January 2023

হাওড়ায় প্রভাত সঙ্গীত প্রতিযোগিতা

গত ২৮শে আগষ্ট রাণীহাটি আনন্দমার্গ স্কুলে প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে নৃত্য,গীত ও অঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়৷ পরিচালনা করে অমিয় পাত্র, তপন ভৌমিক, সুপ্রিয়া ভৌমিক, জয়ন্ত শীল, সুশান্ত শীল প্রমুখ৷ ব্যবস্থাপনায় ছিলেন ভুক্তি প্রধান সুব্রত সাহা৷        

 

হাসপাতালে ফল বিতরণ

গত ১৫ই আগষ্ট হাওড়া জেলার রাণীহাটী কুলাই হাসপাতালে ভলেন্টিয়ার্স সোস্যাল সার্ভিস ও গার্লস ভলেন্টিয়ার্সের পক্ষ থেকে রুগীদের হাতে ফল ও মিষ্টি দেওয়া হয়৷

 

আনন্দমার্গের সমাজশাস্ত্র অনুসারে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

গত ২১শে আগষ্ট বীরভূম জেলার বিশিষ্ট আনন্দমার্গী ও আনন্দমার্গের প্রবীন তাত্ত্বিক সনৎ দত্তের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান আনন্দমার্গের সমাজশাস্ত্র অনুসারে সুসম্পন্ন হয়৷ কীর্ণাহারে তার নিজ বাস ভবনে প্রভাত সঙ্গীত, কীর্ত্তন, সমবেত ধ্যান ও গুরুপূজার পর-শ্রাদ্ধানুষ্ঠান সম্পন্ন হয়৷ শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে পৌরহিত্য করেন আচার্য বিজয়েশ্বরানন্দ অবধূত৷ বীরভূম জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু আনন্দমার্গী ও সন্ন্যাসী ও সন্ন্যাসিনী এই শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন৷ স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে প্রয়াত সনৎ দত্তের আদর্শনিষ্ঠা, গুরুভক্তি, ত্যাগ তিতিক্ষার আনন্দমার্গ দর্শনে তার পাণ্ডিত্য সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন শ্রীমহাদেব সেন সহ অনেকেই৷ আনন্দ

চাঁপাডাঙ্গায় আনন্দমার্গ সেবাদলের প্রশিক্ষণ শিবির

গত ২৮,২৯ ও ৩০শে জুলাই আনন্দমার্গ সেবা দলের পক্ষ থেকে চাঁপাডাঙ্গা আনন্দমার্গ স্কুলে তিনদিন ব্যাপী স্বেচ্ছাসেবী প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়৷ এই শিবিরে স্থানীয় বিভিন্ন ইয়ূনিট থেকে ৫০জন যুবক স্বেচ্ছাসেবী হিসাবে প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দেন৷ ফিল্ড ট্রেনিং দেন সেবাদলের চিফ সেক্রেটারী আচার্য অরিন্দমানন্দ অবধূত৷ সেবাদলের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও বিভিন্নরকম প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে সেবাদলের সেবাকার্য সম্বন্ধে স্বেচ্ছাসেবীদের কাছে ব্যাখ্যা করেন সেবাদলের গ্লোবাল ডিরেক্টর আচার্য সন্দীপ্তানন্দ অবধূত৷ প্রসঙ্গত উল্লেখ সে এই প্রশিক্ষণ শিবিরে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের জেনারেল সেক্রেটারী

হুগলীর শ্রীরামপুরে ডিট লেবেল সেমিনার

২৭ ও ২৮শে আগষ্ট হুগলী জেলায় শ্রীরামপুর আনন্দমার্গ স্কুলে ডিট স্তরীয় সেমিনার সম্পন্ন হল৷ শ্রীরামপুর ডিটের বিভিন্ন ইয়ূনিট থেকে মার্গের অনুগামীরা এই সেমিনারে যোগ দেন৷ সেমিনার নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর ক্লাস নেন হুগলী জেলায় ডায়োসিস সেক্রেটারী আচার্য সুবিকাশানন্দ অবধূত৷

 

