স্বাস্থ্য বিজ্ঞান

রোগ ও চিকিৎসা

মানুষের ও জীবের ঔষধের সন্ধান শুধু উপবাস, সূর্য্যালোক, জল, বায়ু বা মৃত্তিকাতে সীমিত থাকেনি৷ প্রাথমিক স্তরে মানুষ যে ঔষধের আবিষ্কার করেছিল তা ছিল বিভিন্ন গাছ–গাছড়া ও তাদের ছাল–মূলের বহিঃপ্রয়োগ৷ সেকালের মানুষ ওই সৰ জিনিসকে দাঁতে চিৰিয়ে রোগাক্রান্ত স্থানে প্রলেপ দিত বা ঘষত৷ এই প্রলেপ ছিল মানুষের আবিষ্কৃত প্রথম ঔষধ৷

ভেষজ দ্রব্যের অভ্যন্তরীণ প্রয়োগ ঃ এই প্রলেপ যেখানে বাইরে কাজ করত না, তখন তাকে শরীরের ভেতরে নিয়ে যাওয়ার দরকার হ’ত৷ মানুষ তা চর্বন করে বা গলাধঃকরণ করে ঔষধরূপে ব্যবহার করত৷ এটাই ছিল মানুষের ইতিহাসে ঔষধ ব্যবহারের দ্বিতীয় চরণ৷

খেজুর

তালীবর্গের অন্যতম গাছ হচ্ছে খেজুর৷ সংস্কৃত ‘খর্জুর’ শব্দ থেকে ৰাংলায় তদ্ভব শব্দ থেকে ৰাংলায় তদ্ভব শব্দ খাজুর বা খেজুর এসেছে৷ খেজুর গাছের সঙ্গে ভারত ও মধ্য এশিয়ার লোকেরা দীর্ঘকাল থেকেই পরিচিত৷ তাই বৈদিক ও লৌকিক সংস্কৃত দুইয়েতেই ‘খর্জুর’ রয়েছে৷ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নানান্‌ প্রজাতির খেজুর আছে৷ ভারতীয় বা ইণ্ডিকা প্রজাতির খেজুরেরও মোটামুটি চারটি শাখা আছে---(১) গাঙ্গেয় (গ্যাঞ্জেলাইটিস), (২) রাজস্থানী, (৩) গুজরাতী,(৪) দক্ষিণী (ডেকানাইটিস্‌)৷ এদের মধ্যে স্বাদে-গুণে গুজরাতী খেজুর সর্বোৎকৃষ্ট৷ রাজস্থানী খেজুরও উন্নত মানের৷ দক্ষিণী খেজুর সাধারণ মানের আর গাঙ্গেয় খেজুরের আঁটির (সংস্কৃত ‘অস্থি’ শব্দ থেকে

উচ্ছে

পরিচিতি ও প্রজাতি ঃ উৎস - কন্ + টা = উৎসিকা৷ যে তরকারীটি খেলে শরীরের বিভিন্ন উৎস থেকে লালা উৎসারিত হয়ে খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে তাই–ই উৎসিকা৷ উৎসিকাঞ্ছউচ্ছিআঞ্ছউচ্৷ সে জন্যে উচ্ছে প্রথম পাতে খেতে হয়৷ আদিম অবস্থায় বা বন্য অবস্থায় উচ্ছে ৰাংলার পথে–ঘাটে এখনও জন্মায়৷ এই বুনো উচ্ছেগুলি আকারে খুব ছোট, অতিমাত্রায় তিক্ত ও ঔষধীয় গুণ এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী৷ দ্বিতীয় ধরনের উচ্ছে হ’ল চাষের উচ্ছে৷ বুনো উচ্ছেকে চর্চার দ্বারা উন্নীত করে চাষের উচ্ছের সৃষ্টি হয়েছিল৷ এই উচ্ছে আকারে কিছুটা বড়৷ তিক্ততা বুনো উচ্ছের চেয়ে কিছুটা কম৷ উত্তর ভারতে এই চাষের উচ্ছেকে বলা হয় ‘করেলী’৷ এই চাষের উচ্ছেকে চর্চার দ্বারা আবার

