অসম কি প্যালেস্টাইনের পথে!

লেখক
পত্রিকা প্রতিনিধি

আর একটা অসম চুক্তির দিকে এগোচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার ও আলফার আলোচনাপন্থী নেতারা৷ আলোচনাপন্থী আলফা নেতারা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদিত হলে আলফা ভেঙে দেওয়া হবে৷ আলফার এক মুখপত্র জানান চুক্তির বিষয়গুলি নিয়ে আইনি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা চলছে৷ কিছু জটিলতা দেখা দিয়েছে ভিত্তিবর্ষ ধরে৷ আলফার দাবী ১৯৭১ সালের পরিবর্তে ১৯৫১ সালকে ভিত্তিবর্ষ ধরতে হবে৷  কেন্দ্রের কাছে ১১ দফা শর্তের তালিকা দিয়েছে আলফা৷ বিজেপি নেতা বিজন মহাজন আলফার দাবি না্যয্য বলে স্বীকার করেছেন৷ তাঁর কথায় ভিত্তিবর্ষ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে৷ তাই ভিত্তিবর্ষ নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত এই মূহূর্তে নেওয়া সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়৷ এর জন্যে সুপ্রিমকোর্টের রায়ের জন্যে অপেক্ষা করতেই হবে৷ এই কথাটিই চুক্তিতে রেখে চুক্তি করা যেতে পারে৷

আমরা বাঙালীর কেন্দ্রীয় কমিটির সংঘটন সচিব জয়ন্ত দাস বলেন---কোন চুক্তিই অসম সমস্যার সমাধান করতে পারবে না৷ বাঙালী জনগোষ্ঠীকে উপেক্ষা করে বাঙালী স্বার্থ বিরোধী কোন চুক্তি অসমবাসী বাঙালী মেনে নেবে না৷ বাঙালীরাও অসমের ভূমিপুত্র৷ তাছাড়া আলফার সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ ভুলে গেলে চলবে না৷ আলফা এক সময় অসমে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র ঘটনের  দাবী তুলেছিলেন৷ এ বিষয়ে আলফার বর্তমান ভূমিকা কি চুক্তি সম্পাদনের আগে সেটাও পরিষ্কার হওয়া দরকার৷

শ্রী দাস জোর দিয়ে বলেন কোন চুক্তির আগে অসমে সবরকম বাঙালী নির্যাতন বন্ধ করা উচিত সরকারের দূর্র্গপূজার সময় যেভাবে পূজা মণ্ডপের বাংলা ব্যানার ছেঁড়া হয়েছে তার নিন্দা না করে অসম সরকার পরোক্ষে সমর্থন জানিয়েছে৷ এই পরিস্থিতিতে আলফার সঙ্গে একপেশে চুক্তি অসমে নূতন করে অশান্তির আগুন জ্বালবে৷

শ্রী দাস ক্ষোভের সঙ্গে বলেন অসমের উগ্র জাতীয়তাবাদী নেতারা অসমের অতীত ইতিহাস ভুলে গেছে৷ আর্থিক দিক থেকে দুর্বল অসমকে বাঁচাতে গোয়ালপাড়া রংপুর জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল অসমে যুক্ত হয়েছে৷ বাঙালীরাও অসমের ভূমিপুত্র, কোন ভিত্তিবর্ষ ধরে বাঙালীকে বিদেশী বানাতে গেলেও অসমের বৃহত্তম জনগোষ্ঠী বাঙালীকে উপেক্ষা করে কোন চুক্তি হলে পরিণতি ভালো হবে না৷