February 2022

ডবল ইঞ্জিনে আস্থা হারিয়ে উত্তর প্রদেশের এক ব্যবসায়ীর আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা 

উত্তর প্রদেশের বাগপতের জুতোর ব্যবসায়ী রাজীব তোমর প্রধানমন্ত্রীকে দায়ী করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন৷ উত্তর প্রদেশে নির্বাচনের প্রথম দফার ৪৮ ঘন্টা আগে বিষ পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন রাজীব৷ তার আগে দুই সন্তানের পিতা রাজীব বলেন--- আমি দেশদ্রোহী নই, দেশের প্রতি আমার ভালবাসা আছে৷ কিন্তু মোদিজীকে জানাতে চাহ---আপনি ছোট ব্যবসায়ী ও কর্সকদের ভাল চান না৷ আপনি আপনার নীতি পরিবর্তন করুন৷ রাজীব আত্মহত্যার জন্যে নরেন্দ্র মোদীকে দায়ী করে জানায় যে জি.এস.টির কারণে তার ব্যবসা মার খেয়েছে৷ রাজীবের স্ত্রী পুনমও বিষ পান করে৷ পুনম মারা গেলেও রাজীব এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷ স্বভাবতই ডবল ইঞ্জিন সরকার নিয়ে আবার বিতর

মোহনপুরে অখণ্ড কীর্ত্তন

আগরতলা, বিপ্লব দেব ঃ  গত ৬ই ফেব্রুয়ারী ত্রিপুরার মোহনপুর তারানগরের বাসিন্দা প্রবীন আনন্দমার্গী চন্দ্রমোহন মল্লিকের বাসগৃহে ৬ ঘন্টা অখণ্ড ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তনের আধ্যাত্মিক ভাবতরঙ্গে ও সুরমুর্চ্ছনায় একস্বর্গীয় আনন্দ উপভোগ করেন উপস্থিত সকলে৷

বিদায় নিচ্ছে কে াভিড

বিদায় নিচ্ছে করোনা৷ সংক্রমণের রেখা চিত্র ও সার্বিক পজিটিভিটির হার থেকে এমনটাই জানাচ্ছে  কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যদপ্তর৷ গত কয়েকদিনে সংক্রমণ নিম্নমুখী, সেই সঙ্গে পজিটিভিটির হারও ৫ শতাংশের নীচে৷ কেন্দ্রের আশ্বাস নূতন কোন মারাত্মক ভ্যারিয়েন্ট না এলে মহামারীর আর কোন ঢেউ আসবে না৷ তৃতীয় ঢেউও আর বিপদজনক চেহারা নেবে না৷ তবে কেরল, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু ও কর্ণাটক নিয়ে কেন্দ্রের চিন্তা আছে৷ কারণ এইসব রাজ্যের পজিটিভিটির হার এখনও ৫০ হাজারের বেশী৷ পশ্চিমবঙ্গে দৈনিক সংক্রমণের হার গত কয়েকদিনে হাজারের নীচে আছে৷ তাই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মতে করোনার দাপট কমছে৷

অম্ল রোগ ও তার নিরাময়

চিকিৎসা ঃ (আসন ও মুদ্রা)

প্রাতে ঃ উৎক্ষেপ মুদ্রা, ময়ূরাসন, পদহস্তাসন, উড্ডয়ন, অগ্ণিসার, আগ্ণেয়ী মুদ্রা বা আগ্ণেয়ী প্রাণায়াম৷

সন্ধ্যায় ঃ অগ্ণিসার, পশ্চিমোত্তানাসন, সর্বাঙ্গাসন, আগ্ণেয়ী মুদ্রা বা আগ্ণেয়ী প্রাণায়াম৷

পথ্য ঃ অম্লরোগে পুরাতন চালের ভাত, শাক–সব্জীর ঝোল (ভাজা, পোড়া বা অধিক পরিমাণ শাক–সব্জী নয়), রসাল টক বা মিষ্টি ফল বা ঘোল বিশেষ উপকারী৷ অম্লরোগীর পক্ষে দধি বিশেষ হিতকারী নয়৷

পাতিনেৰু  ও তার উপকারিতা

আমরা যাকে ‘পাতিনেৰু’ [Citrus medica] বলি সেটি ৰাংলার সাবেকী নেৰু৷ কিন্তু ‘পাতিনেৰু’ শব্দটি পাতে খাবার নেৰু এই অর্থে আসেনি৷ ‘পাতি’ মানে দেশী অর্থাৎ যা বিদেশ থেকে আসেনি৷ পাতিনেৰু, পাতিহাঁস সাবেকী ৰাংলার জিনিস৷ পাতিনেৰু গোল আকারের নেৰু..... রসে টইটম্বুর, গুণে জগৎজোড়া নাম, হজমে সহায়ক৷ আর পাতিহাঁস রাঢ়–ৰাংলায় তো বটেই, গোটা ৰাংলাতেই একটি সুপরিচিত পাখী৷ রাঢ়ের প্রতিটি গৃহস্থ বাড়ীতেই একটি করে ছোট রকমের হাঁসের ঘর থাকে৷ পাতিহাঁস একেবারেই পাতি অর্থাৎ দেশী৷

