January 2023

রাজ্য সরকার আয়োজিত সুব্রত কাপে গঙ্গাধরপুর বিদ্যামন্দির চ্যাম্পিয়ান

গত ২০শে আগষ্ট রাজ্য সরকারের শিক্ষা দপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত সুব্রত কাপের ফাইনালে ছেলেদের অনুধর্ব ১৪ ফাইনালে কুনোইর কেসি হাইস্কুল হারিয়েছে গঙ্গাধরপুর বিদ্যামন্দিরকে৷ ছেলেদের অনুধর্ব ১৭ বিভাগে  গঙ্গাধরপুর বিদ্যামন্দির চ্যাম্পিয়ান হয়েছে চৌবাগা হাইস্কুলকে হারিয়ে৷ মেয়েদের অনুধর্ব ১৭ বিভাগে চ্যাম্পিয়ান হাতিমারি হাইস্কুল, রানার্স কুনচিয়া হাইস্কুল৷

আপ্তবাক্য

পত্রিকা প্রতিনিধি

ভারতবর্ষ ঃ সংস্কৃত ভূ ধাতু মানে খাওয়ানো -‘ভরণ করা’৷ সরকারের ফুড ডিপার্টমেন্টকে বলা হয় ‘জনসম্ভরণ বিভাগ’ যে খাওয়ায়৷ স্বামীর কর্তব্য পত্নীকে খাওয়ানো, তাই স্বামীকে সংস্কৃত ভাষায় ‘ভর্তা’ বলা হয়৷ ‘ভূ’ ধাতু ক্তিন৷ প্রথমার  একবচন-‘ভর্তা’৷ আর ‘তন্ত্র’ শব্দের ব্যাখ্যাতেই শুণেছ-‘ত্বন’ মানে বিস্তারিত হওয়া-যে দেশ বিস্তারেও সবরকমের সাহায্য করে ‘তন’ ধাতু ‘ড’ প্রত্যয় করে ‘ত’ যে দেশ খাওয়া ও সবরকমের বিস্তারে সাহায্য করে সেই দেশটা হ’ল ভরত৷ তার সঙ্গে ‘ষ্ণ’ প্রত্যয় করে ও বর্ষ শব্দ যোগ করে হ’ল ভারতবর্ষ৷ আমাদের সংবিধানে আছে ‘’৷ না ‘ভারত’ দেশটার নাম নয়, দেশটার নাম ভারতবর্ষ৷ ‘ভরতের সঙ্গে

স্মরণিকা

পত্রিকা প্রতিনিধি

‘‘আলোকে জগৎ উদ্ভাসিত করিবার জন্য যদি গগনে সূর্য উদিত হয়, গন্ধ বিতরণের উদ্দেশ্যে বনমধ্যে কুসুমরাজি যদি বিকশিত হয়, অমৃতময়  বারিদান করিতে তটিনী যদি সাগরাভিমুখে প্রবাহিত হয় যৌবনের পূর্ণ আনন্দ ও ভরা প্রাণ লইয়া আমরাও মর্তলোকে নামিয়াছি একটা সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য৷’’ --- নেতাজী সুভাষচন্দ্র বোস

প্রভাত সঙ্গীতের ৪০তম বর্ষপূর্ত্তি  উৎসব উপলক্ষ্যে অঙ্কন, সঙ্গীত ও নৃত্যের ফাইনাল প্রতিযোগিতা

গত ১৮ই সেপ্ঢেম্বর আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের তিলজলাস্থিত কেন্দ্রীয় আশ্রমে প্রভাত সঙ্গীতের ৪০তম বর্ষপূর্ত্তি উৎসব উপলক্ষ্যে প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে অংকন, সঙ্গীত ও নৃত্যের বর্ণাঢ্য ফাইনাল প্রতিযোগিতা হয়ে গেল৷ এই  প্রতিযোগিতায় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও, ত্রিপুরা, অসম,ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিভিন্ন বিভাগে প্রায় সাতশত প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে৷ সকাল ৯-৩০টার পর শুরু হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংঘটনের সাধারণ সম্পাদক আচার্য ভবেশানন্দ অবধূত, এছাড়া উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য প্রবীন সন্ন্যাসীবৃন্দ৷ সকাল ৮টা থেকে বিভিন্ন বিভাগের  অংকন প্রতিযোগিতা  দশটা থেকে শুরু হয়ে ও ধ্য

আড়াই বছর পর উদ্বোধন হল টালাব্রিজ

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে টালা সেতু ভাঙার কাজ শুরু হয়৷ কলকাতার সঙ্গে উত্তর শহরতলি ও উত্তর ২৪ পরগণার বিস্তীর্ণ অংশের অন্যতম যোগাযোগের মাধ্যম ছিল এই সেতু৷ ফলে টালাসেতু বন্ধ হওয়ায় যান  চলাচলের বিরাট সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়ে নিত্যযাত্রীদের কিন্তু প্রশ্ণ হচ্ছে এতদিনের অপেক্ষার কি ফল কি মানুষ পাবেন অর্থাৎ ২০২০ সালের পর প্রায় আড়াই বছর পর গত ২২শে সেপ্ঢেম্বর উদ্বোধন হল টালা সেতু  (হেমন্ত সেতু) কিন্তু প্রথম দিকে কোন ভারী গাড়ি, যেমন বাস, মালবাহী গাড়ী, লরি এই সমস্ত কোন গাড়ি চলাচলের অনুমতি প্রশাসন এখনও দেয়নি৷ তাহলে সাধারণ নিত্যযাত্রীদের সমস্যার সমাধান হবে৷

