অঞ্জলি দেওয়া ফুলগুলো ভেসে যাচ্ছিলো
স্রোতের টানে লক্ষ্যের পানে
আপন ছন্দে উর্মিমুখর গানে৷
ওরা নিবেদিত সমাজ সেবায়,
বিশ্বপ্রেমে বেঁধেছিল আপনার প্রেম
আপন সংসার হ’ল বিশ্বসংসারে
আপনার হিত খঁুুজে পেল বিশ্বহিতে
যত বন্ধন ছিল আপন হৃদয় তলে
অর্ঘ্য দিল বিশ্বপিতার পদতলে৷
শঙ্কিত হ’ল ময়ূরপুচ্ছধারী দাঁড়কাক
চিন্তিত হ’ল নীল শেয়াল
বিচলিত বকধার্মিক
কম্পিত কপট কুম্ভীর
মুখোশধারী সমাজসেবক, ভণ্ড নেতা
বন্ধুবেশী বেইমান, সাম্যবাদী শোষক
ষড়যন্ত্রের জাল পাতল নাগরিক কনভেনশনে৷
ফাঁদ পাতলো মিথ্যা ছেলেধরার নামে
শাসকের ক্ষমতায় মুখ বাঁধলো প্রহরীর,
ঝাঁপিয়ে পড়ল মন্ত্রী, সান্ত্রী-শিকারী কুকুর নিয়ে৷
রক্তে ভেসে গেল বিজন সেতু বণ্ডেল গেট৷
মানবতার মৃত্যু দেখল মানুষ মুখ বন্ধ করে৷
হাড় হিম করা রক্তস্রোত, কলকাতার পথ ধরে
বয়ে গেল বিশ্বের দরবারে৷
কালের কলঙ্ক বলে --- না এ বিচ্ছিন্ন ঘটনা,
শকুনের সভায় সিদ্ধান্ত হ’ল
বিচারের নামে প্রহসন হবে
তবে বলা হবে
আইন চলবে আইনের পথে৷
কবে সে পথ অবাধ হবে?
অন্ধ গলি থেকে রাজপথ খঁুজে পাবে?
তোমার হৃদয় হতে উৎসারিত আলো
ফুল হয়ে ফুটবে কবে?
কালের বক্ষপটে রক্তরেখায়
এঁকে দিল ছবি সপ্তদশ দধীচি৷
‘জাগাও মানবতা নাশো দানবতা৷’
মানুষ তুমি মানুষের সমাজ গড়ো
রাজনীতিকে জঞ্জাল মুক্ত করো
জড়তার বন্ধন ছিন্ন করে
শাশ্বত পথ ধরো৷
- Log in to post comments