February 2022

পরিবেশ বিজ্ঞান ঃ অরণ্যকে বাঁচাতেই হবে

পরিবেশ বিজ্ঞানকে Ecology) মানুষ স্বার্থের প্রেষণায় প্রতি পদে উপেক্ষা করে চলেছে৷ আমাদের মনে রাখা দরকার যে আকাশ-বাতাস-পাখী-বন্যজন্তু-সরীসৃপ-কীটপতঙ্গ-মাছ- জলজজীব-জলজউদ্ভিদ- সমুদ্র সবাইকার সঙ্গে সবাইকার অচ্ছেদ্য সম্পর্ক৷ মানুষ সেই অভিন্ন মহাসমাজের একটি অংশ মাত্র৷ কাউকে বাদ দিয়ে কেউ টিকতে পারবে না৷ মানুষও পারবে না৷ নির্র্বেধের মত অরণ্য ধবংস করে, বন্য পশুকে হত্যা করে, মৎস্যকুল ও পক্ষীকুলকে নির্মূল করে মানুষের কোন স্বার্থই সাধিত হবে না৷ এ পৃথিবীতে যে আসে সে যায়--- কেবল প্রকৃতি নির্দিষ্ট একটা সময় পর্যন্ত পৃথিবীতে বেঁচে থাকে৷  মানুষের এই নির্বুদ্ধিতার জন্যে অনেক কিছুই প্রকৃতি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ব

গঞ্জের গজার গপ্পো

‘ঠাঠ’ মানে আধার৷ এই আধার অর্থে ‘ঠাঠ’ শব্দের সঙ্গে তোমরা কেউ কেউ হয়তো পরিচিত আছ৷ পুরোহিতেরা তাঁদের নারায়ণের  সিংহাসনের যে আধারটিতে শালগ্রাম শিলা বসিয়ে রাখেন সেটিকেও ঠাঠ বলা হয়৷ তোমরা সেই ঠাঠের শালগ্রাম শিলার গল্প জানো তো? তবে শোনো, তাড়াতাড়ি শোনাচ্ছি৷

দু’বছর অন্তর ফুটবল বিশ্বকাপ হলে অলিম্পিক্সের তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারে ফুটবল

দু’বছর অন্তর ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনের পরিকল্পনা করলে তার খেসারত দিতে হতে পারে ফিফাকে৷ সেক্ষেত্রে অলিম্পিক্স থেকে বাদ পড়তে পারে ফুটবল৷ এই ঘোষণায় অলিম্পিক্সে ফুটবলের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে৷ অলিম্পিক্স কমিটি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে ২০২৮ সালে লস এ্যাঞ্জেলস গেমসে প্রাথমিকভাবে ২৮টি খেলার তালিকায় ফুটবল রয়েছে৷ তারা জানিয়েছে যে ফুটবলের আন্তর্জাতিক ক্রীড়াসূচির দিকে নজর রয়েছে অলিম্পিক্স কমিটির৷ যদি ফিফার তরফে দু’বছর অন্তর বিশ্বকাপের দিকে জোর দেওয়া হয় তাহলে ২৮টি খেলার তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারে ফুটবল৷ বিশ্বে ফুটবলকে আরও ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে ফিফা৷ ইয়ূরোপীয় ক্লাবগুলির সঙ্গে অপেক্ষাকৃত দুর্বল

মাতৃভাষা দিবস স্মরণে প্রভাতসঙ্গীত

২১শে ফেব্রুয়ারী  ১৯৫২ , মাতৃভাষা বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার দাবীতে ঢাকার রাজপথে ছাত্র মিছিল৷ পশ্চিম পাকিস্তানি উর্দু সাম্রাজ্যবাদী শাসক কেড়ে নিতে চেয়েছিল সংখ্যাগরিষ্ঠের মাতৃভাষার অধিকার৷ তারই প্রতিবাদে মিছিল৷ জল্লাদ শাসকের বুলেটে বিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়েছিল পাঁচজন ছাত্র৷ রক্তে লাল হয়েছিল ঢাকার রাজপথ৷ দমে যায়নি সেই ভাষা আন্দোলন৷ পাকিস্তানি শাসকের কবল থেকে মুক্ত হয়ে মাতৃভাষার মর্যাদা রাখতে জন্ম নিল স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ৷ আন্তর্জাতিক মর্যাদা পেল ২১শের ভাষা আন্দোলন৷  রাষ্ট্র সংঘের স্বীকৃতিতে ২১শে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস৷

 (১)

আত্মনির্ভরতার বাগাড়ম্বর নয়: মানুষের নূ্যনতম প্রয়োজন পূর্তির নিশ্চিততা চাই

প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্সালের প্রবীন নেতা শ্রী প্রভাত খাঁ শ্রীরামপুরে এক আলোচনায় বলেন দেশের মানুষের দু-বেলা পেটপুরে খাবার জুটছে না, একদল অসৎ পুঁজিপতিরা হাজার হাজার কোটি টাকা লুটে দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে৷ করোনাকালে, লক্‌ডাউনের সময় যখন কয়েককোটি গরীব মানুষ কাজ হারিয়ে বে-রোজগারী হয়ে  পড়েছে তখনও ধনকুবেররা তাদের সম্পদ বাড়িয়ে নিয়েছে৷

