প্রবন্ধ

নিপীড়িত মানবতার কল্যাণে আত্মনিবেদিত সদবিপ্রগোষ্ঠীর প্রতীক্ষায় শোষিত জনগণ

প্রভাত খাঁ

বাঁচার লড়াই করে সকলকেই এই মাটির পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে হয়৷ যখন মানুষ এই পৃথিবীতে আসে তখন সে বা তারা বড়ই অসহায়৷ প্রকৃতির চরম খামখেয়ালীর কারণে সে বা তারা প্রচণ্ড ভাবেই বিধবস্ত ও অস্তিত্ব রক্ষায় কাতর হয়৷ একত্রে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের একনাগাড়ে লড়াই করতে হয়৷ মানুষ তখন জানতো না কেমন করে ঘর বাঁধতে হয়, কেমন করে চাষাবাদ করতে হয়৷  তারা তখন পর্বত গুহায়, বড়ো বড়ো গাছের কোটরে বা গাছের ডালে আশ্রয় নিয়ে আত্মরক্ষা করতো৷ কোনটা খাদ্য আর কোনটা অখাদ্য তা তারা জানত না৷ তাই খাদ্য ও অখাদ্য বুঝতে কতো মানুষ যে প্রাণ হারিয়েছে তার ঠিক ঠিকানা নেই৷ যখন খাদ্যাভাব হলো নিরাপত্তার অভাব হলো তখন মানুষ যাযাবর হয়ে জীবন অতিবাহিত করতো৷

বাঙলার ইতিহাসে রাখী-বন্ধন  উৎসবের বিশেষ তাৎপর্যবাঙলার ইতিহাসে রাখী-বন্ধন  উৎসবের বিশেষ তাৎপর্য

মোহন সরকার

ধর্মীয় উৎসব ছাড়াও বাঙলার ইতিহাসে  ‘রাখী-বন্ধন’ উৎসব এক বিশেষ তাৎপর্য বহন করে৷  ব্রিটিশ আমলে ১৯০৫ সালে  যখন বাঙ্লার গভর্ণর  জেনার্যাল  বাঙ্লাকে দুভাগে বিভক্ত  করার কথা ঘোষণা করেছিলেন, তখন  তার বিরুদ্ধে বাঙ্লায় বিদ্রোহ দেখা দিয়েছিল৷ সেই সময় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাঙালী ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্যে সংক্লল্প গ্রহণের মাধ্যমে হিসেবে রাখীবন্ধন উৎসবের সূচনা করেছিলেন৷ তখন হিন্দু-মুসলমান  নির্বিশেষে  সবাই পরস্পর  রাখী পরিয়ে বাঙালী ঐক্যের শপথ নিয়েছিলেন৷

জাতীয়  নাগরিকপঞ্জীকরণ সমস্যা-সমাধান কোন পথে

গৌরাঙ্গ রুদ্রপাল

গত ৩০শে জুলাই অসমে জাতীয় নাগরিক পঞ্জীকরণ(এন.আর.সি)-এর কারণে যে চল্লিশ লক্ষাধিক বাঙালির  নাম বিদেশির  খাতায় উঠল  তাদের ভবিষ্যতের  প্রশ্ণে গোটা বাঙালি সমাজ এখন  গভীরভাবে উদ্বিগ্ণ৷ কারণ  অসমে  বিদেশি চিহ্ণিত হওয়া  মানে তারা  গোটা ভারতবর্ষেই বিদেশি মানে তারা গোটা ভারতবর্ষেই বিদেশি  বা অবৈধ  অনুপ্রবেশকারী  এ ধরনের  মানুষদেরকে  তো ভারত সরকার এদেশে  স্থান দেওয়ার কথা নয়৷  তাহলে নিশ্চয়ই  নাগরিক পঞ্জীকরণের  পরের ধাপ  হবে  সেই  চল্লিশ লক্ষ বিদেশি  বাঙালিদেরকে  অন্য কোনও  দেশে ঠেলে  দেওয়া৷ সেটি  কোন দেশ--- পাশের  বাংলাদেশ কী?  নতুন করে নেবে বাংলাদেশ এই বিপুল সংখ্যক মানুষের  দায়িত্ব৷ এ ব্যাপারে  ভারত  স

শ্রাবণী পূর্ণিমা ও শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

আনন্দমার্গের ইতিহাসে শ্রাবণী পূর্ণিমা বিশেষ তাৎপর্য–বহন করে চলেছে৷ মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী বলেছিলেন, এই শ্রাবণী পূর্ণিমা তিথিতেই সদাশিব তাঁর ধর্মোপদেশ দান শুরু করেছিলেন৷ এই কারণেই শিবভক্তদের মধ্যে শ্রাবণী পূর্ণিমা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়৷ মার্গগুরুদেব তাঁর আদর্শ তথা দর্শনের ‘আনন্দমার্গ’ নামকরণও এই শ্রাবণী পূর্ণিমা তিথিতে করেছিলেন৷

এছাড়া, এই শ্রাবণী পূর্ণিমা তিথির সঙ্গে এক গভীর তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা জড়িয়ে রয়েছে৷

