March 2024

বারাসাতে রাওয়া আয়োজিত প্রভাত সঙ্গীতানুষ্ঠান

গতকাল ‘রাওয়া’ বারাসাত শাখা আয়োজিত সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটা থেকে রাত ন’টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হ’ল প্রভাত সঙ্গীত ও এর উপরে ভিত্তি করে নৃত্যানুষ্ঠান৷ এর মাঝে মাঝে প্রভাত সঙ্গীত সম্পর্কে ছোট ছোট বত্তৃণতা৷ বক্তব্য রাখেন ড: পুষ্প বৈরাগ্য, শ্রী শচীন্দ্রনাথ পাল, আচার্য অভিব্রতানন্দ অবধূত৷ এই অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন আচার্য সর্বেশ্বরানন্দ অবধূত দাদা৷ সকলেই তাঁদের মূল্যবান বক্তব্যের মধ্যে প্রভাত সঙ্গীতের ভূয়ষী প্রশংসা করেন৷ এ সঙ্গীত মানুষের মনুষত্বের উত্তরণ ঘটিয়ে তাকে দেবত্বে প্রতিষ্ঠা করে--- মুক্তির পথকে প্রশস্ত করে৷

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা মর্যাদা দিবস পালন

জলপাইগুড়ি আমরা বাঙালী জেলা কমিটির তরফ থেকে ২১শে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা মর্যাদা দিবস পালন করা হয় দুপুরে ময়নাগুড়ি রোড চৌপথী মোড়ে৷পুষ্পার্ঘ দিয়ে শ্রদ্ধা জানান নিরদ চন্দ্র অধিকারী,খুশী রঞ্জন মন্ডল, ঈশ্বর বাড়ৈ, বিনয় সরকার, হরেন্দ্র নাথ সরকার,শামসুন্দর মজুমদার,প্রদীপ রায় আরও অনেকে৷পরে এখানে মাতৃভাষার কেন দরকার, মাতৃভাষা ধবংস হলে একটি জাতি কিভাবে শোষিত হয়, তার উপর ভাষন দেন নিরদ চন্দ্র অধিকারীএবং খুশী রঞ্জন মন্ডল৷সকালে ময়নাগুড়ি ব্লক কমিটির তরফ থেকে মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয় উত্তর ভোটপাট্টী গোডাউন মোড়ে৷

আনন্দনগরে ফার্ষ্ট ডায়োসিস সেমিনার

গত ১৬-১৮ ফেব্রুয়ারী’২৪ আনন্দনগরে তিন দিবসীয় ফার্ষ্ট ডায়োসিস লেভেল সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়৷ আনন্দনগর ডায়োসিসের বিভিন্ন গ্রাম থেকে গ্রাম ও পঞ্চায়েত প্রমুখগণ উপস্থিত ছিলেন৷ আচার্য মোহনানন্দ অবধূত --- ‘‘আদর্শ মানুষের জীবনচর্যা কেমন হওয়া উচিত’’ ও ‘‘বুদ্ধির মুক্তি’’ আর আচার্য সুতীর্থানন্দ অবধূত ‘‘প্রত্যাহার যোগ ও পরমাগতি’’ ও ‘‘পাপস্য কারণত্রয়ম্‌ বিষয়ের উপর আলোকপাত করেন৷ তাছাড়া তিনদিন মিলিত ধর্মচক্র, কীর্তন, আধ্যাত্মিক সঙ্গীত (প্রভাত সঙ্গীত), প্রভাতফেরী, ধবজবন্দনা ও ভক্তিমূলক আলোচনা চর্চা করা হয়৷

টাটানগরে সেমিনার

গত ২৩,২৪ ও ২৫শে ফেব্রুয়ারী’২৪ টাটানগরে, ইন্দ্রপুরে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়৷ টাটা নগর ডায়োসিসের বিভিন্ন ইয়ূনিট থেকে মার্গীভাইবোনেরা উপস্থিত ছিলেন৷ প্রশিক্ষক ছিলেন আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত৷ সেমিনার সংঘটিত করেন ডায়োসিস সচিব আচার্য শান্তশিবানন্দ অবধূত, ভুক্তিপ্রধান সুশীল মাহাত প্রমুখ৷ দ্বিতীয় দিন অপরাহ্ণে একটি কীর্ত্তন শোভাযাত্রা শহর পরিক্রমা করে ও সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়৷ অনুষ্ঠানের শুরুতে বক্তব্য রাখেন প্রবীন আনন্দমার্গী আচার্য আশীষ দেব৷ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করে রেখা মাহাত৷

 

