May 2017

বিজন সেতুতে সপ্তদশ  দধীচির উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন, মৌন মিছিল ও প্রতিবাদ সভা

১৯৮২ সালের ৩০শে এপ্রিল কলকাতার বিজন সেতু এলাকায় ও বণ্ডেল গেটে আনন্দমার্গের ১৭জন সন্ন্যাসী-সন্ন্যাসিনীকে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে ও সেই সপ্তদশ ‘দধীচি’র প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে---গত ৩০শে এপ্রিল দুপুর দু’টোয় দেশপ্রিয় পার্ক থেকে বিজন সেতুর উদ্দেশ্যে এক মৌন মিছিল বের হয়৷ সিপিএমের হার্মাদ বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত এই পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আয়োজিত মৌন মিছিল ও তত্পরে বিজন সেতুর ওপরে প্রতিবাদ-সভায় সামিল হন কলকাতার বহু বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী সহ হাজার হাজার আনন্দমার্গী ও মানবতাবাদী মানুষ৷ 

একমাত্র ‘প্রাউট’ই সমস্ত সমস্যার সমাধানের পথ

কোচবিহার শহরে রাজমাতা দীঘির  পাড়ে ও পরে খাগড়াবাড়ির মোড়ে প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্র্সলের তরফ থেকে পথসভার আয়োজন করা হয়৷ এই পথসভা দুটিতে বক্তব্য রাখেন আচার্য কৃষ্ণস্বরূপানন্দ অবধূত, দলেন্দ্রনাথ রায়জীবন সাহা,

সামাজিক অবক্ষয় রোধ করতে চাই সাংস্কৃতিক বিপ্লব

স্নেহময় দত্ত

ভারতীয় সমাজব্যবস্থায় স্নেহ-প্রেম-দয়া-ভক্তি প্রভৃতি সৎ গুণাবলী একসময় ছিল মানুষের সহজাত৷ আর এই সহজাত সুবৃত্তিসমূহের ফলে মানবিক মূল্যবোধও ছিল অপরিসীম৷ সে সময় কত জ্ঞানীগুণী মানুষের আবির্ভাব ঘটেছে, যারা নিজ নিজ ভাবনাচিন্তায় কর্মসাধনায় দেশকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গৌরবের শিখরে নিয়ে গেছেন৷ কেবলমাত্র বাঙলাতেই জন্ম নিয়েছিল শত শত মনীষী

ব্লক ভিত্তিক পরিকল্পনা

প্রাউটের যে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা মেসিনারি, তা মুখ্যতঃ কাজ করবে কেন্দ্রীয় স্তরে, রাজ্য স্তরে, জেলা স্তরে ও ব্লক স্তরে (অবশ্য ওয়ার্লড গব্ণমেন্ট প্রতিষ্ঠার পরে গ্লোব্যাল স্তরেও এই পরিকল্পনা মেসিনারী কাজ করবে)৷ ব্লক স্তরে যে পরিকল্পনা মেসিনারি কাজ করবে, প্রাউটের অর্থনীতিতে তাই হবে সর্বনিম্ন পরিকল্পনা সংস্থা৷ অর্থনৈতিক ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণের জন্যে পরিকল্পনাকে নীচের থেকে ওপরের দিকে নিয়ে যেতে হবে৷ সেটাই হচ্ছে নীতি৷ অর্থনৈতিক পরিকল্পনাকে হতে হবে ব্লক ভিত্তিক৷

সম্পাদকীয়

আগামী ১০ই মে বৈশাখী পূর্ণিমা শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ৯৭তম জন্মতিথি উত্সব আর এই কারণে, এই বৈশাখী পূর্ণিমার এই পুণ্যতিথিটি আনন্দমার্গের অনুগামীদের কাছে আনন্দপূর্ণিমারূপে পরিচিত৷ মানবসমাজে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী অবদান কী

তিরিশে এপ্রিলের নারকীয় হত্যাকাণ্ড কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

পৃথিবীর ইতিহাসে দেখা গেছে যখনই মানুষের সার্বিক কল্যাণে কেউ এগিয়ে এসেছে তখনই স্বার্থান্বেষী কায়েমী শক্তি তার বিরুদ্ধাচরণ করেছে ও ক্ষুদ্র স্বার্থের যূপকাষ্ঠে  বৃহত্তর স্বার্থের বলিদানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে৷ গৌতম বুদ্ধ,

ত্রিপুরার জাতি-উপজাতির মিলনসেতু সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়ন

হরিগোপাল দেবনাথ

কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত বলেছেন---জগত্ জুড়িয়া এক জাতি / সে জাতির নাম মানুষ জাতি৷

মহাসম্ভূতি শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজীর জীবনী ও আদর্শ

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

আনন্দমার্গের প্রতিষ্ঠাতা ধর্মগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী পিতৃপ্রদত্ত নাম শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার৷ পিতার নাম শ্রীলক্ষ্মীনারায়ণ সরকার ও মাতার নাম শ্রীমতী আভারাণী সরকার৷ ১৯২১ সালের বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে সকাল ৬টা ৭মিনিটে বিহারের মুঙ্গের জেলার অন্তর্গত জামালপুর শহরে শ্রীপ্রভাতরঞ্জন জন্মগ্রহণ করেন৷ অবশ্য তাঁর পৈত্রিক বাসভূমি ছিল বর্ধমান জেলার বামুনপাড়া গ্রামে৷ বর্ধমান শহর থেকে মাইল সাতেক দক্ষিণ