সম্পাদকীয়

স্বাধীনতার প্রাপ্তি

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

আর একটা ১৫ই আগষ্ট এসে গেল৷ স্বাধীনতার পর ৭৭ বছর অতিক্রান্ত৷ ৭৭ বছরে দেশবাসী কি পেল৷ বিভিন্ন আর্থিক সংস্থার প্রতিবেদন বলছে দেশের সিংহভাগ সম্পদের মালিক মুষ্টিমেয় কয়েকজন ধনকুবের৷ শুধু সম্পদের মালিক নয়, সমস্ত আর্থিক ব্যবস্থাটাই কয়েকজন পুঁজিপতির নিয়ন্ত্রণে৷ শাসকের প্রাপ্তি কিছুটা রাজনৈতিক ক্ষমতা৷ তা নিয়েই এক একজন হোমড়া-চোমড়া তালেবর! জনগণের বরাতে শুধু ভুয়ো প্রতিশ্রুতি আর অর্থনীতির তত্ত্ব কথার কচকচানি৷ দেশ এগিয়ে চলেছে. এক নম্বর নয়, দু’নম্বর নয় একেবারে তিন নম্বরে আর্থিক বিকাশের দেশ হিসেবে৷

বিভাজন নয়--- সংযোজন চাই

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

২০০ পার, ৪০০ পারের উচ্চাশা হতাশায় পরিণত হওয়ার পর রাজ্য বিজেপির নেতাদের মস্তিষ্ক বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েছে, পরাজয়ের জ্বালায় কল বিগড়াইয়া গেছে৷ অহরহ প্রলাপ বকে চলেছে৷ কেউ উত্তরবঙ্গ, কেউ জঙ্গল মহল পৃথক করিতে চাহে তো কেউ মালদা মুর্শিদাবাদ নিয়ে, কেউ দার্জিলিং নিয়ে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল---বুদ্ধিভ্রষ্ট নেতারা যে যার নিজের মত করে দাদাগিরি দেখানোর সীমানা নির্দ্ধারণ করতে চাইছে৷ বাঙলা ভাগের মহড়া চলছে রাজ্য বিজেপির অন্দরে৷ কে জানে বিভাজনের এই লেখা রাজ্য বিজেপির বিকারগ্রস্ত নেতারা কতদূর নিয়ে যেতে চাইছেন! বাংলায় একটা প্রবাদ আছে ‘‘সারমেয় শের স্ব-সীমানায়!

দুর্নীতি-অপরাধ ও জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার আগে সেদিনের বিরোধী নেত্রী স্লোগান দিয়েছিলেন ‘‘বদলা নয় বদল চাই’’৷ পশ্চিমবঙ্গবাসী সেই বদলের আশাতেই ৩৪ বছরের হার্র্মদ রাজের অবসান ঘটিয়ে বিরোধী নেত্রীর হাতে রাজ্যের শাসনভার তুলে দেয়৷ গত ১২ বছরে বদল যে হয়নি তাতো নয়! যার সুফল গরীব মধ্যবিত্তের ঘরে ঘরে পৌঁছেও যাচ্ছে৷ তবু বহু আশার দুর্নীতির রাহুমুক্ত পশ্চিমবঙ্গ হতে পারলো কই!

বিলম্বিত বোধোহয়

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

৭৭ বছর হয়ে গেল দেশ স্বাধীন হয়েছে৷ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আস্থা রেখে স্বাধীন দেশের জনগণের সরকার দেশের শাসন ভার হাতে নিয়েছে৷ এই ৭৭ বছরে আমরা কি পেলাম, কি হারালাম দেশের কি কল্যাণ হয়েছে তার হিসাব নিতে গেলে অনেকেই বলবেন কি দরকার অতীতের জাবর কেটে! বর্তমানের দুঃখ দুর্দ্দশা কিভাবে দূর হবে সেই পথ দেখান৷ লাভ বিশেষ না হলেও অতীতের জাবর কাটা একেবারে যে অমূলক তাও বলা যাবে না৷ সব আলোচনা সকল দেশবাসীর কাছে সন্তোষজনক নাও হতে পারে, তবে শুভ পরিণাম যদি কিছু থাকে তার ফল সকল দেশবাসীর জন্যে৷ মূল প্রশ্ণ ৭৭ বছরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কতটা সার্থকরূপ পেয়েছে৷