মেদিনীপুরে বৃক্ষরোপণ ও চারাগাছ বিতরন

মেদিনীপুর জেলা কমিটির পক্ষ থেকে ২২শে জুলাই,২০২২ শুক্রবার মেদিনীপুর সদর ব্লকের অন্তর্গত বেনাশুলি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজ্য সরকারের বন দপ্তরের সহযোগিতায় বৃক্ষরোপণ ও বিনামূল্যে চারাগাছ বিতরণের এক কর্মসূচি পালিত হয়৷ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শ্রী সুকুমার মান্না সব অপর তিনজন শিক্ষক শ্রী অনিমেষ পাত্র, শ্রী নির্মল কুমার মাইতি ও শ্রী বিজন মাহাতোর উপস্থিতিতে ছাত্র ছাত্রীদের হাতে চারাগাছ গুলি তুলে দেন পিক্যাপ সংস্থার পক্ষে শ্রী রঞ্জিত ঘোষ, আচার্য নিত্যতীর্থানন্দ অবধূত শ্রী শুভাশীষ সাহু, শ্রীমতি কল্পনা গিরি, পঙ্কজ সাধু প্রমুখ৷ ছাত্র ছাত্রীদের সামনে বৃক্ষরোপণের উপযোগিতা বিষয়ে বুঝিয়ে বলেন কল্পন

আন্দামান, বাঙালী ও কমিউনিষ্ট পার্টি

অসিত দত্ত

‘হেথায় আর্য হেথা অনার্য হেথায় দ্রাবিড়হীন

শক-হুন-দল পাঠান মোগল এক দেহে হল লীন৷’

ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসনের পূর্বে সম্প্রদায়গত যে মিলন তার কথা বলে কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাজাতির জয়গান করেছেন৷ কিন্তু তিনি এখানেই থেমে থাকেননি তিনি আরো এগিয়ে বললেন,

‘এসো এসো আজ তুমি ইংরাজ এসো এসো খৃষ্টান৷’

শিশুর অপুষ্টিজনিত রোগ কোয়াশিয়রকর

যোগাচার্য

দেখা যায়, এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার বহু দেশের মত ভারতেরও বেশীর ভাগ মানুষ অপুষ্টিতে ভোগে৷ সবচেয়ে বেশী শিকার শিশুরা৷ আমাদের দেশের জনসংখ্যার একটা বড় অংশ পাঁচ বছর বা তার কম বয়সের শিশু৷ অনেক শিশু পাঁচ বছর পূর্ণ করার আগেই মারা যায়৷ এর বড় কারণ হ’ল অপুষ্টি৷

পুষ্টির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ও ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে শিশুদের ‘প্রোটিন–ক্যালরির অভাবজনিত অপুষ্টি’৷ যাকে বলে ‘প্রোটিন–এনার্জি ম্যালনিউট্রিশন’ বা প্রোটিন ক্যালরির অপুষ্টি৷ এই অপুষ্টির প্রাদুর্ভাব বাঙলাদেশ সহ ভারত, দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া, আফ্রিকা, দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকায় বেশী৷ কোটি কোটি শিশু এ রোগের শিকার৷

তৃণভোজী জীব, মাংসাশী জীব, মানুষ

তোমরা জান জীবজন্তুরা মুখ্যতঃ তৃণভোজী (graminivorous) ও মাংসভোজী (carnivorous) –এই দু’টি মুখ্য শাখায় বিভক্ত৷ তৃণভোজীদের দাঁতগুলো থাকে মুক্তোর মত ধবধবে শাদা ও সাজানো৷ যারা মাংসভোজী জীব তাদের দাঁতগুলি হয় খোঁচা খোঁচা, ঈষৎ হল্দেটে অথবা লালচে মেশানো হলদেটে৷ মুখের দুই পাশে থাকে মাংস কাটবার কর্ত্তন দন্ত (canine teeth)৷

জাত কি কারো আছে?

ক্রীতূকন্ঞ্চক্রীতক৷ প্রাচীনকালে পৃথিবীর সব দেশে কিছু এমন সংখ্যক দুঃস্থ লোক ছিলেন বা থাকতেন যাঁদের জীবিকা ছিল সন্তান বিক্রী করা৷ পুত্র সন্তান বা কন্যা সন্তান দুই–ই তাঁরা বিক্রয় করতেন৷ ‘ক্রীতকঃ’ শব্দের অর্থ তাই কেনা পুত্র বা ক্রীত পুত্র অর্থাৎ পোষ্যপুত্রও হয়৷ তেমনি আবার ক্রীত দাসও(গোলাম, ইংরেজীতে Slave) হয়৷ ‘ক্রীতকঃ’ শব্দের স্ত্রীলিঙ্গরূপ ‘ক্রীতকী’৷ ‘ক্রীতক’ শব্দের অর্থ নিজের কন্যার সঙ্গে বিবাহ দেওয়া নিজ–জামাতা বা ঘরজামাই–ও হয়৷ বলা বাহুল্য এই সকল ঘরজামাই–এর অবস্থা ছিল ক্রীতদাসেরও অধম৷ রাঢ়ের প্রাচীন গানে আছে– ‘‘ঘরজামাই–য়ে শ্বশুরবাড়ী মেগের লাথি খায়’’, অথবা–