পাপশক্তির পরাজয়ের দিন নীলকন্ঠ দিবস পালন

১৯৭৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারী তারিখে পাপশক্তির ষড়যন্ত্রকে ব্যর্থ করে মার্গগুরুদেব শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী আধ্যাত্মিক শক্তিবলে মারাত্মক বিষকে আত্মস্থ করেছিলেন৷ পৌরানিক কাহিনী অনুসারে সমুদ্রোত্থিত মারাত্মক বিষকে শিব কন্ঠে ধারণ করে ওই মারাত্মক বিষের বিষক্রিয়াকে ব্যর্থ করে’ ‘নীলকন্ঠ’ রূপে পরিচিত হয়েছিলেন৷ তেমনি শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী হত্যা করার জন্যে বিহারের পটনা বাঁকীপুর সেন্ট্রাল জেলে তাঁর প্রতি প্রয়োগ করা বিষের মারাত্মক বিষক্রিয়াকে আধ্যাত্মিক শক্তি বলে ব্যর্থ করে দিয়েছিলেন৷ পরাজিত হয়েছিল পাপশক্তি৷ প্রমাণ করেছিলেন অত্যুৎকৃষ্ট আদর্শের অনির্বাণ দীপশিখা আনন্দমার্গকে ধবংস করা যাবে না৷ গত ১২ই ফেব্রুয়া

বাঙালী ছাত্র যুবসমাজের বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক

গত ১৩ই ফেব্রুয়ারী  এক সাংবাদিক সম্মেলনে বাঙালী যুব সমাজের কেন্দ্রীয় সচিব তমোময় বিশ্বাস বলেন---বর্তমান সমগ্র পৃথিবী জুড়ে চলছে  সামাজিক-অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট৷ জড়বাদ বা প্রচলিত পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় শিক্ষা, সংস্কৃতি, সহ সবকিছুই ধীরে ধীরে কলুষিত হয়ে পড়েছে৷ এরই প্রভাব পড়েছে আমাদের ভারতবর্ষ তথা বাংলার অঞ্চল, ছোট রাজ্য ত্রিপুরাতেও৷ বর্তমানে জ্বলন্ত শিক্ষিত বেকার সমস্যায় জর্জরিত ত্রিপুরা রাজ্য৷

বাংলাকে  ভালবাসি

পথিক বর

আবার আসছে ২১শে ফেব্রুয়ারী৷ ‘আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো ২১শে ফেব্রুয়ারী, আমি কি ভুলিতে পারি’! না, আমরা ভুলতে পারি না৷ ২১শে ফেব্রুয়ারী মাতৃভাষা দিবস৷ মাতৃভাষা মাতৃদুগ্দের মতো৷ মাতৃভাষা আমাদের প্রাণের ভাষা৷ আমরা ভুলতে পারি না, ১৯৫২ সালের ২১ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশে ডাকার (ঢাকা) রাজপথে মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রক্ষার জন্যে ৫জন শহীদ হয়েছিলেন ও ১৭জন আহত হয়েছিলেন৷ এরপর ১৯৬১ সালের ১৯শে মে তেও অসমের শিলচরে বাংলাকে মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ের আন্দোলনে ১১ জন শহীদ হয়েছিলেন৷

সৎ কী ও অসৎ কী?

যত কিছু বস্তু আছে সবই মরণধর্মী, মরণশীল৷ চার বছরের ছেলে যখন চব্বিশ বছরের যুবক হয় তখন চার বছরের ছেলেটা মরে যায়৷ তাকে তুমি আর কোথাও পাবে না৷ সে মরে গেছে৷ কিন্তু চার বছরের ছেলের যে আধার আর চব্বিশ বছরের ছেলের যা আধার– দু’টো আধার একই সত্তার৷ অর্থাৎ ব্যষ্টি অপরিবর্তিত থাকে৷ শ্রীরমেশ চার বছরের ছেলের মধ্যেও ছিল, চব্বিশ বছরের যুবকের শরীরের মধ্যেও ছিল, আর এখন ওই রমেশ আশি বছরের বুড়োর মধ্যেও আছে৷ তারপর একদিন শরীরটা জ্বলে গেল৷ এটাও একটা পরিবর্তন হ’ল৷ তারপর আবার একদিনের এক শিশুর মধ্যে সেই রমেশ জন্ম নিল৷ কিন্তু রমেশের বর্তমান পরিবারের লোকে তো আর পূর্বের পরিবেশের সঙ্গে পরিচিত ছিল না, তাই তারা  তার নাম দিলেন

নেতৃত্বের অভ্যুদয়

সমাজ–চক্রের পরিঘূর্ণনে, একটা বিশেষ যুগে তার পরবর্ত্তী যুগ আসার আগে একটা বিশেষ শ্রেণীর আধিপত্য থাকে, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে৷ এই বিশেষ শ্রেণী যখন রাজনৈতিক ক্ষমতায় থাকে, তাদের দ্বারা সমাজে শোষণ চলার সমূহ সম্ভাবনা থেকে যায়৷ ইতিহাসের শিক্ষা এই যে, শোষণের সম্ভাবনাই শুধু নয়, যুগে যুগে এই শোষণের পুনরাবির্ভাব ঘটেছে৷