প্রবন্ধ

রাজনীতিতে আধ্যাত্মিকতাভিত্তিক নীতিশক্তির প্রয়োজনীয়তা 

তারাপদ বিশ্বাস

ভারতবর্ষ আমাদের দেশ৷ প্রায় ১৯০ বছর ইংরেজদের ঔপনিবেশিক শোষণ ও শাসনাধীন থেকে, ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভ করে৷ বহু পুরানো জমিদারী, জায়গীরদারী, সামন্তপ্রথা বিলোপ করে, নতুন ভূমি–সংস্কার আইন চালু হয় রাজ্যে রাজ্যে জমির ব্যষ্টি মালিকানা স্বীকার করে, পরিবার পিছু কৃষি ও অকৃষি জমির পরিমাণের উর্দ্ধসীমা বেঁধে দেওয়া হয় কিন্তু মান্ধাতা আমলের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আইল সরিয়ে, কর্ষকদের উৎপাদক সমবায় তৈরী করে বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ও কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে উন্নততর চাষ–বাসের পরিকল্পনা বা আইন আজ পর্যন্ত দেশে তৈরী করা হয়নি জল ও মাটির পরীক্ষাগার, সেচের জন্য ভূ–গর্ভস্থ জল না তুলে প্রাকৃতিক উৎস ও বৃষ্টির জল ধরে রাখার বড় জলাশয়ের

বাঙালী-বিদ্বেষী বাম-সরকার চরম স্বৈরাচারী

হরিগোপাল দেবনাথ (ত্রিপুরা)

রাষ্ট্র বিজ্ঞানে  এরকম  আইডিয়া  প্রচলিত যে ক্ষমতা শাসক শক্তিকে দুর্বৃত্তায়নের পথে ঠেলে দেয় ৷ বস্তুত, এ মন্তব্যটি সকল জায়গায় আর সকলের ক্ষেত্রেই সমানভাবে প্রযুক্ত হবে জোর দিয়ে  বলা যায় না, কারণ নীতিবাদী আদর্শপরায়ণ ও সংযতন্দ্রিয়  হলে সেই ধরণের চলাফেরা অবশ্যই ব্যতিক্রম না হয়ে পারেন না৷  তবে আমাদের রাজ্যের তথা কথিত ‘বাম’ নামের শাসক গোষ্ঠীর ক্ষেত্রে যে উপরিউক্ত মন্তব্যটি শতকরা একশ ভাগই সত্যি, এর  অসংখ্য নজির এত ব্যাপকভাব ছড়িয়ে রয়েছে যে,  তা বলে বা লিখে শেষ করা যাবে না৷  আর তাদের দুরাচার বা দুবৃর্ত্তায়নের   তালিকা তৈরী করা এই মূহুর্তে আমার ইচ্ছাও নয়৷  এই পরিসরে আমি শুধু  এটুকু দেখবার চেষ্টা করবো য

অসমে  বাঙালীদের  ওপর নির্যাতনের ইতিহাস

সাধন পুরকায়স্থ

স্বাধীনতার  প্রাক্ মুহূর্তেই অসম থেকে বাঙালীদের  উৎখাত করার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল৷ যার ফলে ১৯৪৭-এর জুূন মাসে গণভোটের নাটক  করে বাঙালী অধ্যুষিত  অসমের  একটি জেলা শ্রীহট্টকে  পাকিস্তানে  ঠেলে দেওয়া  হয়েছিল৷ তার পরবর্তীকালে  লোকগণনার  প্রহসনে ১৯৫১ সালে বাঙালীদের  সংখ্যাতত্ত্বের কারচুপিতে সংখ্যালঘু বানানো হয়েছিল৷ ৫০ সাল থেকে বঙ্গাল খেদা আন্দোলন শুরু হয়েছিল৷ বাঙালীদের হত্যা করা, ঘর বাড়ী জ্বালানোটা নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা৷ ১৯৬০ সালে একমাত্র অসমীয়া ভাষাকে সরকারী ভাষা হিসাবে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল৷  রাজ্যজুড়ে  আন্দোলন শুরু হলো৷ শিলচরে ১৯৬১-র ১৯শে মে ১১টি তাজা প্রাণ পুলিশের গুলিতে আত্মাহুতি দিয়ে শুধুমাত্র

মানব জীবনে বিজ্ঞান ও ধর্ম

সৌমিত্র পাল

পূর্ব প্রকাশিতের পর

‘মনোময় কোষকে নিয়ন্ত্রন করে আসন ও প্রাণায়াম৷ ‘প্রাণায়াম’ কাকে বলে?  ‘‘প্রাণান্ যময়তি য:স: প্রাণায়াম:’’ অর্থাৎ প্রাণশক্তিকে নিজের নিয়ন্ত্রণে আনার কৌশলই প্রাণায়াম৷ প্রাণ কী? প্রাণ ,অপান, সমান, উদ্যান ,ব্যান, নাগ, কুর্ম , কৃকর, দেবদত্ত ও ধনঞ্জয়  এই দশবায়ুর সমন্বয়ে যা সৃষ্ট তাই প্রাণ৷ এই দশবায়ুকে নিয়ন্ত্রণে আনার বিজ্ঞানসম্মত কৌশলই প্রাণায়াম ৷

দশবায়ু-সম্বন্ধে কিছুকথা:

