January 2023

আনন্দনগরে ভ্রাতৃদ্বিতীয়া

‘‘ভ্রাতৃদ্বিতীয়া’’ আনন্দমার্গ সমাজ শাস্ত্রে অর্থাৎ চর্যাচর্যে সামাজিক উৎসবানুষ্ঠান হিসাবে স্বীকৃত৷ ভ্রাতা জ্যেষ্ঠা ভগিনীর আশীর্বাদ, মঙ্গলতিলক ও কনিষ্ঠ ভগিনীর প্রণাম ও চন্দন -মাল্য গ্রহণ করে থাকে৷ ২৭শে নভেম্বর,২২ আনন্দনগরে চিৎমু এল.পি.গ্যাস ভবনে তিনঘন্টা অখণ্ড ‘‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’’ কীর্ত্তনের আয়োজন করা হয়৷ কীর্ত্তন শেষে মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান, বর্ণার্ঘ্যদান, স্বাধ্যায় ও ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করা হয়৷ এরপর দিদি ও বোনেরা দাদা ও ভাইদের কপালে ফোঁটা দিয়ে তাদের দীর্ঘায়ু কামনা করেন৷ মিলিত আহারের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি হয়৷

আনন্দমার্গ শিশুসদনে শারদোৎসব পালন

আনন্দনগরে শারদোৎসবের ষষ্ঠী থেকে বিজয়া দশমী পর্যন্ত অর্থাৎ ১লা থেকে ৫ই অক্টোবর,২০২২ আনন্দমার্গ শিশুসদনের ছেলেদের নিয়ে মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান, বর্ণার্ঘ্যদান, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সঙ্গীত কলা প্রতিযোগিতা, তাণ্ডব-কৌষিকী প্রতিযোগিতা, পুরস্কার প্রদান, মিলিত আহার ও নাম সংকীর্ত্তন ইত্যাদি আনন্দ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালিত হয়েছে৷ বিজয়াদশমীর দিন শ্যামপুর আনন্দমার্গ মহিলা বিভাগ কর্তৃক পরিচালিত, মাতৃস্নেহ ইয়ূনিটে তিন ঘন্টা অখণ্ড ‘ৰাৰা নাম কেবলম্‌’ সংকীর্ত্তনের আয়োজন করা হয়৷

রাণীহাটিতে মহাপ্রয়ান দিবস উপলক্ষ্যে অখণ্ড কীর্ত্তন ও বস্ত্র বিতরণ

জগৎ গুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী মহাপ্রয়ান দিবস উপলক্ষ্যে ২১শে অক্টোবর রানীহাটী ও শিবপুর চ্যাটার্জী হার্ট আনন্দমার্গস্কুলে যথাক্রমে ৩ঘন্টা অখণ্ড কীর্ত্তন ও  নারায়ণসেবা করা হয়৷ এবং উভয় জায়গায় যথাক্রমে ৩০ জন ও ৪০জন দুঃস্থ মানুষকে বস্ত্র বিতরণ করা হয়৷

হাওড়ায় হরিপরিমণ্ডল গোষ্ঠীর কীর্ত্তন

গত ২৭শে অক্টোবর কেন্দ্রীয় হরিপরিমণ্ডল গোষ্ঠী পরিচালিত তাণ্ডব, কৌষিকী ও কীর্ত্তনে বিশেষ কৃতিত্ত্ব অর্জনের জন্য হাওড়ার এস.ডি.এমের ভূক্তি  প্রধান সুশান্ত শীলের হাতে পুরস্কার তুলে দেন আনন্দমার্গের জেনারেল সেক্রেটারী দাদা আচার্য্য ভবেশানন্দ অবধূত৷ হাওড়া এস ডি এসের তরফ থেকে ৰাৰার মহাপ্রয়াণে কীর্ত্তনের ড্রেসে প্রত্যেক মার্গীগণ উপস্থিত হইয়া ৰাৰার মেমোরিয়ালে সুন্দরভাবে কীর্ত্তনে অংশগ্রহণে কেন্দ্রীয় হরিপরিমণ্ডল কর্ত্তৃক উচ্চ প্রশংসিত হইয়াছে হাওড়া হরিপরিমণ্ডল গোষ্ঠী পরিচালনা করেন৷ এস.ডি.এম এর  ভূক্তি প্রধান সুশান্ত শীল৷

নইকো অবলা (মহিলা মহল)ঃ আমি নারী

 অদিতি বাগ

আমি নারী!

সুন্দর এই পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর  সৃষ্টি আমি৷

কখনও আমি বিদূষী মৈত্রী, ক্ষণা লীলাবতী৷

কখনও বা সতী সাবিত্রী সীতা অরূন্ধতী৷

আমার পূর্ণতা ষোড়শীর দর্পণে৷ 

পূর্ণতা মোর শত মনীশীর জন্মদানে৷৷

আমার পূর্ণতা নিশাবসানের হুংকারে৷

আমার পূর্ণতা দশভূজার রণ ঝংকারে৷৷

নারী হল একজন পূর্ণ মানব৷  সৃষ্টির ঊষালগ্ণ হতে নারী  আপন জীবন তুচ্ছ করে নতুন প্রজন্মকে ধারণ, বহন ও পালন করে চলেছেন, নারীরা তাঁদের সেবা ও ত্যাগ দিয়ে রচে গেছেন কালের কাহিনী৷ সেই অনিত্যের নিত্যপ্রবাহিনীর জয়গাথা শুনতে পাই কবির কন্ঠে---

