February 2022

প্রগতিশীল সমাজতন্ত্রের পথ প্রাউট দর্শন

প্রভাত খাঁ

দীর্ঘ ৭৪ বছর পরেও আমাদের ভাবতে হচ্ছে যে স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়েও দেশের সিংহভাগ মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যে পাঁচটি জিনিষের অত্যধিক প্রয়োজন, তারা পাচ্ছে না৷ আজও অনেকের ক্ষুধা নিয়ে জন্ম হচ্ছে পথে ঘাটে, আর মরতে হচ্ছে সেই পথে ঘাটে অবহেলিত পশু-পক্ষীদের মত৷ পাশাপাশি ভারতের মত বিরাট দেশে যৎসামান্য মুষ্টিমেয় কিছু ধনী ভাগ্যবানরা দেশের সম্পদের সিংহভাগের মালিক৷

প্রাউটের অর্থনীতি নিয়ে কিছু কথা

এইচ.এন.মাহাত

একটি দেশের নাগরিকদের জন্য সাচ্ছন্দ্য আনতে হলে সেই দেশের কৃষি ব্যবস্থা ও কর্ষকদের মনোন্নয়ন বৃদ্ধির সাথে সাথে ওই  অর্থনৈতিক উন্নয়নকে তরাম্বিত করতে শিল্পের বিকাশ খুবই প্রয়োজন৷ কৃষি ও শিল্পের সমন্বয়ে সামাজিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব৷ দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার শিল্পনীতি সম্পর্কে বলেছেন--- যে কোন অবস্থায় কেন্দ্রীভূত শিল্প স্থানীয় শ্রমিকদের করে বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ বেশী ঘটায়৷ এরফলে ওই অঞ্চলের অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়ে, বহিরাগত শ্রমিকদের ওপর রাজনৈতিক  নেতাদের দাদাগিরি বৃদ্ধি পায়৷ এরজন্যে কলকারখানায় নানা ভাবে শ্রমিক আন্দোলন শুরু হয়৷ তাই প্রাউট প্রবক্তা বলেছেন শিল্পের বিকেন্দ্রীকরণ দরকার৷ প্রথমেই তি

বাংলা বানান সংস্কার

জাদুগর

‘গর’ প্রত্যয়যুক্ত ফারসী শব্দ ‘সওদাগর’ অর্থাৎ যিনি সওদা বোঝেন৷ ‘জাদুগর’ অর্থে যিনি জাদু জানেন, বোঝেন৷ এখানে বলে রাখা ভাল যে কেউ কেউ ‘জাদুগর’ বানানের পরিবর্ত্তে ‘যাদুকর’ এইরকম বানান লেখেন৷ তাঁরা শব্দটিকে ‘যাদু’ শব্দের উত্তর কৃ  অল্ করে দেখাতে চান৷ কিন্তু তা ঠিক নয়৷ ‘জাদু’ ফারসী শব্দ৷ ‘জাদু’ জানেন, বোঝেন এই অর্থে ফারসী প্রত্যয় ‘গর’ যুক্ত হয়ে হয়েছে ‘জাদুগর’৷ তাই ‘যাদুকর’ বানানের টিকি থেকে ন্যাজের ডগা পর্যন্ত ভুল৷ ‘জাদুগর’ শব্দের সংস্কৃত প্রতিশব্দ হচ্ছে ‘বাজিকর’৷ ‘কর’ সংস্কৃত প্রত্যয়৷ ফারসীতে ‘কর’ প্রত্যয় নেই৷ ‘কার’ বলে যে শব্দটি রয়েছে তা প্রত্যয় নয়৷ ‘কার’ মানে ফারসীতে ‘কাজ’৷ ‘জাদু’ শব্দের সংস্ক

ভারতীয় শিক্ষার প্রাণ ধর্ম

শ্রী রবীন্দ্রনাথ সেন

বন্ধ ছিল আমার দুয়ার, অন্ধ ছিল নয়ন আমার৷

আচম্বিতে প্রাণের স্রোতে হিয়া ভরালে৷৷

আঁাঁধার নিশার অবসানে জ্যোতি ঝরালে৷৷’’

                                                     প্রভাত সঙ্গীত৷

ওড়িষায় এ্যামার্টের ত্রাণ

আনন্দমার্গ ইয়ূনিবার্সাল রিলিফ টিমের পক্ষ থেকে ওড়িষার ভদ্রক জেলার বিভিন্ন গ্রামে গত ১৪ ও ১৫ই ডিসেম্বর স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করে৷ দুই দিনে চার শতাধিক মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় ও প্রয়োজনীয় ঔষধ দেওয়া হয়৷ এছাড়া বহু মানুষকে শীতবস্ত্র, কম্বল ইত্যাদি দেওয়া হয়৷ স্বাস্থ্য শিবির পরিচালনা করেন অবধূতিকা আনন্দরসপ্রজ্ঞা ও স্থানীয় ইয়ূনিটের কর্মীরা৷

 

পুর নির্বাচনের প্রচারে ‘আমরা বাঙালী’