কৃশতা

কারণ ঃ শারীরিক কৃশতার কারণ নানাবিধ ঃ

১) দুর্বল বা অসুস্থ পুং বা স্ত্রীবীজ থেকে যে সকল শিশুর দেহ সৃষ্টি হয়েছে, তারা স্বভাবতই শক্তিহীন ও কৃশকায় হয়ে থাকে৷

২) শিশু যদি যথেষ্ট পরিমাণে মাতৃস্তন্য না পায় সেক্ষেত্রেও সে সাধারণতঃ কৃশকায় হয়ে থাকে৷

৩) দারিদ্র্য নিবন্ধন যে সকল পিতা–মাতা সন্তান–সন্ততিদের জন্যে যথেষ্ট পরিমাণে দুগ্ধের ব্যবস্থা করতে পারেন না ও অল্প বয়স থেকে তদের জন্যে ভাত, ডাল বা সাবু–বার্লি দেওয়া হয়, তাদের যকৃৎ ও পরিপাক যন্ত্রগুলি দুর্বল হয়ে পড়ে ও অধিকাংশ ক্ষেত্রে তারা কৃশকায় হয়ে পড়ে৷

শীতের রোগ থেকে বাঁচতে কী কী করবেন

বিশেষ প্রতিনিধি

শীতকালে বাড়ীর তৈরী হালকা রান্না খাবার শরীরের পক্ষে ভাল৷ শরীরের জন্যে যতটা প্রয়োজন ঠিক ততটা খান৷ অল্প অল্প করে বারে বারে খিদে পেলে খান৷ নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খান৷ দুপুরের খাবার বিকেলে, বিকেলের খাবার সন্ধ্যায় বা রাতের খাবার অধিক রাতে খেলে হজমের সমস্যা দেখা দেবে৷ শীতে বিভিন্ন ফাস্ট ফুড তেল মশলা জাতীয় খাবার ও ফ্যাটিফুড জাতীয় খাবার যত কম খাওয়া যায় বা না খাওয়া যায় ততই ভাল৷ এতে শরীর সুস্থ থাকবে৷ বিভিন্ন মশলা জাতীয় খাবার রোগব্যাধী সৃষ্টি করে৷ একটা কথা মনে রাখতে হবে পেটের শত্রু হ’ল জিভ৷ মানুষ সাধারণত শরীরের জন্যে ভেবেচিন্তে খাবার খায় না৷ জিভের স্বাদের জন্য খায়৷ ফলে হজমের নানা সমস্যায় ভোগে৷

খেজুর / খেজুরের তাজা রস/ খেজুর গুড়

তালীবর্গের অন্যতম গাছ হচ্ছে খেজুর৷ সংস্কৃত ‘খর্জুর’ শব্দ থেকে ৰাংলায় তদ্ভব ‘খাজুর’ বা ‘খেজুর’ এসেছে৷ খেজুর গাছের সঙ্গে ভারত ও মধ্য এশিয়ার লোকেরা দীর্ঘকাল ধরেই পরিচিত৷ ভারতীয় বা ইন্ডিকা বর্গীয় খেজুরের মোটামুটি চারটি শাখা আছে–১) গাঙ্গেয় (গ্যাঞ্জেলাইটিস), ২) রাজস্থানী, ৩) গুজরাতী, ৪) দক্ষিণী (ডেকানাইটিস)৷ এদের মধ্যে স্বাদে–গুণে গুজরাতী খেজুর সর্বোৎকৃষ্ট৷ রাজস্থানী খেজুরও উন্নত মানের৷ দক্ষিণী খেজুর সাধারণ মানের৷ আর গাঙ্গেয় খেজুরের শাঁস বলতে কিছুই নেই৷ কিন্তু এই গ্যাঞ্জেলাইটিস্ প্রজাতির খেজুরের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে গাছগুলো একেবারে রসে টইটম্বুর৷ এই গাছগুলি থেকে প্রচুর পরিমাণে রস ও তাড়ি (শুদ্ধ বৈয়াকরণি

