প্রবন্ধ

নির্বাচন নির্বাচক ও সু-নেতৃত্ব

সুভাষপ্রকাশ পাল

ভারতবর্ষ গণতান্ত্রিক দেশ, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সদস্যরা শাসন ক্ষমতায় আসেন, তাঁদের পরিচালনায় দেশের শ্রীবৃদ্ধি ঘটে বা দেশ শ্রীহীন হয়, একটা দেশকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার যতগুলি পন্থা আছে যেমন--- রাজতন্ত্র,সমাজতন্ত্র, একনায়কতন্ত্র, গণতন্ত্র, মিলিটারী শাসন ইত্যাদি তার মধ্যে গণতন্ত্র মন্দের ভাল, গণতন্ত্র হল জনগণের দ্বারা, জনগণের জন্য, জনগণের শাসন, কিন্তু বাস্তবে কী সত্যিই তা হয়৷ প্রথমতঃ যাঁরা ভোট দিচ্ছেন তাঁদের কতজন রাজনীতি সচেতন কোন প্রার্থী যোগ্য, কোন প্রার্থী অযোগ্য তা বিচার করার ক্ষমতা কতজনেরই বা আছে?

সঙ্গীতবিদ্ প্রাণী ও বাজনদার কীট–পতঙ্গদের ইতিকথা

সমরেন্দ্রনাথ  ভৌমিক

বহু প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ সঙ্গীত গাইতে শিখেছে, আর এই সঙ্গীত গেয়ে মানুষ নিজে আনন্দ পেয়েছে ও অন্যকেও সঙ্গীত শুণিয়ে আনন্দ দিতে শিখেছে৷ এরপর যখন মানুষ বাদ্যযন্ত্র তৈরী করতে শিখল তখন থেকে ওই বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে আনন্দ পেয়েছে ও মানুষকে আনন্দ দিয়েছে৷

অভিনব ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ

বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায়

 কথা দিয়ে কথা না রাখার ব্যাপারে রাজনীতিকদের জুড়ি মেলা ভার৷ এখনকার আমজনতা তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের কথা বা প্রতিশ্রুতি কে ততটা গুরুত্ব দেয়না৷ এমনকি সহজে কেউ বিশ্বাস ও করতে চায়না৷ এরকম একটা সময়ে লোকসভা নির্বাচনের আগে ঘাটালের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী দীপক অধিকারী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় ঘোষণা করেন যত বোট vote) তিনি পাবেন তত গাছ তিনি লাগাবেন তাঁর সংসদীয় এলাকায় অর্থাৎ সাতটি বিধানসভা ক্ষেত্রে৷ এক্ষেত্রেও দীপক অধিকারীর প্রতিশ্রুতিকে তাঁর এলাকার বোটাররা voter) তেমন গুরুত্ব দেয়নি৷ অন্য আর পাঁচটা প্রতিশ্রুতির মতো এটাও বলে ধরে নেয় মানুষ৷ যাইহোক এবারের লোকসভা নির্বাচনেও তিনি জয়লাভ করে তৃতীয়বারের

দুর্নীতি দূরীকরণে সমাজের নীতিবাদীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরী

সায়ন চক্রবর্ত্তী

ঈশ্বরের এই বিশাল জগতে মানুষই সর্বশ্রেষ্ঠ জীব৷ অন্যান্য সব জীবেদের সঙ্গে মানুষের তুলনা করা না গেলেও অন্যদের ঈশ্বর পূর্ণাঙ্গ রূপে নিখুঁত ভাবে সৃষ্টি করেছেন কিন্তু মানুষকে নিখুঁত ভাবে সৃষ্টি না করে পূর্ণ হওয়ার শক্তি ও সম্ভাবনা দিয়েছেন মাত্র৷ সেই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে একদিকে মানুষ নিজেকে দেবতারূপেও গড়ে তুলতে পারে আবার সামর্থ্যকে অপব্যবহার করে ভয়ানক শয়তানেও পরিণত হয়ে যেতে পারে৷

বর্তমান ভয়ংকর অধঃপতন হতে দেশকে রক্ষা করতে নোতুন প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে

