March 2023

মাতৃভাষাকে গৌরবময় মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করতে হবে

মনোজ দেব

‘আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো ২১শে ফেব্রুয়ারী, আমি কি ভুলিতে পারি’! না, আমরা ভুলতে পারি না৷ ২১শে ফেব্রুয়ারী মাতৃভাষা দিবস৷ মাতৃভাষা মাতৃদুগ্দের মতো৷ মাতৃভাষা আমাদের প্রাণের ভাষা৷ আমরা ভুলতে পারি না, ১৯৫২ সালের ২১ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশে ডাকার (ঢাকা) রাজপথে মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রক্ষার জন্যে ৫জন শহীদ হয়েছিলেন ও ১৭জন আহত হয়েছিলেন৷ এরপর ১৯৬১ সালের ১৯শে মে তেও অসমের শিলচরে বাংলাকে মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ের আন্দোলনে ১১ জন শহীদ হয়েছিলেন৷

গান্ধারীর নৈতিক বল

গান্ধারী ছিলেন আফগান মহিলা৷ কান্দাহার (সংস্কৃতে ‘গান্ধার’) নামে এক দেশ ছিল ও গান্ধারী ছিলেন সেই দেশের কন্যা৷ তৎকালীন ভারতীয়রা কান্দাহারকে বলতেন ‘প্রত্যন্ত দেশ’ – সুদূর সীমান্তবর্তী দেশ৷ খাঁটি ভারতবর্র্ষ বলতে যা’ বোঝায়  তা’ নয়৷

ঘামাচী (ঘর্মচচী)

চামড়াকে ঘর্মচচী থেকে বিমুক্ত করার জন্যে সমপরিমাণ তাজা দুধের সর ও ময়দা মিশিয়ে অল্পক্ষণ আঙ্গুলে ফেনিয়ে বা ফেটিয়ে নিয়ে, তারপর সারা শরীরে ওই সর–ময়দা মেখে ১৫/২০ মিনিট আলো–হাওয়া যুক্ত শুকনো জায়গায় (রোদে নয়) বসে থাকতে হয়৷ তারপর ওই লেপটে যাওয়া সর–ময়দাকে ঘষে ঘষে তুলে দিতে হয় ও সাবান না মেখে স্নান করতে হয়৷ সর–ময়দা ব্যবহারে সামান্যতম ক্ষতি হয় না৷ বরং ১৬ আনা লাভ হয়৷ শীতের দিনে চামড়া ফেটে গেলে অথবা অন্য যে কোন কারণে চামড়া খসখসে হয়ে গেলে, মেয়ে–পুরুষ যে কেউই সর–ময়দা ব্যবহার করতে পারেন৷

হলুদ–গাত্র–হরিদ্রা ঃ

মধু

আয়ুর্বেদাচার্য

নেবুর রস ও মধু

ঠাণ্ডা লাগলে বা সর্দিতে গরম জলের সাথে নেবুর রস ও মধু মিশিয়ে খেলে অসুস্থতা দূর হয়ে যায়৷ গল্ ব্লাডারে ও লিভারের ব্যাধি দূর করতেও মধু যথেষ্ট সাহায্য করে৷ নেবুর রস, মধু আর অলিব ওয়েল মিশিয়ে পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করলে লিভার ও গল্ ব্লাডারের ব্যাধি দূর হয়ে যায়৷

কলার বিচি ও মধু

রক্ত আমাশয় দূর করতে কলার বীচি ও মধু ভাল ওষুধ রূপে কাজ করে৷ কলার বীচিতে রয়েছে প্রোটিন, টানিন, তৈলাক্ত পদার্থ ইত্যাদি৷ ব্রঙ্কাইটিস্, টি. বি. আর প্লাবিসি ব্যাধিতেও কলার পাতার রস, জল আর মধু মিশিয়ে খেলে ঙ্ম৬ গ্রাম কলা পাতার রস, ২০০ গ্রাম জল আর ৩০ গ্রাম মধুৰ ব্যাধিগুলি দূর করতে সাহায্য করে৷

ফিকে বসন্ত

সুপর্ণা মজুমদার

সেই যে এক ষোড়শী মেয়ে

যে মেয়েটা ঘুঁটে কুড়ায়,

মরচে পড়া প্রেমের মাঝে

বসন্ত তার রঙটি হারায়৷

দুঃখটা যার নিত্যসঙ্গী

নুন আনতে পান্তা ফুরায়

মধুমাসে তার দ্বারে কি

ভালোবাসা কড়া নাড়ায়?

ছুটতে ছুটতে যে ছেলেটার

সুখতলাটা খুইয়ে গেছে,

বেকার খাতায় নাম লিখালো

ভালোবাসাটা মরে গেছে৷

পাশের পাড়ার ঐ মেয়েটা

যাকে নিয়ে স্বপ্ণ বুনতো,

মধুমাসে তাকে নাকি

চুপিচুপি রং মাখাতো!

এখন সেসব ভাঁজের পাতায়

গরীবি যাকে তাড়া করে!

বসন্তটা হারিয়ে গেছে

গা ছমছম অন্ধকারে৷

ভাষা বিপ্লবীদের প্রতি

কৌশিক খাটুয়া

যাঁদের মরনে গর্বিত মনে

একুশকে করি স্মরণ,

ভাষা আন্দোলনে পথের দিশারী

করেছে মৃত্যু বরণ৷

বাংলা ভাষার দাবী আদায়ে

শতশত তাজা প্রাণ,

কোন ভাবাবেগে আন্দোলিত হয়ে

রাখে মাতৃভাষার মান!

