ভারতে যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থায় গণতন্ত্রকে সঠিকভাবে পরিচালনা করুক শাসকগণ

লেখক
প্রভাত খাঁ

গত শতাব্দীর পাঁচ দশকের মাঝামাঝি ভারতবর্ষ সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে ভাগ হয়৷ পাকিস্তান আর ভারতযুক্তরাষ্ট্র, হিসাবে মুসলমানদের ইসলাম ধর্মমত ভিত্তিক রাষ্ট্র হয় পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান আর ডানাকাটা পাখির মতো ভারতযুক্ত রাষ্ট্রে সৃষ্টি হয়৷ এই ভারত যুক্তরাষ্ট্র হয় ধর্মমত নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসাবে৷ যদিও সাম্রাজ্যবাদী ইংরেজ ষড়যন্ত্র করে এর নাম দেয় হিন্দুস্তান৷ যদিও হিন্দু ধর্মমত ভিত্তিক রাষ্ট্র বলে ভারতকে অর্থাৎ ভারত যুক্তরাষ্ট্রকে সংবিধান মান্যতা দেয়নি৷ মনে রাখতে হবে৷ যদিও  সমগ্র মানব সমাজের ধর্ম হলো এক অবিভাজ্য৷ আর সেই এক ঈশ্বর যাকে ঈশ্বর, আল্লা ও গড় নামেই অভিহিত করা হয়৷ কারণ একই পৃথিবী, একই চন্দ্রসূর্য মানব সমাজকে রক্ষা ও সৃষ্টি মহান স্রষ্টা করেন৷ তাই এক ঈশ্বরই সবার শ্রষ্টা ও রক্ষক৷ শুধু তাই নয় সকল মানুষের যে রং ও  ভাষা হোক না কেন সকল মানুষেরই প্রয়োজন আয়োজন অনুভূতি, আশা  আকাঙ্খা একই৷ তাই আজ পৃথিবী হয়ে গেছে এখ বৃহৎ পরিবার৷  তাই বলা হয় মানব সমাজ এক ও অবিভাজ্য৷ তাই ইউ.এন.ও হলো এর অভিভাবক৷

কিন্তু বর্ত্তমান ভারত যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে গণতন্ত্রের নামে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিতে অসংখ্য রাজনৈতিক দলগুলি শাসনের নামে শোষণ চালাচ্ছে সেটা মোটেই গণতান্ত্রিক নয়৷ কারণ গণতন্ত্র হলো জনগণের তন্ত্র সেখামে মূলতঃ জনগণের কল্যাণ সাধন হবে, কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে যে মূলতঃ ৫টি কারণে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা অর্জন করা হয় সেইগুলি হলো সাধারণ মানুষ শোষণমুক্ত হবে ও বেঁচে থাকার অধিকার নাগরিক হিসাবে পাবে সেই অন্ন,বস্ত্র, শিক্ষা চিকিৎসা ও বাসস্থান এর অভাব সকলেরইপূরণ হবে৷ আর চরম বেকার সমস্যা থেকে নাগরিকগণ মুক্তি পাবে৷ সেইগুলি নিয়েই এদেশে দুর্নীতি পরায়ণ ব্যবসাদারগণ ও ঐসব অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের সমর্থকগণ ধান্দাবাজি করে চলেছে৷ যার কারণে বড়ো জনসংখ্যা বহুল দেশ শোষণ ও আর্থিক দুর্র্ভেগে রক্তশূন্য হচ্ছে৷ দেখা যাচ্ছে শুধু শাসন গণপ্রতিশ্রুতি দিয়ে চলেছে গদী সামলাবার জন্য৷ আর বিশাল দেশ আর্থিক দিক থেকে অতল তলে তলিয়ে যাচ্ছে৷ গত প্রায় আড়াই বছর ধরে কোন  কর্মসংস্থানের হদিশ পাচ্ছে না হতো দরিদ্র জনগণ৷ তাই বিক্ষোভে ফেটে পড়ছে সারা দেশ! কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের হাতে শূন্য পদ পড়ে আছে লক্ষ লক্ষ সংখ্যায় অথচ বেকার যুবতী, যুবকগণ চাকরী পাচ্ছে না৷  আর যদিও কিছু চাকরী পায় তা হচ্ছে অসৎ পথে! বহু লোক চাকরী হারিয়েছে! তাদের সংসার অচল৷ খাদ্য নিয়ে কালো বাজারী, ওষুধের আকাশ ছোঁয়া, শিক্ষা ব্যবস্থাটি চরমভাবে দুর্নীতিগ্রস্থ, তার মান বলতে কিছুই নেই! বাসস্থান নিয়ে যা হচ্ছে তা বলার নয় একদল জোর করে টাকা আদায় করছে বাড়ি করছে কষ্ট করে, যারা তাদের কাছ থেকে৷

