মহাবিজ্ঞানী শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের মাইক্রো বাইটাম তত্ত্বে বলা হয়েছে যে, পজেটিভ মাইক্রোবাইটাম হ’ল মিত্র স্বভাবের মাইক্রোবাইটাম৷ অর্থাৎ এই মাইক্রোবাইটাম মিত্র বা বন্ধুর মত মানব জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহায়তা করে৷ আর এই মাইক্রোবাইটাম প্রতিসঞ্চর ধারায় সৃষ্ট হওয়ায় এরা মানবজীবনের জাগতিক স্তর ও মানসিক স্তরে থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রেরণা বা উৎসাহ যোগায়৷ বিশেষ ক’রে এরা শুভবুদ্ধি ও বিবেকের জাগরন্ ঘটায় এবং অপরপক্ষে নেগেটিভ মাইক্রোবাইটামের অশুভ কর্মতৎপরতাকে প্রতিহত করে৷ পজেটিভ মাইক্রোবাইটাম সবসময়ে শুভ কর্মে লিপ্ত থাকার উৎসাহ প্রদান করে এবং উদার মনবৃত্তি তৈরীতে উৎসাহ বা প্রেরনা যোগায়৷
শিক্ষাক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রাদের নব নব মৌলিক চিন্তাধারা ও বিভিন্ন গবেষনা ও আবিষ্কারের জন্য যে অচেতন মনের Superconscious mind) ভূমিকার প্রয়োজন, সেই অচেতন মনের স্ফূরন বা অভিপ্রকাশ ঘটাতে মাইক্রোবাইটামের নেপথ্য ভূমিকা আছে৷ আমাদের এই চেতন মনকে অচেতন স্তরে নিয়ে এলে তবেই নূতন মৌলিক আবিষ্কার বা নূতন কিছু সৃষ্টি সম্ভব৷ কারণ মনের অচেতন স্তরই হ’ল নূতন নূতন আবিষ্কারের বা সৃষ্টির উৎসস্থল৷ আর এই উৎসস্থলকে ধরার যে প্রয়াস, সেই প্রয়াস যাতে কার্যকর হয়, তার জন্য শুভ প্রেরনা এই পজেটিভ মাইক্রোবাইটামের থেকে পাওয়া যায়৷ অবশ্য কর্মক্ষেত্র কেবল জাগতিক জগতই নয়, মনজগত ও মানস-আধ্যাত্মিক স্তর ও আধ্যাত্মিক স্তর পজেটিভ মাইক্রোবাইটামের সাহায্য পেতে পারে৷
মাইক্রোবাইটাম সংক্রান্ত জ্ঞানচর্র্চ বা অনুশীলন হ’ল অপরাবিদ্যা৷ কিন্তু অপরাবিদ্যা হ’লেও মাইক্রোবাইটাম সংক্রান্ত জ্ঞান পরাবিদ্যা অর্জনে অর্থাৎ আধ্যাত্মিকতার স্তরে পৌছানোর জন্য মানুষকে প্রভূত সাহায্য করে৷ তাই পৃথিবীসহ সমগ্র মহাবিশ্বের শিক্ষাব্যবস্থায় মাইক্রোবাইটামের জ্ঞান সংযোজনের বিশেষ প্রয়োজন অবশ্যই আছে৷
‘বিদ্যাধর’ দেবযানি হ’ল এক ধরণের পজেটিভ মাইক্রোবাইটাম৷ যেহেতু এরা দেবযোনি সেহেতু এরা কারও ক্ষতি করে না৷ তাই এই ‘বিদ্যাধর’ মাইক্রোবাইটামরা বিদ্যা-অনুশীলনকারীদের সাহায্য করে৷ যে সমস্ত ভাল মানুষ ও উন্নত মানের সাধক পরমপুরুষের কাছে বিদ্যার প্রার্থনা করে অথবা পরমপুরুষকে জানা বা বোঝার জন্য বিদ্যা চর্র্চ করতে গিয়ে পরমপুরুষকে ভুলে বিদ্যাকেই ধ্যান-জ্ঞান ক’রে নিয়েছে,তাদের বিদেহী মন দেবযোনি প্রাপ্ত হয়৷ এদের বলা হয় ‘বিদ্যাধর’৷ এই বিদ্যাধর দেবযোনি তিনটি ভূতের সমবায়ে অর্থাৎ এরা মরুৎ, ব্যোম ও তেজ এই তিনটি ভূতের সমবায়ে তৈরী হয়৷ মৃত্যুর পর এদের দেহে ক্ষিতি ও অপতত্ত্ব থাকে না৷ তাই এরা অশরীরী Luminious body) অবস্থায় থাকে৷ এই বিদ্যাধর মাইক্রোবাইটামেরাও বিদ্যার্থীকে মাঝে মধ্যে সাহায্য করে৷
এ যাবৎ জড় বিজ্ঞানের এখনও পর্যন্ত ধারণা হ’ল--- প্রাণের উন্মেষের জন্য কার্বন পরমানু অপরিহার্য্য৷ অর্থাৎ আজকের প্রাণী বিজ্ঞানীদের মতে--- জীবপঙ্কীয় কোষ তৈরী হ’য়েছে কার্বন পরমানুর সমবায়ে৷ কিন্তু শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের মতে--- ‘‘জীবপঙ্কীয় কোষ হ’ল অসংখ্য মাইক্রোবাইটামেরই সমষ্টি কৃত রূপ৷’’ আগামী দিনের মাইক্রোবাইটাম জীববিজ্ঞানীরা জলের ফরমূলা যে H2O, তা তাঁরা মানবেন না৷ মাইক্রোবাইটাম তত্ত্বের গবেষণার ফলে রাসায়নিক ফরমূলায় আসবে বহু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন৷ মাইক্রোবাইটাম তত্ত্ব ঔষধ-রসায়ন (Pharmo -Chemistry) ও জৈব প্রযুক্তি Bio-chemistry)কে বিশেষভাবে প্রভাবিত করবে৷ মাইক্রোবাইটাম নিয়ে গবেষনার ফলে বিস্ফোরণ সংক্রান্ত প্রযুক্তি বিদ্যার ক্ষেত্রেও যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটাবে৷
মাইক্রোবাইটাম মানুষের বুদ্ধির ও বোধির কিছু অংশকে প্রভাবিত করে৷ ধনাত্মক মাইক্রোবাইটামের অনুকূল কার্যক্ষেত্র হ’ল মানসিক ও মানস-আধ্যাত্মিক স্তর এবং ঋনাত্মক মাইক্রোবাইটামের অনুকূল কার্যক্ষেত্র হচ্ছে জাগতিক ও জাগতিক-মানসিক স্তর৷ মাইক্রোবাইটার পিছনে আছে বিবেক Conscience) এর সমর্থন৷ এই সমস্ত কারণে নানান ধরনের গবেষনা ও নব নব আবিষ্কারের ক্ষেত্রে অচেতন মনের (Supperconscious mind) গভীরে যাওয়ার জন্য ধনাত্মক মাইক্রোবাইটামের প্রেরণা পাওয়া যায়৷
সুতরাং উপরিউক্ত কারণগুলিকে ফলপ্রসূ করতে হ’লে মাইক্রোবাইটাম তত্ত্বকে শিক্ষাক্ষেত্রের অন্তর্ভুক্ত করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷
- Log in to post comments