রাজ্যে ক্রমশ চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি

রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছুই ছুই৷ রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্র্ত সিদ্ধার্থ নিয়োগী জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবারের সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজ্যে ৬০৪ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ও শুধু মঙ্গলবারই ৯৬৫ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন৷ তবে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে ঠিক কত জনের  মৃত্যু হয়েছে , তার কোনও পরিসংখ্যান স্বাস্থ্যভবনের তরফ থেকে না জানানো হলেও ডেঙ্গি মৃত্যু নিয়ে বিশদ পরিসংখ্যান তৈরি করা হচ্ছে বলে জানান এক স্বাস্থ্যকর্তা৷ স্বাস্থ্যভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে কোনও পরিসংখ্যান তৈরি করা হচ্ছে৷ এই এলাকাগুলিতে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে, ,

কৈবর্ত বিদ্রোহ ঃ পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম সুসংগঠিত গণবিদ্রোহ

সুকুমার সরকার

র্বপ্রকাশিতের পর,

(৯)  সমাজ-সংস্কৃতির এই সূত্র থেকেই শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী তুলে আনলেন সেই যুগের এই কৈবর্ত বিদ্রোহের মিসিংলিঙ্ক  ইতিহাসের অংশটুকু৷ কৈবর্ত বিদ্রোহের বিস্মৃত ইতিহাসের ধূম্রজাল থেকে  বেরিয়ে আসার জন্য এইটুকুই যথেষ্ট ছিল৷ কেননা, ঐতিহাসিকমদের মতে ভীম বা দিবেবাক যদি উচ্চ রাজ আমর্ত্য হয়ে থাকেন, তবে রাজ অন্তপুরের এই সমর্থন ছাড়া এমন বিদ্রোহ করা সম্ভব ছিল না৷ অন্তত সেই যুগে৷ যখন সাধারণ মানুষের মধ্যে গণচেতনার কোনো উন্মেষই ঘটেনি৷

যুদ্ধায় কৃত নিশ্চয়

গতে যেসব বস্তুকে আমরা নিত্য বলে মানি তাদের নিত্যতাপ্রদানকারীও  পরমপুরুষ৷ বস্তু হ’ল প্রতিফলিত সত্তা–রিফ্লেক্টেড এণ্টিটি৷ চেতন বস্তুর মনঃশক্তিও তাঁর থেকেই এসেছে৷ তিনি সকলের প্রয়োজনের পূর্তি ঘটান–পিঁপড়ে থেকে হাতী পর্যন্ত, ছোট ছোট জীব থেকে সমুদ্রের বড় বড় জানোয়ার পর্যন্ত সকলের৷ এতই উদার তিনি৷ সেইজন্যেই তিনি জগতের কর্তা, অধিকর্তা, প্রভু৷ এই রকম উদারতা লাভ করতে পারলে তুমিও তিনি হয়ে যাবে৷

শোষণমুক্ত বিশ্বায়ন

দুটি অঞ্চল উন্নয়নের প্রায় সমস্তরে এসে পৌঁছলে তাদের পক্ষে এক–সঙ্গে মিলিত হয়ে বৃহত্তর সামাজিক–অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে’ তোলা সম্ভব৷

দুই বা ততোধিক সামাজিক–অর্থনৈতিক অঞ্চল একসঙ্গে মিলিত হতে পারে যদি কয়েকটি শর্ত পূরণ হয়৷ শর্তগুলি হ’ল–

প্ত  সামাজিক–অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলির অর্থনৈতিক

                  বৈষম্যের ক্রমাবসান৷

প্ত  বিজ্ঞান ও যোগাযোগের উন্নতি ৷

প্ত  প্রশাসনিক যোগ্যতা৷

প্ত  সামাজিক–সাংস্কৃতিক মেলামেশা৷

সংবিধানের অঙ্গীকার ওমৌলিক অধিকার

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীন হবার পর ১৯৫০ সালের ২৬শে জানুয়ারী দেশ শাসনের জন্যে ভারতের নিজস্ব সংবিধান প্রবর্ত্তিত হয়৷ তারপর ৭২ বছর অতিবাহিত হয়েছে৷ আজ দেশের নাগরিককে নাগরিকত্বের প্রমাণের জন্যে লাইনে দাঁড়াতে হবে, চৌদ্দপুরুষের নথি খুঁজে বার করতে হবে৷  সীমাহীন অর্থনৈতিক বৈষম্য, সামাজিক বিভাজন ও রাজনৈতিক সংঘাতে প্রতিনিয়ত পদদলিত হচ্ছে মানুষের মৌলিক অধিকার৷ পরিতাপের বিষয় এই যে শাসক দলের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ মদতে এগুলি হয়ে চলেছে৷ অথচ শাসক দলেরই প্রধান দায়িত্ব সংবিধানের অঙ্গীকারগুলি পালন করা৷ মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত করা৷