ঐ পাঁচটি জিনিষ নিয়ে প্রায় সরকারী বেসরকারী পক্ষ আঁৎ পেতে বসেই আছে৷ এই হলো এদেশের গণতন্ত্র! চাকরি না পাওয়াতে সম্প্রতি সেনা বিভাগে কাজের জন্য অগ্ণিবীরেরা দেশের চরম বিক্ষোভ এতে বোটে পড়েছে৷ সরকারী সম্পত্তি ধবংস করছে৷ রেল সংযোগ বন্ধ৷ লোক নেওয়ার নিয়ম তাতে তারা সন্তুষ্ট নয়৷ যে রাজ্য রাজ্যগুলিতে বিরোধী দল শাসনে আছে কেন্দ্র সেইগুলিকে রাজ্যের প্রাপ্য অর্থ বন্ধ করে দেওয়াতে সেখানে চরম অশান্তির আগুন জ্বলছে৷ ১০০দিনের কাজের টাকা বন্ধ থাকায় হত দরিদ্রগণ দারুণভাবে আর্থিক সমস্যায় ভুগছে চরম দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে৷

দেখে শুনে মনে হচ্ছে এদেশে যেন জনগণের কল্যাণ করার মানসিকতা নেই কোন সরকারেরই৷ যাঁরা আছেন তাঁরা দলবাজিতেই মত্ত৷ গণতন্ত্রে সরকার ও বিরোধী দলের প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা করে দেশের সেবা দেবেন ও আইন প্রণয়ন করবেন তা হচ্ছে না৷ শাসকগণতো অধিকাংশক্ষেত্রেই বিরোধীন্দর কন্ঠরোধ করেই রেখেছেন, শাসনের নামে চলছে অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাচারিতা৷ শাসক যে দলেরই হোন তাকে  তো সেবা দিতে হবে সকলকেই৷ এটাকেই রাজনীতিতে বলে রাজধর্ম৷ সেই রাজধর্ম দীর্ঘ ৭৫ বছরে মনে হয় একমাত্র কেন্দ্রের প্রধানমন্ত্রী প্রাক্তন অটলবিহারী বাজপেয়ী করে গেছেন আর মনে হয় কিছুটা দেখা যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় করার চেষ্টা করছেন৷ মনে হয় সে মানসিকতা পেয়েছেন বাজপেয়ীর কাছ থেকেই কারণ তাঁর শাসনে মমতাজী শাসনের দায়িত্ব পান কেন্দ্রে রেলমন্ত্রী হিসেবে৷ দেখা যায় বিশাল ভারতে সত্যই প্রকৃত দেশ সেবা কোন দলের নেতাই শাসক হিসাবে ঠিকমতো করেন নি৷ তাঁরা দলবাজি করেই গেছেন গণতন্ত্রের নামে৷ বর্ত্তমান কেন্দ্রের প্রধানমন্ত্রী তো যেকটি কাজ করেছে সবকটিতে  ধাক্কাই খেয়েছেন ও খাচ্ছেন৷ নোতুন ভারত কে গড়তে পারে? সকলকে নিয়ে সকলের কল্যাণ কামনা করে যিনি সার্থক দেশ সেবক হতে পারেন তিনিই দেশ গড়তে পারেন৷ সংকীর্ণ মানসিকতার  অন্ধ বিশ্বাসীরা কখনোই কল্যাণ করতে পারে না ও পারবে না৷ তারা শুধু ধবংস করতে পারে৷

আজ যে অবস্থায় মহান ভারত এসে পড়েছে তাকে রক্ষা করতে পারেন  একমাত্র সেই মহান বিশ্ব শ্রষ্ঠা আর কেউ নয়৷ বিশ্বকবি তাই বলেছিলেন---ঐ মহামানব আসে৷ মহান শ্রীকৃষ্ণ এসেছিলেন অনেক বছর আগে ঐতিহাসিক পুরুস হিসাবে তাঁকে কজন বুঝেছিলেন? মহান কবির আহ্বানে যিনি এসেছিলেন তাঁকে ক’জন বুঝেছিলেন আর অন্ধ কুসংস্কারাছন্ন রাতে অন্ধ তাঁরা কি তাঁকে  বুঝতে পেরেছে? তাঁর কুৎসাহই করেছে আর ষড়যন্ত্র করেই গেছে৷ বর্তমানে এমন কাণ্ড হলো যার জন্য সারা পৃথিবীতে মহান ভারতের মাথাটা হেঁটই হলো৷ এমন কোন দেশনেই ভারতকে সমর্থন জানিয়েছে! তাই বিশাল ভারত তার সকল সন্তানই যেন রাজধর্মের পরশ পায় ও ধন্য হয় সেটি মহামানবের সাগর তীর ভারতের শাসকদের সেবায় ধন্য হয় চিরকাল সম্মান করে এই মহানদেশকে৷ তাই ভারতের শাসক হওয়াটা চাট্টিখানিক কথা নয়৷

তাই বলি সেই মহান শ্রীকৃষ্ণ, রাজ্যের নাম উচ্চারণ করাটা কী এতোই সোজা৷ ভারতের সেবক হওয়াটা তাই বড়ই কঠিন ও বড়ই সাধনার ব্যাপার৷

আশা করি ভারতের কথা ভেবে গণতন্ত্রের নামে সকল শাসকগণকেই সবাই সেবা দিতে হবে শোষন করা হয়৷ রাষ্ট্রীয় সম্পদ রাষ্ট্রের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে৷ নিছক দলের স্বার্থে নয় শাসক বিশ্বৈকতাবোধে উদ্বুদ্ধ হোক সাম্রদায়িকতায় নয়৷