August 2022

জনগণের হাতে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা না এলে গণতন্ত্র ব্যর্থ

প্রভাত খাঁ

দুর্নীতি শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয়৷ ভারতবর্ষের কোন রাজনৈতিক দলই দুর্নীতিমুক্ত নয়৷ আজ দুর্নীতি ও নানা হল্লাবাজির আড়ালে একটা ন্যায় সঙ্গত প্রশ্ণ বারবার কোটি কোটি হতভাগ্য মানুষের সামনে আসছে তা হলো কেন মুষ্টিমেয় ধনী ব্যষ্টি যারা ভারতের মতো বিশাল দেশের অধিকাংশ সম্পদ কুক্ষিগত করে বছরের পর বছর তাদের শোষণ ও বঞ্চনা করে চলেছে, এদেরই সঙ্গে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত রয়েছে সারা ভারতের শাসক গোষ্ঠী ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির দুর্নীতিগ্রস্ত নেতারা৷ তারই নির্মম পরিণতি হলো সারা ভারতের সামাজিক ও অর্থনৈতিক শোষণ লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি৷ যত কেলেঙ্কারী দেশের খনিজ, বনজ, শিল্পজ সম্পদ ও জমি নিয়ে আর সব কিছুর ভক্ষক হচ্ছে ওর

আনন্দমার্গ ও প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্ব

খগেনচন্দ্র দাস

গীতার ধ্যানে বলা হয়েছে ---

‘‘সর্র্বেপনিষদো গাবো দোগ্দা গোপালনন্দনঃ৷

পার্থো বৎসঃ সুধীর্ভোক্তা দুগ্দং গিতামৃতং মহৎ৷৷’’

অর্থাৎ উপনিষদসমূহ গাভীর ন্যায় শ্রীকৃষ্ণ সেগুলো দোহন করছেন অর্জুন গোবৎস স্বরূপ আর সুধীজন অমৃতস্বরূপ গীতাদুগ্দ পান করছেন৷ আমাদের ধারণা ঠিক তদ্রুপ সমগ্র আনন্দসূত্রমের নির্যাস হচ্ছে প্রগতিশীল উপযোগতত্ত্ব আর শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী তার অমৃতরস দহন করে আমাদের দিয়েছেন পান করার জন্য৷

ভারত কী শ্রীলঙ্কার পথে

ভারতের মতন খনিজ, কৃষিজ, বনজ ও নদীবহুল সম্পদশালী দেশ কি শেষে! অকর্মণ্য দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের দূর্বুদ্ধির কবলে পড়ে অর্থনৈতিক মন্দার শিকার হয়ে শ্রীলঙ্কার  পথে হাঁটতে চলেছে৷ তাই যদি হয় তবে এরজন্য বর্তমান কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার দায়ী হবে ও কেউই সেই ভয়ঙ্কর পরিণতি থেকে পার পাবে না৷

দুর্নীতিতে দেশ ডুবে যাচ্ছে ঃ মুক্তির উপায়?

সুকুমার সরকার

পশ্চিমবঙ্গ সহ সমগ্র ভারতবর্ষের সাম্প্রতিক ঘটনাবলি এটাই প্রমাণ করেছে যে, চরম এক মাৎস্যনায় অবস্থায় বিরাজ করছি আমরা৷ শশাঙ্কের মৃত্যুর পর যে মাৎস্যন্যায় অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল, বর্তমান অবস্থা তার থেকেও খারাপ৷ সেই যুগের সেই মাৎস্যন্যায় অবস্থা থেকে বাঁচতে মানুষ একজন গোপালকে সিংহাসনে বসিয়েছিলেন৷ তারপর প্রায় তিনশো বছর বাঙলা তথা ভারতবর্ষ একটি সমৃদ্ধ সুশাসনে এসেছিল৷ বর্তমান পরিস্থিতি থেকে বাঁচার উপায় কী?

চেরাপুঞ্জীর থেকে একখানা মেঘ

অসিত দত্ত

কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত প্রকৃতির পক্ষপাতিত্ব দেখে এক সময় বলে উঠেছিলেন, চেরাপুঞ্জীর থেকে একখানা মেঘ ধরে দিতে পারো গোবি সাহারার বুকে?

আনন্দনগরে অখণ্ড কীর্ত্তন

গত ২রা ও ৩রা জুলাই আনন্দনগর সংলগ্ণ জেলাডি গ্রামে ২৪ ঘন্টা অখণ্ড ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ এই উপলক্ষ্যে তত্ত্বসভা ও  নারায়ণ সেবার আয়োজন করা হয়েছিল৷ মার্গী ভাই বোন ও বেশ কিছু স্থানীয় মানুষ কীর্ত্তনে যোগ দিয়েছিলেন৷

আনন্দনগর ৰাৰার স্মৃতিসৌধে অখণ্ড কীর্ত্তন

গত ১৭ই জুলাই ২০২২ আনন্দনগরে ৰাৰার স্মৃতিসৌধে তিনঘন্টা অখণ্ড ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ এই উপলক্ষ্যে নারায়ণ সেবার আয়োজন করা হয়েছে৷

আনন্দনগরে জরি ও জার্দুশি শিল্প

আনন্দনগরে মহিলাদের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করতে বিভিন্ন কুঠির শিল্পের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে৷ জরি শিল্পে উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য চিৎমু ডামরুঘুটুর মহিলাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক দিয়ে৷ পরিকল্পনা আছে কিছু মহিলাকে এই শিল্পে পারদর্শী করে এদের দিয়ে আনন্দনগর সংলগ্ণ গ্রামগুলিতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা৷ এই ভাবে আনন্দনগরে জরি শিল্পের হাব গড়ে উঠবে৷