March 2022

‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন  ও মাইক্রোবাইটাম

সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

 ‘ৰাৰা নাম কেবলম’ কীর্তন হ’ল মোহন বিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত সঙ্গীত৷ ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন হ’ল ইষ্টনাম হ’ল পজিটিভ সাউন্ড৷ উচ্চৈ স্বরে পরম পুরুষের  গুন-গান ক’রে পরমপুরুষের আনন্দপ্রাপ্তি হয়৷ এই অবস্থায় ভক্ত নিজেকে ভুলে গিয়ে আত্মহারা হয়ে পরম পুরুষকে  আনন্দ দেওয়াই হয়ে ওঠে ভক্তের  জীবনের লক্ষ্য৷ পজিটিভ সাউণ্ডের পরিবেশ পজিটিভ মাইক্রোবাইটামের সমাবেশ হওয়ার পক্ষে অত্যন্ত অনুকূল৷ সেদিক থেকে ‘ৰাৰা’র দেওয়া অষ্টাক্ষরী সিদ্ধ ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্তনে যে মনোরম স্বর্গীয় পরিবেশ সৃষ্টি হয়, তাতে কোটি কোটি পজিটিভ মাইক্রোবাইটামের সমাবেশ হয়৷ আর এই মাইক্রোবাইটাম হরিপরি ম

"বর্ণপ্রধানতা চক্রধারায়াম।"

খগেনচন্দ্র দাস

শিরোনামে উদ্ধৃত সূত্রটি শ্রীশ্রীআনন্দমূর্তিজী সৃষ্ট "আনন্দসূত্রম্" দর্শন গ্রন্থের অন্তর্গত পঞ্চম তথা শেষ অধ্যায়ের প্রথম সূত্র।সূত্রাকারে গ্রন্থিত আনন্দসূত্রম্ গ্রন্থের প্রথম চারটি অধ্যায়ে সৃষ্টির উৎস থেকে শুরু করে মানুষের মানসাধ্যাত্মিক স্তরের সর্বোচ্চ বিকাশ সম্পর্কিত বিষয়গুলো চর্চা করা হয়েছে।এককথায় এই অংশটি আধ্যাত্মিক। দ্বিতীয় পর্যায়ে এই পঞ্চম অধ্যায়টিতে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্তিজীর আৰ্থসামাজিক দর্শন "প্রাউট" অর্থাৎ প্রগতিশীলউপযোগতত্ত্ব (Progressive Utilization Theory) সম্পর্কে আলোচনা রয়েছে। আর পঞ্চম অধ্যায়ের এই প্রথম সূত্রটিকে যুগান্তকারী প্রাউট দর্শনের অবতরণিকা বা মুখবন্ধ হিসেবেও ধরা য

ভারতীয় অর্থনীতি ও বেকার সমস্যা

হরিগোপাল দেবনাথ

প্রাক্‌-স্বাধীনতা আমলে ভারতবর্ষ ছিল বিদেশী শাসিত৷ আর, ব্রিটিশরা সাগর-মহাসাগর পাড়ি দিয়ে ভারতবর্ষে এসে ছিল দাঁড়ি-পাল্লা হাতে নিয়ে বণিকের বেশ-ভূষায় সজ্জিত হয়ে৷ দিয়েছিল রাজদন্ড তথা শাসনদণ্ডরূপে৷ ব্রিটিশরা এদেশ যে শাসন করত এর প্রকৃত উদ্দেশ্য ছিল এদেশে অবাধ শোষণ চালানো৷ তাই তীব্র শোষণ অবাধগতিতে অব্যাহত রাখার উদ্দেশ্যেই ওই শাসকরা নির্মম নির্যাতন চালাত৷ উল্লেখ্য যে, সমাজে পুঁজিবাদী শোষণটা অতীব সূক্ষ্ম তো বটেই, নির্মম ও অতিমাত্রায়৷ অবশ্য, মার্কসবাদ এক্ষেত্রে শোষণের বিশ্লেষণ দেখাতে গিয়ে মানব-মনস্তত্বের দিক থেকে গোড়াতেই ভুল রয়ে গেছল বলে মার্কসবাদী ভাবাদর্শে যারাই বিশ্বাসী ও অণুপ্রাণিত হয়েছেন ও রয়েছেনও

মহিলা মহল

একর্ষি

পূর্ব প্রকাশিতের পর

সত্তাগত সমতায় পুরুষের মতই নারীর মধ্যেও প্রভুত সম্ভাবনা লুকিয়ে রয়েছে৷ নারী ও পুরুষের মধ্যে প্রাকৃতিক ও দেহসংরচনাগত বৈশিষ্ট্যের ক্ষেত্রে পার্থক্য সমমৈত্রীভিত্তিক সহযোগিতাকেই (কো-অর্‌ডিনেটেড্‌ কো-অপারেশন) প্রশস্ত করে৷ কিন্তু বাস্তবটা ভিন্ন সেখানে প্রভু-ভৃত্য সম্পর্কসুলভ সহযোগিতা (সাব-অর্‌ডিনেটেড্‌ কো-অপারেশন) চলে আসছে মহাভারতের যুগের পর থেকে৷ এটা ভয়াবহ আকার ধারণ করে ব্রাহ্মণ্যধর্মের  যুগে এবং এরই প্রভাবে পরেও৷

কেন্দ্রে বেচারাম সরকারের থাকাটা আর মোটেই বাঞ্ছনীয় নয়

বর্ত্তমানে কেন্দ্রীয় সরকার যে মতামত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে লোকসভায় তার মর্র্মর্থ হলো কেন্দ্রীয় সরকারের কোন দায় নেই দেশের সমস্যার সমাধানে৷ মাননীয় সরকার শাসন চালাবেন শুধু  দেশের জনগণের কাছ থেকে  ট্যাক্স আদায় করে৷ তাই মোদি জানিয়েছেন যে এদেশে বেকারত্ব নেই, মূল্যবৃদ্ধিও নেই৷

