March 2020

ফাগুয়া, হোলি ও দোলযাত্রার তাৎপর্য

বিশেষ প্রতিনিধি

বসন্তোৎসব সারা ভারতের উৎসব–উত্তর ভারতে ‘হোলি’, বিহার অঞ্চলে ‘ফাগুয়া’ ও বাংলায় ‘দোলযাত্রা’৷ আদিতে এই উৎসব ছিল মূলতঃ আর্যদের৷ প্রাচীন আর্যদের বাসভূমি ছিল মধ্য এশিয়ায়৷ এই অঞ্চলটা ছিল ভীষণ ঠাণ্ডা৷ সারা শীতকাল কেবল বরফ পড়তো, এটা ছিল আর্যদের দুঃসহ কষ্টের কাল৷ নিদারুণ ঠাণ্ডায় মানুষ জবু–থবু হয়ে মরার মত পড়ে থাকতো, কোন কাজকর্ম করতে পারতো না৷ এই শীতকালটা যখন বিদায় নিত, আর্যরা তখন আনন্দে উৎসবে মেতে উঠতো৷ ‘উৎ’ মানে আনন্দে লাফিয়ে ওঠা আর ‘সব’ মানে ‘জন্মগ্রহণ করা’৷ আক্ষরিক অর্থেই বসন্তের আগমনে আর্যরা প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠতো, হৈ–হুল্লোড় ও কর্মচাঞ্চল্যে মেতে উঠতো৷

ভারতেও করোনার থাবা  আক্রান্ত ২৯

করোনা ভাইরাস ভারতেও প্রবেশ করল৷ এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২৯ জন৷ তবে এদের বেশীরভাগই বিদেশী নাগরিক৷ ভারতীয় যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তারাও বিদেশে যোগ থাকার সুবাদেই আক্রান্ত হয়েছেন৷ সব থেকে বেশী আক্রান্তের সংখ্যা রাজস্থানের জয়পুরে---১৭ জন৷ এছাড়া দিল্লীতে ২ জন, আগ্রায় ৬ জন, কেরলে ৩ জন ও হায়দ্রাবাদে ১ জন৷

বাঙালী বাহিনীর পথ পরিক্রমায় জনমনে ব্যাপক সাড়া

গত ২৯শে ফেব্রুয়ারী ও ১লা  মার্চ বাঙালী বাহিনীর রাজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় কাঞ্চনপুর দশদা কমিউনিটি হলে৷ সম্প্রতি উগ্রপন্থি হামলায় কাঞ্চনপুর এলাকার শতাধিক বাঙালী পরিবার নিঃস্ব হয়ে ঘরবাড়ী ছেড়ে আনন্দবাজার ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে৷ ‘আমরা বাঙালী’ কর্মী ছাড়া কোন রাজনৈতিক দল ও সরকার এখনও পর্যন্ত অসহায় মানুষগুলোর জন্য কিছু করেনি৷ সরকার বরং উগ্রপন্থিদের পাশে দাঁড়ানোয় স্থানীয় মানুষ আরো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে৷  এই অবস্থায় বিপন্ন  মানুষের  পাশে দাঁড়াতে ও জনমনে সাহস জোগাতে  পথে নাবে ‘বাঙালী বাহিনী’৷

শিক্ষাব্যবস্থা ও মাইক্রোবাইটাম

শ্রী সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

মহাবিজ্ঞানী শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের মাইক্রো বাইটাম তত্ত্বে বলা হয়েছে যে, পজেটিভ মাইক্রোবাইটাম হ’ল মিত্র স্বভাবের মাইক্রোবাইটাম৷ অর্থাৎ এই মাইক্রোবাইটাম মিত্র বা বন্ধুর মত  মানব জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহায়তা করে৷ আর এই মাইক্রোবাইটাম প্রতিসঞ্চর ধারায় সৃষ্ট হওয়ায় এরা মানবজীবনের জাগতিক স্তর ও মানসিক স্তরে থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রেরণা বা উৎসাহ যোগায়৷ বিশেষ ক’রে  এরা শুভবুদ্ধি ও বিবেকের জাগরন্ ঘটায় এবং অপরপক্ষে নেগেটিভ মাইক্রোবাইটামের অশুভ কর্মতৎপরতাকে প্রতিহত করে৷ পজেটিভ মাইক্রোবাইটাম সবসময়ে শুভ  কর্মে লিপ্ত থাকার উৎসাহ প্রদান করে এবং  উদার মনবৃত্তি তৈরীতে উৎসাহ বা প্রেরনা যোগায়৷

পণপ্রথা আজও একটি সামাজিক ব্যাধি

কণিকা দেবনাথ

পত্রপত্রিকায় চোখ দিলেই দেখা যায় কন্যা সন্তান হয়ে জন্মানোর দুর্বিষহ যন্ত্রণার ছবি৷ একবিংশ শতাব্দীর দুদশক পার করেও আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজের নারী অভিশাপমুক্ত হলো না৷ অবশ্য তথাকথিত অভিজাত বা  হাই সোসাইটির আধুনিক কন্যার কথা আলাদা৷ সাধারণ মধ্যবিত্ত সমাজে কন্যা সন্তান জন্ম দিলে নারীকে আজও নানা অত্যাচার ও নির্যাতন ভোগ করতে হয়৷