গঙ্গায় জনপ্লাবন, নেতৃত্বে রবীন্দ্রনাথ- রাখীর বাঁধনে ধরা পড়িল বঙ্গসমাজ

অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর

রবিকাকা একদিন বলিলেন, রাখীবন্ধন উৎসব করিতে হইবে৷ আমাদের সবার হস্তে রাখী পরাইতে হইবে৷ উৎসবের মন্ত্র অনুষ্ঠান সব জোগাড় করা আবশ্যক৷ ছিলেন ক্ষেত্রমোহন কথক ঠাকুর, রোজ কথকতা করিতেন আমাদের বাড়িতে৷ কৃষ্ণবর্ণ পৃথুল তিলভাণ্ডেশ্বরের ন্যায় চেহারা৷ তাহাকেই ধরা হইল, রাখীবন্ধন উৎসবের একটা অনুষ্ঠান বাতলাইয়া দিতে হইবে৷ তিনি খুব খুশী ও উৎসাহী হইয়া উঠিলেন৷

অমিত শাহের ‘হিম্মত’ দেখে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর মনোবল বৃদ্ধি

মনোতোষ কুমার মণ্ডল

বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় খবরে প্রকাশ বিগত ৩১শে অগাষ্ট রাজ্যসভায় অমিত শাহ বুক ফুলিয়ে ঘোষণা করলেন---‘‘আপকে পাস হিম্মত নহী থা--- হামারা হেয়....’’ (তোমাদের সাহস ছিল না --- আমাদের আছে)৷ বক্তব্যটি প্রাক্তন কংগ্রেস সরকারের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে৷ গত ৩০শে জুলাই দ্বিতীয় এন.আর.সি ড্রাফট্ প্রকাশ করা হয়েছে৷ এতে চল্লিশ লক্ষ জনগণের নাম বাদ গেছে৷ এই খুশীতে আমাদের মহামান্য অমিত মহাশয় অত্যধিক আত্মহারা৷ তিনি খুশী চেপে রাখতে পারেন নি৷ তাই আনন্দ প্রকাশার্থে তিনি খুশীতে আমাদের মহামান্য অমিত মহাশয় অত্যধিক আত্মহারা৷ তিনি খুশী চেপে রাখতে পারেন নি৷ তাই আনন্দ প্রকাশনার্থে তিনি মিডিয়ার সম্মুখে নিজের হাতে মিষ্টি খাওয়ালেন ভার

শব্দ অমৃত

জিজ্ঞাসু

গত সপ্তাহে  লিখেছিলুম শব্দ  দূষণ নিয়ে,  এখন লিখছি  উল্টো কথা৷  বিজ্ঞান-বুদ্ধিতে মেজে ঘষে শব্দের  সুর  তরঙ্গকে কাজে লাগিয়ে  অনেক  দেহ-মানসিক ব্যধি থেকে  মানুষ মুক্তি  পাচ্ছে৷  শব্দ বিজ্ঞানীদের  মতে  সুর-তরঙ্গের  নিরবিচ্ছিন্ন প্রবাহ, কেন্দ্রীয় নার্র্ভস সিস্টেমের  শক্তিক্ষেত্রকে প্রভাবিত  করে৷ সঙ্গীতের  তাল মিনিটে ষাট  বা তার কম হলে  টেনশন  কমায়, সত্তরের বেশি  হলে টেনশন বাড়ায়৷ যে কোনো  পুরাতন  বা নোতুন অসুখ, যন্ত্রণা ইত্যাদি  থেকে মুক্তি  পেতে পজিটিব মাইক্রোবাইটামের  সংখ্যা বাড়াতে  পরিপূরক  হিসেবে  ভারতীয় রাগ রাগিনীর  সাহায্য নেওয়া হচ্ছে৷ ভৈরবী, ভীমপল্লশ্রী আহেরি ভৈরব, বসন্ত বিহার, বাগেশ্রী, আ

ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনই হলো বরাক উপত্যকায় বাঙালী জনগোষ্ঠীর একমাত্র বাঁচার পথ

প্রভাত খাঁ

অত্যন্ত দুঃখের কথা এদেশের শিক্ষিত ব্যষ্টিগণ মনে হয় ভুলেই গেছেন সেই অষ্টাদশ শতাব্দীর ভয়ংকর ষড়যন্ত্রের ইতিবৃত্ত৷ বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দোল্লা যখন মাত্র ১৮ বছরের তরুণ তাঁকে সরিয়ে পলাশীর প্রান্তরে ইংরেজ এর সঙ্গে নাটক করে বিশ্বাসঘাতক সিপাহ সালার মিরজাফর সিংহাসন দখল করেন৷ আর বন্দী নবাব সিরাজকে নামাজে রত অবস্থায় মোহম্মদী বেগকে দিয়ে পৃষ্ঠ দেশে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করানো হয় মিরজাফরের পুত্র মিরনকে দিয়ে৷ যাঁর মৃত্যু ঘটে বজ্রাঘাতে ! সেই যে বিশ্বাসঘাতকতার ঘটনা সেটাই একনাগাড়ে চলে আসছে এই হতভাগ্য বাংলায় অদ্যাবধি৷