‘উর্দু’ হবে রাষ্ট্রীয় ভাষা

পাক শাসকের ঘোষণা,

বাঙালির দাবী, বাঙালির ভাষা

লাঞ্ছিত আশা বাসনা!

বাংলা হরফ, বাংলা লিপি

মাতৃস্নেহের টান,

সেই অধিকার হরিয়া শাসক

করে বাংলাকে অপমান!

বাহান্ন সালের একুশ

জাগ্রত বাঙালি-মর্যাদার হুঁশ,

সুসংবদ্ধ ছাত্র, যুবক, সমাজ কর্মী

দিন রাত

রাজদীপ কুন্ডু (শ্রেণী-চতুর্থ)

আমার জন্য সূর্য ওঠে

আমার জন্য দিন রাত

নতুন সকাল আসে দরজায়

নতুন দিনের সূচনায়

গ্রীষ্মকালে গরম হয়

বর্ষাকালে বৃষ্টি হয়

শরৎকালে দূর্গা পূজায়

মন মেতেছে নতুন জামায়

শীতকালে ওই পিঠে পুলি

বসন্তকালে দোল

এইভাবেই কাটছে দিন

কাটছে আমার রাত৷

                --- আনন্দমার্গ স্কুল (মগরা)

তুক্‌গুণ

আগেকার দিনে  সব নানান ধরণের ঝাড়-ফুঁক, তুক-তাক, ডাকিনীতন্ত্র, যক্ষিণীতন্ত্র,যোগিনীতন্ত্র ইত্যাদির নাম দিয়ে নানান জিনিসের চর্র্চ চলত৷ জিনিসগুলো ভাল কি মন্দ তা নিয়ে আলোচনার  সময় এটা নয়৷ তবে ওই সব জিনিসগুলির মানব সমাজে তেমন কোন কল্যাণ করতে পারিনি৷ ডাকিনী-ডাইনি৷ শোণা যায়  ডাকিনীতন্ত্রে প্রতিষ্টিত হতে গেলে মেয়েদের নাকি প্রথমেই  ওই বিদ্যাপ্রয়োগ করে নিজের স্বামী  অথবা পুত্রকে হত্যা করতে হয়৷  তবেই এই তন্ত্রে সিদ্ধিলাভ  করা যায়৷ সেই জন্যে ডাইনীরা ছিল সর্বকালে ঘৃণ্য৷ তবে ডাইনী ভেবে অনেক নিরপরাধ মেয়েদের ওপরও অত্যাচারও চলত ....আজও হয়তো চলে৷ তবে ডাইনী যে আজও সমাজে একেবারেই  নেই তা বলছি না ৷ মেয়েদের মধ্যে

কৃষ্ণনগর পানপাড়া আনন্দমার্গ স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

গত ৫ই ফেব্রুয়ারী,২৩ রবিবার স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্রীড়াঙ্গনে---নবীন ও প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রা কর্তৃক পরিবেশিত এক বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে হবিবপুরস্থ দুর্গাপুর, পানপাড়া আনন্দমার্গ স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হল৷ পতাকা উত্তোলন, মার্চপাষ্ট, শপথ গ্রহণের পর ‘মূল ক্রীড়া অনুষ্ঠান শুরু হয়৷ অনুষ্ঠানে অভিভাবক ও অভিভাবিকাদের জন্য যথাক্রমে দুটি প্রতিযোগিতা ইন্‌ এ্যাণ্ড আউট ও মিউজিক্যাল চেয়ার শিশু প্রতিযোগিদের কাছে বেশ মজাদার হয়েছে৷ প্রতিযোগীদের ‘‘গো এ্যাজ ইউ লাইক’’ পর্যায়ে তাদের নানা সাজে নানা অভিব্যক্তিতে ভরপুর রঙিন পরিবেশন দর্শকবৃন্দকে অভিভুত করেছে৷ অনুষ্ঠানে সভাপতির

প্রতিভাবান ফুটবল খেলোয়াড় নির্বাচন ক্যাম্প

গত ২১ও ২২শে জানুয়ারী, আধ্যাত্মিক স্পোর্টস অ্যাণ্ড অ্যাডভেঞ্চার ক্লাব, আনন্দনগর একটি আয়োজন করেছে বিভিন্ন জেলার অনূধর্ব-১২ বালক ফুটবলারদের জন্য ‘‘প্রতিভা অনুসন্ধান’’ বাছাই ট্রায়াল ক্যাম্প পশ্চিমবঙ্গ ২১,২২ ও ২৩ তারিখে জগদ্দল মণ্ডল পাড়া বালক সংঘ মাঠে উত্তর ২৪ পরগণা জেলা৷ প্রথম দিনে শতাধিক খেলোয়াড়ের মধ্যে থেকে ৩২ জন খেলোয়াড় বাছাই করা হয় উপস্থিত খেলোয়াড়রা৷ দ্বিতীয় দিনে ৩২ জন প্রতিভার মধ্য থেকে চূড়ান্তভাবে ২৪ জন খেলোয়াড় বাছাই করা হয়৷ যাদের মধ্য থেকে বাছাই করা হয়েছিল অভিজ্ঞ সাবেক খ্যাতিমান ফুটবলাররা জর্জ সেরেসা বিখ্যাত ফুটবল একাডেমি ‘‘গ্রেমিও ফুটবল একাডেমি’’ থেকে পড়াশোনা করেছেন৷ পোর্তো আলেগ্রে, ব্র