প্রভাত খাঁ

রাজতন্ত্র বা সামন্ততান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় যেহেতু রাজা বা সামন্তরাজ দণ্ডমুণ্ডের কর্ত্তা তাই তাঁদের হাতে সৈন্য ও লেঠেলরা থাকতো, তাদের দিয়ে নিজেদের মনের মত করে অর্থাৎ স্বেচ্ছাচারকে মূলভিত্তি করে তাঁরা শাসন কার্য পরিচালনা করতেন৷ কখনো কখনো দেখা যেত কোন কোন রাষ্ট্রে দয়ালু মহান রাষ্ট্র প্রধানদের৷ সময় গড়িয়ে চলেছে তাই আজ দেখা যাচ্ছে সমাজে রাজতন্ত্রের পরিবর্তে আবির্ভূত হয়েছে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা৷ অর্থাৎ কথায় বলা হচ্ছে জনগণের দ্বারা ও জনগণের জন্যে৷ বাস্তবে কিন্তু দেখা যাচ্ছে বহু দলীয় গণতন্ত্রিক  শাসন ব্যবস্থায় রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি, শোষণ, অত্যাচার, স্বেচ্ছাচারিতা প্রচণ্ডভাবে প্রভাব বিস্তার ক

পশ্চিমবঙ্গকে বঞ্চনার প্রত্যুত্তর দেবে ঐক্যবদ্ধ বাঙালী

প্রাউটিষ্ট ফোরাম

এক নাগাড়ে দীর্ঘ ৭৭ বছর ধরে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রের সরকার দেখে আসছে ভারতের নাগরিকগণ৷ কেমন ধরণের সরকার প্রথমে কংগ্রেস দল আসে দেশকে সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে ভাগ করা ভারতবর্ষের ডানাহীন ভারত যুক্তরাষ্ট্রকে শাসন করতে দলতন্ত্রের পতাকা হাতে নিয়ে গণতান্ত্রিক সরকারের নাম নিয়ে৷ যেটি সত্যসত্যই গণতন্ত্র নয়৷ কূটনীতিতে পোক্ত বিদেশী ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী সরকারের কূটচালে পাওয়া একটি খণ্ড রাষ্ট্রকে মাত্র শাসন করার অধিকার পায় কংগ্রেস!

বিপ্লবী দীনেশ গুপ্ত স্মরণে

পত্রিকা প্রিতিনিধি

অলিন্দ যুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী শহীদ দীনেশ গুপ্তর ফাঁসী হয়েছিল ১৯৩১ সালের ৬ই জুলাই৷ ফাঁসীর পূর্বে কলিকাতা, আলিপুর সেন্ট্রাল জেল থেকে তাঁর মা, বৌদি, ভাইকে লেখা দীনেশের চিঠিগুলি শুধুমাত্র চিঠি নয়৷ জীবন দর্শন--- মাত্র বিশ বছরের এক তরুণের জীবন মৃত্য ধর্ম সম্পর্কে পরিপূর্ণ ভাবনার দার্শনিক নির্দশন তিনটি ঐতিহাসিক পত্র---

মা,

যদিও ভাবিতেছি কাল ভোরে তুমি আসিবে, তবু তোমার কাছে না লিখিয়া পারিলাম না৷

আমরা যোগ সাধনা করব কেন

পত্রিকা প্রিতিনিধি

একটি ফুলের কুঁড়ি থেকে সুন্দর একটি ফুল ফুটে ওঠে৷ ফুলের সৌন্দর্য নির্ভর করে তার সমস্ত পাপড়ি গুলির সম্পর্কে বিকাশের ওপর মনে করা যাক, একটি ফুলের তিনটি এই তিনটি পাঁপড়ি যদি ঠিকমত ফুটে ওঠে, তবে ফুলটিকে সুন্দর দেখায়, তেমনি আমাদের জীবনপুষ্পের তিনটি পাঁপড়ি–দেহ, মন ও আত্মা৷ এই তিনেব যদি সুষ্ঠু বিকাশ না হয়, তাহলে জীবনের সুষ্ঠু বিকাশ বা চলে না বা তাকে জীবনের প্রকৃত উন্নতি বলা চলে না৷ আর তাই জীবনের যথার্থ উন্নতির জন্যে তার জীবনকে যথার্থ আনন্দময় করে গড়ে তুলতে হলে দৈহিক, মানসিক ও আত্মিক–তিনেরই উন্নতি একান্ত প্রয়োজন৷ জীবনের এই ত্রিস্তরীয় উন্নতি সম্পর্কে–আমাদের যথার্থভাবে চেতন হতে তহবে৷ সেজন্যেই আনন্দমার্গের

গণতন্ত্রের মুখোসে একনায়কতন্ত্রের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে হবে

প্রভাত খাঁ

শাসক দলের ২০২৪-এর খেলা শেষ! এই দেশ যে কি পেল ও দলগুলো যে কি পেল তারাই জানে৷ তবে হতভাগ্য নির্বাচনমণ্ডলী যা পেল সেটাতে আনন্দের কিছু নেই কারণ জনগণের রায় শাসক দলের বিরুদ্ধে গেলেও সংখ্যার খেলায় তারাই শাসন ক্ষমতায় রয়ে গেল নির্বাচনী উদ্ভদ খেলায়৷ এই খেলার শেষ ফলে জনগণ হতাশ৷