February 2022

লিচুরও ইতিকথা আছে

লিচু ভারতে এসেছিল সম্ভবতঃ বৌদ্ধযুগে৷ ভারত ও চীন উভয়েরই দেশজ ফল হচ্ছে অংশুফলম৷ ফলটির অনেক নামের মধ্যে একটি নাম হচ্ছে অংশুফল্৷ এই আঁশফল গাছের পাতা দেখতে লিচু পাতার মত নয়–কিছুটা গোলাকার.......লিচুর চেয়ে একট ছোটও৷ গাছ কিন্তু লিচু গাছের চেয়ে অনেক বড় হয়.....বট, পাকুড়, অশ্বত্থের মত হয়ে যায় বীজ লিচুর চেয়ে কিছুটা ছোট কিছুটা চ্যাপ্ঢা হয়৷ ফল মিষ্টি হলেও তাতে উৎকট ঝাঁঝ ও গন্ধ থাকে৷ ছোটরা ভালবেসে খেলেও বড়রা পছন্দ করেন না৷ এই আঁশফল বাংলার একটি সাবেকি ফল–ব্যাঞ্জালাইটিস বর্গীয়৷ চীন এই আঁশফল নিয়ে চর্চা বা গবেষণা করে তৈরী করেছিল লিচু৷ বর্তমান পৃথিবীতে চীনের লিচুই সবচেয়ে বড় আকারের, অধিক রসযুক্ত ও সুস্বাদু৷ চী

চিরসত্য

সুকুমার রায়

তুমি অনন্ত অপার মহিমায়

সুখে দুঃখে সবাই তোমাকে চায়,

তোমার প্রীতি মধুর ছন্দে-গানে

সুধারসে ভাসালে মনে প্রাণে,

বিশ্বভূবন দোলায় তোমার কারণে

চিরকাল এ সত্য থাকবে ভূবনে

 

পূনরার্বিভূত

কৌশিক খাটুয়া

আবার করোনার শুভ পদার্পন

নববর্ষে তার পদে আত্মসমর্পণ!

যাই যাই করে তার হয় না যাওয়া,

নানা কুট-কৌশলে তার এ শহর পাওয়া

নানা বিধ নিষেধ জারি, স্তব্ধ গতিধারা,

নিত্য আক্রান্তের সংখ্যা হয় লাগামছাড়া৷

পানশালা গতিশীল, পাঠশালা স্তব্ধ,

শপিংমল চালু রবে, নাপিতরা জব্দ৷

বিয়ে বাড়িতে পঞ্চাশ,

শ্মশান সাথী কুড়ি,

দুয়ারে সরকার পিছিয়ে হলো---

পয়লা ফেব্রুয়ারী৷

 

তিয়াস ক্ষুধা

কবি রামদাস বিশ্বাস

কথা শুনিলে না ব্যথা বুঝিলে না৷

ভাঙা মরমে পরশ বুলালে না৷৷

 

কত যে ডেকেছি স্বর ভেঙেছে তাই

চিৎকার ক’রে ডাকিবার উপায় নাই

তুমি নিঠুর সখা কেন যে

একবার কাছেতে এলে না৷৷

 

আহার উঠেছে মুখেতে রুচি নাই

তিয়াসে ফাটে ছাতি ফটিক জল চাই,

তোমার দরশন পরশন বিনা

তিয়াস ক্ষুধা মেটে না৷৷

 

স্মৃতির অন্তরালে

কণিকা দেবনাথ

১৯৪৩ সাল ৪ঠা জুলাই, সিঙ্গাপুরের ক্যাথে বিল্ডিং৷ চারিদিকে লোকে লোকারণ্য৷ প্রেক্ষাগৃহে তিল ধারণের স্থান নেই৷ আনন্দ উচ্ছ্বল মুখগুলো অপেক্ষা করছে কোনও একজনের জন্যে৷ এত ভীড়, এত কষ্ট তবু মুখে কারো কোনও বিরক্তির ছাপ নেই৷ সবাই অধীর আগ্রহে বসে আছে আকাঙ্ক্ষিত মানুষটির জন্যে৷

