প্রবন্ধ

বাঙালীজাতির মহাশত্রু সিপিএম

হরিগোপাল দেবনাথ

বিগত ১৯৬২ সালে চীন অতর্কিতে ভারত আক্রমণ করে বসে৷ তখনকার প্রধানমন্ত্রী নেহেরুজীর সঙ্গে চীনা প্রধানমন্ত্রীর বন্ধুত্বপূর্ণ ঘনিষ্ঠতা জমে উঠেছিলো বলে শ্লোগান উঠেছিল হিন্দী-চীনা ভাই-ভাই, আর এর পর মূহূর্তেই চীন ভারতকে আক্রমণ করে বসে৷ কম্যুনিষ্ট রাষ্ট্র চীন যে আগ্রাসী নীতিতে বিশ্বাসী ও চরম সাম্রাজ্যবাদী, এর প্রমাণ আগেও রেখেছিল তিববত দখলে রেখে ও পাকিস্তানের যোগ-সাজসে সিয়াচীনকে কব্জা করে৷ যা হোক এর পর ভারতের কম্যুনিষ্ট বা সমাজবাদী (তথাক

রাজবংশী, কামতাপুরী কি আলাদা ভাষা

সুকুমার সরকার

একদিকে সরকার বলছেন, বাঙলাকে ভাগ হতে দেব না অন্যদিকে বাংলা ভাষার বিভিন্ন উপভাষাকে স্বীকৃতি দিচ্ছেন৷ এই দুটি ঘটনার মধ্যে যে বিরাট ফাঁক রয়ে গেছে সেই ছিদ্র পথেই একদিন ধবংস হবে বাঙলা ও বাঙালীর জাতি সত্তা

উদ্বাস্তু সমস্যা সমাধানে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশ করে কেন্দ্রীয় সরকার গণতন্ত্র রক্ষার প্রতিশ্রুতি পালন করুন

প্রভাত খাঁ

অসমে বাঙালীদের ওপরে বিশেষ করে পূর্ব পাকিস্তান, পূর্ব বাঙলা থেকে যে সব হিন্দু উদ্বাস্তু হয়ে কয়েক দশক পূর্বে অসমে এসেছেন তাঁদের ওপর সংকীর্ণ রাজনৈতিক কারণে অসমে এমনকি পূর্ব ভারতের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যগুলিতে একনাগাড়ে ভয়ঙ্কর অত্যাচার ও নির্যাতন চালানো হচ্ছে৷ গত কংগ্রেসী আমলে স্থানীয় সরকারগুলি যেভাবে অত্যাচার করত আজও সেইভাবে অত্যাচার

স্বাধীনতার ৭০ বছর পর ভারতে বাঙালীরা বিদেশী কেন

কেশব মজুমদার

বাঙলা ও বাঙালীরা ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের তৎকালীন নেতৃবৃন্দের তথা নেহেরু-প্যাটেল দুষ্টচক্রের বিশ্বাসঘাতকতার বলি৷ শুধু বাঙলা নয়, এই বিশ্বাসঘাতকদের কারসাজিতে বলি প্রদত্ত হয়েছে পঞ্জাব, সিন্ধু, উত্তরপূর্ব সীমান্ত প্রদেশ ও বালুচিস্তান৷ এই সীমান্তপ্রদেশ ও বেলুচিস্তান মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল হওয়ায় সেখানকার কংগ্রেসীরা কোনমতে এই বেইমানিকে সামাল দিতে পেরেছেন৷ অঘোষিত লোক বিনিময়ের ফলে পাঞ্জাবীদের পূর্ব পঞ্জাব ও দিল্লীতে পুনর্বাসনে ও রাষ্ট্রীয় মূলধারায় মিশে যেতে তেমন বেগ পেতে হয়নি৷ কিন্তু শেষ হয়ে গেছেন সিন্ধ্রির অধিবাসীরা তাদের রাজ্য বা প্রদেশ বলে আজ আর কিছুই নেই যারা এপারে এসেছেন, (শতকরা প্রায় ৯৮ জনই চ

আনন্দমূর্ত্তিজীর চিন্তার আলোক

শ্রীমদ্ভগবদগীতায় শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন–
‘‘যদা যদা হি ধর্মস্য গ্লানির্ভবতি ভারত৷
অভ্যুত্থানমধর্মস্য তদাত্মানং সৃজাম্যহম৷৷
পরিত্রাণায় সাধূনাং বিনাশায় চ দুষ্কৃতাম্৷
ধর্মসংস্থাপনার্থায় সম্ভবামি যুগে যুগে৷৷
অর্থাৎ যখন সংসারে ধর্মের অবনতি হয় ও অধর্মের প্রাদুর্ভাব ঘটে তখনই আমি নিজেকে সৃষ্টি করি৷ সাধু ব্যক্তিগণের পরিত্রাণের জন্যে ও দুষ্ক্র্মকারীগণকে বিনাশ করার জন্যে আমি যুগে যুগে অবতীর্ণ হই৷

আন্তর্জাতিক নারী দিবস ও সমাজ

বিশ্ববিধাতার মানস কল্পনা সঞ্জাত এই বিশ্ব সৃষ্টির সংরচনায় সৃষ্টিচক্রের ঘূর্ণনকে সচল ও সুসমঞ্জস রাখার জন্যে সৃষ্টি হয়েছে নারী ও পুরুষ৷ আর পরমপিতার সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান মানুষের ক্ষেত্রেও এই নিয়মের ব্যতিক্রম হয়নি৷ নারী ও পুরুষ যেন একটি কাগজের এপিঠ-ওপিঠ৷ দুইয়ের মধ্যে এক অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক বর্তমান৷ একপক্ষকে বাদ দিলে অপরপক্ষের অস্তিত্ব সংকট দেখা দেয়৷ মানুষ্য সৃষ্টির প্রথম ভাগে মানুষ যখন অরণ্যচারী ও পর্বত গুহাবাসীর জীবন যাপন করত, সে সময় মানুষের সমাজে কোনও বন্ধন ছিল না--- তাদের জীবনযাত্রা ছিল অনেকটাই বন্য প্রাণী সুলভ, ছন্নছাড়া৷ পরবর্তীকালে যখন মানুষ একটু সঙ্ঘবদ্ধ হতে শিখল ও এক-একটা পাহাড় বা গোত্রকে কে

