আজকের সমস্যাসংকুল পৃথিবীতে শান্তি রক্ষার দায় ইউ.এন.ও-এরই

লেখক
প্রভাত খাঁ

অত্যন্ত দুঃখের কথা একদিকে বাংলাদেশ ও অন্যদিকে সিরিয়া দুটো দেশেই অন্তবর্ত্তীকালীন সরকার৷ দুটো দেশের বর্তমান অবস্থাটা একেবারেই সঙ্গীন! অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় নারীজাতির প্রতি যে নিষ্ঠুরতম অত্যাচার চলছে সেটা পশুর রাজ্যেও হয় না! সিরিয়ায় দুর্দিনে ২০০০-এর অধিক মৃত্যু হয়েছে৷ তাদের মধ্যে মাতৃজাতির সংখ্যাই বেশী৷ কি লজ্জার কথা তাঁদের উলঙ্গ করে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে! মৃতদেহগুলি রাস্তায় পড়ে আছে! এ কেমন সভ্যদেশ! অন্য দিকে বাংলাদেশেও সেই মাতৃজাতির উপর চরম পাশবিক অত্যাচার চলছে! বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী লাঠি হাতে দল বদ্ধ হয়ে রাস্তায় প্রতিবাদে নেমেছেন৷ এ কেমন ইয়ূনুসের অন্তবর্ত্তীকালীন সরকার৷ দুটো দেশের এই যে চরম অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা এর প্রতিকার করার কি কোন ব্যবস্থা নেই? সারা পৃথিবীটাই যেন এক অনিশ্চিত পথে এগুচ্ছে৷ আজ ইয়ূএনওকে এ ব্যাপারে নিরপেক্ষভাবে কিছু বাস্তব দায়িত্ব নিতে হবে৷ কারণ ইয়ূএনওই হলো সারা বিশ্বের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় একমাত্র অভিভাবক৷ যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা চলছে কি আশ্চর্যের কথা! মানুষের বিশেষ করে আজও এই পৃথিবীতে নারী জাতির কোন সামান্যতম বাঁচার অধিকার নেই! তাহলে এই পৃথিবীটা কেমন সভ্য হলো? জঙ্গলের রাজ্য এর চেয়ে অনেক ভালো!

তাই মনে হয় এই দুই দেশের সামরিক বাহিনী আজ কেন নীরব আছে! তাঁরা সামরিক শক্তির বলে দেশের শাসনভার গ্রহণ করুন৷ মানব সভ্যতা রক্ষা করুন! ভাবলে বড় দুঃখ হয় বিশ্বের শক্তিশালী যেকটি দেশ আছে তারাই কিন্তু এ সবের পশ্চাতে রহে গেছে! একমাত্র ফ্রান্সই দেখা যাচ্ছে এই সব ব্যাপারে সচেতন! এই সব ব্যাপারে এই দেশটি খুবই সচেতন৷ প্রতিবাদে মুখর হয়৷ আর রক্ষার জন্য এগিয়ে আসে৷ প্রায়পৃথিবী দুশো পঁচানববইটি দেশ যে ইউএনও-এর সদস্য তাঁদেরতো সদা জাগ্রত হয়ে নারকীয় কাজের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করা বাস্তবসম্মত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত! তাই সারা পৃথিবীর ইউ.এন ওএর সদস্য রাষ্ট্রগুলির আজ বেশী দায়িত্ব এসে পড়েছে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায়৷ সেই কারণে ধনী রাষ্ট্রের দিকে না তাকিয়ে ছোট ছোট রাষ্ট্রগুলিকে বিশ্বশান্তি রক্ষায় আর্থিক, সামরিক দিক তেকে সেই পবিত্র রাষ্ট্র সংঘকে শক্তিশালী করে তোলা৷ আর খুবই সচেতন হতে হবে ও সজাগ থাকতে হবে যাতে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায় কোন রাষ্ট্র না মাততে পারে৷ তাছাড়া মানবতা রক্ষার খাতিরে বিশেষ করে মাতৃজাতির মর্যাদা রক্ষায় যেন রাষ্ট্র সংঘের সজাগ দৃষ্টি থাকে! বর্তমানে যুদ্ধবাজ মি, ট্রাম্প আমেরিকার আর রাশিয়ার পুতিন এক পররাষ্ট্র আক্রমণের যে স্বেচ্ছাচারিতাকে প্রতিহত করতে হবে রাষ্ট্র সংঘকেই তা না হলে এরাই এদের আগ্রাসী নীতিতে সমস্যা সংকূল পৃথিবীর দারুণ ক্ষতি করবে৷ এর মাঝে ধর্মনিরপেক্ষ ও গোষ্ঠী নিরপেক্ষ বৃহত্তম রাষ্ট্র ভারতকে চলতে হবে খুবই বিবেকসম্মতভাবে৷ কারণ ভারতের দায় বিশ্বশান্তি রক্ষায় নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে চলা৷ সাথে সাথে ইউএনওকে শক্তিশালী করতে বাস্তব সম্মত পদক্ষেপ নিতে হবে৷

পরিশেষে বলি এমন দুর্দশা সারা পৃথিবীতে বার বার কেন হচ্ছে? এটা কোন রাষ্ট্র নেতা বা নেত্রীর মনে আসছে না? না আসছে কারণ প্রত্যেক দেশের স্বার্র্থন্ধ নেতা বা নেত্রী যারা শাসনে এসেছে তারা বিশেষ বিশেষ দলের সংকীর্ণ ধান্দাবাজ নেতা বা নেত্রী৷ তারা দলবাজিটাই করতে জানে৷ তাই হিংসা ও ঘৃনাই তাদের মনের ধর্ম হয়ে দাঁড়িয়েছে! কিন্তু মহান ব্যক্তিত্বের অধিকারী যাঁরা তাঁরা বুঝেছেন যে আসল সৎ-নীতিবাদী, মানবতাবাদী আধ্যাত্মিকতায় উদ্বুদ্ধ মানুষের বড়ই অভাব৷ তাই তাঁরা কদাচিৎ এই পৃথিবীতে আসেন মানুষের সমাজকে শিক্ষা দিতে৷ তাঁরা হলেন সেই সদাশিব, শ্রীকৃষ্ণ ও আধুনিক যুগে সেই মহাসম্ভূতি শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী৷ লৌকিক জগতে যিনি শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার নামে পরিচিত৷ তিনি আদর্শ সমাজ গড়তে তিনি চেয়েছিলেন আদর্শ মানুষ! তাই তৈরী করলেন মানুষ গড়ার সংঘটন---আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘ৷ তৈরী করলেন বিশ্বৈকতাবাদে উদ্বুদ্ধ একদল সর্বত্যাগী কর্মবীর সাধনা সেবা ও ত্যাগের আদর্শে প্রতিষ্ঠিত এই কর্মীরাই গড়ে তুলবে বিশ্বরাষ্ট্র৷ এই কর্মযজ্ঞের শুরু ভারত থেকেই হবে৷ সারা পৃথিবীতে বিশ্বভ্রাতৃত্বের বার্র্ত পৌঁছে যাবে৷ মানুষ বুঝবে সবাই সেই মহান বিশ্বপিতার সন্তান৷ এই মহান কাজেই ইয়ূ.এন.ওকে নিতে হবে সক্রিয় ভূমিকা৷ সেদিনই ইউ.এন ও ঘটন সার্থক রূপ পাবে৷