January 2024

ধর্মনগরে আমরা বাঙালীর গণ অবস্থান

গত ৭ই ডিসেম্বর, বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতির দাবীতে ‘আমরা বাঙালী’ কর্মীবৃন্দ উঃত্রিপুরা ধর্মনগর শহরে সেন্ট্রাল রোডে নেতাজী মূর্তির পাদদেশে গণবস্থান করেন৷ উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সচিব গৌরাঙ্গ রুদ্রপাল, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কেশব মজুমদার, বিধিত দেবনাথ ও উঃ ত্রিপুরা জেলাকমিটির আহ্বায়ক বিভাসরঞ্জন দাস, গোপালকৃষ্ণ দাস প্রমুখ৷ রাজ্য সচিব গৌরাঙ্গ রুদ্রপাল বলেন ---পৃথিবীর প্রাচীনতম ভাষাগুলির মধ্যে অন্যতম বাংলা ভাষা৷ সাহিত্য সংস্কৃতির বিচারেও ভারতবর্ষের যেকোন ভাষার চেয়ে বাংলা অনেক বেশী উন্নত৷ তথাপি বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি না দিয়ে দিল্লীর বাঙালী বিদ্বেষী সরকার অন্যান্য ভাষাকে স্বীকৃতি দিয়ে

মূর্ত্তি বসিয়ে লোক দেখানো শ্রদ্ধা নয় প্রতিশ্রুতি পালন করুন

সাধন পুরকায়স্থ

প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও স্বাধীনতার পর থেকেই অসমে বাঙালীদের হয়রানি করা হচ্ছে  নানা অজুহাতে৷ বর্তমান সরকারও এর ব্যতিক্রম নয়৷ বিদেশী সনাক্তকরণের নামে বাঙালীদের নাস্তানাবুদ করছে বর্তমান সরকারও৷ গত ২২শে ডিসেম্বর ‘আমরা বাঙালী’ সংঘটনের অসম রাজ্যসচিব শ্রীসাধন পুরকায়স্থ এক সাংবাদিক সম্মেলনে অসমে বাঙালীদের বিদেশী সনাক্তকরণের নামে হেনস্থা করা ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রতিবাদে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন৷ তিনি বলেন দেশভাগের সময় তদানীন্তন জাতীয় নেতা মহাত্মা গান্ধী, সর্দার বল্লভভাই পটেল, জওহরলাল নেহেরু প্রমুখ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন দেশভাগের বলি ছিন্নমূল উদ্বাস্তু বাঙালীদের নাগরিকত্ব ও পুনর্বাসন দেওয়া হবে

চতুর্বর্গ ও সাধনা

সমাজে মানবিক প্রয়াস যেমন চারটে স্তরে বিন্যস্ত হয়ে রয়েছে –– কাম, অর্থ, ধর্ম, মোক্ষ৷ এই চতুর্ধাবিন্যস্ত মানুষের কর্মৈষণা তথা কর্মতৎপরতাকে আমরা বলি ‘চতুর্বর্গ’৷ এই চতুর্বর্গের মিলিত প্রয়াসেই সমাজের সামূহিক কল্যাণ, সামূহিক পরিণতি৷ কোনোটা সম্পূর্ণ ভাবে জাগতিক তথা পাঞ্চভৌতিক ক্ষেত্রে, কোনোটা পাঞ্চভৌতিক ক্ষেত্রের সঙ্গে মানসিক ক্ষেত্রকে সংযুক্ত করেছে, কোনোটা কেবল মানসিক আর কোনোটা মানসিক ক্ষেত্র ছেড়ে আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রে গিয়ে পৌঁছে যাচ্ছে, এই ভাবে বিভক্ত হয়ে রয়েছে৷ মানুষের অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসগৃহ –– এই যে পাঞ্চভৌতিক প্রয়োজনগুলো, এগুলো হ’ল কাম৷ তার পরেই হ’ল অর্থ – যা মানুষ বিভিন্ন ধরনের