দলের লক্ষ্য উদ্দেশ্য ও আদর্শ মানুষের  সামনে তুলে ধরতে কলিকাতা পুর নির্বাচনে প্রতীকি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছে ‘আমরা বাঙালী’ শুধুমাত্র ১৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী দিয়ে৷ দলের প্রার্থী শ্রীমতি প্রণতি পাল, কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ওয়ার্ডের ঘরে ঘরে গিয়ে ‘আমরা বাঙালী’র উদ্দেশ্য ও কলিকাতা শহরকে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ শহর গড়ে তুলতে প্রাউটের পরিকল্পনার কথা মানুষের কাছে তুলে  ধরছেন৷ জল নিকাশি সমস্যার সমাধান কর্র্পেরেশন বাংলা মাধ্যম বিদ্যালয়গুলিকে পুনর্জীবিত করা, ফুটপাতের হকার থেকে শুরু করে সরকারী বেসরকারী চাকুরী ক্ষেত্রে সর্বত্র বাংলা ভাষার ব্যবহার ও বাঙালী নিয়োগ প্রভৃতি দাবী প্রচারে প্রাধান্য পায়৷ প্রচার  কার্য প

রাষ্ট্র-নেতাদের মিথ্যাচারিতা অবশ্যই একদিন শেষ হবে

প্রবীর সরকার

আমরা অত্যাধুনিক যুগে প্রবেশ করেছি, এটাই এ যুগের অধিকাংশ শিক্ষার আলোকপ্রাপ্ত মানুষের দাবী৷ তাছাড়া অনেক রাষ্ট্র নেতারাও এই দাবী করে আনন্দে গদগদ! কিন্তু সারা পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ শিশু, নরনারী, বৃদ্ধ, বৃদ্ধা নির্বিশেষে মনে প্রাণে এটাকে কী অন্তরের সঙ্গে মেনে নিতে পেরেছে?

জলের বিশুদ্ধতা

জলম্, নীরম, তোয়ম্, উদকম, কম্বলম, পানীয়াম–জলের এই ক’টি হল পর্যায়বাচক শব্দ৷ জল শব্দটিকে তৎসম রূপেই ৰাংলায় ব্যবহার করি৷ যার any kind of water (যে কোন প্রকারের জল)৷ ‘নীর’ মানে সেই জল যা অন্যকে দেওয়া যায় ‘তোয়’ মানে যে জল উপচে পড়ে ‘উদক’ মানে যে জল খুঁড়ে পাওয়া যায় ‘কম্বল’ মানে যে জল ওপর থেকে পড়ে ‘পানীয়’ মানে যে জল পান করবার যোগ্য, খাল–বিল–নালার জল নয়৷ ৰাংলা ভাষায় ‘জল’ ও ‘পানী’ দুটো শব্দই চলে৷ জল শব্দটি তৎসম, আর পানী শব্দ ‘পানীয়ম’–এর তদ্ভব রূপ৷ ‘জল’ মানে যে কোন জল–ড্রেনের জল, পুকুরের জল, ফিল্টার করা কলের জল–সবই৷ তবে drinking water বললে তার জন্যে ৰাংলা হবে পানীয় জল বা পানী৷ মনে রাখবে, যে কোন জলকে পা

খোলা চিঠি

কৌশিক খাটুয়া

প্রিয় বর্ষাদি,

তোমার একি হলো স্বভাব---

কখনো দেখি দুর্র্গ পূজায়

শরৎবাবুর সাথে খাচ্ছ ডাব,

কালী পুজায় হেমন্ত বাবুর সাথে

আড্ডা মার, জমাও ভাব!

এখন আবার শীতল বাবুর

হাতে হাত রেখে করছ লাভ

আগে ছিলে  এত লাজুক,

শ্রাবণেই সীমাবদ্ধ,

এখন শুনি বসন্তকে পাঠাও প্রেমের পদ্য৷

আষাঢ়ের সাথে

আষাঢ়ে গপ্পো এত তাড়াতাড়ি শেষ?

ভালোইতো ছিলে, তোমার বিরহে

আষাঢ়ের বাড়ে ক্লেশ৷

এসব কি ভালো কাজ হয়েছোতো বড়৷

লক্ষ্মী মেয়ের মতো

আষাঢ়ের সাথে ঘর কর৷

 

হেমন্তের সাথে হিমেল হাওয়া মাতে

মোসাহেৰ

কথায় বলা হয়, খোসামদে পাহাড়ও গলে মাখন হয়ে যায়৷ খোসামদে দুর্বাসা মুনিও গলে যান৷ সেই খোসামদের জন্যে ‘কাণ্ড’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়৷ ‘খোসামদ’ শব্দটি এসেছে ফার্সী ‘খুসামদ’ থেকে৷ অনেকে ‘খুসামদ’–কে মার্জিত রূপ দেবার জন্যে ‘তোষামোদ’ ৰলে থাকেন৷ না, ‘তোষামোদ’ ৰলে কোনো শব্দ নেই৷ শাস্ত্রে ৰলেছে, খোসামদকারী প্রতি মুহূর্তেই প্রতি পদবিক্ষেপেই অধোগতি হয়, কারণ সে প্রতি মুহূর্তে, প্রতি পদবিক্ষেপে কেবল স্বার্থচেতনায় অস্বাভাবিক কাজ করে থাকে৷ আগেকার দিনে রাজাদের বা অবস্থাপন্ন লোকেদের বেতনভুক খোসামদকারী থাকত৷ তাদের ৰলা হত মোসাহেৰ–যারা সৰ সময় নিজেদের কর্ত্তাকে  ‘সাহেৰ’, ‘সাহেৰ’ ৰলে তুষ্ট রাখবার চেষ্টা করে৷ আরৰী ব্