আলু চাষীদের সমস্যা সমাধান কোন্ পথে

আচার্য তন্ময়ানন্দ অবধূত

এ বছর আলুর ফলন ভালই হয়েছিল৷ আলুর ফলন দেখে আলু চাষীরা প্রথমে উৎসাহিত হয়েছিলেন কিন্তু আলুর ঠিকমত দাম না পাওয়ায় আলু চাষীদের মনে হতাশা দেখা দেয়৷ কারণ আড়াই টাকা তিন টাকা কিলো দরে আলু বেচে আলুর উৎপাদন খরচই উঠবে না৷ তাই অনেকে মাঠ থেকে আলু তোলেন নি অনেকে মাঠে আলু তুলে মাঠেই ডাঁই করে ফেলে রেখেছেন৷ এমন অবস্থায় অকাল বর্ষণের ফলে, আলু পচতে শুরু করেছে মাটি যত শুকোবে পচন ততই বাড়বে৷ এ অবস্থায় আলু চাষীদের মাথায় হাত কী করে মহাজনের কাছ থেকে বা ব্যাঙ্ক থেকে ধার করা টাকা শোধ করবেন---তা নিয়ে দারুণ দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে৷ অনেকে হতাশায় মানসিক অবসাদে ভুগছেন, কেউ কেউ এর মধ্যে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন৷

চলিতেছে সার্কাস

সুকুমার সরকার

জীবজন্তু নিয়ে সার্কাস দেখানো এখন প্রায় নিষিদ্ধ৷ তাই বিভিন্ন মেলায় মানুষ এখন খুব একটা সার্কাস দেখতে যায় না৷ কিন্তু মানুষের মনের মধ্যে সার্কাস দেখার একটা প্রবণতা রয়ে গেছে৷ বর্তমান ভারতবর্ষের মানুষের এই প্রবৃত্তির নিবৃত্তি ঘটছে৷ সংসদদের প্রেক্ষাগৃহে সাংসদদের দেখে যেন আজব এক চিড়িয়াখানা! দর্শক আমরা সাধারণ মানুষেরা আর বিচিত্র এই সার্কাসের রিং মাষ্টাররা হচ্ছেন কর্পোরেট পুঁজিপতিরা৷ তাদের এই অঙ্গুলীহেলনে নাচছি সবাই কি দর্শক, কি দর্শনীয় সকলেই!

বসন্তোৎসব

শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার

বসন্তোৎসব সারা ভারতের উৎসব–উত্তর ভারতে ‘হোলি’, বিহার অঞ্চলে ‘ফাগুয়া’ ও বাংলায় ‘দোলযাত্রা’৷ আদিতে এই উৎসব ছিল মূলতঃ আর্যদের৷ প্রাচীন আর্যদের বাসভূমি ছিল মধ্য এশিয়ায়৷ এই অঞ্চলটা ছিল ভীষণ ঠাণ্ডা৷ সারা শীতকাল কেবল বরফ পড়তো, এটা ছিল আর্যদের দুঃসহ কষ্টের কাল৷ নিদারুণ ঠাণ্ডায় মানুষ জবু–থবু হয়ে মরার মত পড়ে থাকতো, কোন কাজকর্ম করতে পারতো না৷ এই শীতকালটা যখন বিদায় নিত, আর্যরা তখন আনন্দে উৎসবে মেতে উঠতো৷ ‘উৎ’ মানে আনন্দে লাফিয়ে ওঠা আর ‘সব’ মানে ‘জন্মগ্রহণ করা’৷ আক্ষরিক অর্থেই বসন্তের আগমনে আর্যরা প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠতো, হৈ–হুল্লোড়, ও কর্মচাঞ্চল্যে মেতে উঠতো৷

সেবা, পরিষেবা ও ব্যবসা

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

সেবা বলতে আমরা বুঝি যে কাজ নিঃস্বার্থে করা হয়, যে কাজের বিনিময়ে কোন কিছু প্রত্যাশা করা হয় না৷ উদাহরণস্বরূপ বলা যায় আর্তজনের সেবা, বিপদগ্রস্তকে সাহায্য, দরিদ্র নারায়ণের সহায়তা ইত্যাদি৷ সেবার মাধ্যমে অপর জনের অভাবকে শ্রম, অর্থ, বুদ্ধি তথা মানসিক ও মানবিক সহায়তা দিয়ে নিঃস্বার্থ ভাবে পূরণ করে দেওয়ার প্রয়াসই প্রকৃত মনুষ্যত্বের পরিচয়৷ যখন অর্থ বা অন্য কিছুর বিনিময়ে অপরের জন্যে কাজ করা হয় তাকে বলে পরিষেবা৷ পুরসভা অর্থ বা করের বিনিময়ে নাগরিকদের যে কাজগুলো করে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন, পরিবহন, শিক্ষা, ব্যাঙ্ক, ডাক ও তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের কাজকর্ম ইত্যাদি হল পরিষেবা---এককথায় যেগুলোকে বলা হয় service secto