প্রবন্ধ

আর্থিক সামাজিক সাংস্কৃতিক উন্নয়নের নির্দেশনা---প্রাউট

পত্রিকা প্রিতিনিধি

বিংশ ও একবিংশ শতাব্দী পৃথিবীর ইতিহাসে বিশেষভাবে স্মরণীয়৷ ধবংস ও সৃষ্টি আপেক্ষিক জগতে এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা৷ বিংশ শতাব্দিতে যে দুটি বিশ্বযুদ্ধ ঘটে গেছে তাতে এই পৃথিবীর বুকে নিয়ে এসেছে মানব সমাজের অগ্রগতিতে এক নোতুন প্রবাহ৷ মানব সমাজ সামগ্রিকভাবে অধিকতর সচেতন হয়েছে ও এক বৃহৎ পরিবার ভুক্ত হয়েছে বিজ্ঞানের উন্নতি ও অধ্যাত্মবাদের বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা ও প্রয়োগের দরুণ৷ অত্যাধুনিক জগতে মার্গগুরু শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী (মহান দার্শনিক শ্রদ্ধেয় প্রভাতরঞ্জন সরকার) পৃথিবীর বুকে সর্বরোগ হর যে আর্থসামাজিক দর্শন প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্ব দিয়েছেন সেটি যে আজকের সমাজের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে কতটা প্রাসঙ্গিক তা

এক ও শূন্য–এর তাৎপর্য

সমরেন্দ্রনাথ  ভৌমিক

অঙ্কের জগতে ‘১‘ এমন এক আশ্চর্যজনক আবিষ্কার যা চলার পথে মানব মন অজস্র জ্ঞান–বহুল অভিপ্রকাশকে জানাতে সক্ষম৷ আজকের আলোচ্য বিষয় এই ‘এক’–এর বহুবিধ অভিপ্রকাশকে নিয়েই৷

পরমপুরুষকে বলা হয়–তিনি এক ও অদ্বিতীয়, অর্থাৎ ‘একমেবাদ্বিতীয়ম’৷

রাজনৈতিক ভণ্ডামী নয় নীতিবাদীদের নবজাগরণ চাই

প্রভাত খাঁ

ভারত যুক্তরাষ্ট্রের যে সংবিধান সেটি পৃথিবীর বিশেষ কয়েকটি দেশের সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়েই মূলতঃ তৈরী হয়৷ তৎকালীন ভারতবর্ষের জ্ঞানীগুণী ব্যষ্টি নিয়ে একটি কমিটি ঘটন করে নানা আলোচনার পর এটির সৃষ্টি হয়৷ তাই এই সংবিধান বিরাট ও জটিল৷ এই সংবিধানের মধ্যে অনেক কিছু আছে যা দেশকে উন্নতির দিকে নিয়ে যেতে পারে৷ কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের তা হলো যাদের হাতে এটি পড়েছে তারা এই মর্যাদা দিতে পারে নি সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থেই৷ তাই এর শতাধিকবার বিভিন্ন ধারার পরিবর্ত্তন ও পরিবর্দ্ধন ঘটেছে বিশেষ বিশেষ স্বার্থান্বেষীদের সংকীর্ণ স্বার্থে৷ শব্দটির অর্থবোঝা বড়ই কঠিন৷ আর নির্বাচন হলো পবিত্র দায়িত্ব পালনের এক বিশেষ

প্রাউটের শিল্পনীতি প্রসঙ্গে

প্রাউটিষ্ট ফোরাম

প্রাউটের আর্থিক ব্যবস্থার মূল লক্ষ্য বিশ্বের যে সম্পদ আছে তা কখনই মুষ্টিমেয় কিছু পুঁজিপতিদের হাতে কুক্ষিগত হতে দেওয়া যাবে না৷ প্রয়োজনাতিরিক্ত অবাধ সঞ্চয় প্রাউট সমর্থন করে না৷ প্রাউট পুঁজিবাদের অবাধ সঞ্চয়নীতিকে সমর্থন করে না, আবার কম্যুনিজমের পথে সম্পদের রাষ্ট্রীয়করণকেও সমর্থন করে না৷ এ বিষয়ে প্রাউটের সুস্পষ্ট নীতি আছে৷ সামাজিক, অর্থনৈতিক নিরাপত্তার কথা ভেবে প্রত্যেক মানুষের মধ্যে সঞ্চয়ের প্রবণতা থাকবে৷ কিন্তু জোরে সংখ্যাগরিষ্ঠকে বঞ্চিত করে স্বল্প সংখ্যক মানুষের অবাধ সঞ্চয়ের পুঁজিবাদী প্রবণতাকে দমন করে প্রাউট প্রতিটি মানুষের জন্যে দেশ কাল পাত্র অনুযায়ী আর্থিক পরিস্থিতি বিচার করে সঞ্চয়ের পরিম