নামকরণ ও অখণ্ড কীর্ত্তন

গত ৩রা ও ৪ঠা ফেব্রুয়ারী,২৪ ঝাড়খণ্ডের নিমডি ব্লকের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী সুনীল মাহাতোর বাসগৃহে ২৪ঘন্টা অখণ্ড ৰাৰা নাম কেবলম্‌ মহানামমন্ত্র কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ উক্ত অনুষ্ঠানে ৪ঠা ফেব্রুয়ারী কীর্ত্তন শেষে শ্রী অমিত মাহাতো ও শ্রী নির্মলা মাহাতোর নবজাত কন্যার শুভ অন্নপ্রাশন অনুষ্ঠান পালিত হয়৷ উক্ত অনুষ্ঠানে পৌরহিত্য করেন টাটানগর ডায়োসিসের মহিলা কল্যাণ বিভাগের ডায়োসিস সচিব৷ এছাড়া অনুষ্ঠানে আনন্দমার্গ সমাজশাস্ত্র ও কীর্ত্তন মাহাত্মের ওপর বক্তব্য রাখেন আচার্য শান্তশিবানন্দ অবধূত (ডি.এস-টাটানগর)৷ নামকরণ অনুষ্ঠানে শিশুকন্যার নাম রাখা হয় প্রত্যাশা৷

অখণ্ড কীর্ত্তন

গত ১০ ও ১১ই ফেব্রুয়ারী ঝাড়খণ্ডের বহড়াগোড়া ব্লকের ভাণ্ডারশোল গ্রামে ২৪ঘন্টা অখণ্ড ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷  এখানে একটি স্থায়ী কীর্ত্তন মণ্ডপ তৈরী করা হয়৷ কীর্ত্তন শেষে কীর্ত্তন মাহাত্ম্য বিষয়ে বক্তব্য রাখেন আচার্য শান্তশিবানন্দ অবধূত৷

মার্গীয় বিধিতে গৃহপ্রবেশ

গত ১৮ই ফেব্রুয়ারী ঝাড়খণ্ডে বড়াম ব্লকে বড়াম গ্রামে বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রী জিতেন মণ্ডলের জামাতার নবনির্মিত বাসভবনে গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠান আনন্দমার্গে চর্যাচর্য বিধিতে অনুষ্ঠিত হয়৷ এই উপলক্ষ্যে তিনঘন্টাব্যাপী ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তন শেষে আনন্দমার্গের সমাজশাস্ত্র বিষয়ে বক্তব্য রাখেন আচার্য শান্তশিবানন্দ অবধূত ও আচার্য পূর্ণানন্দ অবধূত৷ এখানে প্রায় তিন শতাধিক মানুষ কে নারায়ণ সেবায় আপ্যায়িত করা হয়৷                                                                          

ঝাড়খণ্ডে নীলকন্ঠ দিবস

গত ১২ই ফেব্রুয়ারী নীলকন্ঠ দিবস উপলক্ষ্যে ঝাড়খণ্ডের পটমদা ব্লকে গেরুয়ালা গ্রামে ২৪ঘন্টা ব্যাপী অখণ্ড কীর্ত্তন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়৷ প্রায় ২০০জন মার্গী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন৷ কীর্ত্তনশেষে আনন্দমার্গ দর্শন বিষয়ে বক্তব্য রাখেন আচার্য শান্তশিবানন্দ অবধূত ও বিভূতি দত্ত৷ পরিশেষে প্রায় ৫০০ জনকে নারায়ণ সেবায় আপ্যায়ীত করা হয়৷

ঘাটশিলায় অখণ্ড কীর্ত্তন

গত ১৭ই ফেব্রুয়ারী ঝাড়খণ্ডের ঘাটশিলার বিশিষ্ট আনন্দমার্গী বিমল সীটের বাড়িতে ছয়ঘন্টাব্যাপী অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তন শেষে কীর্ত্তন বিষয় বক্তব্য রাখেন আচার্য শান্তশিবানন্দ অবধূত৷ এখানে অনুষ্ঠানশেষে প্রায় দুই শতাধিক মানুষদের নারায়ণ সেবায় আপ্যায়ীত করা হয়৷

১২ই ফেব্রুয়ারী আনন্দনগরে নীলকণ্ঠ দিবস উদযাপন

অর্থ ও ক্ষমতার প্রলোভন যখন কাজ হয়নি তখন অপপ্রচার-কুৎসা, ভয় দেখানো, সংগঠিতভাবে মিশনের কর্মীদের ওপর আক্রমণ ও হত্যা করা, মিথ্যা মামলায় জেলবন্দী করে রাখা ইত্যাদি শতচেষ্টা করেও যখন দেখা গেছে আনন্দমার্গের গতিকে স্তদ্ধ করা যাচ্ছে না৷ তখন স্থির হয় আনন্দমার্গের শ্রষ্ঠাকেই যদি পৃথিবী থেকে সরিয়ে ফেলা যায় তাহলেই আনন্দমার্গের ধবংস সম্ভব৷ এই ভেবে পাপীরা জেলবন্দী আনন্দমূর্তিজীকে ১২ই ফেব্রুয়ারি’৭৩ সালে ওষুধের নাম করে পটনা বাঁকিপুর সেন্ট্রাল জেলের ডাক্তার রহমতুল্লাহকে দিয়ে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে বিষ প্রয়োগ করে৷ বিষপ্রয়োগে আনন্দমূতর্িজীর শরীরে প্রচণ্ড প্রতিক্রিয়া শুরু হয়৷ কিন্তু পাপীদের উদ্দেশ্য তাতেও সিদ্ধ হয়