প্রিয় বর্ষাদি,
তোমার একি হলো স্বভাব---
কখনো দেখি দুর্র্গ পূজায়
শরৎবাবুর সাথে খাচ্ছ ডাব,
কালী পুজায় হেমন্ত বাবুর সাথে
আড্ডা মার, জমাও ভাব!
এখন আবার শীতল বাবুর
হাতে হাত রেখে করছ লাভ
আগে ছিলে এত লাজুক,
শ্রাবণেই সীমাবদ্ধ,
এখন শুনি বসন্তকে পাঠাও প্রেমের পদ্য৷
আষাঢ়ের সাথে
আষাঢ়ে গপ্পো এত তাড়াতাড়ি শেষ?
ভালোইতো ছিলে, তোমার বিরহে
আষাঢ়ের বাড়ে ক্লেশ৷
এসব কি ভালো কাজ হয়েছোতো বড়৷
লক্ষ্মী মেয়ের মতো
আষাঢ়ের সাথে ঘর কর৷
হেমন্তের সাথে হিমেল হাওয়া মাতে
শিবরাম চক্রবর্ত্তী
হেমন্তের হিমেল হাওয়া
দক্ষিণেতে ধায়,
তাতে সবার শীত শীত ভাব
লাগে সবার গায়৷
হেমন্তের শীত ভোরের দিকে
যেদিন বেশী পড়ে
ঘুমের ঘোরে কোল বালিশকে
শিবেন চেপে ধরে৷
হেমন্তের ভোর হলেই চাষী
ধুতির কোছা গায়,
জড়িয়ে সে মাঠে ছোটে
রোজই খালি পায়৷
হেমন্তের হিম আকাশ থেকে
শিশির রূপ ধরে
শাকসব্জি আর ধানের ক্ষেত
রাতে সে দেয় ভরে৷
হেমন্তের বাঁধা নিয়ম
দেখবে সন্ধ্যে সকাল
বুড়োবুড়ির দল ঘর ছাড়লেই
ঠাণ্ডায় হয় নাকাল৷
- Log in to post comments