চালুনী সূচের বিচার করে

নিরপেক্ষ

২০২৪ এর নির্বাচনটি হলো কেন্দ্রের অর্থাৎ বিজেপি সরকারের শাসনকালে এই সরকার যে কতটা দেশের হতাশা ও হতদরিদ্র জনগণকে গত ১০ বছরে সেবা দিয়েছে তার হিসাব কষেই জনগণ রায় দিয়েছে৷ ২০১৯-এর ৬০-এর অধিক আসন বিজেপি হেরেছে৷ স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নিজের কেন্দ্রের জয়ের ব্যবধান তি লক্ষের বেশী কমেছে৷ ৪০০ পারের স্বপ্ণ এখন শরিক দলগুলিকে তোষণের দুঃস্বপ্ণে পরিণত হয়েছে৷ গত ১০ বছরে শূন্য এ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ, বছরে দুকোটি চাকরী, কালোটাকা ফেরৎ সবই ধাপ্পা৷ তাই দেশের জনগণ এবার মোদি গ্যারান্টিতে আস্থা রাখেনি৷ ‘নির্র্বচনী বণ্ড কেন্দ্রের সুপ্রীম কোর্টই অনৈতিক বলে ঘোষণা করেছেন!

জীবনের জন্যে বৃক্ষায়ন জরুরী

পত্রিকা প্রিতিনিধি

ইতিহাসের শুরু থেকেই জীবজগতে গাছ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে৷ বিশ্বের অধিকাংশ প্রজাতির প্রাণীর জন্যে গাছ খাদ্য যোগাচ্ছে, এদেরকে আশ্রয় ও ছায়া দিচ্ছে৷ বর্তমান বিশ্বে প্রায় ১০ মিলিয়ন জাতের গাছ রয়েছে৷ স্থলে ও জলে সর্বত্রই এরা গজিয়ে উঠছে, বংশবিস্তার করছে৷ প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় এদের অবস্থান সীমাহীন৷ গাছবিহীন পরিবেশে জীবন প্রায় অসম্ভব, দুর্বিষহ৷ গাছ আবহাওয়াকে বিশুদ্ধ রাখে, শান্ত রাখে৷ দিনের বেলা গাছ আলোক সংশ্লেষণ করে৷ তখন যারা কার্বন–ডাই–ক্সাইড প্রতিনিয়ত নির্গত করে বাতাসকে দুষিত করছে, তার অধিকাংশই গ্রহণ করছে গাছপালা৷ এর পরিবর্তে মানুষের অতি প্রয়োজনীয় অক্সিজেন নির্গত করছে গাছ৷ তাতে নির

এক শিরদাঁড়া যুক্ত বাঙালী, মৃত্যুর পর যাঁর দেহ দাঁড় করিয়ে দাহ করা হয়েছিল

পত্রিকা প্রিতিনিধি

 এক স্বনামধন্য কবি একদা লিখেছিলেন- ‘‘তুমিও মানুষ, আমিও মানুষ, তফাৎ শুধু শিরদাঁড়ায়’’৷ তার এই বাণী (!) গত দেড় দশক যাবৎ এখনও পর্যন্ত অনেকেরই কথায় কথায় উঠে আসে৷ যদিও সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে তিনি নিজেই তা বিশ্বাস করেননি অথবা আস্থা রাখেননি৷

তবে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলা কবির এই উক্তির অন্তত একশ বছর আগে এক বাঙালি যা বলেছিলেন, জীবনের শেষ দিনে তাঁর সেই ইচ্ছা পূরণ করেছিলেন সহযোদ্ধারা৷