জ্বর ও জণ্ডিসের উপকারী আনারস

বিশেষ প্রতিনিধি

আনারস বিশ্বের অন্যতম সেরা ফল৷ পৃথিবীতে প্রায় ৯৫টি প্রজাতির আনারস চাষ হয়৷ পশ্চিমবাঙলার উত্তর দিনাজপুর ও দার্জিলিং জেলার সংলগ্ণ এলাকাতে এর বহুল চাষ করতে দেখা যায়৷ অসম, ত্রিপুরাতে আনারস চাষ একটি অর্থকরি ফসল৷ আনারসের পুষ্টিগুণ অতুলনীয়৷ এতে ভিটামিন এ, বি, সি, ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য পুষ্টির উপাদান রয়েছে৷ ১০০ গ্রাম আনারসে ০.৬ ভাগ প্রোটিন, শ্বেতসার ৬.২ গ্রাম, ০.১ ভাগ সহজপাচ্য ফ্যাট, ০.৫ গ্রাম খনিজ পদার্থ, ১২.০ গ্রাম শর্করা, ০.১১ গ্রাম ভিটামিন বি–১,০.০৪মি. গ্রাম ভিটামিন–২, ভিটামিন সি ২১ মি.গ্রা., ক্যালসিয়াম ১৮ মিলিগ্রা.

বাঁশপাতাও তার ঔষধীয় গুণ

পরিচয় ও প্রজাতি ঃ তৃণ বর্গের সবচেয়ে বৃহৎ প্রজাতি হচ্ছে বাঁশ৷ জাওল বাঁশ, মুঠি বাঁশ, মূলী বাঁশ, তলতা বাঁশ, পলকা বাঁশ–এরা সবাই অতি দীর্ঘকায় তৃণ ছাড়া আর কিছুই নয়৷ সেই সকল বৃহৎ তৃণকে বাঁশ বলি যাদের ফুল–বীজ হোক না হোক, পাশ থেকে কোঁড় বের হয়, ঝুড়ি তৈরী হয় ও অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভেতরটা থাকে ফাঁপা৷ সাধারণতঃ যে সকল বাঁশ বেশী দীর্ঘকায় হয় তারা বেশী ফাঁপা৷ যে সকল বাঁশেরা ছোট (এই ধরনের বাঁশ থেকেই লাঠি তৈরী হয়) তারা আকারে অতি ৰৃহৎ হয় না–ওজনে হয় ভারী৷ গাছগুলিও লোহার মত শক্ত৷

উচ্ছে

পরিচিতি ও প্রজাতি ঃ উৎস  কন্  টা ঞ্চ উৎসিকা৷ যে তরকারীটি খেলে শরীরের বিভিন্ন উৎস থেকে লালা উৎসারিত হয়ে খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে তাই–ই উৎসিকা৷ উৎসিকাঞ্ছউচ্ছিআঞ্ছউচ্৷ সে জন্যে উচ্ছে প্রথম পাতে খেতে হয়৷ আদিম অবস্থায় বা বন্য অবস্থায় উচ্ছে ৰাংলার পথে–ঘাটে এখনও জন্মায়৷ এই বুনো উচ্ছেগুলি আকারে খুব ছোট, অতিমাত্রায় তিক্ত ও ঔষধীয় গুণ এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী৷ দ্বিতীয় ধরনের উচ্ছে হ’ল চাষের উচ্ছে৷ বুনো উচ্ছেকে চর্চার দ্বারা উন্নীত করে চাষের উচ্ছের সৃষ্টি হয়েছিল৷ এই উচ্ছে আকারে কিছুটা বড়৷ তিক্ততা বুনো উচ্ছের চেয়ে কিছুটা কম৷ উত্তর ভারতে এই চাষের উচ্ছেকে বলা হয় ‘করেলী’৷ এই চাষের উচ্ছেকে চর্চার দ্বারা আবার

শিশুদের সর্দি–কাশিতে আক্রান্ত হওয়া থেকে বাঁচাতে অভিভাবকদের করণীয়

ডাঃ আলমগীর

সর্দি–কাশি কেন হয়? সর্দি–কাশি কেন হয় তা জানতে হলে প্রথমেই কয়েকটি বিষয় জানা প্রয়োজন৷ বিশেষ করে বংশগত ধারা, অ্যালার্জি ও ঋতু পরিবর্ত্তন উল্লেখযোগ্য কারণ৷