February 2022

মার্গীয় বিধিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

বীরভূম জেলার বাজেবুজুং গ্রামের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী পরলোকগত গীতা দের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান গত ৯ই জানুয়ারী তাঁর বাজেবুজুং গ্রামের বাসভবনে মার্গীয় বিধিতে অনুষ্ঠিত হয়৷

জানুয়ারীর শেষ সপ্তাহে শুরু হতে চলেছে আনন্দমার্গের প্রথম স্তরের সেমিনার

আন্তর্জাতিক নববর্ষ উপলক্ষ্যে ধর্মমহাসম্মেলন আনন্দনগরে অনুষ্ঠিত হয়েছে গত ১লা,২রা ও ৩রা জানুয়ারী,২০২২৷ ধর্ম মহাসম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আনন্দমার্গ দর্শন ভিত্তিক ষান্মাসিক সেমিনার শুরু হচ্ছে জানুয়ারী মাসের শেষ সপ্তাহে থেকে৷

এই সেমিনারে আনন্দমার্গের দর্শনের সামাজিক অর্থনৈতিক ও আধ্যাত্মিক বিষয়ের ওপর মূলত আলোচনা হবে৷ বিষয়গুলি হল সাধনা,অভিধ্যান ও কীর্ত্তন৷ প্রকৃত গুরুকে, নূ্যনতম প্রয়োজন ও সর্বাধিক সুখ সুবিধা,সভ্যতা বিজ্ঞান ও আধ্যাত্মিক প্রগতি৷

মধ্যমগ্রামে অখণ্ড কীর্ত্তন

উত্তর ২৪ পরগণা জেলার মধ্যম গ্রামের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রী মোহন অধিকারীর বাসগৃহে গত ৯ই জানুয়ারী সকাল ১১টা থেকে অপরাহ্ণ ৫ ঘটিকা পর্যন্ত দীর্ঘ ৬ঘন্টাব্যাপী অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ জেলার মার্গী ভাইবোন ছাড়াও সন্ন্যাসী দাদা-দিদিরা ও বহু স্থানীয় বিশিষ্ট জনেরা এই কীর্ত্তনে অংশগ্রহণ করেন৷

বর্ষ বিদায় অনুষ্ঠান

গত ৩০শে ডিসেম্বর,২০২১, লেক গার্ডেন্সের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী কৃষ্ণা দত্তের গৃহে বর্ষবিদায় উপলক্ষ্যে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল৷ অনুষ্ঠানে প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশিত হয় ও ৰাৰা নাম কেবলম্‌ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তন ও মিলিত সাধনার পর আনন্দমার্গ দর্শন  ও কীর্ত্তন সাধনা বিষয়ে বক্তব্য রাখেন আচার্য চিতিবোধানন্দ অবধূত ও অবধূতিকা আনন্দকরুণা আচার্র্য৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় মার্গী ভাইবোন  ও অবধূতিকা আনন্দচন্দ্রশেখরা আচার্যা , অবধূতিকা আনন্দপ্রজ্ঞা আচার্যা, অবধূতিকা আনন্দ শতদীপা আচার্যা প্রমুখ৷

 

কমলা নেৰু, বাতাবী নেৰু, কাগজী নেৰু, পাতি নেৰু, গন্ধরাজ নেৰু

কমলা নেৰু ঃ পাহাড়ে কিছুটা ঠাণ্ডা আৰহাওয়া থাকলে ও তৎসহ রক্ত–মৃত্তিকার সঙ্গে কৃষ্ণকার্পাস মৃত্তিকার মিশ্রণ থাকলে ও তাতে যদি ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন মত মিশ্রণ থাকে তবে সেই মাটিতে উত্তম মানের পাহাড়ী কমলা হতে পারে বা হয়ে থাকে৷ তবে এই ধরনের মাটিতে যে কমলা [Citrus reticulata] হয় তা টক হয় না বটে, তবে তাতে মিষ্টত্বের চেয়ে কিছুটা জলসা বা পানসে ভাব বেশী থাকে (জল+  সহ = জলসহ>জলসা) পানী + সহিত = পানীসহিত>পানীসই>পানীসা)৷ এই নেৰুর খোলা ও কোয়ার মাঝখানে থাকে একটুখানি ফাঁকা জায়গা৷ তাই খোলা ছাড়ানো খুব সোজা৷ সিলেটী কমলার কোয়ার গায়ে অতটা ফাঁপা ভাব থাকে না৷ অসমের কমলার মিষ্টত্ব যথেষ্ট, সিল

বেদ–সুপ্রাচীন মানব ঐতিহ্যের প্রতিভূ

ঋগ্বেদ মুখ্যতঃ স্তুতি সম্বন্ধীয় হলেও তাতেও অন্যান্য কথা ও কথনিকা রয়েছে৷ সেই সকল কথা ও কথনিকার সকল অংশ সমান আধ্যাত্মিক মূল্য বহন না করলেও তারা সুপ্রাচীন মানব ঐতিহ্যের প্রতিভূ......ক্রমঃদ্রুতিতে অগ্রসৃত মানব–মননের তথা সমাজ–সংরচনার একটি আলেখ্য৷ সেদিক দিয়ে বিচারে ঋগ্বেদ ভাষা, সাহিত্য ও অভিব্যক্তির জগতে বিশেষ মূল্য বহন করে৷ ঋগ্বেদীয় যুগে লিপি ছিল না সত্য কিন্তু ধবন্যাত্মক অক্ষর ও আক্ষরিক ব্যাহূতি তথা ধবনিবিক্ষেপ.....প্রক্ষেপ ও উপন্যাস–রীতি (উপস্থাপিত করবার পদ্ধতি) ছিল৷ ঋগ্বেদে বিভিন্ন অক্ষরের জন্যে স্বতন্ত্র উচ্চারণ–রীতিও প্রচলিত ছিল যা ঋগ্বেদের অনুগামীরা পরবর্তীকালে গুরুপ্রমুখাৎ শিখে নিতেন৷ আমা

