ধরা পড়ে যে রাক্ষসদেরও উন্নতমানের সভ্যতা ছিল৷ তারা বড় বড় শহর–নগরীর  পত্তন করেছিল....তারা ধর্মাচরণ করত....তারা শিবভক্ত ছিল....তারা শিবের আশীর্বাদে অমিত প্রতিভা ও শক্তিসম্পদের অধিকারী হয়েছিল৷ তাদের হেয় করবার জন্যে বিভিন্ন পুস্তকে তাদের সম্বন্ধে বহু অবাঞ্ছিত মন্তব্য কর হয়েছে৷ তবে হ্যাঁ, একথাটি ঠিকই যে তারা আর্যদের বেদ ও যাগ–যজ্ঞের বিরোধী ছিল৷ আর সম্ভবতঃ যজ্ঞে মূল্যবান খাদ্যবস্তুর অপচয় হ’ত বলে তারা কোথাও যজ্ঞানুষ