বাঙলার সমস্যা - প্রাউট প্রবক্তা শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার তাঁর অর্থনীতি বিষয়ক বিভিন্ন  পুস্তকে যা বলেছেন, সেগুলির সংকলন আলোচ্য বিষয় 

ইংরেজ রাজত্বের প্রথম দিকে ইংরেজ ব্যবসায়ীরা বাঙলার বাজার দখল করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা অনুযায়ী বাঙলার শিল্প ধ্বংস করে’ দিল৷ নিজেদের মালিকানায় ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি খুলে সেখানে স্থানীয় শিল্পপতি ও দক্ষ কর্মীদের কাজ করতে বাধ্য করলো৷ ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানী বাঙালীদের ঠকিয়ে ও লুঠপাট করে’ কাঁচামাল সংগ্রহ করতো৷ যে সমস্ত বাঙালীরা কুটির শিল্পের মালিক ছিল তারা কোম্পানী থেকে কাঁচামাল কিনতে, ও তৈরী মাল কোম্পানীর কাছে বেচতে বাধ্য থাকতো৷ কোম্পানী চড়া দামে কাঁচামাল বেচতো, আর ২৫ শতাংশ কম দরে তৈরী মাল কিনতো৷ কোম্পানির বিরোধিতা করলে হাতে হাতকড়া পরিয়ে জনসমক্ষে চাবুক মারা হ’ত৷ তাঁতীরা যাতে মিহি কাপড় বুনতে না পারে

আন্তর্জাতিক শুভ নববর্ষ ২০২৪

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

কালের নিয়মে বয়স বেড়ে গেল একটা বছর৷ বিপরীতে আয়ুক্ষয় হল একটা বছর৷ বিগত বছরে কি পেলাম কি হারালাম, সে হিসাব করলে হিসাবের ঝুলিতে শূন্যই থাকবে৷ মূল্যবান একটা বছরের অনেকটাই বাজে কাজে, বাজে কথায় কেটে গেছে৷ সে হিসাব থাক!

শোষণ মুক্তির আন্দোলন করতে হবে তত্ত্ব কথায় কাজ হবে না

প্রভাত খাঁ

আজ আমরা সকলেই একটি বড়ো সমস্যায় পড়েছি৷ বিশেষ করে হতভাগ্য বিশাল ভারতযুক্ত রাষ্ট্রের নিম্নবিত্তের গৃহস্থ হিসাবে৷ প্রধান বিষয়টি হলো চরম দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও অধিকাংশ পরিবারে শিক্ষিত ছেলে মেয়েরা অধিকাংশ এই পরিবারে শিক্ষিত ছেলেমেয়েরা লেখা পড়া শিখে বেকার হয়ে বসে আছে৷ যদিও কেন্দ্র সরকারের অনেক সংস্থায় লক্ষ লক্ষ পদশূন্য হয়ে পড়ে আছে৷ যেখানে কোন অদৃশ্য কারণে সেই শূন্যপদে লোক নেওয়া হচ্ছে না৷ কেন্দ্রের সরকার যখনই শাসনে এসেছেন তখন স্তোকবাক্য দিয়ে গেছেন সরকার বছরে ২কোটি বেকার সমস্যা দূর করবে না সেটা এক ধরণের নিছক নির্বাচনে জয়ী হওয়ার মিথ্যা স্তোক বাক্য ছাড়া কিছুই নয়৷ এটা একটা দলতান্ত্রিক সরকারের রাজনৈতিক মি

সাধনা জীবনে ‘চরম নির্দেশ’

সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

পরমারাধ্য ‘ৰাৰা’ (শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী) আমাদের মানব সমাজের সকলের সাধনার প্রকৃষ্ট গতি আনার জন্যই ‘চরম নির্দেশ’ দিয়েছেন৷ যাতে আমরা সাধনার প্রতি অবহেলা বা দুর্বলতা না আনি, বা ভূলে না যাই তার জন্য এই ‘চরম নির্দেশ’ প্রতি সপ্তাহে ডি.সি (ধর্মচক্র) এর শেষ পর্বে স্মরনিকা হিসাবে ব্যবস্থা রেখেছেন৷ আজকের আলোচনার বিষয় হ’ল--- এই চরম ‘নির্দেশ’-এ নির্দেশিত ‘সাধনার’ সহিত ‘যম নিয়মের’ যে সুগভীর সম্পর্ক আছে সেই বিষয়কে নিয়ে৷ এই আলোচনার আগে আমরা ‘চরম নির্দেশে’ ‘ৰাৰা’ আমাদের জন্যে কৃপা করে কি কি নির্দেশ দিয়েছেন, তাদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশের কথাগুলিকে একটু গভীরভাবে ভেবে নেব৷ সমগ্র নির্দেশের  মধ্যে

হিন্দি ভাষায় রবীন্দ্র সঙ্গীত ---প্রশংসনীয় নয়

মনোতোষ কুমার মণ্ডল

হিন্দি আগ্রাসনের সুকৌশলে প্রভাবিত কন্ঠশিল্পী সহ মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী রবীন্দ্র সংগীত গাইলেন রাজ্যসঙ্গীতরূপে---‘বাঙালীর স্থানে ‘বাঙলার’ শব্দ প্রয়োগ করে--- যা এক নিন্দনীয় পদক্ষেপ৷

একটা জাতিকে ধবংস করার প্রথম সোপান--- তার শিক্ষা ও সংস্কৃতিকে বিকৃত করা ও তার সঙ্গে অভিপ্রকাশের স্বাভাবিক ও সহজতম মাধ্যম তার মাতৃভাষাকে অবদমিত করা৷ আর তারই সূত্রপাত করলেন---মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে বিকৃত ভাষায় রবীন্দ্র সঙ্গীত গেয়ে৷ এই কাজ মোটেই প্রশংসনীয় নয়---বরং এটা অবশ্যই বিশ্বকবির অবমাননা ও সেই সঙ্গে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির উপর তীব্র কুঠারঘাত৷

জঙ্গলে মঙ্গল দীপ

আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত

ত্রিপুরা রাজ্যের উত্তর ত্রিপুরা জেলার পানিসাগর ব্লকের একটি গ্রাম চামটিলা৷ চামগাছের টিলা৷ প্রায় অর্দ্ধশতাব্দি বৎসর পূর্বে ১৯৬৬ সালে আমি এই অঞ্চলে এসেছিলাম৷ ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী শহর আগরতলা থেকে এখানে আসার রাস্তা তখন ছিল, কিন্তু যাতায়াতের জন্য বাস ইত্যাদি ছিল না৷ ছিল মালবাহী বড় বড় ট্রাক৷ এরূপ ট্রাকে চেপেই পাহাড়ময় রাস্তা পেরিয়ে এখানে এসেছিলাম৷ দেখলাম চারিদিক জঙ্গলে আচ্ছন্ন৷ মানুষের বাস ছিল অতিনগণ্য৷

মেদিনীপুরে প্রাউট প্রশিক্ষণ শিবির

গত ১৭ই ডিসেম্বর থেকে ২১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচদিন ব্যাপী প্রাউট প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হল মেদিনীপুর শহরে কেরানীটোলা আনন্দমার্গ স্কুলে৷ সম্মেলনে দিল্লি সেক্টরের বিভিন্ন স্তরের  প্রাউট কর্মীরা যোগ দিয়েছিলেন৷ ১৭ই ডিসেম্বর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সচিব আচার্য কল্যাণেশ্বরানন্দ অবধূত, দিল্লী সেক্টরের মুখ্যসচিব আচার্য সুপ্রভানন্দ অবধূত, সংঘটন সচিব আচার্য প্রমথেশানন্দ অবধূত ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, এছাড়াও গার্লস প্রাউটিষ্টের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন৷ পাঁচদিনের এই সম্মেলনে প্রাউটের সামাজিক অর্থনৈতিক বিষয়ে আলোচনা করেন আচার্য কল্যাণেশ্বরানন্দ অবধূত,আচার্য অমৃতবোধানন্দ অবধূত, আচার্য মন