April 2023

নেশা ছাড়ুন, নেশা ছাড়ান, নেশামুক্ত শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়ে তুলুন

আচার্য শান্তশিবানন্দ অবধূত

আজকের আধুনিক সভ্য সমাজে সবচেয়ে বড় অভিশাপ হ’ল মাদকের নেশা৷ মাদক বলতে শুধু মদই নয় মদ, গাঁজা, আফিম, সিদ্ধি, ভাঙ্, ড্রাগ, হেরোইন, তামাক, গুটকা ইত্যাদি সব ধরণের উগ্র নেশাদ্রব্যকেই এককথায় মাদক বলা হয়৷ এ কথা হয়তো অনেকেই জানে না যে, যে কোন মাদকের নেশাই শরীর ও মনের পক্ষে কতটা ক্ষতিকর–

চ   মাদকের নেশায় শরীর–স্বাস্থ্য নষ্ট হয়

চ   লিভার, কিডনি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়

চ   ক্যানসারের মত প্রাণঘাতী রোগের আক্রমণ ঘটে

চ   মস্তিষ্ক ও স্নায়ু দুর্বল হয়ে যায়

চ   বুদ্ধিভ্রষ্ট হয়, স্মৃতিশক্তি লোপ পায়

চ   আচরণ ও মেজাজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যায়

ডব্লিউ. টি. মানে কি উইথ টিকেট, না উইদাউট টিকেট?

‘গঙ্গাটেয়’ শব্দের একটি অর্থ হ’ল গঙ্গাপাগল মানুষ–যার গঙ্গার নাম শুণলেই গঙ্গাস্নানের ইচ্ছে জাগে৷ তোমরা তোমাদের গ্রামে শহরে নিশ্চয় এমন কিছু পুরুষ ও মহিলাকে দেখেছ যারা ‘‘উঠলো বায় তো কটক যায়’’৷ হঠাৎ খেয়াল হ’ল গঙ্গাস্নানে যাবার, আর তখন বাড়ীর সুবিধা–সুবিধার কথা না ভেবে গঙ্গার দিকে রবাণা হয়৷ আমাদের শহরে আমাদেরই ঠিক পাশের বাড়ীতে থাকতেন জনৈক রমেশচন্দ্র গুপ্ত৷ মানুষটি ছিলেন অত্যন্ত ভাল৷ আমরা তাঁকে কাকা বলে ডাকতুম৷ আর ছিলেন তাঁর বৃদ্ধা মা ও পত্নী৷ তাঁরা দুজনে ছিলেন আরও ভাল...ভালর চেয়েও ভাল৷ তাঁর মাকে ডাকতুম ঠাক্মা বলে৷ ঠাক্মার ওই গঙ্গাস্নানের বায়ু ছিল৷ আমাদের শহর থেকে গঙ্গা প্রায় ছ’ মাইল দূরের পথ৷ শবদা

নব অভিযান

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

বিষাক্ত কন্টক-পথে পণ করে’ প্রাণ

শুরু হলো আমাদের নব অভিযান৷

মান নেই, খ্যাতি নেই, নেই সমর্থন---

আছে জ্বালা, আছে ব্যঙ্গ---সহস্র বন্ধন৷

শুভ কাজে যত শুনি তিক্ত অপবাদ

অট্ট হেসে তত পাই রোমাঞ্চের স্বাদ!

ড্রাগনেরা ঘিরে আছে প্রগতির পথঃ

সংগ্রামে প্রস্তুত আছি--- নিলাম শপথঃ

জীবন সংকটে কভু হটবো না পিছে,

পেয়েছি অভ্রান্ত পথ মৃত্যুভয় মিছে,

মাঝপথে যদি নামে দুর্র্যেগের রাতি,

যদি ওঠে ক্ষুব্ধ ঝঞ্ছা নাহি রয় সাথী

আমাদের অভিযান থামবে না তবু---

তিলে তিলে দেবো প্রাণ দমবো না কভু৷৷

নববর্ষের অভিনন্দন

আচার্য প্রবুদ্ধানন্দ অবধূত

নববর্ষের শুভ প্রভাতে

প্রীতিভরা অভিনন্দন

জানাই সকলকেই এ জগতে,

আনন্দে ভরুক সবার মন৷

সকল হৃদয়ে আজ হোক

চেতনার উন্মেষ,

দূর হোক জড়ীভূত

দ্বন্দ্ব ও বিদ্বেষ৷

আমরা রয়েছি মিলে

এক প্রাণ এক মন,

সবাই সবার পাশে

সবাকার আপনজন৷

কেহ নয় পর, দুদিনের খেলা,

এই ভূবনের লীলা,

নিঃস্ব হাতে এসেছি সবাই,

নিঃস্ব হাতেই ফিরিবার পালা৷

মিছে হানাহানি কেনই বা এত,

দুঃখ কিসের তরে?

বিধাতার দান সবার জন্য

ক্ষণিকের এ সংসারে৷

আকাশ বাতাস সূর্য চন্দ্র

বিদেশি ফুটবলারদের খেলানো নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আশঙ্কা সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনে

সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন বিদেশি ফুটবলার খোলানো নিয়ে আপত্তি জানাতে পারে এই আশঙ্কাই এখন তৈরী হয়েছে৷ কিন্তু কেরল ফুটবল সংস্থা এর উত্তরে  জানিয়েছে, তারা ঘরোয়া লিগে বিদেশি ফুটবলারদের খেলা নিষিদ্ধ করবে না৷ বাঙলার ফুটবল নিয়ামক সংস্থার কর্র্তরা কী করবেন এখন এটাই চিন্তার!

ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবে জানান---‘‘ভারতীয় স্ট্রাইকার তুলে আনতে রাজ্য লিগ-সহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতা অর্থাৎ রোভার্স কাপ, বরদলুই ট্রফি, আই লিগের দ্বিতীয় ডিভিশনে বিদেশি ফুটবলার খেলানো যাবে না৷’’ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘‘একটা সময় জাতীয় দলে বাঙালি স্ট্রাইকারদেরই আধিপত্য ছিল৷ এখন কেউই নেই, আমরা এটার পরিবর্তন চাই৷’’