মুখ্যমন্ত্রীর আশংকা অমূলক নয়

১৮৭২ সালে এদেশের ব্রিটিশ সরকার পূর্ণ বাংলার যে মানচিত্র প্রকাশ করেছিল তাতে বাংলার আয়তন ছিল ২ লক্ষ ৪৮ হাজার ২৩১ বর্গমাইল (৫ লক্ষ ৩৫ হাজার ৪৭১ কি.মি.৷ বাংলা, বিহার, ওড়িষ্যা, ছোটনাগপুর ও অসম নিয়ে ছিল ‘বঙ্গপ্রদেশ’৷ মুঘল আমলে এর নাম ছিল সুবা বাংলা–যা পশ্চিমে বারাণসী পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল৷ তার পশ্চিমে ছিল ‘হিন্দোস্তান’ সুবা৷ আর তারপর ছিল পঞ্জাব সুবা৷ ব্রিটিশরা ১৮৭৪ সালে তাদের শাসনকার্যের সুবিধার অজুহাতে অসমকে (৪৩,৪৭৩ বর্গমাইল) বাংলা থেকে বিচ্ছিন্ন করে৷ ১৯০৫ সালে লর্ড কার্জন বাংলাকে মধুমতী–পদ্মা সীমানা বরাবর দু’ভাগ করতে চায়৷ পূর্বাংশ নিয়ে পূর্ববঙ্গ–সম প

রাজনীতি ও দুর্নীতির মূলে

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

রাজনীতি বলতে সাধারণত বোঝান হয় রাজার নীতি বা রাজ্য শাসন বিষয়ে নীতি শাস্ত্র৷ রাজার নীতি--- রাজনীতি---ষষ্ঠী তৎপুরুষ৷ প্রকৃত অর্থে রাজনীতি--- নীতির রাজা বা শ্রেষ্ঠ নীতি৷ তা রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে, সমাজের ক্ষেত্রে, অর্থনীতির ক্ষেত্রে, শিল্প সাহিত্য-সংস্কৃতির ক্ষেত্রে,  ধর্মের ক্ষেত্রে যে নীতি জড় জীব সর্ব অস্তিত্বের সার্বিক কল্যাণের পথ নির্দেশনা দেয় তাই রাজনীতি বা নীতির রাজা৷

আর্থিক মুক্তির পথ অর্থনৈতিক গণতন্ত্র

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

লাগাম ছাড়া মূল্যবৃদ্ধি, বিশেষ করে খাদ্যপণ্য ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ৷ মধ্যবিত্ত নিম্ন-মধ্যবিত্তের অবস্থা শোচনীয়৷ এদিকে জিডিপি জিডিপি (গ্রস ডোমেস্টিক প্রডাক্ট) করে উন্নয়নের ঢাক পেটাচ্ছেন নেতামন্ত্রীরা৷ কিন্তু জিডিপির সঙ্গে আমজনতার সম্পর্ক কতটুকু৷ জিডিপি কমা, বাড়ার সঙ্গে দেশের সার্বিক বিকাশ নির্ভর করে কি? পুঁজিবাদী দুনিয়ায় যেখানে সম্পদের সিংহভাগ দখল করে বসে থাকে মুষ্টিমেয় কয়েকজন সেখানে জিডিপি দেখিয়ে উন্নয়নের দাবী চরম মিথ্যাচারিতা৷

পরিবেশ দিবসের লক্ষ্য

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

তাপপ্রবাহে জ্বলছে দক্ষিণবঙ্গ মানুষ অতীষ্ঠ৷ সবার মুখে একই কথা---আর কতদিন এই গরম চলবে আর যে পারছি না এই গরম সইতে!

শাসককে সাবধান বাণী

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

গত দুটি লোকসভা নির্বাচনের পর কেন্দ্র আবার মিলিজুলি সরকার৷ যদিও গত দুটি লোকসভায় এন.ডি.এ জোট সরকার ছিল, কিন্তু সেখানে প্রধান শরিক বিজেপির একক গরিষ্ঠতা ছিল৷ কিন্তু গত দশবছরে প্রধান শরিকের দাম্ভিক আচরণ, ঔদ্ধত্য মানুষ পছন্দ করেনি৷ তারই প্রতিফলন ঘটেছে এবার নির্বাচনী ফলে৷ যদিও সরকার পরিবর্তন হয়নি, কিন্তু এককভাবে নয়, বিজেপিকে শরিক দলের উপর নির্ভর করে সরকার গড়তে হয়েছে৷

প্রজাতন্ত্রের প্রতিশ্রুতি

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

১৯৪৭ সালের ১৫ আগষ্ট ভারতবর্ষ স্বাধীনতা লাভ করার পর অষ্টাদশ লোকসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হল৷ এবার নির্বাচনে শাসকদলের স্লোগান ছিল মোদি গ্যারান্টি৷ স্বাধীনতার পর থেকেই দেশের জনগণ রাষ্ট্র নেতাদের কাছ থেকে শুধুই প্রতিশ্রুতি বহর শুণে আসছে৷ কিন্ত গত ৭৭ বছর ধরে জনগণ কতটুকু কি পেল, সে হিসাবে না গিয়ে গণতন্ত্রের স্বরূপটা একটু দেখা যাক৷