ও কী করে এসেছিল

‘ইহ’ মানে ‘এই জগতে’৷ মনে রাখা দরকার ‘অত্র’ আর ‘ইহ’ এক জিনিস নয়৷ ‘অত্র’ মানে এখানে–এই স্থানে আর ‘ইহ’ ব্যবহূত হয় অনেক ব্যাপকার্থে......‘এই লোকে’/‘এই জগতে’৷ ‘ইহ’‘ঠক্’ প্রত্যয় করে আমরা পাচ্ছি ‘ঐহিক’ শব্দটি৷ তার বিপরীত শব্দ হচ্ছে ‘পরত্র’ থেকে ‘পারত্রিক’ ‘ইহলৌকিক’–বিপরীত শব্দ ‘পারলৌকিক’৷ ‘ইহলোক’–বিপরীত শব্দ ‘পরলোক’৷ ‘ইহ তিষ্ঠ’ না বলে ‘অত্র তিষ্ঠ’ বলা ৰেশী সঙ্গত হবে৷ ‘ইহ তিষ্ঠ’ মানে ‘এই জগতে থাকো’৷ আর ‘অত্র তিষ্ঠ’ মানে  ‘এইখানটিতে থাকো’৷ সুপ্রাচীনকাল থেকেই ‘ইহ’ শব্দটি অব্যয় রূপে ব্যবহূত হয়ে এসেছে৷

ইহলোক আর পরলোকের মধ্যে অনাদিকাল থেকে অনন্তকাল পর্যন্ত থেকে যায় এক সূক্ষ্ম স্বর্ণরেখা৷

আসন্ন মহিলা বিশ্বকাপের জন্য ভারতীয় মহিলা দলের বাছাই পর্ব শেষ

 চলতি বছরের ৬ই মার্চ থেকে বে ওভালে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করতে চলেছে  ভারতের মেয়েরা৷ প্রথম ম্যাচেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান৷ রাউন্ড রবিন ফরম্যাটে হবে খেলা৷ অর্থাৎ সব দেশকে সব দেশের সঙ্গে খেলতে হবে৷ গ্রুপ পর্যায়ে মোট সাতটি ম্যাচ খেলতে হবে মিতালিদের৷

আর.পি.এস.জি-র সিদ্ধান্ত - মোহনবাগানের নাম থেকে সরবে না এটিকে

সম্প্রতি আইপি.এল-এ দল কিনেছেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা৷ তাঁর সংস্থা আরপিএসজির হাতেই এটিকে৷ যে দলের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছিল মোহনবাগান৷ দু’বছর আগে তৈরি হয়েছিল এটিকে মোহনবাগান৷ আইএসএল-এ খেলার ছাড়পত্র পেয়েছিল সবুজ মেরুন৷ গত বছর  আইপিএল-এ লখনউ দলটি কিনে নিয়েছে আরপিএসজি সংস্থা৷ এর পরেই খবর রটে যায়, আরপিএসজি গ্রুপের অধীনস্থ সব খেলার দলগুলিকেই একটি ছাতার তলায় আনতে চাইছে তারা৷  সেটির নামও রটে যায়--- ‘আরপিএসজি স্পোর্টস ভেঞ্চার্স প্রাইভেট লিমিটেড৷’

বিবেক বাণীতে বিবেকানন্দ স্মরণ

‘‘আমি একজন সমাজতন্ত্রী, এর সমর্থনে আমার ধারণা নিরন্ন  থাকার চাইতে অর্ধেক রুটিই শ্রেয়৷ আমি সেই ধর্ম বা ঈশ্বরের বিশ্বাস করি না যে নাকি বিধবার চোখের জল মুছতে পারে না, যে অনাথ শিশুর মুখে এক টুকরো রুটি দিতে অক্ষম গাঁয়ে গাঁয়ে বা, ঘরে ঘরে, যা লোকহিত জগতের কল্যাণের জন্য কিছু করে দেখা–নিজে নরকে যাও পরের মুক্তি হোক্৷ আহা–দেশের লোক খেতে পবতে  পাবেনা আর আমরা কোন প্রাণে মুখে অন্ন তুলছি, দেশের লোক দু’বেলা দু’মুঠো খেতে পায় না দেখে এক এক সময় মনে হয় ফেলে দিই তোর শাঁখ বাজানো ঘণ্টা, গডায় ফেলে দিই তোর লেখা পডা আর নিজে মুক্ত হওয়ার চেষ্টা ৷ এরা দিনরাত খেটেও অশন–বসনের সংস্থান কিছু করতে পারছে না৷ দে–সকলে মিলে  এদে

স্বামীজীর ১৫৯তম জন্মবার্ষিকী উৎসব ও কিছু কথা

আজ ১২ই জানুয়ারী সারা দেশব্যাপী স্বামী বিবেকানন্দের ১৫৫তম জন্ম বার্ষিকী উৎসব পালন করা হচ্ছে৷ স্বামীজীর প্রতিকৃতিকে ফুল–মালা দিয়ে সাজিয়ে তাঁর সামনে গুরু–গম্ভীর বত্তৃণতা, নাচ, গান প্রভৃতি হচ্ছে৷ কিন্তু উৎসব শেষে আবার সবাই যথারীতি স্বামীজীকে ভুলে যাবেন বা ভুলে থাকবেন৷ এভাবেই তো বর্তমানে মহাপুরুষদের জন্মোৎসব প্রভৃতি পালিত হয়৷