জাগো নারী

লেখক
কল্যাণী ঘোষ

কতিপয় নারী লোভের বশবর্ত্তী হয়ে অর্থ উপার্জনের জন্যে শরীর বিক্রী করছে–প্রায় নগ্ণ হয়ে৷ প্রাত্যহিক সংবাদপত্রে, বিভিন্ন পত্র–পত্রিকায়, দূরদর্শনে স্বল্প পোষাকে শরীর দেখিয়ে কিশোর–যুবাদের কাম রিপুকে শুড়শুড়ি দিয়ে যৌন–আবেদনে হাতছানি দিয়ে শরীরে শিহরণ এনে দিচ্ছে৷ এদের কবল থেকে মুক্ত হওয়া কোন মতেই সম্ভব নয়৷ এদের ধ্বংস অনিবার্য৷ এদের কবল থেকে শিশু–কিশোর–যুবা কেউই বাঁচবে না সুস্থ শরীর ও মন নিয়ে৷ এই সমস্ত নারীরা নিজেরাও মরবে, অন্যদেরও মারবে৷

সংসারে যারা গুরুজন তারা অসহায়ভাবে দেখে যাবে, লালন–পালন করে এই প্রজন্মকে বাঁচাতে পারবে না৷ দর্শক হয়ে শারীরিক ও মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে৷ কেউ সুস্থ শরীর মন নিয়ে বাঁচবে না, শুধু কতিপয় অর্থলোভী–মোহগ্রস্ত ঘৃণ্য নারীদের জন্যে৷ এরা দ্বিধা–দ্বন্দ্ব–লজ্জা– সর্বোপরি আত্মসম্মানকে কবর খুঁড়ে মাটি চাপা দিয়ে নিঃসঙ্কোচে ঘুরে বেড়াচ্ছে আর অর্থলোভী বিজ্ঞাপনদাতারা নারীদের প্রায় নগ্ণ ছবি তুলে–কোটি কোটি টাকা কামাচ্ছে৷ তারা সংসার ও সমাজের ক্ষতি করছে৷ সুতরাং এই সকল নরকের কীটেরা মানবিকতা ও আত্মসম্মান খুইয়ে অমানুষের মত আচরণ করছে৷ ঈশ্বর সকলকেই দেখছেন৷ তাঁর চোখের আড়ালে কিছুই করা যায় না৷ তাঁর কৃপাতেই এই মানব–শরীর৷ মানুষ হয়ে পশুর আচরণে তিনি রুষ্ট৷ এহেন কাজ ক্ষমার অযোগ্য৷ ঈশ্বর বিমুখ হবেন, প্রকৃতি চরম শাস্তি দেবে৷ কতিপয় নারী আর মুষ্টিমেয় বিজ্ঞাপনদাতারা কঠোর শাস্তি ভোগ করবে৷ তাই দেখে শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষেরা ব্যঙ্গের হাসি হেসে বলবে–‘‘দেখ কেমন লাগে৷’’ এই সমস্ত পশুরূপী মানুষেরা বিপন্ন হয়ে শাস্তি ভোগ করে দগ্ধে মরবে কারণ মানুষ মরণশীল৷ পরজন্মে নরকের কীট হয়ে নরকেই বিচরণ করবে৷

মানুষের আকৃতিতে পশুর কাজ করলে ঈশ্বর এদের কোনদিন ক্ষমা করবেন না৷ জগৎ পরিবর্ত্তনশীল৷ বিবর্ত্তনের মধ্য দিয়ে পরমপিতা নরকের কীটেদের কালের নিয়মে একটু উন্নত প্রাণী করতেও পারেন–সেটা তাঁর ইচ্ছা৷ হয়তো দেখা যাবে কোটি বৎসর পরেও নরকের কীট হয়ে কিলবিল করবে৷ প্রকৃতি অন্ধাশক্তি৷ ঈশ্বরের নির্দেশ অনুযায়ী প্রকৃতি চলে৷ তার নিজের কোন ক্ষমতা নেই৷ মানুষ শ্রেষ্ঠ জীব৷ মানুষ কেন পশুর ধর্ম গ্রহণ করে দুঃখে কালাতিপাত করবে৷ মানুষের লক্ষ্য–ভাগবত ধর্ম৷ ভাগবত ধর্মেই মানুষের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক উন্নতি হয়–‘‘নান্য পন্থা বিদ্যতে অয়নায়’’৷৷