স্বামী বিবেকানন্দের স্মরণে

প্রভাত খাঁ

ন্যায়, সত্য, মানবতার মূর্ত্ত প্রতীক

বিবেকের আনন্দ তুমি,

তুমি বিবেকানন্দ৷ তোমার অমৃত

বাণী জাগায়েছে বিশ্ব সংসারে

একসূত্রে বেঁধে দিতে মানব সমাজে৷

তুমি জাতপাত ভেদাভেদ দূর করি’

আচণ্ডালে ভালবেসে মাটির–পৃথিবী পরে সচেষ্ট

ছিলে এক মানব সমাজ–গড়ি’

তার মনে আনন্দ জাগাতে৷

 

হে বীর, দৃঢ় চেতা সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী

ভারত আত্মায় তুমি প্রতিষ্ঠা করে গেছো

বিশ্ব সংসারে অধ্যাত্মজ্ঞানের

বাণী দিকে দিকে ছড়ায়৷

ক্ষণজন্মা তুমি তোমার

কর্ম এষণা তোমাকে

সু–প্রতিষ্ঠিত করে গেছে

বিবেকানন্দ স্মরণে রাখি তাঁরে মননে

শিবরাম চক্রবর্তী

বীর সন্ন্যাসী বিবেকানন্দের

            সারসত্তায় পাই,

ভারতআত্মার জাগরণেই

            মনে দিতেন ঠাঁই৷

আবার তিনি প্রগতিশীল

            মনেও ছিলেন ভারী,

তাই তো তিনি সত্যের ভাষণ

            করতেন সদাই জারি৷

খালি পেটে ধর্ম হয় না

            এই ছিল তার বাণী,

অন্ন-বস্ত্র-শিক্ষা-স্বাস্থ্য

            গৃহ চাই একখানি৷

পদব্রজে ভারত ভ্রমণ

            করে তিনি দেখেন,

কত কষ্টে দেশবাসীরা

            দিনযাপনে থাকেন৷

তারই মাঝে জাত-পাত আর

(ধর্মের) গোঁড়ামিও বেশ ছিল,

তোমার মন্ত্র

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

তোমার মন্ত্র কর্ণে শ্রবণ

নতুন জীবন উদ্বোধন৷

তোমার চোখের আলোয় স্নাত

হৃদয়-কমল প্রস্ফূটিত৷

তোমার মন্ত্র যেদিন শ্রুত

ধন্য জীবন পবিত্রপূত৷

তোমার মন্ত্র অমোঘ সত্য

জীবনে জাগানো মনুষ্যত্ব৷

লহ এ হৃদয় তোমারি দ্রব্য

তুমি যে আমার পরম লভ্য৷

করেছো করুণা, আজ অতএব

প্রণাম লহ, হে গুরুদেব৷

পঞ্চদশ অক্ষমালা

সাজানো তোমার মন্ত্র-ডালা৷

তোমার মন্ত্র আমার জন্য

প্রাণ-স্পন্দনে করেছে ধন্য৷

তোমার মন্ত্রে নেইকো নেতি

চরৈবেতি চরৈবেতি৷

তোমার মন্ত্রে শয্যাশায়িনী

স্বভাব যায় না মলে

‘খভ্রান্তি’ শব্দের একটি অর্থ হল চিল (কালো চিল ও শঙ্খচিল দুই–ই)৷ ‘ভ্রম্’ ধাতুর অর্থ ভুল করা নিলে ‘খভ্রান্তি’ শব্দের একটি যোগারূধার্থ হবে–যে একই ভুল বার বার করে চলেছে৷ একই ভুল জেনে বা না জেনে অনেকেই করে থাকে৷ ধরো, কোন একজন অনেকগুলি সংখ্যাকে উপর থেকে নীচে গুণে চলেছে৷ বার বার গণনায় ভুল হচ্ছে৷ খোঁজ নিলে দেখা যাবে একটি জায়গায় বার বার মনে মনে সে বলে চলেছে ৫৬ঞ্চ১২৷ এই ধরণের ভুলকেও ‘খভ্রান্তি’ বলা হয়৷ ‘খভ্রান্তি’র হাত থেকে বাঁচবার অন্যতম উপায় হল উল্টো পথে চলা যেমন গণনার ক্ষেত্রে উপর থেকে নীচে গুণতে গিয়ে ‘খভ্রান্তি’তে পড়ছ, তো সেই স্থলে এই ‘খভ্রান্তি’–র হাত থেকে পরিত্রাণ পাবার জন্যে নীচের থেকে ওপরে গো