February 2022

আনন্দনগরে কম্বল বিতরন

গত ২৭ ও ২৮শে ডিসেম্বর আনন্দনগর ডামবেরা টাঁড়, করকরা, নারানডি, লায়াডি, কাশীপুর, গোপীনাথপুর, ধাদকিড়ি প্রভৃতি গ্রামে প্রায় শতাধিক মানুষের হাতে শীতবস্ত্র কম্বল তুলে দেওয়া হয়৷ আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের আনন্দনগর শাখার উদ্যোগে এই ত্রাণ কার্য পরিচালিত হয়৷

 

প্রাউট প্রশিক্ষণ শিবির

গত ১৮ই-২২শে ডিসেম্বর বর্ধমান জেলার বোরহাটে পাঁচদিন ব্যাপী প্রাউট প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হয়৷ দিল্লি সেক্টরের সর্বস্তরের প্রাউটিষ্ট কর্মীরা এই শিবিরে যোগদান করেন৷ উক্ত শিবিরে প্রশিক্ষক ছিলেন  প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্র্সলের সেক্রেটারী জেনারেল আচার্য রবীশানন্দ অবধূত, কেন্দ্রীয় সংঘটন সচিব আচার্য প্রসুনানন্দ অবধূত প্রমুখ৷ পাঁচ দিনের এই শিবিরে প্রাউটের সামাজিক, অর্থনৈতিক তত্ত্বের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয় ও  বর্তমান সামাজিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে প্রাউটিষ্টদের দায়িত্ব ও কর্ত্তব্য বিষয়ে আলোচনা করা হয়৷ দিল্লী সেক্টরের মুখ্যসচিব  আচার্য সুপ্রভানন্দ অবধূত জানান---বর্তমান সমাজে নৈতিক অবক্ষয় ও অর্থনৈতিক ব

শিক্ষা প্রশিক্ষণ শিবির

গত ১৮ই-২২শে ডিসেম্বর আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের কেন্দ্রীয় আশ্রমে শিক্ষা, ত্রাণ ও জনকল্যাণ বিভাগের পরিচালনায় পাঁচদিন ব্যাপী একটি শিক্ষা প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হয়৷ দিল্লী সেক্টরের আনন্দমার্গ পরিচালিত শিক্ষকবৃন্দ এই শিবিরে যোগ দেয়৷ পাঁচদিনব্যাপী এই শিবিরে আনন্দমার্গের নব্যমানবতাবাদী শিক্ষার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়৷ ইস্কুল পরিচালনা ও শিশু শিক্ষার বিভিন্ন দিক নিয়েও আলোচনা হয়৷ শিবিরটি পরিচালনা করেন---কেন্দ্রীয় শিক্ষা আধিকারিক আচার্য নির্মলশিবানন্দ অবধূত, দিল্লী সেক্টরের শিক্ষা সচিব আচার্য তথাগতানন্দ অবধূত, কলিকাতার রিজিওনাল সেক্রেটারী প্রমুখ৷

অখণ্ড কীর্ত্তন

তেলিয়ামুড়া ঃ গত ১৯শে ডিসেম্বর তেলিয়ামুড়ার বিশিষ্ট আনন্দমার্গী ইন্দ্রভূষণ দেবনাথের বাড়িতে ৬ঘন্টাব্যাপী ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ মহানাম মন্ত্র অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ এই উপলক্ষ্যে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের ভক্ত মার্গী ভাই, বোনেরা শ্রী দেবনাথের গৃহে সমবেত হন ও এক স্বর্গীয় আধ্যাত্মিক পরিবেশে দীর্ঘ ৬ঘন্টা অতিবাহিত করে৷

মার্গীয়বিধিতে অন্নপ্রাশন

গত ১৮ই ডিসেম্বর ত্রিপুরা তেলিয়ামুড়ায় রাকেশ দাস ও অনিমা দাসের শিশু পুত্রের অন্নপ্রাশন ও নামকরণ অনুষ্ঠান মার্গীয় বিধিতে অনুষ্ঠিত হয়৷ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আগরতলার ডায়োসিস সচিব আচার্য ব্রহ্মদেবানন্দ অবধূত৷ উক্ত অনুষ্ঠানে সমাজ শাস্ত্র বিষয়ে আলোচনা করেন আচার্য জগৎমিত্রানন্দ অবধূত৷ শিশুর নাম রাখা হয় অনিকেত৷ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শিশুর পিতামহ ব্রজেন দাস ও মাতামহ তনুশ্রী দাস৷

 

ইনারল্যাণ্ড পারমিট প্রথার  বিরুদ্ধে ‘আমরা বাঙালী’

বেঙ্গল ইষ্টার্ন ফ্রন্টেয়ার রেজুলেশন, ১৮৭৩-এর ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদীরা তাদের উপনিবেশিক স্বার্থে আই, এল, পি.

