July 2023

বাংলাদেশ সংবাদl 

বৈপ্লবিক বিবাহ ঃ গত ১লা জুলাই সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া মোহনপুরে আনন্দমার্গে চর্যাচর্যবিধিতে বৈপ্লবিক বিবাহ অনুষ্ঠিত হয় প্রাণকৃষ্ণ দাসের সহিত ডঃ অনুপমা দেবীর৷ বরপক্ষে পৌরহিত্য করেন আচার্য নবউন্মেষানন্দ অবধূত ও কন্যাপক্ষে অবধূতিকা আনন্দ নিত্যনবীনা আচার্যা৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আচার্য সুপ্রভানন্দ অবধূত, অবধূতিকা আনন্দ রসপ্রজ্ঞা আচার্যা সহ স্থানীয় মার্গী ভাইবোনেরা৷

এস.এস এ.সি একাডেমির পরিকল্পনা ও কর্মসূচী

গ্রামের ছেলে-মেয়েদের শুধু প্রথাগত শিক্ষার মাধ্যম তাদের সরকারি বা বেসরকারি চাকুরি পাওয়া বা জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়া সম্ভব নয়৷ তাছাড়া অধিকাংশ ছেলে-মেয়েদের শিক্ষার মানও খুবই নিম্নমানের৷ কারণ প্রাথমিক ভিত্তিটাই খুব দুর্বল৷ ফলে উঁচু শ্রেণীতে গিয়ে কিছুই বুঝতে পারে না৷ তাছাড়া বর্তমানে এন্ড্রয়েড ফোনে সবাই আসক্ত৷ যার জন্যে সুকল ছুটের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান৷ লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে গেলে তাদের খেলাধুলার দিকে মনোনিবেশ করাতে হবে৷

আপ্তবাক্য

পত্রিকা প্রতিনিধি

‘‘এই বিশ্বজগৎ আমাদের সকলের পৈত্রিক সম্পত্তি৷ আমরা সকলে এক বিশ্বভিত্তিক যৌথ পরিবারের সদস্য৷ পরমপুরুষ আমাদের পিতা৷ যৌথ পরিবারের সদস্যদের মতই আমাদের উচিত সবাই নিজে ‘বাঁচ ও অপরকে বাঁচাও’ নীতি নিয়ে চলা৷ বিশ্বের ব্যবহৃত সমস্ত সম্পদ কোন বিশেষ ব্যষ্টি, রাষ্ট্র বা জাতির সম্পত্তি নয়৷ সকলের কেবল এই সম্পদ ভোগ করবার অধিকার আছে মাত্র৷ এই ভূমা উত্তরাধিকার মেনে নিয়ে যাবতীয় লোকায়ত ও লোকোত্তর সম্পদের  সদ্‌ব্যবহার আমাদের করতে হবে৷ এটাই আমাদের সামাজিক ধর্ম৷ কেবলমাত্র সামাজিক বিবেচনার দিক থেকেই নয়, যুক্তি ও ন্যায় বিচারের দিক থেকেও এটাই একমাত্র পথ৷ এটাই যথার্থ সমাজ দর্শন৷’’

স্মরণিকা

পত্রিকা প্রতিনিধি

‘‘যে দুধের কথা কেবল কানে শুনেছে সে অজ্ঞান, যে দুধ খেয়েছে সে জ্ঞানী, আর দুধ খেয়ে হৃষ্ট-পুষ্ট হয়েছে সে হলো বিজ্ঞানী৷

* জীবনের মহৎ বিকাশের জন্য সুখ ও সম্পদ আমাদের সহায় নহে৷ কেবল আঘাত ও দুঃখ দ্বারাই মানুষ শক্তি সঞ্চয় করিয়া জগতের উপর তাহার প্রভাব বিস্তার করে৷’’

                                    ---আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু

* ‘‘শব্দ ভাষা নয়, শব্দ হচ্ছে ভাষারূপ দেহের অঙ্গ৷’’

‘‘ মা ও মায়ের মুখের ভাষা দুটোর মূল্যই সমান৷’’

                             ---সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়

রক্তের নির্বাচনে সবুজের জয় : রাজনীতিতে ফ্যাসিষ্ট ছোবল নতুন নয়

প্রত্যাশামতই পঞ্চায়েত নির্বাচনে গ্রামের দখল নিল তৃণমূল৷ নির্বাচনের সময় বা বলা যায় নির্বাচন ঘোষণার  পর থেকেই যেসব অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে চলেছে তা না ঘটলেও এই ফলের বিশেষ কোন হেরফের হতো না৷ তবু নির্বাচন কলঙ্ক মুক্ত হলো না৷ ঘটনার পেছনে যে বা যারাই থাক, প্রশাসনের ব্যর্থতার দিকটাও অস্বীকার করা যাবে না৷ আর প্রশাসনের ব্যর্থতার দায় শাসক দলকেই নিতে হয়৷ তাই এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এতগুলো প্রাণ গেল এর  একটা দায় শাসকদলের ঘাড়ে চাপেই৷ তার অর্থ এই নয় যে বিরোধী দলগুলো সব ধোয়া তুলসী পাতা৷ বরং এই অপ্রীতিকর ঘটনার পেছনে থাকতে পারে কোন সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র৷ হতে পারে সেটা শাসক দলকে হেয় করার জন্য৷ পশ্চিমবঙ্গের নির্ব

