তাল / তালরস / তাড়ি

Baba's Name
শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার

তাল ফলটির হ্ম্ত্রপ্তপ্পম্ভব্জ্ত্রগ্ সঙ্গে প্রাচীনকাল থেকেই ভারতবাসী পরিচিত৷ ভারতে ও ভারতের বাইরে বিভিন্ন দেশে তাল ফল জন্মায়৷ তবে ভারতে জন্মায় সবচেয়ে বেশী৷ ভারতীয় তাল মুখ্যতঃ দুই প্রজাতির–

১) গ্যাঞ্জেলাইটিস্ বা গাঙ্গেয় তাল যা উত্তর ভারতের সমগ্র গঙ্গা অববাহিকায় জন্মে থাকে ২) ডেকানাইটিস্ বা দক্ষিণপথীয় যা দক্ষিণাপথের পূর্ব উপকূল, করমণ্ডল উপকূল (তামিলনাড়ু), পশ্চিম উপকূল ও কোঙ্কন উপকূলে জন্মায়৷

তাল–তালশাঁস–তালর্ ঃ মোটামুটি বিচারে তাল একটি পুষ্টিকর খাদ্য৷ পাকা তালের রস ঙ্মআঁশযুক্ত আঁটি ঘসে ঘসে রস বের করে তা দিয়ে ৰড়া, ক্ষীর ইত্যাদি নানা ভোজ্য তৈরী করা হয়ৰ খুবই পুষ্টিকর, কিন্তু উদরাময়ের পক্ষে খারাপ৷ কাঁচা অবস্থায় তালশাঁস স্নায়ুর পক্ষে ভাল হলেও আমাশয় রোগীর অভক্ষ্য৷ পাকা তালের আঁটির ভেতরকার শাঁস লঘুপাচ্য পুষ্টিকর জিনিস৷ আঁটির ভেতরের সংলগ্ণ কিছুটা কঠিন শাঁস স্নেহ পদার্থযুক্ত অর্থাৎ তার থেকে তেল তৈরী হতে পারে৷ ওই তেল রন্ধন কার্যে ও সাবান শিল্পে ব্যবহার করা যেতে পারে৷ দক্ষিণাপথের তাল রসে অল্প জ্বাল দিয়ে ‘নীরা’ নামে যে বস্তুটি তৈরী হয় তারও পুষ্টিগত মূল্য রয়েছে৷ তালরস (গাছ চেঁছে) থেকে যে গুড় তৈরী হয় তার গুণ অনেক বেশী৷ তালগুড় কফ রোগের ঔষধ ও কফ রোগের ঔষধ হিসেবে প্রাচীনকাল থেকেই তালমিছরীর ব্যবহার হয়ে এসেছে৷

তাড়ি ও কিডনীর সুস্থতা ঃ তালের রস গেঁজে গেলে তাকে তাড়ি ৰলা হয়৷ তাড়ি কিডনীর অনিয়মিত কার্যকারিতায় (ঔষধ হিসেবে) খুবই (অল্প পরিমাণে) ফল দেয়৷

গাদ, ভিনিগার ঃ তালরসের নীচে যে তলানি জমে তা ‘গাদ’ ম্ভন্দ্ব্ত্রব্দব্ধগ্গ নামে পরিচিত৷ এই গাদ বেকারী শিল্পে (পাউরুটি তৈরীতে) ব্যবহূত হয়৷ তালের রস রৌদ্রপক্ব করলে যখন তার গ্যাঁজানো ভাব কমে যায় ও একটু টক টক ভাব আসে তখন তাকে ‘শিরকা’ বা ‘ভিনিগার’ বলা হয়৷ অবশ্য ভিনিগার আখের রস, খেজুরের রস থেকেও তৈরী হয়৷