সমাজের নারীর প্রতি এই বৈষম্য মূলক আচরণের অন্যতম কারণ হলো পণপ্রথা৷ আজও সমাজে অনেক ছেলেই শ্বশুর বাড়ির টাকায় বড়লোক হওয়ার স্বপ্ণ দেখে, তাই কন্যা বিবাহ যোগ্যা হলেই দুশ্চিন্তায় পিতা মাতার ঘুম ছুটে যায়৷

আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রত্যাশা

সত্যসন্ধ দেব

সমাজে নারী ও পুরুষ পাখীর  দুটি  ডানার  মতো৷ একটা ডানা  যদি  পঙ্গু হয়,  তা  হলে একটিমাত্র  ডানা  দিয়ে  পাখী  উড়তে  পারে  না৷ ঠিক তেমনি  সমাজে  নারী যদি  অবহেলিত  হয়,  শোষিত  হয়,  নির্যাতিত  হয়,  যা  আজকে  হচ্ছেও,  এ  অবস্থায় সমাজের প্রকৃত প্রগতি  হতে  পারে  না৷ নারী  পুরুষের  জননী৷  এই  সত্য  মদগর্বী  কিছু  পুরুষ  ভুলে  যায়  ও  নারীর  ওপর  নির্যাতন  চালায়৷

বর্তমানে বিভিন্ন  স্থানে,  কিছু  পশুস্বভাবযুক্ত  পুরুষ  যেভাবে  মেয়েদের ওপর  পাশবিক  নির্যাতন  চালাচ্ছে  তা  মানব  সভ্যতার  মুখে  চরমভাবে  কালি  লেপন  করছে৷

রাষ্ট্র সংঘের গুরুত্বকে মর্যাদা দেওয়ার সময় হয়েছে

প্রভাত খাঁ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়ঙ্কর পরিণতির পর যাতে আর পৃথিবীতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মতো ভয়ঙ্কর বিশ্ব যুদ্ধ না ঘটে তার জন্য সাম্রাজ্যবাদী শক্তি জড়বাদভিত্তিক সমাজবাদী শক্তি একত্রিত হয়ে ইউ.এন.ও ঘটন করে৷ সেই রাষ্ট্র সংঘে বর্তমান পৃথিবীর ছোট-বড় অধিকাংশ রাষ্ট্রই সদস্য৷ বর্তমানে রাষ্ট্র সংঘের কাজ অনেক বেড়েছে৷ আর অনেক সমস্যার সমাধান করছে রাষ্ট্রসংঘ৷ তবে এখানে দেখা যাচ্ছে বর্তমানে পৃথিবীর শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলোই যারা রাষ্ট্রসংঘকে নিয়ন্ত্রণ করে অধিকাংশ ব্যাপারে নিজেদের স্বার্থ বজায় রাখতে একাধিক গোষ্ঠী বানিয়েছেন ও বিভিন্ন বিষয়ে মতদানের সময় সার্বিক কল্যাণের চিন্তা না করে গোষ্ঠীর স্বার্থই বেশি করে  ভাবে৷ তাই রা

আনন্দনগর সংবাদ

 

আনন্দনগরে নীলকণ্ঠ দিবস

নিজস্ব সংবাদদাতা ঃ গত ১২ ফেব্রুয়ারী নীলকণ্ঠ দিবস উপলক্ষ্যে আনন্দনগরে মার্গগুরুর বাসভবন মধুমূর্চ্ছনায় তিন ঘণ্টা অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তন ও সাধনা শেষে দিনটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন সংঘের প্রবীণ সন্ন্যাসীবৃন্দ৷ সবশেষে সকলে মিলিত ভোজে অংশগ্রহণ করেন৷

 

আনন্দনগরে সেবাকার্য

পুইনান আনন্দমার্গ স্কুলে সাংস্কৃতিক  অনুষ্ঠান

 গত ২৯শে ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় পুইনান আনন্দমার্গ স্কুলের ছাত্র-ছাত্রারা পরিবেশন করল এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান৷ বার্ষিক অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে  স্কুলের  ছাত্র-ছাত্রারা অত্যন্ত সুচারুরূপে রূপে পরিবেশন করল ইংরাজী রাইমস্, বাংলাছড়া, সঙ্গীত ও নৃত্য৷ শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার রচিত প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে নৃত্য দর্শকদের কাছে যথেষ্ট হৃদয়গ্রাহী হয়৷ অনুষ্ঠানের আর এক আকর্ষণ ছিল শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার রচিত গল্প অবলম্বনে নাটক ‘যখের ধন’৷ নাটক পরিচালনা করেন বাবলু পাল ও অসিত মান্ডি৷ নৃত্য পরিচালনা করেন টুইঙ্কেল মান্না৷

বনগাঁ আনন্দমার্গ স্কুলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

গত ২৯ ফেব্রুয়ারী বনগাঁ (উত্তর ২৪ পরগণা) আনন্দমার্গ স্কুলের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়৷  এই অনুষ্ঠানে সভাপতি ছিলেন আচার্য গুণারাগানন্দ অবধূত ও প্রধান অতিথিরূপে উপস্থিত ছিলেন আচার্য অভিব্রতানন্দ অবধূত, এছাড়া উপস্থিত ছিলেন স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল আচার্য সর্বানন্দ  অবধূত, সর্বশ্রী কৃষ্ণাস্বরূপ বিশ্বাস, নীলকমল বিশ্বাস, কৃষ্ণশঙ্কর মুখার্জী, ডঃ অরুণ বিশ্বাস প্রমুখ৷