‘‘জীবিতাবস্থায় আমি যে শির কাহারও নিকট অবনত করি নাই, মৃত্যুর পরও যেন আমার সেই শির অবনমিত না করা হয়’’ কথাগুলো জানিয়ে উইল করে গিয়েছিলেন তিনি, তাঁকে যেন দণ্ডায়মান অবস্থায় সৎকার করা হয়৷

অভিনব ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ

বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায়

 কথা দিয়ে কথা না রাখার ব্যাপারে রাজনীতিকদের জুড়ি মেলা ভার৷ এখনকার আমজনতা তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের কথা বা প্রতিশ্রুতি কে ততটা গুরুত্ব দেয়না৷ এমনকি সহজে কেউ বিশ্বাস ও করতে চায়না৷ এরকম একটা সময়ে লোকসভা নির্বাচনের আগে ঘাটালের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী দীপক অধিকারী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় ঘোষণা করেন যত বোট vote) তিনি পাবেন তত গাছ তিনি লাগাবেন তাঁর সংসদীয় এলাকায় অর্থাৎ সাতটি বিধানসভা ক্ষেত্রে৷ এক্ষেত্রেও দীপক অধিকারীর প্রতিশ্রুতিকে তাঁর এলাকার বোটাররা voter) তেমন গুরুত্ব দেয়নি৷ অন্য আর পাঁচটা প্রতিশ্রুতির মতো এটাও বলে ধরে নেয় মানুষ৷ যাইহোক এবারের লোকসভা নির্বাচনেও তিনি জয়লাভ করে তৃতীয়বারের

প্রকৃত জনগণতন্ত্রের শাসন চাই

প্রভাত খাঁ

আজ পর্যন্ত পৃথিবীতে এমন কোন রাষ্ট্র সৃষ্টি হল না যাকে দেখে অন্য রাষ্ট্রগুলি উন্নয়নের পথে ও আদর্শের পথে চলবে৷ অনেকেই মনে করেছিল ভারতবর্ষের ধ্যান–ধারণা ও মুনি–ঋষিদের মহান মুক্তির বাণী হয়তো পৃথিবীর মানব সমাজকে এক নব দিগন্তের পথ দেখাবে৷ কিন্তু বাস্তবে তা হ’ল না৷ তার মূল্যায়নটি হ’ল যেসব দেশনেতা ও নেত্রীরা এদেশের রাষ্ট্রশাসনে এলেন তাঁদের মধ্যে সেই শৌর্য–বীর্যের বড়ই অভাব ছিল৷ তাঁরা সকলেই সেই সাম্রাজ্যবাদী ধনতন্ত্রের তল্পিবাহকদের পথ অন্ধভাবে অনুসরণ করে এদেশের মহান ভাবাদর্শকে অজ্ঞানতাবশতঃ পশ্চাতে ফেলেই চলেছেন৷ তাই ভারতে মহান আদর্শ বিশ্ব দরবারে উপস্থিত হওয়ার কোন সুযোগ পায়নি৷ কবির কথায় বলা যায়–আবার ভা

রাসবিহারী বসু

শ্রীমাখনলাল রায়চৌধুরী

১৯১২ সালের ২৩ ডিসেম্বর দিল্লীতে বিপ্লবী বসন্ত বিশ্বাসের দ্বারা বড়োলাট হার্ডিঞ্জের ওপর যে বোমা নিক্ষেপ করা হয় (মূলত এতে তার হস্তী চালকের মৃত্যু হয়, বড়োলাটের পিঠে গভীর ক্ষতেরও সৃষ্টি হয়), তার মূল কারিগর ছিলেন ইনিই৷ একথা বেশ কিছুদিন চাপা থাকলেও তিনিই যে এই বোমা কাণ্ডের নায়ক - তা পুলিশের অগোচরে রইলো না আর৷ তাঁকে ধরার জন্য অনেক টাকা পুরষ্কার স্বরূপ ঘোষিত হল৷ অতঃপর ১৯১৫ সালের জানুয়ারি মাসে সর্বদলীয় বিপ্লবী সম্মেলনের কলকাতা অধিবেশনে স্থির হল যে - ১৯১৫ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি স্বাধীন ভারত ঘোষণা করা হবে৷ সেইদিন এই মহান মানুষটি পশ্চিম ভারতে বিপ্লবের কার্যভার গ্রহণ করেছিলেন৷ বাঙলার ভার ছিলো যতীন্দ্রনাথ