প্রবন্ধ

সেই সুদিনের প্রত্যাশায়

বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায়

শ্রমজীবি মানুষেরা এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে কাজের সন্ধানে যেতেন, সে খবর কমবেশি দেশের অধিকাংশ মানুষই জানতেন । কিন্তু সেই সংখ্যাটা যে কত তা সাধারণ মানুষ কেন, সরকারও জানত না, তা বোঝা গেল ।করোনা পরিস্থিতিতে দেশে লকডাউন জারি হওয়ার পর এখন যে ছবি আমাদের চোখের সামনে টিভির মাধ্যমে ভেসে উঠছে,তা দেখে যেকোনো বিবেকবান মানুষ শিউরে উঠবেই । শিশু মহিলা সহ হাজার হাজার মানুষ যেভাবে জাতীয় সড়ক ধরে, কোথাও বা রেললাইন ধরে, কেউ সাইকেল চালিয়ে, আবার কেউ কেউ বাসে বা ট্রাকে গাদাগাদি করে  নিজ বাড়িতে ফেরার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে সেই কষ্ট চোখে দেখা যায় না । আজো ট্রেনে করে নিজ রাজ্যে ফেরার স্রোত অব্যাহত । কবে এই ফেরা

কালের প্রয়োজনে বাঙালী তার হৃতগৌরব আবার ফিরে পাবে।

এইচ, এন, মাহাতো

ছোটবেলায় শুনতাম -- "মোদের গরব মোদের আশা আ-মরি বাংলা ভাষা" অথবা "বাংলার মাটি বাংলার জল বাংলার বায়ু বাংলার ফল পূর্ণ হোক পূর্ণ হোক হে ভগবান"। তখন খুবই ছোট, দেশ নাকি স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু আমার ঠাকুমা বলতেন কী লাভ হোলো স্বাধীনতায় !

কেন আমরা বাঙালী, কেন বাঙালীস্তান

মন্ত্র আনন্দ

প্রাউট (প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্ব)প্রণেতা পরম শ্রদ্ধেয় শ্রী প্রভাত রঞ্জন সরকার স্পষ্টই বলেছেন----" মানুষের সমাজ এক ও অবিভাজ্য"। কিন্তু তিনি তাঁরসামাজিক অর্থনৈতিক তত্ত্ব প্রয়োগের ক্ষেত্রে ভারতবর্ষকে ৪৪টি সমাজ ও পৃথিবীকে ২৫০ এর বেশি সমাজে বিভক্ত করেছেন। তিনি কেন এটা করেছেন তা বোঝার আগে আমাদের শ্বসনের সংজ্ঞা জানা দরকার। কাল মার্কসশোষণ কে অর্থনৈতিক দিক থেকে বিচার করে বলেছেন মুনাফাই শোষণ, কিন্তু কমিউনিস্ট রাষ্ট্রগুলি এই তত্ত্ব কে খারিজ করে দেয়।

চাই সুশৃংখল ও সুনিয়ন্ত্রিত জীবনধারা

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

     "সমস্ত দিন সংসারের ক্ষেত্রে দুঃখ দৈন মৃত্যুর আলোড়ন চলেছে, কিন্তু রোজ সকাল বেলায় একটি বাণী আমাদের এই কথাটাই বলে যায় যে, এই সমস্ত অকল্যাণই চরম নয়, চরম হচ্ছেন শিবম। প্রভাতে তারএকটি নির্মল মূর্তি কে দেখতে পাই---চেয়ে দেখি সেখানে ক্ষতির বলিরেখা কোথায়? সমস্তই পূরন হয়ে আছে। দেখি যে, বুদবুদ যখন কেটে যায় সমুদ্রের তখন কণামাত্র ক্ষয় হয় না। আমাদের চোখের উপর যতই ওলট-পালট হয়ে যাক- না তবু দেখি যে, সমস্তই ধ্রুব হয়ে আছে, কিছুই নড়েনি। আদিতে শিবম অন্তে শিবম অন্তরে শিবম।" -                    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

আলাদা করে মাতৃদিবস কেন?