বেদব্যাস

‘কৃষ্ণ’ শব্দের একটি অর্থ হ’ল মহর্ষি বেদব্যাস৷ মহর্ষি বেদব্যাস প্রয়াগে গঙ্গা–যমুনার সঙ্গমস্থলের নিকটে যমুনা থেকে উত্থিত একটি কৃষ্ণ দ্বীপে জালিক–কৈবর্ত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন৷ যমুনা নদীর নিকটস্থ মৃত্তিকা হ’ল কৃষ্ণ কর্পাস মৃত্তিকা (ব্ল্যাক কটন সয়েল)৷ এই জন্যে যমুনার জলকেও কালো রঙের বলে মনে হয়৷ যমুনার যে চরটিতে মহর্ষি ব্যাস জন্ম গ্রহণ করেন সেটিরও ছিল কৃষ্ণমৃত্তিকা৷ ভারতের ইতিহাসে ব্যাস নামে কয়েক জনই খ্যাতনামা পুরুষ জন্মগ্রহণ করেছিলেন (উত্তর মীমাংসার বাদরায়ণ ব্যাস)৷ তাঁদের থেকে পৃথক করার জন্যে এঁকে বলা হত কৃষ্ণদ্বৈপায়ণ ব্যাস অর্থাৎ কালো রঙের দ্বীপের অধিবাসী ব্যাস৷ এই কৃষ্ণদ্বৈপায়ণ ব্যাস মহাভার

হোগ্লা / বেরা / দিন্দা

দক্ষিণ বাংলায় প্রাচীনকালে হোগ্লা দিয়েই ম্যাড়াপ তৈরী করা হত৷ দক্ষিণ বাংলার নোনা জলে এককালে আপনা থেকেই প্রচুর হোগ্লা গাছ জন্মাত৷ ইংরেজরা যখন এদেশের দখল নিয়েছিলেন তখন দক্ষিণ বাংলায় বিশেষ করে খুলনা (তখন যশোরের অন্তর্গত ছিল), ২৪ পরগণা (তখন নদীয়ার অন্তর্ভুক্ত ছিল) ও মেদিনীপুর (তখন নাম ছিল হিজলী) হোগলা ও গোল গাছে ভর্ত্তি ছিল৷ ওই হোগ্লা ও গোলপাতা দিয়ে কেবল যে ম্যাড়াপ বা মণ্ডপ তৈরী হত তাই–ই নয়, দরিদ্র মানুষের ঘরও তৈরী হত৷ দক্ষিণ বাংলার নাবিকেরা যখন সমুদ্র যাত্রা করতেন তখন যেমন তাঁরা সঙ্গে করে জালা–ভর্ত্তি মিষ্টি জল নিয়ে যেতেন তেমনি নিয়ে যেতেন হোগলার স্তুপ যা শুধু নৌকোতেই নয় ভিন্ন দেশের, ভিন্ন মাটিতে

নীলকণ্ঠ

জ্যোতিবিকাশ সিন্‌হা

১২ই ফেব্রুয়ারী, ১৯৭৩, এসেছিল মহাপাতকী দুরাচারী

ত্রস্ত চরণে, নিঃশ্ছিদ্র নিভৃত কারাগারে, চিকিৎসক-বেশে

যেথা শয়ান বিশ্বনিয়ন্তা, অন্তর্যামী, সর্বসন্তাপহারী

ঔষধের অছিলায় বিষ করিল প্রয়োগ দুর্বৃত্ত প্রভুর নির্দেশে৷

 

সহসা কাঁপিল ধরিত্রী, দাবাগ্ণি শিখায় প্রজ্জ্বলিত অরণ্যানী

প্রচণ্ড রোষে গর্জিল জলধি, তরঙ্গোচ্ছাসে, রুদ্ররবি-তপ্ত তীরে

স্তম্ভিত সমগ্র প্রকৃতি, ধীর-স্থির সকল পাদপ-প্রাণী

বিনামেঘে অতর্কিতে ঝলকিত অশণি, বিষণ্ণ্ অম্বরে

ভাঙ্গিল ধ্যান আগ্ণেয়গিরি, উৎসারিত অনল-ফুটন্ত লাভাস্রোতে

সত্যেন্দ্রনাথ

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

ছন্দের যাদুকর

তুমি বড় সুন্দর

লিখে গেছো কত শত কবিতা,

পড়ে পড়ে দোলে মন---

খুশি মন অণুখন

দেয় যেন সুড়সুড়ি সবিতা৷

কত কথা মিলে মিলে

তালে তালে বেঁধে দিলে

কত ভাব কতরূপে সাজালে,

বাংলার কবি তুমি

কাব্যের ঝুমঝুমি

কত ঢঙে কত বোলে বাজালে৷