July 2022

কেন্দ্রের বাঙালী বিদ্বেষী আচরণ অভিযোগ প্রবাসী বাঙালী শিল্পপতির

সুদুর আমেরিকার লাসভেগাসে অনুষ্ঠিত হলো নর্থ আমেরিকান বেঙ্গলি কনভেনশন৷ সেখানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবাঙলার প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ও বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা অর্থনীতিবিদ অমিত মিত্র৷ ওই কনভেনশনেই আমেরিকান প্রবাসী বাঙালী শিল্পপতি ডাঃ দীপক নন্দী অমিত মিত্রের কাছে কেন্দ্রের বাঙালী বিদ্বেষী আচরণের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন৷ তিনি বলেন বাঙলায় শিল্প স্থাপন করতে কেন্দ্র কোনরকম সহযোগিতা করছে না৷ অথচ বিশেষ কয়েকটি রাজ্যে শিল্প স্থাপনে কেন্দ্রীয় সরকার আগ্রহ প্রকাশ করে৷ ডাঃনন্দী তাঁর মেডিকেল ব্যাক অফিস এ্যাণ্ড প্রসেসিং মেডিকেল ডকুমেন্ট-এর অফিস বাঙলায় খুলতে চায়৷ ডাঃ নন্দী অমিত মিত্রকে বলেন--- বাঙলায় শিল্প

ত্রিপুরায় মানুষের সার্বিক কল্যাণে রাজনৈতিক ধোঁকাবাজি নয়, চাই সর্বরোগের  মকরধবজ ‘‘প্রাউট’’

এইচ.এন.মাহাত

ত্রিপুরায় বিজেপি গত চার বছর আগে একটি স্লোগান,‘‘চলো পাল্টাই’’এর মাধ্যমে সরকারে এসেছিল৷ আজ আমরা ভুলেই  গেছি তিন দশকের সিপিএম সরকারের হারমাদ বাহিনীর সন্ত্রাস তৎসহ দানবীয় শাসন ব্যবস্থার হাত থেকে মুক্তি পেতে পাশাপাশি ত্রিপুরার অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে সাথে  কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে  ত্রিপুরাবাসী, চলো পাল্টাই, বলেছিলাম৷ আজ ত্রিপুরার মানুষের সেই আশা কী পূরন হয়েছে?

পাপ ও পুণ্য

কিছু দিন আগে বাঙ্গালোরে সাধকদের সামনে পাপ ও পুণ্য সম্পর্কে কিছু বলেছিলুম কিন্তু এখানে একটি ছেলে আমাকে অনুরোধ করেছে সে সম্পর্কে আরও কিছু বলবার জন্যে৷ তাই আমি তার ‘আদেশ’ প্রতিপালন করছি মাত্র৷ বলা হয়েছে,

‘‘ত্যজ দুর্জনসংসর্গং ভজ সাধুসমাগমম্৷

কুরুপুণ্যমহোরাত্রং স্মর নিত্যমনিত্যতাম্ ৷৷’’

***

রাজনীতি–সচেতন মধ্যবিত্ত, ছাত্র–যুব ও সাধারণ মানুষই বিপ্লব আনবে

আজ জীবনের সকল ক্ষেত্রেই নীতিহীনতার এক কালো ছায়া দ্রুত ঘনিয়ে আসছে ও তা মানুষের প্রগতির পথে দারুণ অন্তরায় সৃষ্টি করে চলেছে৷ নীতিহীনতার এই আবর্জনা ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করতে চাই প্রচণ্ড শক্তিশালী নৈতিক বল৷ এই দুর্দান্ত নৈতিক বল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কোন সরকারের কাছ থেকে আশা করা যায় না৷ এটা আমরা আশা করতে পারি অরাজনৈতিক পক্ষ থেকে৷ ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত কোন দল বা নেতাদের খামখেয়ালী কাজকর্মকে বাধা দেওয়ার মতো নৈতিক বলের যদি সমাজে অভাব দেখা দেয়, তাহলে যে কোন সরকার–তা সে ফ্যাসীবাদী, সাম্রাজ্যবাদী, সাধারণতন্ত্রী, একনায়কতন্ত্রী, আমলাতান্ত্রিক বা গণতান্ত্রিক, যাই হোক না কেন–সে সরকার অত্যাচারী হতে বাধ্য৷ সরকারের

যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় বিপদজনক বার্ত

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

সম্প্রতি আমেরিকর এক শহরে বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়েছিলেন রাজ্য সরকারের আর্থিক উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অমিত মিত্র৷ সেখানে এক প্রবাসী বাঙালী শিল্পপতি শ্রীমিত্রের কাছে অভিযোগ করেন--- বাঙলায় শিল্পস্থাপন করতে গেলে কেন্দ্রের কাছ থেকে  সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না৷ তাঁর আরও অভিযোগ নির্দিষ্ট কিছু রাজ্যে শিল্প গড়তে বিশেষ আগ্রহ কেন্দ্রীয় সরকারের৷ ভারত সরকারের বাঙালী বিদ্বেষী আচরন পশ্চিমবঙ্গবাসীর গা-সওয়া হয়ে গেছে৷ কিন্তু যখন সুদূর আমেরিকা থেকে প্রবাসী বাঙালীর কাছ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের বাঙালী বিদ্বেষী আচরণের অভিযোগ শুণতে হয় তবে তার ফল একদিন মারাত্মক হতে পারে!

আজ শাসকদের রাজনৈতিক দ্বিচারিতায় মানব সভ্যতাই বিপন্ন

প্রভাত খাঁ

আজ মানুষের সমাজগুলি পৃথিবীতে প্রায় ধবংস হয়ে যাচ্ছে৷ সেই কারণে সারা পৃথিবীটাই যেন বিলুপ্তির পথে এগুচ্ছে৷ বর্ত্তমানের শাসককুল এর মধ্যে নিষ্ঠুর রেসারেসির ও যুদ্ধে মূলতঃ ছোট ছোট রাষ্ট্র আর অস্তিত্ব রক্ষা করতে পারছে না, তার মূল কারণ পাশ্ববর্তী বৃহৎ রাষ্ট্রগুলির আগ্রাসী নীতিতে৷ ইউক্রেন আজ শ্মশানে পরিণত হচ্ছে রাশিয়ার নিষ্ঠুর আক্রমণে! রাশিয়া পারমানবিক যুদ্ধের ভয় দেখাচ্ছে সেই ক্ষুদ্র রাষ্ট্রগুলিকে৷ এই কি সভ্যতার অগ্রগতি?

দুর্নীতিতে দেশ ডুবে যাচ্ছে : মুক্তির উপায় ?

সুকুমার সরকার

পশ্চিমবঙ্গ সহ সমগ্র ভারতবর্ষের সাম্প্রতিক ঘটনাবলি এটাই প্রমাণ করেছে যে, চরম এক মাৎস্যন্যায় অবস্থায় বিরাজ করছি আমরা । শশাঙ্কের মৃত্যুর পর যে মাৎস্যন্যায় অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল, বর্তমান অবস্থা তার থেকেও খারাপ । সেই যুগের সেই মাৎস্যন্যায় অবস্থা থেকে বাঁচতে মানুষ একজন গোপালকে সিংহাসনে বসিয়েছিলেন । তারপর প্রায় তিনশো বছর বাঙলা তথা ভারতবর্ষ একটি সমৃদ্ধ সুশাসনে এসেছিল । বর্তমান পরিস্থিতি থেকে বাঁচার উপায় কী ? 

ওড়িষায় আনন্দমার্গের সেমিনার

গত ১লা,২রা ও ৩রা জুলাই ওড়িষার বোধে তিনদিনের সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়৷ তিনদিনের এই সেমিনারে প্রশিক্ষক ছিলেন আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত৷ তিনি আনন্দমার্গ দর্শনের আধ্যাত্মিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক দর্শনের ওপর আলোচনা করেন৷ আলোচ্য বিষয় ছিল ইষ্ট ও আদর্শ, জীবন মৃত্যু ও সংস্কার, মানব সমাজ এক ও অবিভাজ্য ও অর্থনীতিতে গতিতত্ত্ব৷

আচ্ছা দিনের মহিমা! আবার বাড়ল গ্যাসের দাম

আট বছর আগে ভোটে জিতে শপথ নেবার আগেই মোদিজী বলেছিলেন---আচ্ছা দিন এসে গেছে৷ সেইদিন রান্নার গ্যাসের দাম ৫০০ টাকার নীচে ছিল৷ ৮বছরে সেই দাম বাড়তে বাড়তে আজ দ্বিগুণের বেশী হল৷ ৫ইজুলাই মধ্য রাতের অন্ধকারে গ্যাসের দাম ৫০ টাকা বেড়ে হলো ১০৭৯ টাকা৷