‘‘জনে জনে রচি গেল কালের কাহিনী,

সন্তান-শিক্ষায় অভিভাবকদের দায়িত্ব

সায়ন চক্রবতী

কথায় আছে পশুপাখী সহজেই পশুপাখী,  জন্মসূত্রেই পশুপাখী৷ কিন্তু মানুষ সহজেই মানুষ নয়, মনুষ্যত্ব অর্জন করলে তবে সে মানুষ৷ আর  এই মনুষ্যত্ব অর্জন করার শ্রেষ্ঠ উপায় বা মাধ্যম হল শিক্ষা৷ প্রকৃত শিক্ষার মাধ্যমেই একজন প্রকৃত  মানুষ হয়ে উঠে৷

স্বাস্থ্য ও কৌষিকী নৃত্য

মানুষের অস্তিত্ব ত্রি–স্তরীয় অর্থাৎ এর তিনটে স্তর (Stratum) রয়েছে– শারীরিক (Physical), মানসিক (Phychic) ও আধ্যাত্মিক (Spiritual)৷ এই যে তিনটে স্তর এদের কোনটিকেই অবজ্ঞা করা যায় না৷ শারীরিক স্তরের চেয়ে মানসিক স্তরের মহত্ত্ব অধিক, কিন্তু তাই বলে শারীরিক স্তরটাকেও (Physical stratum) উপেক্ষা করা যায় না৷ ঠিক তেমনি মানসিক স্তর (Psychic stratum) অপেক্ষা আধ্যাত্মিক স্তরের (Spiritual stratum) গুরুত্ব বেশী কিন্তু মানসিক স্তরটাও (Psychic stratum)  অবহেলার জিনিস নয়৷ তাই তারও চর্চা আবশ্যক৷ তেমনি যারা আধ্যাত্মিক চর্চা করে না, কেবল শরীর ও মনেরই চর্চা করে তারা দেখতে মানুষের মত হলেও তাদের মানসিকতা স্থূল হয়ে

খেজুর / খেজুরের তাজা রস/ খেজুর গুড়

তালীবর্গের অন্যতম গাছ হচ্ছে খেজুর৷ সংস্কৃত ‘খর্জুর’ শব্দ থেকে ৰাংলায় তদ্ভব ‘খাজুর’ বা ‘খেজুর’ এসেছে৷ খেজুর গাছের সঙ্গে ভারত ও মধ্য এশিয়ার লোকেরা দীর্ঘকাল ধরেই পরিচিত৷ ভারতীয় বা ইন্ডিকা বর্গীয় খেজুরের মোটামুটি চারটি শাখা আছে–১) গাঙ্গেয় (গ্যাঞ্জেলাইটিস), ২) রাজস্থানী, ৩) গুজরাতী, ৪) দক্ষিণী (ডেকানাইটিস)৷ এদের মধ্যে স্বাদে–গুণে গুজরাতী খেজুর সর্বোৎকৃষ্ট৷ রাজস্থানী খেজুরও উন্নত মানের৷ দক্ষিণী খেজুর সাধারণ মানের৷ আর গাঙ্গেয় খেজুরের শাঁস বলতে কিছুই নেই৷ কিন্তু এই গ্যাঞ্জেলাইটিস্ প্রজাতির খেজুরের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে গাছগুলো একেবারে রসে টইটম্বুর৷ এই গাছগুলি থেকে প্রচুর পরিমাণে রস ও তাড়ি (শুদ্ধ বৈয়াকরণি

তাল / তালরস / তাড়ি

তাল ফলটির হ্ম্ত্রপ্তপ্পম্ভব্জ্ত্রগ্ সঙ্গে প্রাচীনকাল থেকেই ভারতবাসী পরিচিত৷ ভারতে ও ভারতের বাইরে বিভিন্ন দেশে তাল ফল জন্মায়৷ তবে ভারতে জন্মায় সবচেয়ে বেশী৷ ভারতীয় তাল মুখ্যতঃ দুই প্রজাতির–

১) গ্যাঞ্জেলাইটিস্ বা গাঙ্গেয় তাল যা উত্তর ভারতের সমগ্র গঙ্গা অববাহিকায় জন্মে থাকে ২) ডেকানাইটিস্ বা দক্ষিণপথীয় যা দক্ষিণাপথের পূর্ব উপকূল, করমণ্ডল উপকূল (তামিলনাড়ু), পশ্চিম উপকূল ও কোঙ্কন উপকূলে জন্মায়৷

শুকনো রুটি

রুটি চাটুতে সেঁকে তারপর উনুনে ফেলে গরমে ফুলিয়ে নিলে তা ব্যবহারের উপযুক্ত হয়, অন্ততঃ আজকালকার নিয়মে৷ কিন্তু আসলে রুটিতে যদি ঘি বা জল না বোলানো হয় তবে তা অগ্ণ্যাশয় ত্ন্ত্রুন্তুব্জন্দ্ব্ত্রব্দ ও যকৃতের ওপর ধাক্কা দেয়৷