বইমেলায় ‘আমরা বাঙালী’র যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ

ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার আগ্রাসী হানা বন্ধ করা ও শান্তি চাওয়ার বার্র্ত নিয়ে আমরা -বাঙালীর পক্ষ থেকে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলাতে (২০২২) গেলে পুলিশ কে কাজে লাগিয়ে মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হয় ‘আমরা বাঙালী’ কর্মী সমর্থকদের৷ তবু তাঁদের দমিয়ে রাখা যায়নি৷ মেলায় প্রবেশের গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে ব্যানার হাতে বিক্ষোভ দেখায় আমরা বাঙালী কর্মীরা৷

বাঙালী ছাত্রযুব সমাজের সচিব তপোময় বিশ্বাস জানান ---রাজ্য পুলিশের আচরণের প্রতিবাদ জানিয়ে প্রাঙ্গণের বাইরেই আমরা শান্তির বার্র্ত নিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছেছি৷

আগরতলায় ‘আমরা বাঙালী’ দলের বিক্ষোভ

গত ২রা মার্চ আগরতলায় শিবনগর কলেজ রোডে ‘আমরা বাঙালী’ রাজ্য কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যসচিব গৌরাঙ্গ রুদ্রপাল বলেন---রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে ভারতে কর্ণাটকের বাসিন্দা নবীন শেখ রাপ্পা নামে এক ছাত্র নিহত হয়েছে৷ একজন ভারতীয় হিসেবে আমরা এই মর্মান্তিক ঘটনায় গভীরভাবে শোকাহত৷ ‘আমরা বাঙালী’ দলের পক্ষ থেকে নিহত ছাত্রের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি ও ভারত সরকারের কাছে দাবী জানাচ্ছি ইউক্রেনে আটকে পড়া সমস্ত ছাত্র-ছাত্রাদের ও অন্য ভারতীয়দের যেন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে আনা হয় ও তাদের ভবিষ্যৎ গড়ার দায়িত্ব যেন ভারত সরকার নেয়৷

ত্রিপুরায় বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক বাঙালী ছাত্র যুব সমাজের

বর্তমান সমগ্র পৃথিবী জুড়ে চলছে সামাজিক-অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট৷ জড়বাদ বা প্রচলিত পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় শিক্ষা, সংস্কৃতি সহ সবকিছুই ধীরে ধীরে কলুষিত হয়ে পড়েছে৷ এরই প্রভাব পড়েছে আমাদের ভারতবর্ষ তথা বাঙলার অঞ্চল, ছোট রাজ্য ত্রিপুরাতেও৷ বর্তমানে জ্বলন্ত শিক্ষিত বেকার সমস্যায় জর্জরিত ত্রিপুরা রাজ্য৷

দধীচি দিবসের তাৎপর্য

মনোজ দেব

শাসকের রক্তচক্ষুর কাছে মাথা নত করে নয়, নেতা মন্ত্রীদের তোয়াজ তোষামোদ করে নয় জামালপুরের ছোট্ট একটা রেল কোয়ার্টার্স থেকে আনন্দমার্গ বিশ্ব সংঘটন হয়ে ওঠার পিছনে আছে বহু কর্মীর ত্যাগ তিতিক্ষা আত্মত্যাগের ইতিহাস৷ দুর্জয় সাহসে ভর করে সমস্ত বাধা-বিপত্তি দু’পায়ে দলে এগিয়ে চলার ইতিহাস৷ ১৯৬৭ সাল, বাঙলার ইতিহাসে এক সন্ধিক্ষণ৷ কংগ্রেস দলের ভাঙনকে সহায় করে বাঙলার রাজনীতিতে জড়বাদী কমিউনিষ্টদের উত্থান৷ খণ্ডিত কংগ্রেসের এক অংশের সঙ্গে জোট বেঁধে প্রতিষ্ঠিত হ’ল যুক্তফ্রণ্ট সরকার৷ বিরোধী অবস্থানে থেকে যে কমিউনিষ্টরা এত দিন উন্নয়নের বুলি কপচে গেছে, যুক্তফ্রণ্ট সরকারে তারা কোনও উন্নয়নমুখী দপ্তর চায়নি, স্বরাষ্ট্র

শুভ শিবরাত্রি

‘‘তমসাবৃত নিশীথে আলোর আমেজ শুধু কি মানুষই চায়, সবাই চায়৷ তিমিরাছন্ন আস্তিত্বিক বিস্মৃতির ভিতর দিয়ে উত্তরণের উত্তাপ বেঁচে থাকার বেড়ে ওঠার আকুতির পরিপূর্ত্তি সবাই চায়৷ সবাইকার এই চাওয়াটা পাওয়ার মাধুর্যে পূর্ণত্বের দিকে এগিয়ে চলার প্রথম সুযোগ যে মহাসম্ভুতির মাধ্যমে পৃথিবী পেয়েছিল তার সম্পর্কে যথাযথ আলোচনা মানুষ করেনি৷’’  ---শিব সম্পর্কে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তি

যথাযথ আলোচনা হয়নি বলেই মানব সভ্যতার জনক শিবকে ভাঙখোর, গাঁজাখোর বলা হয়েছে৷ তাঁর সম্পর্কে জনৈক কবি লিখলেন---

‘‘আর কি ভারতে আছে সে যন্ত্র!

আর কি আছে সে মোহন মন্ত্র!

আর কি আছে সে মধুর কণ্ঠ!