হাওড়ায় স্বাস্থ্য শিবির

হাওড়া জেলার পাঁচলা ব্লকের গঙ্গাধার পুরে আনন্দমার্গ ইয়ূনিবার্র্সল রিলিফ টিমের হাওড়া শাখার উদ্যোগে একটি স্থাস্থ্যশিবির পরিচালিত হয়  গত ১৮ই ডিসেম্বর৷ প্রায় শতাধিক রোগীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় ও প্রয়োজনীয় ঔষধও দেওয়া হয়৷ ডঃ চাঁদমোহন পাল রোগীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন৷ উক্ত শিবিরটি পরিচালনা করেন জেলার ভুক্তি প্রধান সুব্রত সাহা ও মহাব্রত দেব৷

 

খেজুর / খেজুরের তাজা রস/ খেজুর গুড়

তালীবর্গের অন্যতম গাছ হচ্ছে খেজুর৷ সংস্কৃত ‘খর্জুর’ শব্দ থেকে ৰাংলায় তদ্ভব ‘খাজুর’ বা ‘খেজুর’ এসেছে৷ খেজুর গাছের সঙ্গে ভারত ও মধ্য এশিয়ার লোকেরা দীর্ঘকাল ধরেই পরিচিত৷ ভারতীয় বা ইন্ডিকা বর্গীয় খেজুরের মোটামুটি চারটি শাখা আছে–১) গাঙ্গেয় (গ্যাঞ্জেলাইটিস), ২) রাজস্থানী, ৩) গুজরাতী, ৪) দক্ষিণী (ডেকানাইটিস)৷ এদের মধ্যে স্বাদে–গুণে গুজরাতী খেজুর সর্বোৎকৃষ্ট৷ রাজস্থানী খেজুরও উন্নত মানের৷ দক্ষিণী খেজুর সাধারণ মানের৷ আর গাঙ্গেয় খেজুরের শাঁস বলতে কিছুই নেই৷ কিন্তু এই গ্যাঞ্জেলাইটিস্ প্রজাতির খেজুরের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে গাছগুলো একেবারে রসে টইটম্বুর৷ এই গাছগুলি থেকে প্রচুর পরিমাণে রস ও তাড়ি (শুদ্ধ বৈয়াকরণি

মউমাছি ও মধু

ভারতে সাধারণতঃ তিন ধরনের মউমাছি দেখা যায়– রক্–ৰী, ৰুশ–ৰী ও এপিস ইণ্ডিকা৷ রক–ৰী ৰড় জাতের মউমাছি, মধু প্রস্তুত করে প্রচুর পরিমাণে৷ চাক ৰড় ৰড়, সাধারণতঃ বটগাছে বা ৰড় ৰড় গাছের ডালে চাক ৰাধে৷ অনেক সময় চাক এত ৰড় হয় যে চাক ফেটে টস্ টস্ করে মধু মাটির ওপরে পড়তে থাকে৷ রক–ৰীর দ্বারা তৈরী মধু একটু ঝাঁঝাল হয়৷ এই মধু উগ্রবীর্য নামে খ্যাত৷ মানুষের প্রাণশক্তি যেখানে কমে এসেছে –মৃত্যুর হিমশীতলতা যেখানে তার অবসন্ন দেহে নেবে এসেছে, অনেক সময় সেই অবস্থায় এই উগ্রবীর্য মধু নোতুন করে প্রাণসঞ্চার করে দেয়৷ প্রাণশক্তি কমে যাওয়া মানুষের শরীরের অভ্যন্তরে যদি কোন রক্তক্ষয়ী রোগ না থাকে, তবে তিনটে কৃষ্ণতুলসীর পাতার সঙ্গে দ

অশ্বগন্ধা, বাসক ও রাম বাসক, আদা

 

অশ্বগন্ধা একটি ঔষধীয় গাছঙ্গ

ঙ্মন্যান্য ভেষজ গাছের সঙ্গে মিলিয়েৰ এর থেকে যক্ষ্মা রোগের উত্তম ভেষজ ঔষধ তৈরী হয়৷

ব্যবহার বিধি ঃ ৰেড়েলা, গাম্ভোরী, শতমূলী, অশ্বগন্ধা ও পুনর্নবা সমপরিমাণ একত্রে (শেকড়) শুষ্ক ও চূর্ণ করে দু’বেলা মধুসহ সেব্য৷ সেবনান্তে কিছুটা পরে এক ৰলকের মত ছাগদুগ্ধ পান করলে এই রোগে দ্রুত ফল পাওয়া যায়৷

অর্জুন ছালের সঙ্গে অশ্বগন্ধার শেকড় মিলিয়ে আয়ুর্বেদে হূদ্রোগের ঔষধ প্রস্তুত হয়৷ খোসাসহ মুগ ডাল আগের দিন রাতে জলে ভিজিয়ে রেখে, পরের দিন সকালে শিলে ৰেটে, দই–এর সরের সঙ্গে শরৰৎ বানিয়ে খালি পেটে খেলে যক্ষ্মা রোগে অতি উত্তম ফল পাওয়া যায়৷