February 2022

একনাগাড়ে দুবার আইএফ এ শিল্ড জিতল কাশ্মীর

গত বছর জর্জ টেলিগ্রাফকে হারিয়ে প্রথম বার শিল্ড জিতেছিল কাশ্মীর৷ সে বারের ম্যাচের ফলও ছিল ২-১৷ এবারেও সেই ব্যবধানেই বিপক্ষকে হারিয়ে দিল কাশ্মীর৷ তবে ৯০ মিনিট পর্যন্ত খেলার ফল ছিল ১-১৷ অতিরিক্ত সময়ের খেলায় নিজের গোলে বল ২৯ মিনিটের মাথায় গিরিক খোসলা পাস বাড়ান ডেভিড মুনোজকে৷ চকিতে ডানদিকে ঘুরে জোরালো শটে বল জালে জড়িয়ে দেন তিনি৷ কাশ্মীরের বিরুদ্ধে এগিয়ে যায় শ্রীনিধি৷ ৯০ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে ছিল তারা৷ ৯২ মিনিটের মাথায় কাশ্মীরের হয়ে গোল করেন ফ্রান গঞ্জালেস৷ বুক দিয়ে বল নামিয়ে শট নেন তিনি৷ অমীমাংসিত ভাবে শেষ হয় ৯০ মিনিটের খেলা৷ অতিরিক্ত সময়ের গোলে ম্যাচ জেতে কাশ্মীর৷

আসন্ন মহিলা বিশ্বকাপে কারা খেলছেন তা একনজরে

আগামী ৪ মার্চ থেকে নিউজিল্যাণ্ডে শুরু হতে চলেছে মহিলাদের ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ৷ প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে খেলা হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের৷ দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যাণ্ড৷ আগামী ৬ই মার্চ,২০২২ এ ভারত ও পাকিস্তান মুখোমুখি হবে৷ মোট ৩১ দিনের এই প্রতিযোগিতায় মোট ৩১টি ম্যাচ হবে৷ মোট আটটি দল খেলবে ও একে অপরের সঙ্গে লড়বে বিশ্বকাপের জন্য৷ অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যাণ্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত আগেই বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে৷ বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ র‌্যাঙ্কিং এর ভিত্তিতে যোগ্যতা অর্জন করেছে৷ আয়োজক দেশ হিসেবে সুযোগ পাচ্ছে নিউজিল্যাণ্ড৷ আরও তিনটি দল নিয়ে এই প্রতিযোগিতা

বকেয়া পুরভোট দু-দফায়

২৪শে ডিসেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের হলফনামা দিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার জানান আগামী জানুয়ারী ও ফেব্রুয়ারী মাসে বাকী পুরসভাগুলির নির্বাচন সম্পূর্ণ করা হবে৷ রাজ্য সরকার এই প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে৷ আগামী ২২শে জানুয়ারী রাজ্যের পাঁচটি পুরনিগমের ভোট হবে৷ এই পাঁচটি পুরনিগম হল-বিধাননগর হাওড়া চন্দননগর, আসানসোল ও শিলিগুড়ি৷ বাকী পুরসভাগুলির ভোট হবে আগামী ২৭শে ফেব্রুয়ারী৷

রাষ্ট্রীয় সম্পদের বেসরকারীকরণ নয়স্বয়ংসম্পূণা সামাজিক অর্থনৈতিক অঞ্চল চাই

রাষ্ট্রীয় সম্পদ বেসরকারী হাতে তুলে দেবার কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকল্পনার তীব্র বিরোধিতা করে প্রবীণ প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রী প্রভাত খাঁ বলেন–প্রাউটের মতে গোটা দেশের সর্বাত্মক সামাজিক–অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্যে, সঙ্গে সঙ্গে সর্বস্তরে শোষণের অবসান ঘটানোর জন্যে, চাহ্ত্র বিজ্ঞানভিত্তিক সুষ্ঠু অর্থনৈতিক পরিকল্পনা৷ ন্তুএ জন্যে প্রথমে গোটা দেশকে প্রয়োজনে একাধিক সামাজিক–অর্থনৈতিক অঞ্চলে  বিভক্ত করে প্রতিটি অঞ্চলকে স্বয়ং–সম্পূর্ণ করে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিতে হবে৷ প্রতিটি সামাজিক–অর্থনৈতিক অঞ্চলে ওই এলাকার বিশেষ অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে পৃথক পৃথক পরিকল্পনা রচনা করা বাঞ্ছনীয়৷ এই যে দেশকে

নব্যমানবতাদের জীবনাদর্শই পথ দেখাবে

প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্র্সলের কেন্দ্রীয় সংঘটন সচিব আচার্য প্রসুনানন্দ অবধূত এক সাক্ষাৎকারে বলেন ---বর্তমানে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও আধ্যাত্মিক জীবনের সর্বক্ষেত্রে চরম অবক্ষয় ও বিপর্যয় দেখা দিয়েছে৷ সামাজিক বিভাজন,অর্থনৈতিক দূরাবস্থায় মানুষ আতঙ্কিত ও দিশাহারা৷ এর অন্যতম কারণই হচ্ছে মানুষ আধ্যাত্মিকতা বিমুখ ভোগ সর্বস্ব জীবন ধারায় অভ্যস্ত হয়ে গেছে৷ স্বার্থলোভ, ক্ষমতার মোহ মানুষকে গ্রাস করেছে৷ মানুষ যেন দিন দিন বিবেক বোধ-বুদ্ধি হারিয়ে অমানুষ হয়ে যাচ্ছে, অনৈতিক কাজে লিপ্ত হচ্ছে৷ রাজনৈতিক নেতাদের দাদাগিরি ও পুঁজিবাদের সীমাহীন শোষণ মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে৷ দেশের ৭০ শতাংশের বেশী সম্পদ মুষ্টিমেয়