                ১৷   প্রাণ বায়ু : কন্ঠ থেকে নাভি পর্যন্ত যে বায়ু শ্বাস-প্রশ্বাসের কাজে ব্যস্ত৷

জীবন-পথে কঠিন ব্রতে

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

 মানুষ পৃথিবীতে আসে সীমিত সময়ের জন্য একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যপূরণের উদ্দেশ্যে ৷  শুধুমাত্র ভোজন , শয়ন , পর্যটনের মাধ্যমে গড্ডালিকা প্রবাহে ভেসে যাওয়া  মানব জীবনের লক্ষ্য নয়, কারণ এই কর্মগুলিতো জীব-জন্তুরাও করে থাকে৷  তাহলে মানুষ আর জীব-জন্তুর মধ্যে পার্থক্য কোথায়?  মানুষ ঈশ্বরের সর্র্বেত্তম সৃষ্টি, মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশিত হয় তার মান ও হুঁশের প্রয়োগে৷ মানুষের মধ্যে রয়েছে বুদ্ধি, বিবেক ও বিচারশীলতা আর  এইসকল গুণের প্রেরণায় ও প্রয়োগে জীবনকে পরিচালিত করাই মানুষের কর্ত্তব্য ৷ এর  জন্য চাই  কঠোর ও নিবিড় অনুশীলন, আত্যন্তিকী  নিষ্ঠা৷ মানুষ যখন প্রথম ভূমিষ্ঠ হয়ে  মাতৃক্রোড়ে লালিত-পালিত হয় তখন মাতৃস

প্রাউটের সমাজ আন্দোলন

আজ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সমাজের অর্থনৈতিক উন্নয়নের একমাত্র পথ হিসেবে মেনে নিয়ে আপন আপন কর্মসূচী নিয়ে কাজ করে চলেছে৷ তারা দেশে ক্রমবর্ধমান দারিদ্র্য ও বেকার সমস্যা সমাধানের জন্যে দেশী-বিদেশী পুঁজিপতিদের শরণাগত৷ দেশী-বিদেশী পুঁজিপতিরা যাতে রাজ্যে তাদের মোটা পুঁজি বিনিয়োগ করে’ শিল্প গড়ে তুলতে এগিয়ে আসে, সেজন্যে ওই পুঁজিপতিদের নানান ভাবে তোষণ করে চলেছে৷ তাদের নানাভাবে প্রলোভন দিচ্ছে৷ সস্তায় জমি, বিদ্যুৎ, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে করছাড় ইত্যাদির আশ্বাস দিয়ে নানাভাবে তাদের মন ভেজানোর চেষ্টা করছে৷ কট্টর মার্কসবাদী বলে পরিচিত সিপিএম সহ অন্যান্য সঘোষিত সমাজতন্ত্রী বামপার্টিগুলিও দেশী

দেশকে বাঁচাতে আজ নোতুন নেতা ও নোতুন আদর্শের  বড়ই প্রয়োজন

প্রভাত খাঁ

বর্ত্তমানে সারা পৃথিবী হয়ে পড়েছে একটি বিরাট পরিবার বিশেষ৷ এর মূল কারণ হল ভৌতবিজ্ঞানের অগ্রগতি৷  আজ আর কোনকিছুই পৃথিবীর মানুষের অজানা নয়৷  কিন্তু অতীব দুঃখ ও মর্মবেদনার কথা হল বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র---এই ভারতবর্ষকে কিছু স্বার্থান্বেষী কুচক্রী জঘন্য সাম্প্রদায়িকতার  ভিত্তিতে ভাগ করে এর অগ্রগতিকে  চিরকালের মতো ধবংস করে দিয়ে গেছে৷  এই বিরাট এলাকা আজ  নানা সমস্যায় জর্র্জরিত৷  আমাদের বাস সেই খণ্ডিত  ভারত যুক্তরাষ্ট্রে৷  এখানে বহু ভাষাভাষীর মানুষ বসবাস করেন৷ দীর্ঘ ৭০ বছর হলো নামেই স্বাধীন হয়েছে এদেশ৷  কিন্তু এই হতভাগ্য দেশে অদ্যাবধি তেমন কিছু সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নতি তো হয়নি বরং

প্রাউট–প্রবক্তা প্রভাতরঞ্জনের সাহিত্য চেতনা

ডঃ গোবিন্দ সরকার,  প্রাক্তন অধ্যাপক, নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন আবাসিক মহাবিদ্যালয়

পূর্ব প্রকাশিতের পর

গণতন্ত্রের স্বার্থে তরুণ-তরুণীরা এগিয়ে এসে প্রকৃত দেশনেতা ও নেত্রীর স্থান পূরণ করুক

প্রভাত খাঁ

দীর্ঘ ৭০ বছর পর এই হতভাগ্য পশ্চিমবাঙলা ও সারা ভারতের রাজ্যগুলির ও খোদ দিল্লীর যে আইন শৃঙ্খলা ও আর্থিক উন্নয়নের বহর তাতেই বোঝা যায় এদেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থার কতটা অধঃপতন ঘটেছে৷ শুধু নোংরা রাজনৈতিক কাজিয়া চলছে৷ সারা রাষ্ট্রের আর্থিক দুরবস্থার সংবাদ সারা পৃথিবী জানে৷ এরা সর্বদা কেন্দ্র কি রাজ্য,  সার্বিক উন্নতির ফাটা ঢাক পিটিয়ে চলেছে৷  কলকারখানা সবই প্রায় বন্ধ ৷ চাকরীর কোন সংবাদই নেই ভারতের রেলসংস্থা সবচেয়ে একটি সর্বভারতীয় কর্মসংস্থানের আশ্রয়স্থল৷ সেখানে যেন শনির দশা!