যোগ সাধনা ও দর্শন বিষয়ে আলোচনা

ঃ গত ৭,৮ ও ৯ই জুলাই দিল্লির মালভিয়া নগরে প্রাউট ভবনে যোগ সাধনা দর্শন বিষয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ এই সভায় আলোচ্য বিষয় ছিল ভাগবত ধর্ম, সাফল্য লাভের মূলীভূত কারণ, মাইক্রোবাইটাম ও মানবদেহে ও মনে তার প্রভাব ও দ্বন্দ্বাত্মক ভৌতিকতাবাদ ও গণতন্ত্র৷ তিন দিনের এই আলোচনায় প্রশিক্ষক ছিলেন আচার্য সন্তোষানন্দ অবধূত, আচার্য প্রেমেন্দ্রানন্দ অবধূত ও আচার্য দেবাত্মানন্দ অবধূত৷

রাজনৈতিক  দুর্বৃত্তায়ণে সারা বিশ্ব আজ সংকটে, নব্যমানবতাবাদই শেষ আশ্রয়

প্রভাত খাঁ

ভারতের আয়তন বেশ বড়ো৷ এখানে নানা ভাষা-ভাষী ও ধর্মমতের মানুষ বাস করেন৷ তারমধ্যে ভারতের সুপ্রাচীন কাল থেকে যাঁরা বাস করছেন তাঁরা আছেন, আর আছেন দেশের বাহির থেকে আসা   বিভিন্ন ধর্মমতের  বাসিন্দারা ও তাঁদের বংশোধর গণ৷ যাঁরা  সুপ্রাচীন কাল থেকে বাস করছেন তাঁরা সেই প্রাচীন কালের ধর্মকেই অর্র্থৎ সনাতন ধর্মের বার্র্ত্তবহ৷ সেই ধর্মই হলো আধ্যাত্মিক ধর্ম৷ যেটি সব মানুষের ধর্ম৷ কারণ মানব সমাজ হলো এক ও অবিভাজ্য৷ দেশ কাল  পাত্রের আপেক্ষিক জগতে যে আপাত দৃষ্টিতে পার্থক্য দেখা যায় সেটা বাহ্যিক৷ কিন্তু মূলতঃ সকল মানুষের চাওয়া পাওয়াটি একই৷  এমন কোন মানুষ কী আছেন এই পৃথিবী গ্রহে যিনি আনন্দ পেতে চান না!

মুক্তির অধিকারী

আত্মজ্ঞানই হ’ল মুক্তির লক্ষণ, আর এই আত্মজ্ঞান মানুষ তখনই পায় যখন সে নিজ সুকর্মের ফলে মানুষের শরীর লাভ করে৷ মানবদেহ লাভ করলে তবে আত্মজ্ঞান হয়৷ দেখ, পশুজীবন ও মানবজীবন এই দু’য়ের মধ্যে মুখ্য পার্থক্য কী দুই–ই পরমাত্মার সন্তান৷ একটি কুকুর, একটি বিড়াল আর একজন মানুষ–সবই পরমাত্মার সন্তান৷ কিন্তু দু’য়ের মধ্যে পার্থক্যটা এই যে, মানুষের ৰুদ্ধি উন্নত৷ মানুষ ৰোঝে যে শ্রেয় ও প্রেয়ের মধ্যে পার্থক্য কোথায় পশু এটা ৰুঝতে পারে না কারণ–তার মন ও ৰুদ্ধি অনুন্নত৷ পশুজীবন হ’ল জড়ের উপাসক৷ যে কোন পশুকে তুমি দেখবে যে সব সময় জড়ভোগে ব্যস্ত থাকে৷ জড়জগতের বাইরে তার আর কোনো দ্বিতীয় জগৎ নেই৷ মানুষের আছে স্থূল জগৎ কিন্তু এ

প্রদমন, অবদমন ও দমন

কম্যুনিষ্ট রাষ্ট্রগুলিতে তোমরা প্রদমন, অবদমন ও দমনের একটা ত্রিভুজ পুরোপুরি কার্যকরী দেখতে পাবে৷ এই তিনটি ত্রুটির ওপর কম্যুনিজম আধারিত৷ কিন্তু এই তিনটি ত্রুটির মধ্যে সব চাইতে বেশি ঘটেছে দমন, তারপর ঘটেছে অবদমন ও সব চাইতে কম ঘটেছে প্রদমন৷ এই প্রদমন, অবদমন ও দমনের ফলে সৃষ্ট শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা থেকে জনসাধারণকে অবশ্যই মুক্তি দিতে হবে৷ এই তিনটি মানসিক পীড়ন মানুষের মনকে ভেঙ্গে চুরে তছনছ করে দিয়েছে৷

একের আধিপত্য মানুষ মেনে নেবে না

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

প্রাউট দর্শনের প্রবক্তা মহান দার্শনিক শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার বলেছেন---‘‘বৈচিত্র্যং প্রাকৃত ধর্মঃ সমানং ন ভবিষ্যতি৷’’ বৈচিত্রই প্রকৃতির ধর্ম৷ সৃষ্ট জগতের কোনও দুটি বস্তু হুবহু এক নয়৷ দু’টি মন এক নয়, দুটি অণু বা পরমাণুও এক নয়৷ এই বৈচিত্র্যই প্রকৃতির স্বভাব৷ যদি কেউ সবকিছুকে সমান করতে চায় সেক্ষেত্রে প্রাকৃত ধর্মের বিরোধিতা করায় অবশ্যই ব্যর্থ হবে৷ সব কিছু সমান কেবল প্রকৃতির অব্যক্ত অবস্থায়৷ তাই যারা সব কিছুকে সমান করার কথা ভাবে, তারা সব কিছুকেই ধবংস করার কথা ভাবে৷ .....সবাইকে যেমন এক ছাঁচে ঢালা যাবে না, তেমনি বৈচিত্র্যের ধূয়ো তুলে কেউ যাতে শোষণ করতে না পারে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে৷ বৈচিত্র্য স