দ্বিতীয়বারে জন্য মেয়র হলেন ফিরহাদ

প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবাস পুর নির্বাচনে বিজয়ী কাউন্সিলারদের নিয়ে মহারাষ্ট্র নিবাস হলের সভা থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বিতীয় বারের জন্যে কলকাতা পুরসভার মেয়র নির্বাচন করলেন ফিরহাদ হাকিমকে৷  শোভন চট্টোপাধ্যায় ইস্তাফা দেওয়ার পর ফিরহাদ হাকিমকে মেয়র নির্বাচিত করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেই সময় তিনি ৮২ নং ওয়ার্ড থেকে উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন৷ এবারেও তিনি সেই ৮২ নং ওয়ার্ড থেকেই  বিপুল ভোটে জয়ী হন৷ তিনি যে মেয়র হচ্ছেন এটা একরকম প্রত্যাশা ছিল৷  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফিরহাদ হাকিমের নাম ঘোষনা করে সেই প্রত্যাশা পূর্ণ করলেন৷ দ্বিতীয়বারের জন্যে ডেপুটি মেয়র হলেন ১১ নং ওয়ার্ড থেকে জয়ী  কাউন্সিলার অ

বিকেন্দ্রিত অর্থনৈতিক পরিকল্পনার মাধ্যমে গ্রামকে স্বনির্ভর করতে হবে

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

স্বাধীনতারপর সাত দশক পার হয়ে গেলেও সর্বসাধারণের সার্বিক কল্যাণের স্বার্থে, সামগ্রিকভাবে দেশের হতদরিদ্র মানুষের উন্নয়নের জন্যে কোন বলিষ্ঠ ও বাস্তবমুখী অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গড়ে ওঠেনি৷ এর একমাত্র কারণ ভারতবর্ষের রাজনীতি, অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করে দেশীয় পুঁজিপতিরা, অর্থনীতিবিদ্‌ ও নেতারা শিখণ্ডী মাত্র৷

যুদ্ধায় কৃত নিশ্চয়

জগতে যেসব বস্তুকে আমরা নিত্য বলে মানি তাদের নিত্যতাপ্রদানকারীও  পরমপুরুষ৷ বস্তু হ’ল প্রতিফলিত সত্তা–রিফ্লেক্টেড এণ্টিটি৷ চেতন বস্তুর মনঃশক্তিও তাঁর থেকেই এসেছে৷ তিনি সকলের প্রয়োজনের পূর্তি ঘটান–পিঁপড়ে থেকে হাতী পর্যন্ত, ছোট ছোট জীব থেকে সমুদ্রের বড় বড় জানোয়ার পর্যন্ত সকলের৷ এতই উদার তিনি৷ সেইজন্যেই তিনি জগতের কর্তা, অধিকর্তা, প্রভু৷ এই রকম উদারতা লাভ করতে পারলে তুমিও তিনি হয়ে যাবে৷

হিম যুগ আসছে

ইতিহাস এগিয়ে চলে তরঙ্গায়িত ছন্দে ঊহ–বোহের দোলায়৷ সে চলে আর চলে তারপর দেয় একটা লাফ, আবার সে চলে, আবার দেয় লাফ৷ এই গতিতেই সে চলতে থাকে৷ কিন্তু হঠাৎ এক সময় তার এই চলনটা যায় বদলে৷ তার গতিতে আসে অতিরিক্ত দ্রুতি৷ সে তখন চলতে থাকে লাফিয়ে লাফিয়ে৷ শুরু হয় নোতুন যুগের সূচনা৷ আমরা এখন এ রকমই এক বিরাট পরিবর্ত্তনের প্রবেশদ্বারে এসে উপস্থিত হয়েছি৷ না, আমরা শুধুমাত্র এক নোতুন যুগের প্রবেশদ্বারেই উপস্থিত হইনি৷ আমরা সেই প্রবেশদ্বার অতিক্রম করেও ফেলেছি৷ বস্তুতঃ আমরা এখন একটা নোতুন যুগের মধ্য দিয়ে চলেছি৷ তোমরা কি তা অনুভব করতে পারছ?

দেশের যথার্থ-অর্থনৈতিক উন্নয়ন কোন্‌পথে?

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

নববর্ষের সূচনায় দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ণের দিকে তাকিয়ে দেখা দরকার৷ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় বসার পর অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তার কতটুকু বাস্তবায়িত হয়েছে তা নূতন করে বলার অপেক্ষা রাখেনা৷ একদিকে আত্মনির্ভরতার শ্লোগান ও পুঁজিপতি তোষণ রাষ্টের সম্পদ বেসরকীকরণ--- যার পরিণতি পুঁজিপতিদের উন্নয়ন  সাধারণের আর্থিক দুর্দশা৷ প্রকৃত উন্নয়নের পথে এই সরকার হাঁটে না---এটা স্পষ্ট৷ তাহলে যথার্থ উন্নয়নের পথ কি?