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

যার স্নেহছায়ায় প্রতিমুহূর্ত প্রতিদিন কাটে, যার স্নেহের অমৃতধারায় সতত স্নাত, যার কোলে প্রথম জগতের আলো দেখলাম, তার জন্য আলাদা একটা দিবস! ----- বুঝিনা এ লজ্জার না গৌরবের!

প্রাউটের দৃষ্টিতে শোষণ মুক্ত সমাজ ব্যবস্থা ও ১০০ শতাংশ কর্মসংস্থান

এইচ. এন. মাহাতো

ভারতের রাজনৈতিক অবস্থাটা সরকার ও বিরোধী পক্ষের মধ্যে অহি-নকুল সম্পর্কে দাড়িয়েছে। দুই পক্ষই নিজেদের বক্তব্যে নিজেরা ঠিক বলছেন বলে দাবী করছেন।তাতে দেশের মানুষের স্বার্থ বজায় থাকে কিনা সে চিন্তা করে না। তাদের এই ডামাডোলের রাজনীতি ভারতের ঐতিহ্য বিশ্বের দরবারে কতটা নত করে দিচ্ছে এনিয়ে করোর মাথা ব্যাথা নেই। বর্তমান ভারতের আর্থিক অবস্থায় নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের বিশেষ করে ছাত্র যুব সমাজ আজ দিশেহারা। নোতুন প্রজন্মকে কোন দিকে পরিচালনা করলে দেশের ব্যাষ্টি ও সমষ্টির কল্যান হবে তার জন্য সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ কোন পরিকল্পনা রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে নেই। নোতুন প্রজন্মের ছাত্র/ছাত্রা বা যুবক/যুবতীরাই

সদ্বিপ্রের নেতৃত্ব

সংকলন ঃ জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

(প্রাউট প্রবক্তা মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের রচনা সম্ভার থেকে সংগৃহীত)

প্রতিটি চলমান সত্ত্বাকে নির্দ্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্যে প্রয়োজন সার্থক নেতৃত্ব৷ গন্তব্যে পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে নৌকার জন্যে একজন কাণ্ডারী, ট্রেন-বাসের জন্যে ড্রাইভার যেমন প্রয়োজন, ঠিক তেমনই মানব সমাজের প্রগতির জন্যেও প্রয়োজন প্রকৃত নেতৃত্বের যাঁরা সমগ্র সমাজকে নির্ভুল দিশায় এগিয়ে নিয়ে যাবেন৷ সমাজ সম্পর্কে আলোচনায় প্রাউট প্রবক্তা মহান দার্শনিক শ্রদ্ধেয় শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার বলেছেন---

দানবীয় সাম্প্রদায়িকতা গণতন্ত্রকে প্রহসনে পরিণত করেছে৷

প্রভাত খাঁ

বেনিয়া ব্রিটিশ নীতি হলো বিভেদ সৃষ্টি করো ও  শাসন করো৷ তাই তাদের দ্বারা ভারতকে টুকরো করা হয়েছে৷ দেশকে রাজনৈতিক স্বাধীনতা ইংরেজ দিয়েছে সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারার ভিত্তিতে৷ দেশকে রক্তাক্ত করে যাদের হাতে  তুলে দেওয়া হয় তারা সবাই ছিল ইংরেজের অনুগামী স্তাবক৷ তা না হলে অখন্ড ভারতবর্ষ  পূর্ণস্বাধীনতা লাভ করতো নেতাজী সুভাষচন্দ্রের আজাদ হিন্দ বাহিনীর দ্বারা৷  সুভাষচন্দ্র ভারতবর্ষের দ্বারপ্রান্তে বাহিনী নিয়ে আসেন ও মনিপুরের মৈরানে ভারতীয় বাহিনীর পতাকা উত্তোলন করেন৷ তাতেই ভীত  ও সন্ত্রস্ত্র হয়  ইংরেজ  শাসক  ও এদেশের  রাজনৈতিক  দলগুলো৷ সেই কারণে  রাজনৈতিক দলের নেতারা লোকচক্ষে নেতাজীকে হেয় প্রতিপন্ন করতে কু